বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

দেহ হাঁটি হাঁটি

91c

মধ্যরাত শ্যাম শালিকের চোখে
সময় বুঝি গড়ে- গড়ে যাচ্ছে-
ভয়ঙ্কর দেহ বুক ধর- ধর, বুকে;
নিশ্চিত গায়ের জোড়ে ইট ভাটা
জ্বালান যায় অথচ মনের গা দিয়ে
নিভান যায় না,আরও জ্বলতে হয়;
চোখের সাথে মনটা রাখ খোলাখুলি-
দেয়াল বেয়ে উঠে যাবে না তো শ্যাম
শালিকের ফাঁকি-গন্ধ নাকে শুধুই মাটি
আকাশ শূন্যে চলো দেহ হাঁটি- হাঁটি।

২১ কার্তিক ১৪২৯, ০৬ নভেম্বর ’২২

ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলে সহসা

3132

কার্তিকের সকাল, হিমাবেশ, ঘুমে বেঘোর
নিস্তব্ধ পরিবেশ, এই কাক ডাকা ভোর,
দখিন বারান্দার পর্দা দিলে সহসা খুলে,
দিলে তো বাপু ঘুম থেকে তুলে!
এবার চা করে দেখি!

ছুটির আরাম চোখের পাতায়, আমি নিঝুম পুরীতে
ঘুমের বাজালে বারো, যেন এক থুড়িতে,
চা না করলে পান এবেলা,
চোখ তো আলোয় যাচ্ছে না মেলা,
চা দাও, এ আবদার নয় মেকি।

বিছানা ছেড়ে না উঠার বাহানায় মন দাও
চা করে দাও, ঘুম করো চোখের উধাও,
আমার সময় করে দাও ফুরফুরে,
চা পানের ইচ্ছে ওঠছে বক্ষ ফুঁড়ে,
চা ছাড়া শান্তি নেই এক সিকি!

বারান্দায় চেয়ার পেতে দুজন, চা হাতে,
দেখি দৃষ্টি মেলে কে জেগেছে এই প্রাতে,
দেখি পাখিরা মেলছে কী না ডানা,
রক্তিম আভা আকাশে দিয়েছে কী না হানা
এসো মনের খাতায় মুগ্ধতার গল্প লিখি।

শরীরে উষ্ণতা নিয়ে চলো মনে আরাম পুষি,
এই সকালে তোমা হতে কিনি এক কাপ খুশি,
দেবে চা করে তৈরি
নইলে মনের হাওয়া হবে বৈরী,
চুপ তুমি একি!

চোখের পাতায় লেগে আছে ঘুমের আলসেমী,
রাখো না বায়না৷ এহ্ কেমন স্বামী!
যাও বলবো না কথা আর,
এবেলা হবো না আর ঘুমের সেতু পার….
বসে থাকো একলা৷ বিতৃষ্ণা তোমার মনে দিক উঁকি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

এক চাঁদের কথা (সনেট)

hhu

এ আকাশে চাঁদ ছিলো থালার মতোন
ছড়াতো জ্যোৎস্না রোজ নির্দ্বিধায় হেসে,
দখিনা বাতাস তারে করতো যতন
চকোরের দৃঢ় ধ্যান খুব ভালোবেসে।

রূপালী ধারার আশে তরুলতা দুলে
তেষ্টায় গুনতো জেগে অপেক্ষার শ্বাস,
ঊর্মির নাচন দেখে তটিনীর কূলে
শ্বাপদও খুশিতে হতো ডাহুকের দাস।

হায় এ কি ভগ্ন দশা সেই ষোড়শীর!
কোমরও ভুলেছে ক্ষ্যাপা সবুজের দোলা,
ছুঁড়লো কে বিষ মাখা সঙ্গোপনে তির?
নইলে হতো কি তার নীল বর্ণ গলা!

বিক্ষিপ্ত মেঘের খিল ঠেলে ত্যাড়া দাঁতে,
আকাশও ছুটে যে আজ রজনীর ঘাতে!

পরিযায়ীর গল্প

পরিযায়ীর গল্প
সাইদুর রহমান

অতিথি পাখি আসতে পারে
ষড়ঋতুর দেশে,
দেশের পাখি ‘স্বাগত’ বলে
বরাবরই হেসে।

দূরের দেশে বাস করেও
প্রিয় বাংলা ভূমি,
আদর স্নেহ দেয় যে ঢেলে
কাছে টানে যে চুমি।

শীতেরকালে মোদের দেশে
পায় আরাম খুর,
সাগর পাড়ে খেয়ে বেড়ায়
দেয় আমোদে ডুব।

অতিথি সেবা বাংলাদেশে
বিশ্বে করেছে নাম,
ছাড়ে তাই যে সাইবেরিয়া
ছাড়ে তাদের ধাম।

অনায়াসেই খাল-বিলেতে
পোকা-মাকড় খায়,
সাগর বুকে নানা মাছের
স্বাদ যে খুঁজে পায়।

পরিযায়ীর ভিড়ের মাঝে
জন্মে প্রেম প্রীতি,
তাই যে আসে প্রতি বছর
ভুলা যায় কী স্মৃতি ?

