আমার একজন বন্ধু আছে,
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে উপরে কেউ আছে।
যদিও নয় বোকার হদ্দ
যা কিছু জানে শুষ্কতা আর আদ্র
সবকিছু শেষ পর্যন্ত আকাশে মিলায়।
ভাবে, সবকিছু কেউ একজন সমন্বয় করে যায়।
চিতার মুখে হরিণ শাবক রক্তাক্ত করে অবলীলায়
ঘুরতে গিয়ে দেখি, টানতে টানতে জঙ্গলে চলে যায়।
আমি চিরকাল সৌন্দর্য খুঁজি, মিশিয়ে সৃষ্টিশীল কল্পনা
শব্দতুলিতে আকি সুন্দরের নানা চিত্রকল্প আলপনা,
আর একটা ভীতুর ডিম- যখন সামনে আসে বিপর্যয়
দেখি এরূপ বীভৎস দৃশ্য, দ্রুত আমার চোখ বন্ধ হয়!
আমার বন্ধুটির সেই ক্ষমতা আছে প্রকৃতির এইসব
ক্রুদ্ধতা আর রুক্ষতার ঘটনা শান্তচিত্তে করে অনুভব।
বন্ধু বলে, এই যে চোখ বন্ধ করা তা বাস্তবতা পরিহার
সে বলে, আমি সেই রুগীর মতো যে চোখ অন্ধকার
করতে মাথা ঢেকে রাখে বালিশে, ভাবে হবে মাথা ব্যাথা
উপশম। আমাকে বলে, আলোকিত জীবন কথোকথা-
বলে, নিমগ্ন কাটিও না কাল, হও সাহসী হও মুখোমুখি
দেখো কিভাবে মৃত্যু মাঝে জীবন দেয় উঁকি!
বন্ধু আমাকে তিরস্কার করে।
আমরা হাঁটছি একই পথ ধরে।
সে বলছিল যখন তুমি পৃথিবীকে ভালোবাসবে
একটা স্বর্গীয় সঙ্গীত শুনতে পাবে।
বলে, খুঁজে দেখ। খুঁজি, পাই না তো কিছুই
কেবল মেঘ দেখি, বৃষ্টি, দেখি বাণিজ্যের ছড়াছড়ি।
রাস্তার ধারে বসে আমরা সূর্যাস্ত দেখি
সময় বয়ে যায়, নিরবতা ভেঙ্গে দেয় নানা সুুুরের পাখি
এই সময়টাতে আমরা বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে চাই
মৃত্যুর সাথে, নির্জনতার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাই-
আমার বন্ধু মৃত হরিণের বেদনার সাথে চিতার
উল্লাসকে জুড়ে দেয়, প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ চিত্র আকার
শেষ যেখানে শুরুর আহার।
আমরা শান্ত এখানে, নিরব, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
হঠাৎ রাস্তা অন্ধকার, শীতল হাওয়া দ্রুত বেগবান
এখানে সেখানে শিলাগুলি চকচকে উজ্জ্বল
আমরা ছুঁয়েছিলাম কিছুকাল ভালোবাসা কোলাহল।
প্রতিটি ভালোবাসা দিন শেষে ভালোবাসা হয়ে জন্ম নেয়।
আমি চিরকাল সৌন্দর্য খুঁজি, মিশিয়ে সৃষ্টিশীল কল্পনা
শব্দতুলিতে আকি সুন্দরের নানা চিত্রকল্প আলপনা,
আর একটা ভীতুর ডিম- যখন সামনে আসে বিপর্যয়
দেখি এরূপ বীভৎস দৃশ্য, দ্রুত আমার চোখ বন্ধ হয়!
প্রতিটি ভালোবাসা দিন শেষে ভালোবাসা জন্ম দেয়।
সুন্দর পরিবেশন
কবি মালেক দা। সবসময় আপনার কবিতার সৌন্দর্য উপভোগ করি।
আমার একজন বন্ধু আছে,
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে উপরে কেউ আছে।
যদিও নয় বোকার হদ্দ
যা কিছু জানে শুষ্কতা আর আদ্র
সবকিছু শেষ পর্যন্ত আকাশে মিলায়।
ভাবে, সবকিছু কেউ একজন সমন্বয় করে যায়।
চিতার মুখে হরিণ শাবক রক্তাক্ত করে অবলীলায়
ঘুরতে গিয়ে দেখি, টানতে টানতে জঙ্গলে চলে যায়।
আমি চিরকাল সৌন্দর্য খুঁজি, মিশিয়ে সৃষ্টিশীল কল্পনা
শব্দতুলিতে আকি সুন্দরের নানা চিত্রকল্প আলপনা,
আর একটা ভীতুর ডিম- যখন সামনে আসে বিপর্যয়
দেখি এরূপ বীভৎস দৃশ্য, দ্রুত আমার চোখ বন্ধ হয়!
আমার বন্ধুটির সেই ক্ষমতা আছে প্রকৃতির এইসব
ক্রুদ্ধতা আর রুক্ষতার ঘটনা শান্তচিত্তে করে অনুভব।
বন্ধু বলে, এই যে চোখ বন্ধ করা তা বাস্তবতা পরিহার
সে বলে, আমি সেই রুগীর মতো যে চোখ অন্ধকার
করতে মাথা ঢেকে রাখে বালিশে, ভাবে হবে মাথা ব্যাথা
উপশম। আমাকে বলে, আলোকিত জীবন কথোকথা-
বলে, নিমগ্ন কাটিও না কাল, হও সাহসী হও মুখোমুখি
দেখো কিভাবে মৃত্যু মাঝে জীবন দেয় উঁকি!
বন্ধু আমাকে তিরস্কার করে।
আমরা হাঁটছি একই পথ ধরে।
সে বলছিল যখন তুমি পৃথিবীকে ভালোবাসবে
একটা স্বর্গীয় সঙ্গীত শুনতে পাবে।
বলে, খুঁজে দেখ। খুঁজি, পাই না তো কিছুই
কেবল মেঘ দেখি, বৃষ্টি, দেখি বাণিজ্যের ছড়াছড়ি।
রাস্তার ধারে বসে আমরা সূর্যাস্ত দেখি
সময় বয়ে যায়, নিরবতা ভেঙ্গে দেয় নানা সুুুরের পাখি
এই সময়টাতে আমরা বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে চাই
মৃত্যুর সাথে, নির্জনতার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাই-
আমার বন্ধু মৃত হরিণের বেদনার সাথে চিতার
উল্লাসকে জুড়ে দেয়, প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ চিত্র আকার
শেষ যেখানে শুরুর আহার।
আমরা শান্ত এখানে, নিরব, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
হঠাৎ রাস্তা অন্ধকার, শীতল হাওয়া দ্রুত বেগবান
এখানে সেখানে শিলাগুলি চকচকে উজ্জ্বল
আমরা ছুঁয়েছিলাম কিছুকাল ভালোবাসা কোলাহল।
প্রতিটি ভালোবাসা দিন শেষে ভালোবাসা হয়ে জন্ম নেয়।