🔴”একজন মানুষকে বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আত্মায় জন্ম নেয়া আত্মিক জ্ঞান থাকা জরুরি।” আপনার ভেতরে যদি প্রখর আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব থেকে থাকে তবে সেটা আপনাকে কখনো সততার সাথে পরিচিত হতে দেবে না। আপনার সকল লক্ষ্য সমূহ অন্ধকারের আবদ্ধ কুটিরে বন্দিত্ব বরণ করবে।
আজ এই সময়ে আপনি যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন সেটা কোন ক্ষেত্র বিশ্বাসেও সফলতার বর্ণিল স্তরে নবায়ন হবে না। পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে যে দৃষ্টিভঙ্গি আপনার কোন ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছাড়া অন্য কোন জীবনের মানে খুঁজে দেবে না যা কখনোই বিস্তৃতির পথে ধাবমান নয়।
আপনার নানা কেন্দ্রিক দ্বৈততা ক্রমানুসারে আপনার জীবনকে যতনা ধ্বংস করছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতির দিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা হতে পারে আপনার পরিবারকে, আপনার আপন জনকে, আপনার চিত্তকে আপনার চেতনাবোধকে।
জীবনের এই অনুর্বর মরুভূমিতে যদি উর্বর প্রাণবন্ত সৌহার্দময় মোহনীয় বাগান তৈরী করতে চান তবে সেখানে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন জলের।
মানুষের সুখ-দুঃখ জ্বালা-যন্ত্রণা শোক-তাপ নানামুখী ক্ষতের ব্যথা যদি আপনার হৃদয়ের মসনদকে কিছুটা বিচলিত করে, নাড়া দেয় তবে ভাববেন আপনি সেই জীবনের সন্ধান পেয়ে গেছেন আর সেই সাথে জল এর সন্ধান দাও পেয়েছেন।
আপনাকে যদি সেই সন্ধান’ অনুসন্ধিৎসা বিবেক জারি রাখতে বলে তবে অবশ্যই আপনার আপন সত্তায় ঢুকে পড়া স্ববিরোধীতাকে বর্জন করতে হবে। তবে সভ্যতার মুক্তি আপনার মুক্তি আপনার ভেতরে থাকা আপনার মুক্তি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন চর্চায় রাষ্ট্রসমাজ পরিবার কিংবা চারপাশের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোকে যেমন ভাবে না প্রয়োজন বোধ করি তার চেয়ে বেশি অনুভব করি ‘উসুল’ ভাবনায়।
আমরা বরাবরই আমাদের সততা মনুষত্ববোধ জীবন দর্শনের জন্য যতটা না চিন্তিত তার চেয়ে বেশি চিন্তিত থাকি অবৈধ উপার্জনের পথিকৃত হয়ে “রুদ্ধহীন ভাবে চালাতে” নিজেকে সমাজের একদম উচ্চশিখরে প্রতিষ্ঠা করতে।
আমাদের জীবন দর্শন থেকে অনুমান করি আমরা বরাবরই আমাদের সবচেয়ে নিকটতম কর্মগুলোকে অগোচরে রাখতে আমরা ভুলে যাই আমরা কি করছি। আমরা ভুলে যাই আমাদের কি করা উচিত কি করতে হবে কি না করতে হবে।
জগতের কোন অপরাধে আত্মিক প্রশান্তি নেই সমাজে সেই মানুষই সফল যিনি ভ্রাতৃত্ব পূর্ণ ভালোবাসার মাধ্যমে চারপাশের মানুষকে একাধারে ভালোবেসে গেছেন। এটি যদি তার নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য হয় তবে এই মহত্তর ভাবাপন্ন মানুষের চিন্তা চেতনাটি অনুসরণীয় বা অনুশীলন যোগ্য।
একজন মানুষের নেতৃত্বে আসতে গেলে যেমন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকৃষ্ট করার শক্তি প্রয়োজন হয় যে মানুষের কর্ম পরিকল্পনা নির্ণীত করা যায় একমাত্র সাফল্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই মানুষটাকে সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষই নির্ভর করে।
জগতের যে কোন মানুষ তার মানদণ্ডের গুণগত স্তরকে তার কর্মপরিকল্পনার দাঁড়ায় তার চিন্তা চেতনার দাঁড়ায় তার ভাবনার দাঁড়ায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভেবে জীবন চারণের সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তবে সে যেন জগতে অনেক কিছুকেই আয়ত্ত করতে পারছে।
এজন্য প্রত্যেকটা মানুষকে প্রো-একটিভ থাকা জরুরি। একজন মানুষ সবকিছু পরিকল্পনামাফিক করতে যাচ্ছে কিন্তু তারপরেও যদি সচেতন না থাকে অসচেতন হয় প্রো-একটিভ না হয় তবে সে যেন তার সব কিছুকে সাগরের মাঝ দরিয়ায় বৈঠা ছাড়া নৌকা ছেড়ে দেয়ার মত করল।
