বিভাগের আর্কাইভঃ ছড়া ও পদ্য

তিন শূন্য সমীপে

Tin_Shunner_Prithibi-Dr_Muhammad_Yunus-0254a-454383

তিন শূন্য সমীপে…
ফকির আবদুল মালেক

আকাশে উড়বে টাকা
সিঙ্গাপুর সিটি! ঢাকা-
কবি তুমি লিখ কবি’তা
রঙীন কল্পনা বাহ্বা!

তোমার মানুষ ভুখা
দিনে খাবার হয়না
শব্দের উপর শব্দ
কবি তুমি নিস্তব্ধ!

ওই শুনি মুক্ত ক্ষুধা
বেকার মুক্তির ধাঁধা
কার কাছে তুমি চাও
ঢাকা সিউল বানাও!

পৃত্থি নিয়া উনি আছে
বক্তৃতা দিতাছে মিছে
নিজ দেশের মানুষ
ভুখা আছে নেই হুশ!

কবি ধনী বাসনা ছাড়
যারা আছে নিচে, ধর-
খাই যদি এক মুঠো
খাব একসাথে , ওঠ।

image-52538-1738221104

সত্যি মরে পথ্যি ছাড়া

সকল কিছুই নকল এবং
মিথ্যে দেখে দেখে-
চিত্ত জুড়ে নিত্য সবাই
সন্দেহ নেয় মেখে।

সত্যি কি এক রত্তিও নেই
আসল কি নেই কিছু?
উঠছি ভোরে ছুটছি জোরে
মিছের পিছুপিছু!

সন্দেহে মন-দেহের ভিতর
ভাবনা ইতর জাগে-
অবিশ্বাসের বিষ শ্বাস এখন
অবিরতই লাগে।

আসলটাকেও নকল লাগে
ধকল স’য়ে স’য়ে-
সত্যিগুলোও ধুলোয় পড়ে
যাচ্ছে মিছে হয়ে।

সত্যি মরে পথ্যি ছাড়া
আসল মরে ধুঁকে-
মিথ্যে বেড়ায় নৃত্য করে
চিত্তভরা সুখে।

ছন্ন ছড়া

সবার যখন মত্ত ছুটি
আমি তখন ঘাস্কাটায়,
সবার যখন ব্যস্ত কাজ
আমি তখন রাস্তা পা য়।

কারো পকেট ভর্তি হলেও
চোখ থেকে যায় টাঁকশালে,
দু টাকাতেই আমীর আমি
জলসা বসে জঙ্গলে।

একটুখানি নাম ছড়ালেই
প্রাসাদ গড়ে অহংকারী,
চালচুলোহীন বেবাক হাসি
এপার ওপার আমার বাড়ি।

এমনই থাক মেট্রোমানুষ
কিম্বা গঞ্জ ব্যবসাদার,
মাঠ ও গ্রামীণ আদিবাসী
সোজাসাপটা পগাড়পার।

কাব্য কিম্বা গান্ধীছাপে
ঝুঁকছে মানুষ দিন ও রাত,
এই আছি বেশ তোয়াক্কাহীন
মানুষ ছুঁয়ে হাতে হাত।

ঈদের খুশি

ddf

ঈদের খুশি ঈদের খুশি
ঈদ গেলো কই?
এই যে দেখো খোকাখুকি
করছে রে হৈ হৈ!

সবার মুখে হাসি-খুশি
খুশি নদীর ঢেউ
গাছের ডালে পাখপাখালি
বাদ যাবে না কেউ!

খুরমা পোলাও খাবে সবাই
তর কি আর সয়
আরশি মনির বিড়াল ছানা
সেও পিছুপিছু রয়।

ঈদের খুশি ঈদের খুশি
ঈদ গেলো কই
নতুন চাঁদও সেই খুশিতে
হাতে নিলো বই!

ঈদের ছড়া : নিমরা বিলাই

ei

সাদা বিলাই কালা বিলাই
বিলাই দেখি রোজই
ঘাপটি মারা বিলাই ভয়ে
দু’চোখ আসে বুজি।
বিপদ দেখলে কেটেপরে
আর কাছে রয় না
এসব বিলাই খুঁজতে তেমন
বেগ পেতে হয় না।

মিনমিনে নিমরা বিলাই
সুযোগ খোঁজে পাছে
সময় মতো লুকমা দিতে
বিলাই পাবে কাছে।
ঘাপটি মেরে থাকা বিলাই
খুঁজতে থাকে সুযোগ
বলছি এসব সত্য কথা
মোটেই তা নয় হুজুগ!

