বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

দিনে দিনে দিনগুলো মুছে দিক ঋণ … শুভ জন্মদিন

3125

তোমার জীবনের
একটি অপরিহার্য এবং অপরিবর্তনীয়
অংশ বলেই এইদিনটি
কখনো ভুলে যেতে পারবোনা।

তাই নিজেকে
আবিষ্কার করা এই আমি,
হয়তো কোনদিন বলতে পারবোনা
সুদূরের ওই কিংবদন্তী পথে
আমাকেই সাথে নিও,

হয়তো জোরকরে
করবোনা কোন আবদার
বলবোনা চলো ঘুরে আসি
ওই গোলাপের বন।

হয়তো বিশেষ এই দিনটি
এসেছে বলেই আজ অভিব্যক্তিতে
দিলাম তোমায় অভিবাদন

এই দিনের
সত্যিকারের আশীর্বাদ হতে
পারলে হয়তো আর
প্রয়োজন হতোনা অন্যজনম।

হৃদয়ের গভীরে
অনেক উপলক্ষ আছে
যখন তোমার বন্ধুরা
তোমার কাছে যা বোঝায়
তা প্রকাশ করতে পারে

কিন্তু জেনে নিও
তাঁদের মতো গতানুগতিক
কেউ একজন নয়;

তবে তোমার জন্মদিনে
হাজারো প্রিয় মানুষের ভীড় ঠেলে
নিও সুদূর ওই পথের পারে থেকে
তোমারেই জানায় ভালবাসা

যেখানে জানার কিছু নেই
রয়েছে, অজানা সুখের বদলে উদ্বেগ,
তাইতো সুতোহীন এই বন্ধনকে
শক্তিশালী করতে পারে

তবুও এইদিনটি
হাজার বছর অপেক্ষা হোক উত্তম
আর দিনে দিনে দিনগুলো মুছে দিক ঋণ
শুভ জন্মদিন।

শব্দ পোড়া গন্ধ

তবুও থেমে নেই চাল-চুলোহীন নিপাতন জলের পতন
যদিও আমার দুরবিন চোখ একলা হাঁটে নিস্তেজ প্রান্তর
মাঝে মাঝে কেবল শব্দ পোড়া গন্ধে আকুল হয় অন্তর
তবুও ডানাভাঙা পাখিরা কেউ থেমে থাকে না
দেদার চলছে কেনাবেচা……
অশুদ্ধ হাতের শিরা কেটে ভালোবাসার উল্কি আঁকা;
পার্কের ব্যস্ত টুলে টোলপড়া গালে বাদমের যবনিকা!

যেখানে কোনোদিন কোনো অন্ধকার দ্রবীভূত হয় না
তবে সবাই জানে সেখানেও জীবন থেমে থাকে না
ভুলভাল জল পতনের অশরীরী শব্দ খুঁজে নেয় ঠিকানা
তবুও ভালোবাসার নামে হাসে সুখেন পাথরের কংক্রিট
তবুও কবিতার শব্দে নদী পোড়ায় জীবনের হার্টবিট!

অথচ কত কাজলনদী, কতোদিন জল চোখে দেখে না
রাংতার কাজল মেখে ভুল চোখে জীবনের গন্ধ শুঁকে,
আমি নিপাতন জলের শব্দে কৈলাশ পর্বতের ধ্যানস্থ
মুনি-ঋষিদের ধ্যান ভাঙানোর কথা ভাবি
স্বগৃহে নির্বাসিত মহাজাগতিক নির্বাণের কথা ভাবি
বায়ুশূন্য অবস্থানে সামুদ্রিক সাইক্লোনের কথা ভাবি!

তবে এতোকিছুর পরেও.. আমি এখন আর একা নই
এখন শব্দ পোড়া গন্ধ আছে, নৈঃশব্দ বাতিঘর আছে
সেখানে নিপাতন জলের উর্বশী পাতন আছে
কাকতাঁড়ুয়ার মতো একলা দাঁড়িয়ে থাকার ফুরসৎ আছে
আমি সেই শব্দ পোড়া গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকার কথা ভাবি
শ্বাপদসংকুল অরণ্যে কবিতার একাকিত্বের কথা ভাবি!

