বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

মনু

শৈশবে মনু নদীর সাথে কথা বলতাম
অবিশ্বাস্য মনে হলেও
মনু আমার কথা বুঝতে পারত।

একবার চকলেট চুইয়ে মুখ
ভিজে গেছে, ধুতে হবে
মনুর পাড়ে পৌঁছে দেখলাম জল
অনেক দূরে বললাম
‘আমি তোকে ছুঁতে এলাম;
তুই দূরে চলে গেলি’।

মনু বলল ‘দাঁড়া এক মিনিট’
মিনিট খানেকের মধ্যে জল চলে
এলো পায়ের কাছে। মুখ ধুয়ে
ধন্যবাদ না বলেই চলে যাচ্ছি
হঠাৎ কে যেন জল ছিটকে
পিঠ ভিজিয়ে দিল।

পিছন ফিরে দেখলাম
মনু খিলখিলিয়ে হাসছে
তার সেকি আনন্দ।

মনুর সাথে বন্ধুত্ব ছিল
আমরা একসাথে অনেক পথ হেঁটেছি।

জীবনের বাঁকে হঠাৎ মনুর
সাথে বিচ্ছেদ ঘটে গেল
দীর্ঘদিন কারো সাথে
কারো দেখা নেই। অনেক বছর পরে
আবার যখন দেখা বুঝলাম
বন্ধুত্বের সেই উষ্ণতা নেই।
দু’একবার ডাক দিলাম
সাড়া দেয়ার কোনো দায় দেখলাম না।

মনু অভিমান করে বসে আছে
আমারও গরজ নেই
হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে এসেছি
জীবনের অন্য পর্বে কে আর
শৈশবের বন্ধুকে মনে রাখে।

পরমা উত্তাপ

300

তীর ভাঙ্গা আর্তনাদ শুনে
কস্তুরী প্রাচীর ঢেউর অভিমুখে মেলে ধরে বুক
কর্তৃত্ব রুখে দেয়ার মত-সে এক বিপ্লবী চেতনা
জলের শৃঙ্খলে হানা দেয়া এক অসীম তৃপ্তি, সুখ…

অথচ; যতক্ষণ জল ততক্ষণ সমুদ্র
ততক্ষণই তার শিল্প-অস্তিত্ব!
কে না জানে- ভাঙনে পরিধি বাড়ে, কখনো দূরত্বও
ওপারে…পলি মন্থনের উৎসব
নির্জন ধ্যানে বালির প্রাসাদে ডিমে তা দেয় জননী কচ্ছপ!

সন্ধ্যার পাঁজরে জোনাকির কলরব
জড়তাহীন চুম্বন- প্রদীপ্ত পল্লব
তাড়া খাওয়া জল ফড়িঙেরা ব্যস্ত শিল্প রক্ষার চন্দ্রিমা পূজায়
গহ্বরে……অজস্র শঙ্খের সঙ্গম- ক্রিয়া কলাপ
বিচলিত চাঁদ- শৈলপ্রপাত; মেঘের আগলে পরমা উত্তাপ
যুগল কবিতার মত মহেন্দ্র সংলাপ, অনুপম সুধা
ক্ষুধা-পিয়াস ভুলে শিকারি মৎস্য
নির্জন প্রবালের খাঁচে-খোঁজে মৌ-মিত উৎস!

মান্দারফুল

শরীর থেকে বের হয়ে যায়
জন্মের পর বড় হওয়া
নরম ঘামের বৈভব
শিশুসুলভ বারোটাফুল
মধ্যবিত্ত স্বপ্ন, খাঁটি ঋণ-
ডানা ভাঙা রোদ এনে দেয়
নুনের মতো শিশির,

ঘড়িকাঁটার হুইসেলে বসন্ত;
তুলে রেখো মান্দারফুল
আরও মুছে যাওয়া সব
আলপনা আঁকি যা, এবং
কাম-কাঙ্খার দিন-রাত!

খড় জ্বর

d5a

দেহের আনাচে কানাচে
খড় জ্বরের প্রভাব পরেছে;
দৃষ্টির কাছাকাছি প্রেমের
সাগর জুড়ে স্বপ্ন বিল ভেসে
যাচ্ছে- সোনালি এলার্জির ব্যথা
শিশির সিক্ত ভোরের অঞ্জলি;
উত্তাপ থেকে উত্তল সারাবেলা
কৃষ্ণচূড়া রাঙা পথে উষ্ণতা
তবু থামাতে পারি না রাতের গুঞ্জ
স্বপ্ন ভেজা প্রণয়ের খড় জ্বর!