হাসু মুখের ছ্যাছরা বিলাই
দেখতে ভীষণ শোভা
এঁরা চাইলে এক নিমিষে
করবে তোমায় উবা।
রাগ-গোস্বা নাই এমন বিলাই
খুবযে খতরনাগ
এই প্রকারের বিলাইর কাছে
হারমানে কালনাগ।

শতশত নিমরা বিলাই
ঘরের আশেপাশে
সুযোগ একটা দিয়েই দেখো
কেমন করে নাশে।
চারিদিকে নিমরা বিলাই
কী করে কও বাঁচি
ছ্যাছরা নিমাই ত্যাদড় বিলাই
ওসব নিয়েই আছি।

মহা শিবরাত্রি

ত্রিলোকের কর্তা তুমি
ভোলা মহেশ্বর,
তুমি আছো পৃথ্বী মাঝে
হয়ে যে ঈশ্বর।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব নিয়ে
ত্রিদেবতা জানি,
তুমি তো সবার গুরু
ইহলোকে মানি।

মরা গাছে ফুল ফোঁটে
তোমার নজরে,
জন্ম-মৃত্যু তব কর্ম
শংকর ভজরে।

শিব পুরানের মতে-
এই শিব রাত্রি,
প্রলয়ের নৃত্য আর
বিয়ে হর-গৌরী।

টুক্কি ফুক্কি ছুঃ

3yy

ঘোরাল পথে
বোড়াল গেলাম
বেড়াল কেমন
জানতে।
মেট্রো দিল
পেট্রো ডলার
নীল বিল্লি
আনতে।

জম্মো কেমন
ধম্মো কেমন
গন্ধ কেমন
বোটকা?
শপিং মলে
কিম্বা স্টলে?
অর্ডার পেয়েই
খটকা।

বিল্লি পেতে
দিল্লি যেতে
তিন্দিন তিন্রাত
পার।
পালাম থেকে
কালাম হেঁকে
জাহাজ ওড়ে
মক্কার।

তন্নতন্ন
অবসন্ন
সৌদি আমির
তুর্কি।
ইরান ইরাক
ব্যারাক শিরাক
হেগ বার্লিন
চর্কি।

কোথায় বিল্লি
চিল্লাচিল্লি
ছায়াও যে নেই
অল্প।
অবাক ধোঁকা
বেবাক বোকা
বিল্লি নীলার
গল্প।

হ্যারি পটার
সরিয়ে গিটার
বেড়াল আবার
হয় নীল!
থ্রিডি ভিশন
অ্যানিমেশন
স্রাগ কল্লো গেটস
বিল।

অ্যাঞ্জোলিনা
ক্যাটরিনা
এককাট্টা সব
স্টার।
নীল নয়না
দিল চুরানা
আমরা বিল্লি
পরদ্বার।

জলও শেষ
স্থলও শেষ
আকাশ হলো
অন্ত।
ঘাড় লটপট
ব্রেন খটখট
ছিরকুটে যায়
দন্ত।

সফর শেষ
ফিরছি দেশ
চমকে দেখি
গাড়িতে –
বিল্লি ব্যাকে
মুচকি দ্যাখে
জড়ানো নীল
শাড়িতে।

অদ্ভুত কবি

আমি কবি, আমি সেই কবি
যে কবিতার ছন্দ,তাল,লয় অলঙ্কার কিছুই জানি না।
তবুও কবিতা লেখার দুঃসাহস দেখাই
মনের মাধুর্য মিশিয়ে লিখি
মনের গোছালো অভিলাষ অবিরত।
জানি না, সেগুলো কি কবিতা ?
মনে হয় কবিতা নয়, অন্য কিছু।
তবুও লিখি,ছন্দ বিহীন পঙক্তি।
আমি কবি, আমি সেই কবি
আমি সেই অদ্ভুত কবি।
আমি দুঃখকে হিংস্র ভাবি
যার ক্ষোভানলে জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
আর সুখকে ভাবি পরশ পাথর,
যার পরশ পেয়ে জীবন উচ্ছ্বসিত হয়,
নতুন কিছু আবিস্কার করে।
যা বিহীন মানব জীবন অর্থহীন।
আমি কবি, আমি সেই কবি
যে সত্যের খোঁজ সদা বিহ্বল
মিথ্যার রোষানলে গোলকধাঁধাই
যার আঁখি সদা করে ছলছল।