সাদা ক্যানভাস

যে যাকে ভালবাসে, সে- ই তার ভয়।
আছে, তবু নেই হয়ে কৃচ্ছতায় ভাসা,
পেতে রাখা ফাঁদে দেবে ইচ্ছাব্রতী – পা,
সন্ধ্যারতি খেয়ে যাবে আখড়া – আশ্রয়।

মৃত্যু নিশ্চিত্ জেনেও যুদ্ধ নেবে মাথা,
কারো কারো এমনই জন্মরোগ থাকে।
যত কেন ভেতর- বার ছতিচ্ছন্ন হোক
স্বকীয় স্বভাব তবু হাঁটে না অন্যথা।

ভুল পাহাড়ের কোলে ঝুলন্ত রূপ- কল্পকথা
এধারে- ওধারে সব লটকে প’ড়ে কুচি কুচি সুখ,
খুঁটে নিতে নাজেহাল অন্যব্রতী রক্তমুখী প্রাণ,
মজুতে রং ও তুলি, র’য়ে যায় ক্যানভাস সাদা।

ঘন হ’য়ে প্রাণে বেঁধে মৃত্যুযোগ ও ঠেলি,
তবু তো সুজন তুই পরই র’য়ে গেলি।

মন কথনিকা-৪৪৪৩

দুর্নীতির পায় বাঁধবো বেড়ি, ক্ষমতাটা পেলে,
শুদ্ধতারই স্বপ্নগুলো ধরবো শূন্যে মেলে,
সুশাসন যে তুলবো গড়ে, ক্ষমতা পাই যদি,
মানবিকতার গন্ধ ছুঁবে সুশাসনের গদি।

মন কথনিকা-৪৪৪৪
মনে ভেজাল রেখে যদি কথা বলো সুন্দর,
বাইরে তুমি সুন্দর বাপু মন্দ ভরা অন্দর,
বুকের মাঝে দূর্নীতি খুব, মুখে বলো ভালো,
নূরের আলো নেইকো মনে, ভিতরবাড়ী কালো।

যন্ত্রস্থ যমুনার মুখ

স্বকালকে সাজিয়ে রেখেছি বিদ্যুতপাথরে। চাইলেই ছুঁড়ে
দিতে পারি। আর পারি স্বীকার করে যেতে শান দেয়া চাঁদের
জনম। নিদ্রার নিমগাছ জড়িয়ে জেগে থাকা ভাদ্রের বিবরণ।
পারি আরো অনেক কিছুই। শোকের সংযোগ খুঁজে যে নদী
বয়ে যায় উজান, তার গতিপথ আটকে দিয়ে আমিও হতে
পারি ঝড়ের সমান। তাবৎ তীক্ষ্ণতার তিমিরে ঝলসানো মুখ
আর মৃত মুক্তোগুলোকে হাতে নিয়ে করতে পারি তাদেরও
ভাগ্য গণনা। গণক নই, তবুও দেখলেই চিনে নিতে পারি
বিশাল বৈরাগ্য ভরা পরবের প্রতিবেশী যন্ত্রস্থ যমুনার মুখ।

দ্বিধাহীন ভোর

বাতাস আর ঘাসের দাঙ্গায় ফুলগুলো অভ্যর্থনা
জানাচ্ছিল আর ফেঁপে উঠতে থাকল
অনেকগুলো নিস্তরঙ্গ পেশাজীবী জিকির, শিশুমুখ;
অন্যের ভেতরে পৌছে যাচ্ছিল দ্রুতগামী
বালকের মতো; সব পাখির পালকের নিচে সর্বশেষ
ঢেউ-সন্ধ্যা, জিহ্বায় কাটে নিঃশ্বাস,ন্যাড়া ডালের
মুকুলে ফুল, ঈগলের বিক্ষত চোখ-

ঝুলিয়ে ডাকে নিশানা-দূর। এমন দ্বিধাহীন রূপালি
জ্যোৎস্নার সৌন্দর্য পানে উৎসব পাতিয়েছে
সেই যুবক, সেই মেয়ে’
চিলতে আকাশ ফেঁড়ে-যতসব ফতোয়া ঘুরে
সিঁথির ছায়ায় আয়না নাড়ে নরক গুলজার, আহ!