১৪ কার্তিক ১৪২৯, ৩০ অক্টোবর ’২২

গোধূলি -এক

313

আজও পৃথিবীতে গোধূলি এসে নামে,
পল্লবের ফাঁকে শিস দিয়ে পাখিরা দেশে গ্রামে
দুলিয়ে যায় বাতাসের শরীর,
সুখের মতো কচি ঘাসে শিশির ঝরে পড়ে শবরীর
মতো, তাতে ফুটে থাকে সূর্যের অফুরন্ত দেয়ালা।
কার্তিকেয় বাতাস এখন প্রথম প্রেমের মতো মেদুর, আর
সবুজ প্রান্তরের উপর গড়িয়ে গেছে অলৌকিক
এক বিভার পেয়ালা –
হিমেল গন্ধ মেখে সকালে রোদ্দুরের সঠিক পরিমাপে ধানে গর্ভসঞ্চারের আবেশে যে বিভা জন্মায় ঋতুকালে।

এবার মাঠে মাঠে অনাগত অন্নের প্রস্তুতি

গোধূলি -দুই
সমস্ত সুসংবেদ ভেঙে ঠগ প্রতারক বা হত্যাকারীরা রক্তের গন্ধ শুঁকে জেঁকে বসে কুকুরকুন্ডলীতে –
বাতাসের প্রবাহে পেতে রাখে কান।
সেসব বোঝে বুঝি একাকী ঘোড়াও; সে ম্রিয়মাণ,
ম্লান চোখে চেয়ে থাকে তীর্যকপতন গোধূলি রোদের বর্শার দিকে, গোধূলির সুরে মাথা নেড়ে
অন্ধকারে গোপন ডানায় যায় ভ্রমণে ;
যতদূর যেতে পারে মানুষ – ক্ষিয়মান,
দেখে নেয় দিনের আলোয় ঢেকে রাখা সব সত্যি

আমাদের একাকী সূর্যের সারথি

কবিতা

312

তোমার আমার স্মৃতিগুলো জল সিঁদুরে ঢাকা
চমকিতো ওই দৃশ্যগুলো আড়ালে তোলা থাক
দূরগামী সেই অতীত দিনের গল্পগুলো বাঁধা
মন মন্দিরের সব দেওয়ালে তোমার ছবি আঁকা।

কষ্ট না হয় আমার কাছেই ইচ্ছে মতন থাক
তোমার মাঝে নাই বা হলো থাকা
মুছে ফেলো খেলনা ভেবে পথের পরিচয়
গোল পৃথিবী ঘুরতে ফিরতে না হোক তবে দেখা।

রুচি কমে যায় ধীরে

3114

বয়সের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দেখি
রুচি কমছে সব স্বাদের একি!
দুধ চা ছাড়া চলতোই না একদা,
সেই দুধ চাতেই স্বাদের পড়লো বাঁধা।

ঝাল খেলে দুনিয়া অন্ধকারে যায় ছেয়ে
পেটের উপর এক টন বিষ যায় বেদনার গান গেয়ে
চায়ে চিনি চার চামচ খেতাম আগে
এখন চিনি এক চামচ, তৃপ্তি আসে না বাগে।

চায়ের কাপে তুলে রাখি লিকার বেশী
চিনি কম, বেশীতে অতৃপ্তি রাশি রাশি
স্বাদের বুকে পড়ে গেল তৃপ্তির ভাটা,
বাড়ছে বয়স, আর্তনাদ যে বক্ষ ফাঁটা।

অতিরিক্ত খাওয়ায় আর যায় না রাখা ঠোঁট
হয় না আর নানা রকম খাবারে মজা লোট;
বয়সের বাড়ার সাথে আসে সব শক্তি সামর্থ্য,
আসে বিত্ত বৈভব ধন দৌলত আর অর্থ।

বয়স কমে যাচ্ছে চলে যাচ্ছি ধীরে অন্ত সীমানায়
একদিন সব স্বাদ ছেড়ে পাড়ি দেব অজানায়;
চায়ের কাপে একদিন ঠোঁট হবে না আর রাখা
উষ্ণতা ছুঁতে গিয়ে পুড়ে যাবে, হবে না
জিভে আর স্বাদ আঁকা।

এখন আর দুধ চা পারি না খেতে
কড়া লিকারের রঙিন চা নেই হাতে
এখন চায়ে চিনি অল্প,
অল্পতেই হয় স্বাদের সাথে গল্প।

একদিন চায়ের কাপ আর নেব না হাতে
থাকবে কোন স্বাদই আমার সাথে
নিশক্তি হবে দেহ, নিস্তেজ মনের আলো
একদিন না খেতে পারলেই হয়তো লাগবে ভালো।