রচনাকালঃ
০৪/১১/২০২২

স্মৃতির দুয়ার

rece

স্মৃতির দুয়ার খুলে দেখি
অনেক প্রাপ্তি তায়,
এই জীবনের শ্রেষ্ঠ আমি
গত বছর টায়।

শিক্ষক হয়ে গর্ব করি
জেলার শ্রেষ্ঠ হয়ে,
কাজের নেশা বাড়িয়ে দেয়
এমন মধুর জয়ে ।

ডিসি স্যার সাহিত্য পদক
দিলেন তুলে হাতে,
ক্ষুদ্র জীবন ভরলো সুখে
সম্মাননা সাথে।

কবি হয়ে পেলাম হাতে
রয়ালিটির টাকা,
এভাবেই চলুক জীবন
সুখে দুখে থাকা।

বিজয় আমার

Good Morning Sunshine!

বিজয় আমার প্রভাত রবি
সকাল বেলার হাসি,
বিজয় হলো মাঠে ঘাটের
ঘামে ভেজা চাষী।

বিজয় আমার শিশুর বলা
মা মা মধুর ডাক,
বিজয় হলো ফেড়িওয়ালার
মিষ্টি গলায় হাঁক।

বিজয় আমার হাজার স্বপ্ন
তিরিশ লক্ষে কেনা,
বিজয় হলো মাতৃভূমির
সবাই মুক্তি সেনা।

বিজয় আমার গরিব বাবার
ছেলের সফলতা,
বিজয় হলো সব জাতিতে
অবাধ স্বাধীনতা।

নেইমার গেইমার বিজন বেপারী

খোকার প্রিয় হলুদ জার্সি
তারকা নেইমার,
খোকা বলে বিশ্বে নাকি
সে বড় গেইমার।

সাম্বা নাচের দৃশ্য দেখে
সেও নাচতে রাজি,
ব্রাজিল নাকি জিতবে এবার
বিশ্বকাপের বাজি।

বিল্লোসোনা

টুকটুকে লাল বউ সেজেছে
ছোট্ট বিল্লো সোনা,
রুপ দেখে তার বলছে সবে
লাল পরীদের পোনা।

মাথায় টিকলি হাতে চুড়ি
গায়ে রেশমী শাড়ি,
তার হাসিতে মুক্তা ঝরে
মাতায় সাড়া বাড়ি।

কাজল কালো চোখ দুটিতে
কতো স্বপ্ন আঁকে,
বেরু বেরু যাবে যখন
বায়না ধরে মা’কে।

তার কথাতে ময়না পাখি
ভীষণ লজ্জা পায়,
ঘরের মানুষ পথের মানুষ
সবাই তাকে চায়।

পাঁচটা আঙুল

একটা হাতের
পাঁচটা আঙুল
মনে এবং
দেহে –
ভিন্ন তবু
একসাথে রয়
জড়িয়ে গভীর
স্নেহে ৷

একসাথে কাজ
করে তারা
দিবস এবং
রাতে –
বিপদ এলে
লড়াই করে
মুষ্ঠিবদ্ধ
হাতে ৷

সুখ উল্লাস

আর কতকাল দুখ সাগরে
ভাসবো আমি প্রভু,
দিবানিশি সুখ সাগরের
সন্ধান করি তবু।

পাই না এই ধরার বুকে
একটু সুখের ছোঁয়া,
সুখবিহীন যে বৃথা জীবন
সবই কালো ধোঁয়া।

অবাক চোখে যেদিক তাকাই
শূন্য দেখি সবই,
সুখের খোঁজে ক্লান্ত হয়ে
আঁকি নানা ছবি।

সুখ উল্লাসে জীবনটাকে
মেতে রাখতে হবে,
নইলে মানব জীবনটা যে
দুখ অনলে রবে।

রচনাকালঃ
০৩/০৯/২০২২