শূন্যতা ছুঁয়েছে মন

spor

মহাকালের সূর্যটা একাই চলেছে বয়ে
কালের গর্ভে মহাকাল হয়ে
একা থাকার এই সমারহে
পথটাও রয় একা প্রবল শূন্যতায়।

তাই আজ তুমি
কতটা শূন্যতায়
সেজেছ পথিক তুমি, মন।
কতটা শূন্যতায় ভেঙেছে হৃদয়;

কিভাবে চলেছে দিন
দিনে দিনে করে ঋণ জানা নেই তবে
বেঘোরে বেঘাত, সব
হয়েছে বেহাত কী তা জানো

একা, একাই কেটেছে দিন
ধীরে ধীরে করে ঋণ
এক আকাশ শূন্যতা এঁকে
একাকিত্বের সাথে একা হাতে খড়কুটো রেখে
চলেছে দুনিয়ার পথিক নির্জন পথ বহুদূর
প্রকৃতির এই শূন্যতার মাঝে।

প্রলুব্ধ ছায়ার ছবি

অনেকদিন ধরেই ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা লিখি..
গাছ থেকে বেলের বদলে তাল পড়লে যেমন
হাঁচি আর কাশি একসাথে বেরোতে চাইলে যেমন
আমার কবিতার বেখাপ্পা শব্দেরাও তেমন..!!

তবুও কবিতা লিখি.. লেজ আর গোবর মাখামাখি
আমি ঋণগ্রস্ত অকবি..বয়ে বেড়াই শব্দের দায়,
এভাবেই বেড়ে চলছে অপরিশোধিত লেনদেন
যে কেউ ইচ্ছা হলেই স্বত্তাধিকার কিনে নিতে পারেন!

তবুও থেমে নেই বাক্যের মুখাগ্নি, উপমার ঘরামি
জমা-জমির মতোন নামখারিজ করে দিতে আমিও
সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় রাজি!!

কেউ হয়ত রসিকতা করে বলবেন আমি আসলে
একজন পাজি… আচ্ছা সে না হয় মেনে নিলাম
বলুন তো দেখি.. যে ডাকাত ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা
লিখে… সে কীভাবে হয় কবি..?
সেতো বড়জোর হতে পারে প্রলুব্ধ ছায়ার ছবি!!

কার জন্য …

1yy

কার জন্য ঘুম ভাঙ্গে
কার বিহনে জ্বর আসে অঙ্গে?

কোঁকড়ানো ভেজা চুলে স্নিগ্ধা লাগে বলে
কার জন্য স্নান করো সাত সকালে?

কার জন্য জন্য খুঁজো নীল টিপ
সাঁঝের বেলায় কার অপেক্ষায় জ্বালাও প্রদীপ।

কার সাথে ডুবো নিবিড় কথোপকথনে?
ভুলে যাও সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার গ্রহণে।

কার বুকে আঁকো স্বপ্ন! বিনিদ্র রাতের শেষ প্রহরে
কার সুখের জন্য হাত তোল মহান প্রভুর দরবারে!

কার আদর্শে মুগ্ধ হও, লোভ মোহ নির্বিশেষ
কার কপালে রাখো বিশুদ্ধ চুম্বন? একান্ত ভালোবেসে!

কার হাতে তুলে দাও অলেখা কবিতার পংত্তিমালা
কার বিরহে ভোগ করো অদৃশ্য আগুনের দহন জ্বালা!

তুমি কার চোখে রাখো চোখ
কার চোখে খুঁজো বাকী জীবনের অমর্ত্য সম্ভোগ!

কোন সুখে ভুলেছ চিরায়ত ক্ষুধা
কোন আলোকে এতো অবিশ্বাস আমায়?জাগিয়েছো দ্বিধা!

কোন মর্মে ছেড়েছো আজন্ম লালিত ধর্ম
আমাকে অস্বীকার করে কাকে বানিয়েছো জীবনের বর্ম?

