জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

কবিতার সন্ধানে

কবিতার সন্ধানে এসেছি কবিতার দেশে
তাই লিখব না একটি কবিতা,
জন্ম আমার ধন্য হল মাগো দেখে তোমার
প্রকৃতির অপরুপ সেই ছবিটা।

কবিতার সন্ধানে আমি গিয়েছিলাম
কাল যে কৃষাণ পাড়া,
তাড়াতাড়ি করে আসতে আমার
কলম খাতা যে গেল হারা ।

কবিতার সন্ধানে আমি দেখতে গিয়েছিলাম
চন্দ্রবাড়ীর ছোট্ট মেয়ে বিয়ে,
পয়সা না থাকায় কান্নায় কান্নায় ভেঙে পড়ল
মেয়েটির মা বাবার হিয়ে।

কবিতার সন্ধানে আমি কল্পনায় উড়েছি
পাখির সাথে গগন পথ দিয়ে,
সাতদিনের অনাহারে গলায় কলস বেঁধে
ডুবে মরেছে কালার মেয়ে।

কবিতার সন্ধানে আমি গিয়ে মিশেছি
জেলে কামার কুমার চাষার সাথে,
সমাজের উচ্চ মঞ্চের মানুষ ছিলাম তাই
যেতে চাইলে বাঁধা আসে পথে।

কবিতার সন্ধানে আমি গিয়েছিলাম আমি
হিজল অশ্বত্থ বনের কাছে,
চেয়ে দেখি কবিতার পংক্তির মতো সারি সারি
গাছ দাঁড়িয়ে আছে একে অপরের পাছে।

কবিতার সন্ধানে গিয়ে আমি প্রকৃতির অপরুপ
সৌন্দর্য দেখে হলাম মুগ্ধ,
কাল যে ধলা মিয়া এক কিশোরীকে
এসিড ছুড়ে করেছে দগ্ধ।

কবিতার সন্ধানে আমি ঘুরছি
দেশ দেশান্তরে,
চলতে হয়েছে আমাকে
লোক লোকান্তরে।

রচনাকালঃ
২৭/০৭/২০২০

প্রেম বিরহের ছড়া

ছোট্টো ছোট্টো ছন্দে
মনের আনন্দে
গেয়ে যায় গান
তাতে জুড়ে মোর
বিভোর প্রাণ।
কখনো মনে জাগে
প্রেমের বিরহে কবিতা
উদাস মনে আকি
আপনজনের স্নেহের সেই ছবিটা।

ছোট্টো ছোট্টো
মনের আশা
ঘুরে বেড়ায় শূন্যে,
বিরহ অনলে পুড়ে
এখনো বেঁচে আছি
ওগো, প্রেয়সী শুধু তোমারিই জন্যে।

রচনাকালঃ
২০/০১/২০২১

গ্রামের পথে

আমি একদিন গ্রামের পথে পুলকিত মনে
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে মাটির প্রাণে তাকিয়ে
দেখলাম গ্রাম্য প্রকৃতির অপরুপ লীলা
মাছরাঙা মাছ ঠোঁটে নিয়ে যায় নীড়ে
আমার আপনজনে আমি পায় ফিরে
শরতের কাশফুল আর শুভ্র মেঘের ভীড়ে।

গ্রামের পথে পুলকিত মনে হাঁটতে হাঁটতে
আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য গ্রহ আর নক্ষত্র
বৃক্ষ তরুলতা কীটপতঙ্গকে জিজ্ঞেস করলাম
আমিকে আমায় কি তোমরা চেনো
সকলে একবাক্যে উত্তরে বলল
হ্যাঁ, হ্যাঁ তোমায় আমরা চিনি,
তুমি জাতি হিসেবে বাঙালি
মুজিব তোমার পিতা
বাংলা তোমার ভাষা
যে ভাষাতে মিটাও তুমি
নিত্য মনের নতুন আশা।

রচনাকালঃ
২১/০১/২০২১

পরানের গভীরে

ওগো প্রেয়সী তোমার জন্য
আমার পরানের গহীনে লুক্কায়িত আছে
কত রং বিরংয়ের ছবি
কখনো তোমার জন্য আমার মনে ভিতরে
নীলাচলের জলপ্রপাত সৃষ্টি করি
নতুবা স্বপ্ন দিয়ে জীবনকে ঘিরে রাখি।