.
(স্যামসাঙ এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

মেঘের সাথে, মুহুর্তের সাথে

প্রতিদিন একজন মেঘভিক্ষুকের সাথে আমার
দেখা হয়। প্রতিরাতে আমাদের ডেরায় উঠে আসে
চাঁদগল্পের ছায়া। আমি চাষাবাদ জানি। তাই –
সাজিয়ে রাখি স্তরে স্তরে বিনীত কাশমৌসুম।
মেঘের সাথে মানুষের সম্পর্ক নতুন নয়। বরং
মুহুর্তের মহিমায় ডুবে থাকে যে জীবন;
সে’ ই লিখতে পারে অনন্ত উৎসের উপাখ্যান।
মেঘ তখন সেই জীবনকে দ্যুতি দিতে প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে থাকে।

সত্য-টাই চরম মিথ্যা

3103

এখানে কোন আড়াল রেখোনা
অথবা
ধর্মের দেয়াল!..
কেউ তো আড়াল চায়নি
দ্যাখো নক্ষত্রের ছায়া
শিউলির ঘ্রাণ
কিংবা দেখতে পারো বৃষ্টি
সকাল
সূর্যস্নান
শুদ্ধ ধরা
এরা কেউই
তথাকথিত বিভাজন সৃষ্টি করেনি
কেউইনা!..

আমরাই মুর্খ
রুক্ষ্ম দেমাক আর-
সীমাহীন সীমাবদ্ধতা নিয়ে
মুখে ফেনা তুলি ধর্ম বয়ানে!

অথচ
কেউ কখনো খুঁজে দেখেনি আত্মার আলো
বর্ণিত সত্য!
সত্যকে জানা অব্দি
সত্য-টাই চরম মিথ্যার মত কুঁকড়ে থাকে
আসলে কে কাকে ডাকে
কে কাকে দ্যাখে
সত্য অনুধাবনের পর
মানুষের কেবল-
বোবা হবার যোগ্যতা অবশিষ্ট থাকে!..

ঝুমসন্ধ্যার গান

পাখিদের সঙ্গে আঁতাত রেখে কখনো কী সৌন্দর্য
দেখেছ? একজন যুবক উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা
ঝুমসন্ধ্যায় ডুবে ডুবে মৃত নাবিকের মতো ভাসছে
কিংবা হ্যাঙারে জীর্ণ শার্টের জলতিতে ঘামের
পারফিউম তলে সুখ খুঁজতে খুঁজতে নথির টাকা
ওড়াচ্ছে এমন বাঁকানো আংটি রাত পাঁজরে টেনে
প্রায় গার্হস্থ্য বাগানে একা গাচ্ছে নাগরিক শ্রেষ্ঠ গান-

ডেকেছিলে, বাসন্তীবাদলে

তুমি আমার নাম জানতে না। জানতে না- কোথায় যেতে চাই
কিংবা বৃক্ষে হেলান দিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়তে পারি-জানতে না
সেই সম্ভাবনাও। তবু ডেকেছিলে। হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছিলে,
কয়েক টুকরো সুরমার ঢেউ। কিংবা লেখকদের যেমন স্বপ্ন থাকে-
ঠিক তেমনি, তুমি হতে চেয়েছিলে স্বপ্নময়। কোনো এক বাসন্তীবাদলে।

আমি ফালগুণের অপেক্ষা কখনও করিনি। বরং যে চৈত্র আমার
বুক চৌচির করে গিয়েছিল-তাকেই বলেছি বসন্তের যৌবন। একক
যাত্রাপালায় কথন শুনে শুনে, আমিও হতে চেয়েছি রাজা-উজির।
ফাঁকা মাঠে নিজের ছায়া মাড়াতে মাড়াতে,
এক বিনয়ী দুপুরের কাছে হয়েছি সমর্পিত-থির।

ঘুমের আকাশে স্বপ্ন ওড়ে

3122

দুপুরের ভাতঘুমে যাই আর আকাশ দেখি না,
আকাশ দেখে মনের খাতায় আর কাব্যে লিখি না,
তুমি তাকিয়ে থেকো না মুখপানে,
আমি ঘুম যাই এবার স্বপ্ন টানে।

স্বপ্নঘোরে দেখে নেব আকাশ
পারি না আর জাগতে, এক নদী দীর্ঘশ্বাস,
আমায় জাগিয়ে রাখতে চাও?
বন্ধু তবে এক কাপ চা বানাও।

চলো দুপুরের আকাশ দেখি দুজন মিলে,
হাত রাখি দখিন দাওয়ার গ্রিলে,
বেহুদা ঘুম এসে অবেলা জ্বালাচ্ছে খুব,
আর ছাড়তে পারছি না আকাশ দেখারও লোভ।