সমস্ত মুখ ঝুলতে থাকে অপঠিত ঘাসে-তারপর
এ শহরে ল্যাম্পপোস্ট ঝেড়ে কেশে ওঠে- ভোর…

শাণিত তরবারি

314

বহুকাল পুরোনো তরবারি টি
শান দিচ্ছি নুনে জলে
ধারালো বুকটি চকচক করছে
ঝিলিকমারা চোখে
ব্যাক্ত করছে শাণ ধার
আসলে-

এবার সে চলতে চাইছে
চলতে চাইছে রক্তের অববাহিকায়
প্রাণের প্রকোষ্ঠে
এবার ছড়েছে তার কতল কর্মক্ষুধা
শাণের সোপানে
খুনের কলা কৌশলে
বলি হোক জগত সংসার
বলি হোক রক্তবিষ
ঘৃণ্য অহংকার!…

স্বপ্ন

আমি স্বপ্ন দেখি সংগোপনে
রাতের আলোয় ঘুরছি একা,
নীরবতা সেথায় শুধু
স্বপ্ন ছাড়া সবই ফাঁকা।
স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার
অমানুষদের যত বাধা,
যতই আসুক দুঃখ ব্যাথা
জীবন হবে স্বপ্ন গাঁথা।

আমি স্বপ্ন দেখি নতুন দিনে
উঠবে ফুটে নতুন আলো,
আঁধার নেবে মুখ লুকিয়ে
হোক না যত নিকষ কালো।
স্বপ্ন দেখি মানুষ নামে
আছে যত জন্তু যারা,
চিহ্ন তাদের হয়ে বিলীন
ধরা হবে মুক্তধারা।

আমি স্বপ্ন দেখি বিভেদ ভুলে
মানুষ সবাই মিলবে মনে,
সবাই সবার হবে সাথী
শান্তি পাবে জনে জনে।
স্বপ্ন দেখি পিতা-মাতা
হবে সবার নয়ন মনি,
বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ফাঁকা
সংসার হবে সুখের খনি।

আমি স্বপ্ন দেখি জীবন দশায়
কর্মগুনে সমাদ্দৃত,
ভালো কাজে হাসবে রবি
ফুটবে ফুল অবিরত।
স্বপ্ন দেখি আমার নামে
শ্রদ্ধায় সবার নত মাথা,
হাসব আমি শেষ যাত্রায়
কাঁদবে তখন আম-জনতা।

তাং-০৬/১০/২০২২ ইং

মাংসাশী শহর

এ এক অদ্ভুত হত্যাযজ্ঞ!
এ শহর যেন আজ এক মাংসাশী শহর!
প্রতিনিয়ত এখানে রক্ত, মাংস, হাড়, মাথার খুলি পড়ে থাকে।
বিকট বিস্ফোরণের সাথে সাথে এখানে শুরু হয় মৃত্যুর উম্মাদ নৃত্য,
অস্ত্রের বজ্রধ্বনিতে এখানে বেজে যায় বিস্ফোরণের গান।

এ যুদ্ধে সবাই জয়ী হতে চায় এবং জয়ের জন্য সবাই আশাবাদী,
একটুকরো জমির জন্য এখানে আজ যুদ্ধ আর দাঙ্গাবাজী।
এ এক এমন আগ্রাসন এখানে ন্যায় নীতিও ভান ধরে থাকে,
স্বাধীনতা!

