একমুখী যাত্রা

আমি এ কথা বলতে চাই যে, একত্রিত হও
আমি বলতে চাই, কদাপি বিচ্ছিন্ন হয়ো না
দ্যাখো চাইলেই হতে পারে মেঘকালো ঝড়
দ্যাখো না চাইলেও নিভে যেতে পারে মোম
আসলে কালঘুমের পর কেউ আর মহাপুরুষ থাকে না।

আমার বলার অর্থ এই নয় যে, শুধুই চমকে দেয়া
আমার বলার অর্থ এই, বিগ্রহ না আসুক কখনো
দিনশেষে সবার প্রাণে জ্বলে ক্লান্তির জোনাক
দিনশেষে রণতরী আর বাজাবে না সৌহার্দ্যের ভেঁপু
আসলে জীবন লুণ্ঠিত হলে পর কোষাগারগুলো আর পূর্ণ হবে না।

আমাকে বলো না যে, এখনই থামতে হবে
আমাকে বলো না, এ ছাড়া আর কোন রাজত্ব ছিল না
অবশেষে দৃষ্টিসীমায় আকাশটা হয়ে আসে শুধুই গোল
অবশেষে সময় গতি না পাল্টালেও জীবন হয়ে আসে শ্লথ
আসলে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হলে পর আবহাওয়া আর মনোরম থাকে না।

আমাদের সব কথা এইখানে শেষ হোক—
আমাদের তো যেতে হবে রাত্রিসমান পথ পেরিয়ে অনেকটা দূর।

5 thoughts on “একমুখী যাত্রা

  1. একটি কবিতায় জীবনের কথা এমন সুন্দর করে তুলে নিয়ে আসা বোধকরি আপনার মাধ্যমেই সম্ভব। সম্মান রইলো প্রিয় কবিবন্ধু তুবা। শব্দনীড় আপনার লিখা নিয়ে গর্ব করে। :)

    1. দুই চোখে পানি নিয়ে আপনার মন্তব্যটি পড়লাম। এর বেশী আর কিছু বলা সম্ভব না।

  2. দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছ।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif
    কি বলব আর এ কবিতা নিয়ে।

    শুধু এটুকু বলব, এতটা ভাল লাগা নিয়ে শব্দনীড়ের কোন পোষ্ট থেকে বের হইনি।

    আপনার কল্যাণ হোক।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  3. “আসলে কালঘুমের পর কেউ আর মহাপুরুষ থাকে না” – ভীষণ ভালো লাগলো !

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।