ওগো প্রেয়সী,
তোমার তো প্রিয় রং সবুজ
তাই আমি তোমার জন্য আমার পরানের গভীরে
বাংলার প্রকৃতি ধারণ করেছি
তোমায় খুশি শ্যামল প্রকৃতি উপহার দেব বলে।

ওগো প্রেয়সী,
তোমার জন্য আমার পরানের গভীরে
ষড়ঋতু রাণীর সেই কাশফুল গুলো
আজও বুকে ধারণ করে রেখেছি
যা ছিলো তোমার অত্যন্ত প্রিয়।

ওগো প্রেয়সী,
তোমার জন্য আমার পরানের গভীরে
দীর্ঘদিন ধরে লালন করে রেখেছি
আমার জীবনের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ
অজস্র ভালোবাসা,
ভালোবাসা।

রচনাকালঃ
২৪/১২/২০২০

দুখিনী মার্চ

Bangoban

মার্চের আগমনে
বাংলার গগনে,
উঠেছিলে দুঃখের আর
কষ্টের রবি।
সেই দিনগুলাকে নিয়ে
লিখেছে নানা কবিতা
অজস্র কবি।

কেউবা লিখেছে
কালো অধ্যায়
লিখেছে কেউবা
কালো রাত,
সকল জরাজীর্ণ কাটিয়ে
বাঙালির আজ
উদ্যত হাত।

রচনাকালঃ
০৬/০১/২০২১

কাম্য পৃথিবী

খুন সংঘাত রাহাজানি দিয়ে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ পৃথিবী।

পরশ্রীকাতর মানুষ দিয়ে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম অহিংসা পৃথিবী।

লোভ লালসার মানুষ দিয়ে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম নির্লোভ পৃথিবী।

মেশিনগান, বোমা ও তেজস্ক্রিয় পদার্থে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম এগুলো মুক্ত পৃথিবী।

আমিত্ব আর আত্মা অহংকার মানুষে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম এর বিপরীত পৃথিবী।

জরাগ্রস্ত ও রোগাক্রান্ত মানুষে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম আরোগ্যপূর্ণ পৃথিবী।

উঞ্ছবৃত্তি ও বুভুক্ষু মানুষে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম সাহায্য সহযোগিতার পৃথিবী।

যুদ্ধ বিগ্রহ বিপ্লবে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম ভালোবাসায় ডুবন্ত পৃথিবী।

দূষণ ও গ্যাসীয় পদার্থে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম নির্মল বাসযোগ্য পৃথিবী।

প্রতারক ও প্রতারণায় ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম আশাপূর্ণ পৃথিবী।

কর্মবিমুখ মানুষে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম কর্মমুখী পৃথিবী।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার পৃথিবী।

ধর্ষক আর ধর্ষিতায় ভরা
এমন পৃথিবী তো আমি চাইনি,
তাহলে তোমার কেমন পৃথিবী চাই
আমি তো চেয়েছিলাম নর নারীর সাম্যের পৃথিবী।

রচনাকালঃ
১০/০৮/২০২০

বঙ্গবন্ধু

banga

যতদিন থাকবে বাংলাদেশ,
ততদিন থাকবে তোমারিই নামের রেশ।
যতদিন থাকবে বাংলার গগনে মুক্ত চন্দ্র সূর্য বহমান
ততদিন কীর্তি থাকব তোমার জাতির জনক,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যতদিন থাকবে বাংলায় লাল সবুজ পতাকা
লাল দেখলে মনে জাগে,
বাংলার ত্রিশ লাখ শহিদ আর মা বোনের কথা।
যতদিন থাকবে বাংলায় সুজলা সুফলা সবুজ শ্যামলতা বহমান,
ততদিন থাকবে শেখ মুজিবের বাংলাদেশ অম্লান।

রচনাকালঃ
১৮/০৯/২০১৯

জীবন সংসার

চোখে আমার রঙিন স্বপ্ন
সাজাবো কেমন করিয়া
সুখ দুঃখের জীবন সংসার
কাটবে কেমন করিয়া।
জগৎ সংসার ভীষণ কঠিন
সুখ দুঃখের চক্র যেমন
পালাক্রমে দেয় ধাওয়া।
সংসার হল সমরাঙ্গন
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ
সমর যেমন ধ্বংস করে
অসুর দস্যু হায়েনা।
সংসার হায়েনার কবল থেকে
বাঁচতে আমি চাই।
চোখে আমার রঙিন স্বপ্ন
সাজাবো কেমন করিয়া
দেশ বিদেশের অজানা সব
জানাব কেমন করিয়া।
সংসার যে বড় বাঁধা আমার ভ্রমণ
মুক্ত হয়ে আমি যে জানাব রে।