সেও এখানে আজ একটা নির্দিষ্ট সীমা রেখায় বন্দী হয়ে গেছে,
একটু বেপরোয়া হলেই তান্ডব নেমে আসবে প্রিয় মানচিত্র আর স্বাধীনতার উপর।

একাকীত্বের ঘোর

সারাদিন শেষে যখন আমি একা হয়ে যাই,
তখন পিছনে যেতে থাকি আমি; বর্তমান ছেড়ে-
অল্প অল্প করে চোখের সামনে স্পষ্ট হয় তোমার মুখ, হাসি এবং চিহ্ন,
মনে হয় যেন, তুমি দূরে যাওনি- এখানেই আছো আমার হাতে স্পর্শ হয়ে।
ফিরে যেতে যেতে আমি থেমে যাই একটা সময়ের মধ্যে, যার নাম বোধহয় প্রেম,
মনে হয় সুদর্শন একটা বিকেলের রোদে হাঁটছি আমরা।
চোখে চোখ ডুবিয়ে দিতে দিতে তুমি লুফে নিচ্ছ আমাকে;
নিতে নিতে একবারে শূন্য-
তারপর সম্বিত ফিরে দেখি আসলে এসবই আমার একা থাকার ঘোর।
তোমাকে আমি আমার ঘোরলাগা একাকীত্বের কথা কিভাবে বুঝাবো ?
অথচ এসবই আমার ভুলে যাওয়া উচিত-
কিভাবে বলো ভুলে যাবো দিনশেষে এমন ঘোরে যাবার অভ্যেস ?
আমি যে তোমার মতো পারিনা-
তোমাকে বৃত্ত ভাবতে ভাবতে আমি যে আবদ্ধ বিন্দু, অভ্যস্ত হতে হতে আমি যে তোমাতে মগ্ন মুখর,
অথচ তুমিতো সেই কবে উড়ে যাওয়া এক ফেরারি পাখি।
.
০৮/১১/২০২২

টিম্বাকতু

1-69

বিস্তির্ণ প্রেইরি নয়-
ছুঁই ট্রপিক্যাল নিষ্পাদক প্রান্তর,
অলসভাবে বহমান নদ-নদী
ধরিত্রীর বুক ছিন্ন ভিন্ন করে বয়ে যায়।

শ্রাবণের প্লাবনে পুষ্টিবর্ধক ভূমি
গুল্ম, ঝোপ, ক্বচিৎ ঘাসে পূর্ণ হয়;
গ্রস্ত উপত্যকা, পর্বত, মালভূমি পেরিয়ে
সতেরোটি নীল পদ্ম এনেছি, চন্দ্রমহিনী।
বহু দীর্ঘ, শীর্ণ, গভীর হ্রদের পদ্ম!

অবিরাম রোদে পুড়ে দগ্ধ হয়েছি,
চির হরিৎ বৃক্ষের নিবিড় অরণ্যে
রেইন ফরেস্ট পেরিয়ে, স্মৃতিধৃত ইতিহাস।
যেখানে বৃষ্টিপাত ক্রমে ক্ষীয়মাণ-
দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যস্থান, টিম্বাকতু।

সময়গুলো কী করে চুরি হয়ে যায়

আমার শৈশব সময় করে নিয়েছে চুরি
আহা আমি ছিলাম সেই বেলার আকাশের রঙিন ঘুড়ি
নাটাইয়ের সুতোয় ছিলাম না বাঁধা;
আমার শৈশব কী মনোহারি দিন, আহা সেকি ধাঁধা!

সময় নিয়ে গেল আমার গোল্লাছুট প্রহর
যেখানে বইতো শুধু দুরন্তপনার লহর;
আমার ডাংগুলি দিন,মারবেল খেলা
সব নিয়ে গেল একে একে, এখানে যে বিষাদে
পার হয় বেলা।

সময় নিয়ে গেল চুরি, আমার মায়াবী দিন
আজ এখানে কেবল বাঁধা বাঁধা, বিদঘুটে দুর্দিন;
নিয়ে গেল সময় আমার বউছি কানামাছি বেলা
আজ এখানে মনের মাঠে বসে রোজ বিরহের মেলা।