আমি সেখানেই আছি যেখানে তুমি রেখেছো দাড় করিয়ে।

চে গুয়েভারার হাত

বিনাশী আগুন দেখো কবি। দেখো বিরাগসমগ্রের দুটি হাত।
স্ট্যানগান পড়ে আছে দূরে। গুলির আওয়াজ শুনে কাঁপতো
যে জঙ্গল তার পাখিরাও আজ সাহসী কেমন! পোড়ামেঘ
বুকে নিয়ে আকাশও কী প্রত্যয়ে মেলেছে চোখ। কত নির্মোহ
ভালোবাসায় জেগে আছে অধিকারের আলো।

বিনম্র গোলাপ দেখো কবি। দেখো হলুদ চাঁদের যৌবন
পাহারা দিচ্ছে যে সময়- তার নামই যুদ্ধ, তার নামই বাহু
প্রিয়তম জীবনের জন্য রেখে যাওয়া ভস্মের গর্বিত বিলাপ।

বিশুদ্ধ গুলজার

আজ জ্যোৎস্না নেই-অন্ধকার
নিশ্চুপ সব, ঠাণ্ডা অভিসার-
বিশুদ্ধ গুলজারে সুন্দরীময়
আধুলি আধুলি হিম কুয়াশা
আর বুনোফুলের চরিত্র নিয়ে
শাদা কাশফুল, নতুনের দিনে-
চুলখোলা সবুজ বাতাস, চারদিক;
এই মোহগন্ধ মেটাই প্রান্তরে
পাখিদের শিরোনামে-পরী
আকাশ ছেড়ে এখানে
ঘরের দরজায় নাচে, পৃথিবী!

উষ্ণ হয় না

tyui

বরফ স্তরে হেঁটে যাচ্ছে
ইচ্ছার পায়রা পাখির দল;
উষ্ণ পা পিছলে যায় বৈকি-
অথচ কৃষ্ণচূড়া পাহাড় থেকে
শিমুল ঝরা রাত- পলাশের
হাসির আড়ালে বুঝলো না
কতখানি বেদনার রঙে আকাশ;
তবু মন শান্তির পায়রা ভেবে-
উড়ছে ইচ্ছার যতগুলো ডানা!
তারপরও স্বপ্ন রঙিন উষ্ণ হয় না।

১৮ কার্তিক ১৪২৯, ০৩ নভেম্বর ’২২

সংক্রান্তি

maka

অস্থির যুবার মতো ওলোট পালোট করা
আমার স্বভাবগত নয়।
তাই, থাকছি – থাকবোও।
অবশ্যই এ নিয়ে বিজ্ঞাপিত ভাবনা নয় আদৌ।
কারণঃ ভাবের কপাটে চাবি,
চাবিকাঠি অন্যের জিম্মায়।

কেমন রয়েছে গাঁথা বন্ধ্যা দাওয়ায়
নিরুপায়ী বে-আব্রু শরীর –
নিয়ত অনুগ্রহ জতুগৃহে
ঠায় বসে থেকে থেকে
আপাদমস্তক ঘন শক্ত ফসিল।

এখন, অবিশ্বাসী- ছইহীন-চটাওঠা
ডিঙি ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে শুঁটকি গন্ধ ছাওয়া
ছাত্লা ধরা নোনা খোলচায়
একবিংশের সপ্রতিভ নারী
আমি ঠিক অস্তিত্বের নলেন সুগন্ধিটুকু
আলো – হাওয়াদের আনাচে – কানাচে
মাত্রাহীন হীনমন্যতায়,
সহজাত যন্ত্রনাতে
আবিস্কার করে করে যাই –
অস্থির যুবার মতো শস্ত্র হয়ে ফেরা
আমার যে স্বভাবে আসে না।

অস্থির যুবার মতো ভাঙ্গচুর করা
একেবারে স্বভাবেই নেই।
তাই, দিকচক্রবাল জোড়া
মুগ্ধ – প্রতিবন্ধী জাল কেটে
নিঃসাড়ে আসতে হলো
ভৈরবের গাজন তলায় –
বাউন্ডুলে গাজন – যোগীর
খুলিনাড়া আজ্না – বাজনা
জীয়ন্ত করোটীর স্নায়বিক ভাঁজে
বড়ো কষ্টে গেঁথে নিই –

ফিরবো তো নিশ্চয়ই,
আমার যে অস্থিরতা নেই- ই,
তাই ফিরবো সুনিশ্চিত্।
এবং শুধু ফিরবো যে তাই- ই নয়,
বছর কাটাবো ঐ দুর্গন্ধে সুগন্ধের ঘোরে।
গাজন – বাজনা তাই
মগজের ভাঁজে পুরে নেওয়া
আজকের তীব্র প্রয়োজন।

কিন্তু তবু বলে যেতে চাই –
গাজনে এসেছি বলে
সহজেই খাজনা ফুরাবো
এমন ভেবোনা –

অস্থির যুবার মতো সর্বস্ব গুঁড়িয়ে দেওয়া
যেহেতু স্বভাবগত নয় –

একান্তে গড়ছি তাই,
সর্বাঙ্গ নিঙরে আনা
তাবৎ কর্মক্ষমতায়
রোজ রোজ পাকা ধানে
মই দেওয়া ইদুঁরের
সর্বশেষ আশ্রয়ের কল।

কবিতা

তুমি চলে যাবার আগে
বলে যেও…!
আমার থেকে দূরে কোথায় যাবে
সেই ঠিকানা দিও…!