রচনাকালঃ
১০/১১/২০১৮

মানুষ

অবাক পৃথিবীর অবাক মানুষ
মানুষ নাকি ওরা ফানুস?
ধর্ম বলে মানুষ আশরাফ
তার কাজ কেন আতরাফ?
পৃথিবীতে যত মানুষ আছে
তত প্রকারই ধরণ রয়েছে।
মানুষের বাহ্যিক রুপ ভালো
অভ্যন্তরীণ রুপ বেশ কালো।
গড়ার বেলায় নেই তারা ধ্বংসের দিকে আছে
খারাপ করার জন্য মানুষ ঘুরে ঘুরে পাছে পাছে।
নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষ কিনা পারে
ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে ঘোরে ঘোরে দ্বারে দ্বারে।
শয়তানের কাজ মানুষকে দেবে স্রষ্টার কাজে বাঁধা
মানুষ দেখি তার কাজের জন্য হয়েছে শয়তানের দাদা।

রচনাকালঃ
২৯/০৮/২০২০

একটি ছবি

মাগো একটি ছবি আকব
অনেকক্ষণ বসে ভাবছি
রং তুলি হাতে আছে
কি ছবি আকব
ভেবে পাচ্ছি না।

অকস্মাৎ আমার মনে পড়ে
১৯৪৩ সন।
মাগো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজরা বাংলাকে
হেলা করেছে
সেই হেলার কারণে বাংলায় নাকি দুর্ভিক্ষ হয়েছিল
তখন নাকি বাংলার অলিতে-গলিতে
এমনকি রাজপথে ফুটপাতে লাখ লাখ মানুষ
না খাদ্য পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে
মাগো একি করুন দৃশ্য।
কাক ও কুকুরের সঙ্গে বুভুক্ষু মানুষ খাদ্য না পেয়ে
অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়েছে নর্দমার।
মাগো আমি স্কেচ আকব এই দুর্ভিক্ষর উপর
রাস্তার পাশে খালি থালা নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায়
পড়ে আছে এক বৃদ্ধা
যার শরীরের হাড়গুলো যেন শরীর থেকে খসে পড়েছে
পেটের চামড়া পিঠার সাথে লেগে আছে
দুর্ভিক্ষের জন্য
অন্নবিহীন উদরে
অন্নের সন্ধানে সকলে অবিরাম চলছে রাজধানীর দিকে।
এটাই আমার হল একটি ছবি।

রচনাকালঃ
২০/০৪/২০২০

কাম্য রাষ্ট্র

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই প্রেমিক প্রেমিকা
নেই কেউ খল।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই ফুলকে ভালোবাসে
কেউ পদতলে নিষ্পেষিত করে না ফুলকে।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই পাখিকে রক্ষা করে
কেউ মারে না একটি ও পাখি।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই পরিশ্রমী
নেই কেউ কর্মবিমুখ।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই দূষণমুক্ত
নেই কেউ দূষণ করবার।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই একে অপরের বিপদে পাশে থাকবে
নেই কেউ স্বার্থপর ।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের সবাই নিরাপরাধী
নেই কেউ অপরাধ করবার।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রে প্রাধান্য পাবে আইনের শাসন
নেই কেউ আইন ভাঙার।

আমি এমন একটি রাষ্ট্র চাই
যে রাষ্ট্রের থাকবে অপার প্রকৃতির সৌন্দর্য
নেই কেউ তা ধ্বংস করার।