সময় নিয়ে গেল আমার সাঁতার কাটা দিনগুলো
নিয়ে গেল আমার দৌড়াদৌড়ির প্রহর যেখানে
মেঠোপথে উড়তো সুখের ধুলো;
সময় নিয়ে গেল আমার শিউলীর মালা গাঁথা ক্ষণ
আজ এখানে মহুর্মুহু কষ্ট, বদলে যায় বারবার মনের লক্ষণ।

সময় নিয়ে গেল তারুণ্য আমার, যেখানে স্বাধীনতা অবাধ
আহা জীবন যে ছিল কতই না নির্বিবাদ
আজ এখানে মনোমালিন্যের চারা রাখি নিত্য বুকে রুয়ে
কেউ দেখে না আর অভিমান অল্প ছুঁয়ে।

সময় নিয়ে গেল আমার সু সময়গুলো সেই
আজ এখানে নিয়মিত হারাই জীবনের খেই
ফুলেল প্রহরগুলো হারিয়েছি; এখানে কাঁটা ঝোপঝাড় পথ
কী করে নেই বলো ভালো থাকার শপথ।

দেহের দূরভাষ

সবশেষে গৃহীত থেকে যায় দেহের দূরভাষ
দূরত্ব পরখ করে পাখি দেখে– এই বিকেলের গায়ে
লেপ্টে আছে আমাদের দেহধর্ম, আর উষ্ণতার
আলো জমা হতে হতে যে অতীত হয়েছে বিগত,
সেও কাছে এসে দেখায় সম্মোহন, বলে —
হে জীবন চলিষ্ণু হও, পুনরায় আঁকো চুম্বনের গতিরেখা।

এঁকে রাখো এমন কোনও গ্রহের নাম
যেখানে মৃত্যু নেই,মড়ক নেই
যেখানে প্রাণ বাঁচে বিশ্বাসে, আর ভালোবাসায়-
যেখানে দেহ দেখে আকুল নদী বলে
আমার যৌবন দেখো ঢেউ,
দেখো আমার উত্তাল কামঘোর-
কীভাবে যুগে যুগে বিলীন হয়ে যায়।

প্রাণপাত

30

বৃথা রক্তপাত,
বৃথা এই ঘাত প্রতিঘাত-বিষাদের জ্বালা
অশ্রুস্নাত
কাজলা চোখে চোখ পড়তেই
ভুলে যাই সব
সমস্ত বিবাদ!
স্বর্ণচাঁপা রোদ্দুর
মিষ্টি গন্ধে ভুলে যাই দহন জ্বালা
এলোমেলো চুলে
সনির্বন্ধ মশগুলে
অনায়াসে ডুবে যায় উষ্ণীষ রাত…
চিত্ত উন্মাদ
নির্ঝর
কুয়াশার চাদরে অংকিত চিত্র
মত্তযৌবন
প্রাণপাত!..

এজমালি সবুজ রং

কতগুলো গালিব সবুজ ঘাস বনানী আর মাঠ ছেড়ে
পুনরায় জেগে ওঠে পাহাড়ি ঘোড়ার শব্দে
সুগন্ধি সাবান-ফেনার মতো অক্সিজেন লেগে আছে
কেবল বদলে দেয় বার্শালো নার্সিসাসে নাড়িছেঁড়া
নবজাতকের প্রথম কান্নার ফলন, ওধারে সুস্বাস্থ্য-
মিরিণ্ডা রঙের গোধূলি নিয়ে ঘরে ফিরছে
এইমাত্র গাছের নতুন পাতায়-আশ্চর্য এক ব্রক্ষ্মাণ্ড;

আমরা একদিন পশুদের উপেক্ষা রাক্ষস হিসেবে
ছিঁড়তে লাগলাম সবুজ রং, মানুষ থেকে যখন
সুখী হবার ঈষৎ হাসি নিয়ে এজমালি অভিধানের
সেলাইমেশিনে আঁকতে থাকা মগজ, মাথা আর মাংসের
বুননে একটা শরীর, লাফ দিয়ে ওঠে কবিতার পৃথিবী