মধ্য দুপুরের আকাশ আহা কী যে সুন্দর,
হাজার মেঘের দল দেখলেই সুখী হৃদ বন্দর ;
কিছু খেতে দাও, কুড়মুড়ে চিপস অথবা মুড়ি,
এবেলা বন্ধু হতে চাই দুপুরের ঘুড়ি।

ঘুমের চোটে দেখি না আর কিছু
স্বপ্ন বুঝি এই নিলোরে পিছু;
কপালে পড়ে যায় ভাজ, চোখ খোলা রাখতে গেলে,
বন্ধু মাথাটা যেন এলেবেলে।

তবু্ও আকাশ দেখবো, তুমি সাহায্য করো যদি,
কলকল সুখ যাবে বয়ে, উচ্ছল বুকের নদী,
মেঘের মত মন আমার, জানো তো আবেগে ভরপুর,
আসো উপভোগ করি ভাদ্র মাসের একটি দুপুর।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

বৃহন্নলা’র ইতি কথা

310

চাঁদ দেখেছো সদা
অবয়ব দুর্গামি চোখে
জোছনা দেখেছো, তুমি শিশিরের রংতুলি হাতে
ছুঁয়ে দেখা স্বাদ ছিলো তাঁর কবেই হয়েছে কাতর।
অকাতরে জানালার ফাঁকে
হয়ে চলে স্পর্শকাতর।

এভাবেই বন্দি শরীর
চোখের টানে ছুটে যায় লাখো মাইল চোখ
স্তব্ধ হওয়া বুক করে ধুক ধুক
প্রতিফলন ঘটিয়েছে ছুটে
মেঘের আজ পরাজিত হয়
পৃথিবীর শূন্যতায় নেমে পড়ে আলোর বিকিরণ
আশপাশে সমীরন তোলে
উর্বশী রূপ মেখে দেখা হয় তারার চলন

এ যেন আয়নায় দেখা অপরূপ সাজ
সখ্যতার ছায়া নিজেরে করেছে মোহর
অন্ধকার পৃথিবীর বুক ধূসর বর্তিকা ছেয়ে
ছুটে চলে জন্মান্তরের পথ।
জীবনের কাঠগড়ায় নেই কোন চোড়াই অলিগলি
যা কিছু ছুঁয়েছে এ রাত
চেয়েছে নতুন আলোর দানে।

আলোহীন এক পশলা ভূমি মরু উদ্যান সমেত
বৃহন্নলা’র ইতি কথা শুনেছ কি তবে
শুনে যেও সময় করে তুমি।

ভুল-শৃঙ্গার

একটা খুব শান্তিনিকেতনী গিফ্ট্ নিয়ে
এদান্তি বড়োই বেতালায় বেজেই চলেছি, – ক’দিন।
তালেবর স্মৃতিচারী বড়ো জব্দে নাজেহাল মন ও মনন।
ভুল তাই হয়ে যেতে পারে বেমালুম যখন ও
তখন।

এখন কোথায় যে পোক্ত বেড়া টেনে তুলে দিয়ে
সজীব জমিন্ কে ইচ্ছালীন – স্ববশে রেখে দিতে হয়,
জায়গা বিশেষে তার চুলচেরা হিসেবের ভাগ
বুঝে নিতে বেমালুম ভুল হয়ে যেতে পারে।

ভুল তো হতেই পারে, – ভুল হয়ে যায়,
সততই স্বতঃস্ফুর্ততায়।

আর ভুলেরও তো হিস্ট্রী – জোগ্রাফী থাকাই সম্ভবঃ
ধুল্ চেহ্ রে পে থা, পর আইনা সাফ্ করতা গয়া …

এতো চাপ্ – এতোখানি মনের উওাপ –
সহজেই ভুল করে দিতে পারে হিসেবের ভাগ।
কোথায় যে নীলপদ্ম চোখ চেয়ে ডাহুকের বিলে,
কোন্ চরে চিৎপাতে পড়ে আছে আবাগী – সংসার,
কোথায়ই বা দেবীদহে শ্মশান- উল্লাস ঘিরে তাণ্ডবের নাচ –
স-ব টুকু আগে থেকে জানা- চেনা থাকলেও
ভুল কিন্তু বেমালুম হয়ে যেতে পারে।

ভুলভাল হতে পারে বহু যতনের গাঁথা কবরীবিন্যাস,
ভুলভাল কেশগুছি, ভুল গ্রন্থি প্রয়োগ বিশেষে –
পুরুষী হাতের আনাড়ীপনায় ভুল তো হবেই হবে –
জায়গা বিশেষে ভুল করে যেতে থাকবে প্রেমিকের হাত।

তখন, ভুল সুরে উদ্ভাসিত পুরুষের সজীবন্ত
নাচার উচ্চারঃ
‘এসো সই, শালুক ফুলের বেড়ে বেঁধে দিই
বিনুনী তোমার’…