সন্ধ্যার ইন্দ্রজাল সুবর্ণ জলের মেয়ে ভেসে যাবে মেঘের ভেলায়, সেই সন্ধ্যাটা সবে আসি আসি করছে। তেজ কমে হালকা হতে হতে অলিভ ওয়েল রঙের রোদ নেমে যাচ্ছে, ডুবে যাচ্ছে দীঘির আরো তলে। কোথাও শিষ দিল পাখি, বেহায়া পাখি! গায়ে এসে লাগল ধারালো কোনো ছোঁয়া, ব্লেডের সুক্ষ্ণ একপোঁচ। আরে এ যে বাতাস, মন হু হু করা বাতাস। এই মেয়ে আজ জল ছোঁবে। এই মেয়ে জলের আলিঙ্গনে নিজেকে ডুবিয়ে জলবিম্ব ভালবাসবে।
কাছে-পিঠে কেউ নেই। রোদ নেই, আলো নেই শুধু সন্ধ্যা। অথচ ওর চোখে চোখ রেখে বসে আছে যে পুরুষ তার আপাদমস্তক প্রেমজ চাদরে ঢাকা। মিনে করা চিনেমাটির গ্লাসে ওয়েটার রেখে গেল জল, যে জলে প্রতিবিম্ব বাঁধাপ্রাপ্ত হয় পুরো আকৃতি পেতে। রেস্টুরেন্টের আলো-আঁধারী জানিয়ে গেল এটা কোনো দীঘি নয়, এই বাতাস কৃত্রিম।
মেয়েটি শিউরে উঠে প্রেমিকের চোখে চোখ রেখেই আয়না খুঁজে নিল, চোখের মাশকারা আরো ঘণ করে আঁকল। নির্জন এক দীঘি বুকে নিয়ে মেয়েটির গালে টোল পড়ল। সেই টোল; যে টোলে শরাব ঢেলে খেয়েছিলেন কেউ। একজন শবনম হারিয়ে গেছে বলেই কি সেও হারাবে?
দীঘিতে ঢেউ উঠল ধীর লয়ে। নির্জনতায় একা মেয়ে। পাখির কাকলী মুখর সন্ধ্যা। আহা মেয়ে! আহা সন্ধ্যা!! আহা শুনশান দীঘি!!!
এমন গদ্য কবিতা একবার নয়; বারবার পড়লে বিচিত্র সব ভাবনা গুলোন একত্রে বসে মনটাকে ছেঁকে ধরে প্রিয় কবিবন্ধু তুবা। নিজে লিখতে না পারলেও পাঠক হিসেবে এমন মন্দ নই কিন্তু !! জীবন প্রতিবিম্ব জীবনের মতো যেন আলাদা আলাদা সব আলাদা।
অনেক অনেক সম্মান এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আজাদ ভাই।
বিচিত্র সব ভাবনা গুলো, কতই না গুছানো চমৎকার ভাবে বলা হলো! পাঠক পড়ে দেখলো, লেখিকা কী চমৎকারভাবেই না লিখনিতে তুলে আনলো!
লিখার যে ভঙ্গিমা-চাতুর্য তা দৃঢ় এবং প্রবল। লিখার ব্যাপ্তিও বৃহৎ। দোয়া সতত থাকলো, থাকবে এবং আছে।
ভালো থাকুন ভাই।
আপনার লেখনী পড়ে সত্যি মুগ্ধ হলাম শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা দাদা।
অসাধারণ কবিতা কবি শাকিলা তুবা।
ধন্যবাদ কবি সুমন ভাই।
কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম আপু।
শুভেচ্ছা সাজিয়া আপা।
ভালোবাসা কবি বোন শাকিলা তুবা।
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র দা।
জীবন যেখানে যেমন।
ঠিক তাই।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় দিদি ভাই।
আপনাকেও শুভেচ্ছা কবি রিয়া দিদি।
অনবদ্য কবিতা !! খুব ভালো লাগার স্বাক্ষর রইলো ।
শুছেচ্ছা প্রিয় কবি!!
ধন্যবাদ কবি দাউদ ভাই।
অনবদ্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।