ক’দিন ধরেই ভাবছি একবার যাব আপনার বাড়ী
আপনি বাড়ি আছেন?
সেদিন দোকানী বলছিল, আজকাল চায়ের আড্ডায় আর আসেন না
সময় কোথায় এসব খোঁজ করবার, বলুন?
ঠিকা ঝি, চেনা ফেরিওয়ালা আর দোকানীরাই বরং এসব জানে ভাল
এক গাল পান মুখে নিয়ে হুটহাট ঢুকে যায় যে কারো ঘরে।
আমরা আজকাল ব্যাস্ত ভীষন
প্রেমে আমিষ খুঁজে মরছি কি-না হরদম
সময় কই খবর নেবার!
সেদিন, সত্যি! একটা কাণ্ড হল বটে
যুবতী ঝি-র শরীরে প্রবিষ্ট স্বামীকে দেখেও ও বাড়ীর শিখাদিদি
কেঁদে কেঁদে জানতে চেয়েছিল, তুমি ওর ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলে, বলো?
এই খবরটা আপনাকে দেয়া দরকার
আপনারও জানবার অধিকার আছে
সমাজের অলিগলির কিছু চোরাপথ কত ভঙ্গুর।
আমরা কিনতু বেশ আছি
ইন্টারনেটে প্রেম, স্বপ্ন
এই সব স্বপ্ন এক সময় মাংসের বাজারে মেশে
দোকানীর সাথে হাত মিলিয়ে দরদাম করে একদিন কিনে নেব খানিকটা
আপনার পেনশনের টাকাটা হাতে পেলেই জানাবেন
তখন ঠিকই এক কাপ চা খেতে যাব
যতই অথর্ব হোন না কেন, একদম ভেঙ্গে পড়বেন না
খোঁজ তো নিচ্ছিই
সর্বদা এভাবেই আমাদেরকে পাশে পাবেন।
20 thoughts on “শুভানুধ্যায়ী”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
ভালো শুভানুধ্যায়ী। এমটাই হয় আর এমনটাই হয়ে এসেছে।
ধন্যবাদ বন্ধু আজাদ ভাই।
চমত্কার উপস্থাপনা। আমারতো ভীষণ ভাল লেগেছে।
খুশি হলাম ফকির আবদুল মালেক ভাই।
শুভেচ্ছা নিন কবি। ভালো লাগা রাখছি।
আপনাদের ভালো লাগা পেলে উৎসাহ পাই রিয়া দিদি।
এত সুন্দর করে কিভাবে লিখেন!
শুভকামনা থাকল।
ভীষণ খুশি হলাম আপা।
আপনার কবিতায় বাস্তবতা খুঁজে পাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। আমরা এখন খুবই ব্যস্ত থাকি। কেউ প্রেমে, কেউ ইন্টারনেটে, কেউ চোরাকারবারিতে, কেউ গুজবে। সত্যি আমরা খুবই ব্যস্ত থাকি।
সুন্দর মন্তব্যে খুশি হলাম দাদা।
কবিতায় অসাধারণ প্রবাহ।
ধন্যবাদ কবি ভাই।
সুন্দর প্রকাশ।
আপনাকে ধন্যবাদ আপা।
'সেদিন দোকানী বলছিল, আজকাল চায়ের আড্ডায় আর আসেন না
সময় কোথায় এসব খোঁজ করবার, বলুন?'
অদ্ভুত এক বাস্তবতার গল্প কবিবোন শাকিলা তুবা।
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী দা।
দারুণ
ধন্যবাদ কবি।
মুহাহাহা আপা,
আবার চলে এলুম
শিখা দি জানে পুরুষ মানুষ খাপ ছাড়া তলোয়ারের মত, লোডেড পিস্তল। যেকোনো সময় গুলি বেড়িয়ে যেতে পারে। আর যুবতী হলে তো কথাই নেই, হোক সে কাজের ঝি। তাই তাঁর তেমন কষ্ট ছিলনা। তবে কাজের ঝি কেও কি একই রকম ভালোবাসা দিয়ে ফেলেছে তার বর? সেটা নিয়েই ছিল তাঁর চিন্তা। তাই জিজ্ঞেস করেছিল, "তুমি ওর ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলে, বলো?"
তারপরেও শিখা দির মায়া কিন্তু কমেনি জামাই বাবুর প্রতি। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, সারারাত জেগে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে ছিল ঘুমন্ত জামাই বাবুর মুখের দিকে। ভাবছিল, সামান্য কারনে বেচারাকে কি লজ্জায় পড়তে হলো, কেন যে হঠাৎ চেঁচামেচি শুরু করে পাড়া সুদ্দু মানুষ জড় করেছিলেন। এখন নিজেই অনুশোচনায় দগ্ধ। আসলে শিখা দিদের নিখাত মায়ার জোরেই টিকে আছে বাংলার এতোগুলো ঘর।
পুরুষ মানুষ কে কেন ভগবান এমন করে বানালো? অপরাধী আসলে জামাই বাবু না ঈশ্বর? এই প্রশ্ন সয়ং আমার শিখা দিরও। তাঁকে আমার পক্ষ থেকে লাল সালাম/স্যালুট জানাবেন দেখা হলে।
নারীর মনস্তত্ত্বর গভীর ছবি তুলেছেন আপনি লাইন দুটোয়। লাল সালাম সন্ন্যাসিনী
আপা, ইদানীং কি আপনি প্রায়ই অসুস্থ থাকেন? খুব বেশি?
খুব বেশি অসুস্থ্য আমি।