এমন একটি রাষ্ট্র আমার
জন্ম জন্মান্তরের কাম্য
পেলে আমার জীবন হবে
ধন্য ধন্য ধন্য।

রচনাকালঃ
০২/১০/২০২০

পৃথিবীর পথে

এই গগন নক্ষত্রের তলে
আছে অজস্র লোকালয়
এই পৃথিবীর অজানা দীর্ঘ পথ
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে
দূর্গম দূর্ভেদ্য অন্ধকার
আমি অতিক্রম করতে চাই
দেখব আমি পৃথিবীর অপার
সৌন্দর্য ঘুরে ঘুরে
প্রকৃতির সম্ভারে প্রবেশ করে
কখনো উঠব পাহাড় পর্বতে
কখনো ও বা পাখির ডানায় ভর করে
দেখব অপার সৌন্দর্য
সত্যি সত্যি দেখব আমি পৃথিবীর অপার
সৌন্দর্য ঘুরে ঘুরে
দৃষ্টির অগোচরে রয়ে গেল আমার
কত দেশ বিদেশে কত কত রাজধানী
সেই তুলনায় আমি পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রাণী
দেখনি কখনো স্নিগ্ধ দুপুর দোয়েলের নাচানাচি
শুনিনি কখনো বসন্তের ভোরে কোকিলের গান
আমি পৃথিবীর পথে যেতে যেতে
সকল জরাজীর্ণ কাটিয়ে দিব
দেখব সকল অপার সৌন্দর্য
তাতে আমার শেষ হবে
এই ধরা অভিলাষ।

রচনাকালঃ
১৯/১২/২০২০

ফুলজোড় নদীর তীরে

একদিন আমি ফুলজোড় নদীর তীরে বসে
নিঝুম নিরালায়ে একাকি শৈশবের স্মৃতির খোঁজে
কাটিয়েছি অজস্র সময় অতীতের কথা ভেবে,
এখানেই আমি হারিয়ে ফেলেছি
আমার শৈশবের সোনালী দিন গুলো।
করেছ স্নান ভোজ এই ফুলজোড় নদীর জলে
আর কত হারিয়েছে আমার সুন্দর মূহুর্ত গুলো,
শৈশবের স্মৃতি ডায়েরি খুলে ছিড়েছি কত পাতা
আর বসে দেখেছি কত ধবল বকের খেলা,
শরতের আগমনে শুভ্র মেঘের ভেলা আর কত কাশফুল।
খেলেছি ম্যাচ পর ম্যাচ ব্যাটিং করতে না পেরে কান্না
আজ ফুলজোড় নদীর তীরে বসে সব মনে পড়ে
শৈশবের স্মৃতি গুলো আমার
মন ভেঙে গেলে থাকতাম তাকিয়ে এই নদীর জলে দিকে
জলের কলকল ধ্বনি ভাঙা মনে প্রশান্তি ফিরে দিত
আহা কই গেল সেই দিন গুলো।
দীর্ঘ দিন পর আমি আজ ফুলজোড় নদীর তীরে
আগের কোনো স্মৃতির কিছুই নেই এখনে
চারদিকে শূন্য আর হাহাকার।

রচনাকালঃ
২৭/১২/২০২০

দাম দিয়ে কেনা বাংলা

এক সাগর রক্তের দামে
কেনা বাংলা
চাইলে পারে না কেউ
করতে হামলা।

বাংলা আমার মা বোনের ইজ্জতের
দামে কেনা
চাইলে থাকতে পারে না বাংলায়
কোনো হায়েনা

বাংলার মাটি শহীদর
রক্তে ভেজা
পারে না করতে চাইলে
যখন যে যা।

লাল আর সবুজের পতাকা উড়বে
বাংলায় যতদিন
মুজিব, মুজিব, মুজিব বাঙালি
বলবে ততদিন।

রচনাকালঃ
১৫/১২/২০২০

মিলন

আবার যে দিন দেখা হবে তোমার সাথে
কোনো জ্যোৎস্না শোভিত রাতের গভীরে
অথবা ভোরের দোয়েলের মিষ্টি গানে
হয়তো বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সময়
যখন তুমি উড়বে বুনো শালিকের দলের সাথে
আমি উড়ব তোমার মিলন পাওয়ার আশায়
তোমার স্পর্শ পাওয়ার জন্য গুনবো প্রতীক্ষার প্রহর
গোলাপ ফুলের সৌরভে মুখরিত হব কখনো দুজন
না হয় কোনো মিছিলে অংশ নেবার সময়
তোমার মিলন পাওয়ার জন্য আমার দীর্ঘ প্রতীক্ষা।

কোন দোষে ছেড়ে গেলে আমায়
জানি তোমার কাছে কোনো জবাব নেই
কারণ তুমি তো ধ্বংস করতে জানো
জানোনা করতে বিনির্মাণ
তোমার স্পর্শ আমায় প্রাণের স্পন্দনে স্পন্দিত হয়
তোমার স্পর্শে আমি নতুনত্ব খুঁজে পায়
তাই তুমি আমার সাথে মিলন করতে চাওনা
আমি তোমার মিলন পাওয়ার আশায় দীর্ঘ প্রতীক্ষা।

রচনাকালঃ
১৩/১২/২০২০