গ্রীক ইতিহাস থেকে উদ্বুদ্ধ, একটি গ্রীক মিথলজীর উপর লিখা কবিতা যা মানব সভ্যতায় সত্যের সারমর্ম বহন করছে।
হে সমুদ্রের অধিপতি পোসাইডন
তুমি কি ক্ষুধার্ত মানুষের খবর রাখো
যারা তোমার সমুদ্রের বুকে সুখ খুঁজতে এসেছিল।
তাঁদের চোখের জলে সমুদ্রের নোনতা জল মিশেছে তুমি কি বলতে পারবে কোন্ কষ্টের নিগম অশ্রু সেটি ?
আলাদা করে বলতে পারবে কি
কোনটি চোখের আর সমুদ্রের জল?
আচ্ছা তুমিকি জানো মানুষের হৃদয়ে একটা সমুদ্র আছে যা তোমার সাগরের চেয়েও বিস্তৃত, অসীম?
হে ভালোবাসার দেবতা এরোস
তুমিকি সত্যিই দেখেছ ভালোবাসা কোথায় অবস্থিত?
এইযে জগৎ, মানুষের মেলবন্ধন
ভেঙ্গে যাওয়া, আঘাত দেয়া, ভালোবাসাতো এতোটা আলোকসম্পাত গড়েনা!
তুমিকি ঠেকাতে পারোনা মানুষের এই ছিন্নভিন্ন ইচ্ছা অনিচ্ছা?
আসলে তুমি কিছুই না।
যদি তোমার সিদ্ধান্তে স্বর্গের প্রেম ধরায় নামে তাহলে সেটা স্বর্গের মতোই অসীমতটীয়! নাহ্ সেটা নয়।
হে জিউস! হে ডিওয়ান
তোমাদের কি ক্ষমতা আছে জগৎ কে সুরক্ষিত রাখার?
রাষ্ট্র সমাজ পরিবারকে সুরক্ষা দেয়া?
যেখানে তোমরা তোমাদের সন্তানকে সামলাতে পারোনি সেখানে তোমাদের আধিপত্য বেমানান।
যেখানে সত্যের সাথে মিথ্যার শক্তি প্রয়োগ
যেখানে সত্যকে ত্যাজ্য করে
মিথ্যার সারথি হও সেখানে
তোমার উচ্চতা বেমালুম হাস্যকর।
হে আফ্রোদিতি
হে সুন্দরের দেবী যেখানে তোমার
ছুটে চলা সেটা একটা জাল মানব চিত্তের লোভ নির্মিত মায়াকানন।
একদিন তুমি অভিশপ্ত হবে
যে অভিশপ্ত ফলাফল তোমার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য
একটি অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে
আর সেটাই হবে হেফাস্টাস।
কিন্তু হেফাইস্তোস কি তোমাকে ছাড় দেবে? সেতো শুধু পোড়ায়
তাঁর নিকটবর্তী যে হয়!
একদিন ঠিক তোমাদের অভিশপ্ত
পথ রুদ্ধ করবে, পুড়িয়ে ভষ্ম করবে
তাঁর দণ্ডিত অনলে।
যেখানে তোমার সুখ্যাতি
তিলতিল করে তার সবসবকিছু শেষ করে দেবে।
যেখানে স্বর্গের কোনো অসীম সম্পদ অসীম সুখ পরিনত হবে লেলিহান অগ্নিশিখা।
হেরার সিংহাসন ন্যায় এবং সততার
যাঁকে তুমি সিংহাসন চুত্য করেছ।
এরিসের মতোই তুমিও একদিন
স্বর্গ-মত্যের উপহাস হবে।
আর তোমাকে নিয়ে যাবে অন্ধকার, কষ্ট, বেদনা আর অনুসূচনার দেবতা।
তোমার প্রাপ্তি থেকে তুমিকি রেহাই পাবে?
ওরা তোমাকে ঠিক ঠিক মনে
করিয়ে দেবে , বারবার মনে করিয়ে দেবে
যে যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবন পাবে
সেটা তোমাকে মরতে দেবেনা
বেঁচে থাকার অসীম স্পৃহা
তোমার মধ্যে না থাকলেও তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। ক্ষমতাশালী তুমি ক্ষমতাধর তুমি প্রস্তুত থেকে সেই সময়ের।
যা কোনো দিন পৃথিবীর বুকে দেখাবেনা আলোর সন্ধান।
_______________________
এপ্রিল, ০৪,২০১৯ ।। রাতঃ ২:৩৫ মি.
গ্রীক চরিত্র গুলোর যতটুকু যা জানা, সেবা প্রকাশনীর প্রকাশিত বিভিন্ন বই থেকে যতটুকু পেয়েছি ঠিক ঐ পর্যন্ত। সেই ইতিহাস থেকে উদ্বুদ্ধ গ্রীক মিথলজীর উপর তোমার লিখা চরিত্রগুলোকে কল্পনা করে কবিতাটি পড়লাম প্রিয় শামিম।
পড়তে ভালোই লাগলো, শব্দনীড় পাঠকদের সাথে তোমার সম্পর্ক লিখা প্রকাশ পর্যন্তই।
শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম শামীম বখতিয়ার ভাই। কেমন আছেন আপনি ?
গ্রীক মিথলজী ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়া যায়। পড়লাম।
হে আফ্রোদিতি
হে সুন্দরের দেবী যেখানে তোমার
ছুটে চলা সেটা একটা জাল মানব চিত্তের লোভ নির্মিত মায়াকানন।
সুন্দর প্রকাশ।
গ্রীক ইতিহাস আর গ্রীক মিথলজী আমার কাছে অসাধারণ লাগে। চরিত্র গুলোন যেন অনেক পরিচিত মনে হলো আপনার লেখা পড়ে। শুভেচ্ছা নিন প্রিয় কবি দা।