একটি দিন
হাজার দিনের সমা।
একটি রাত
হাজার রাতের সমান।

এইটুকু স্মৃতি আমার কাছে
রেখে যেও..!

মনের আকাশে ওড়ে না সুখ পাখিটা

312

মেঘলা হয়ে রয় মনের আকাশ
ক্ষণে ক্ষণে বেহুদা দীর্ঘশ্বাস
ভাল্লাগে না আর, কী জানি বিপদ আসছে এগিয়ে
সময় আমার স্বস্তিগুলো দিচ্ছে মহুর্মুহু ভাগিয়ে।

চাই না মন আকাশে কালো মেঘ জমুক
বৈরী হাওয়া উড়িয়ে নিক বর্তমানের সুখ;
কী জানি কেমন যেন লাগছে হাঁসফাঁস
কালো মেঘে ঢেকে যাবে বুঝি মন আকাশ।

যেন বাজ পড়েছে, মনে তুমুল বিষাদের আওয়াজ
চারিদিকে গুনগুন শুনি বিষণ্ণতার কুচকাওয়াজ
আমার বুঝি আর থাকা হবে না ভালো,
সহসা নিভে যাবে মন আকাশে দিনের আলো।

কে জানি অপেক্ষায় আছে আমাকে দেবে ফাঁসিয়ে
কর্মের ভিতরে ঠেলে দেব, ব্যস্ততা নেবে ভাসিয়ে
আমি আর কবিতার বুকে দিতে পারবো না শব্দ তুলে,
আমার ছন্দময় জীবন আমি যাবো ভুলে।

মনের তারে কু সুর
মনে হয় সম্মুখে আসছে ব্যথার সমুদ্দুর;
কূলহীন আসি সাঁতরে পাবো না আর কূল,
সুখে থাকা, সুখ পুষা বুকে সবই ভুল ভুল।

মন আকাশের রঙ এখন বিবর্ণ,
স্বপ্নগুলো হতে যাচ্ছে চূর্ণ;
আমি ফেঁসে যাবো নতুন কর্মের বেড়াজালে,
আর উড়বে না ছন্দ হাওয়ার তালে তালে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও, চুনারুঘাট হবিগঞ্জ)

হারিয়ে খুঁজি

নজরুলের বঙ্গমাতা রবি’র সোনার বাংলা,
এসব এখন কথার কথা বলার জন্য বলা।
গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান,
পুকুর ভরা মাছের কথা ভারী করে কান।
নববর্ষে পান্তা মেলে ইলিশ মেলা ভার,
বিদেশীদের নজর এখন চোখে দেখাই সার।
নবান্নের পিঠা-পুলি ক্ষয়ে গেছে কালে,
এসব এখন আটক আছে পিৎজা স্যুপের জালে।
ষড়ঋতুর এদেশ আমার ঋতু এখন দেখি তিন,
গ্রীষ্ম বর্ষা শীত আছে বাকী সব প্রায় বিলীন।
সময় স্রোতে হারিয়ে গেছে সাধের সেই কলেরগান,
টিভি সিডি মোবাইলে শুনি এখন ওয়েস্টার্ন ।
গীটার ড্রামের ভীড়ে আজ একতারা বেশ বেকায়দায়,
দু’দিন পরে দেখতে হবে জাদুঘরের আস্তানায়।
আউল বাউল লালন ছেড়ে সবাই রকে মেলায় সুর,
চিনল না কেউ আসল সোনা কোন টা বেশি সুমধুর।
ডিস্কো ড্যান্সের তালে দেখি দোলায় সবাই নিজের দেহ,
দেশীয় নৃত্যে আছে জাদু বোঝে না আর এখন কেহ।
সচেতনতায় রুখতে পারে হৃদয় দিয়ে যদি বুঝি,
মনের টানে অনুভবে হারিয়ে তাই আবার খুঁজি।

সিরিজ কবিতাঃ প্রিয় সাহেব অংশ বিশেষ

3111

স্বপ্নগুলো ওই আকাশে আটকে থাকে বলেই
খুঁজিনা অন্য আকাশ
খুঁজিনা ফাইভ ষ্টার হোটেল, রেস্টুরেন্ট
মেনু কার্ডে থাকেনা দামি খাবার
বরং আপনাকে পাশে পেলে
ভালো লাগে সবুজ বন
দুরন্ত ছুটে চলা পথ
নদীর ধার আর খানিক বসে থাকা সময়ে
দুই কাঁপ রাজসিক মটকা চা।