অতএব যে কোন কাজ করার আগে তার ফলাফল সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে অন্যথায় যদি আপনি সেই হিসাবগুলো না করেন তবে আপনি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন আপনার কাজের কোন লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
তাই একজন মানুষকে তার কাজের কাঙ্খিত ফলাফল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, অর্জন করতে চাইলে, অবশ্যই তাকে সেই সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং নিজেকে সে বিষয়ের উপর খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে হবে।
আপনার কর্মকে একটা মর্যাদাবান আসনে স্থান দিতে চাইলে অবশ্যই আপনার অন্যকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি নিজেই সব কিছু বোঝেন বোঝার চেষ্টা করেন এবং সেই হিসেবে কাজ করা শুরু করেন তবে সেটা আপনার জন্যে মঙ্গলজনক হবে না।
প্রত্যেকটা কাজে একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া যেমন অসম্ভব এবং কোন পরামর্শ বিনা কোন কাজ করতে যাওয়া একজন সাধারন অজানা মানুষ জলে ঝাঁপ দেয়ার মত।
ব্যস্ত জীবন, কতটা সুন্দর হতে পারে? ব্যস্ত জীবন সেটা কিভাবে সর্বতোভাবে নাকি অন্য কোনভাবে! ব্যস্ত জীবন মানব জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজেকে চেনা;
নিজেকে চিনতে গেলে চিনতে হলে প্রশিক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই আপনার হৃদয়ের আয়নার সামনে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন নিজেকে, যে সারা জীবন আপনি কিভাবে চলেছেন কি করেছেন কার জন্য করেছেন এভাবে যদি প্রশ্ন রাখেন তবে অবশ্যই আপনি খুঁজে পাবেন
নিজের সাথে নিজের যে ভাব বিনিময় হবে সে ভাববিনিময়ের মধ্যে নিজের স্ববিরোধিতাকে বোঝার চেষ্টা করুন তার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন যদি বুঝতে শেখেন তবে এই দৃষ্টান্ত মানব সভ্যতার জন্য আমাদের এই অন্তর্জগতের জন্য এ এক অর্থপূর্ণ বিষয় বলে মনে করা হয়।
যে আত্মিক জ্ঞান এই জগতে মানুষকে মহান করে তোলে যে ব্যক্তিত্ব যে নৈতিকতা যে চরিত্র মানুষকে ভালো আর মন্দ পথে পরিচালিত করে সেই প্রভাবিত জীবনের চাইতে অন্য অন্যরকম জীবন অনেক শ্রেয়।
যেখানে মানবতা থাকে যেখানে আদর্শ থাকে যেখানে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে চলে অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যেখানে নির্দিষ্ট একটি ঠিকানা পাওয়া যায় সেখানেই ব্যক্তি জীবন সম্ভবত নিজের প্রতিমূর্তির দাঁড়া অন্যকে প্রভাবিত করে
সেখানে গভীরতম ভালোবাসার এক নজির স্থাপন করা যায় যেখানে বিশ্বস্থতা নম্রতা ভদ্রতা সাহসিকতা ন্যায়-পরায়নতা ধৈর্য পরিশ্রম এবং সুবর্ণ সফলতার সারল্য সুযোগ অনেকটা নির্লিপ্তভাবে তৈরি হয়। যা মানব রচিত জীবনের সুন্দর এক অধ্যায়।
আপনার যুক্তি খণ্ডানোর অবকাশ কম। শুভেচ্ছা র’লো।
আপু আমার শুধু লেখার প্রয়াস চলে।
আর আমি কি লিখবো সেটা শুধু আমার চিন্তাতেই থাকে।
আমি লেখার চেষ্টা করি কতদূর সেটা সাকসেসফুল হয় সেটা আমি জানি না তবে আমি থামিনা।
আমার পথ চলা তাকে অবিচল রাখি নিজের চিন্তা চেতনা দ্বারা এটি আমার জীবনের প্রতিপাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। যা আমার সত্য মনের অজানা গল্প গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টামাত্র। ভালো থাকবেন সব সময়
একজন মানুষকে বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আত্মায় জন্ম নেয়া আত্মিক জ্ঞান থাকা জরুরি।
শিরোনামটিই বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য।
লিখতে বসলে আমার চিন্তাকে উন্মুক্ত করতে হয় আমি সেটাই করি যা আমার মন বলে। আমার লেখালেখির পথটা খুব একটা সহজ নয়। সারা দিন এবং রাতের কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেই চলে আমার পুরোদমে লেখালেখিটাও। নির্দিষ্ট একটি সময়ে বই পড়ার সুযোগ করে নিয়েছি। সেটা হোক কাজের ফাঁকে গাড়িতে কিংবা অবসরে। লেখালেখি ছাড়া যেন আমার জীবনটা একদম অন্ধকার নিজেকে মনে হয় অচল পয়সার মত। চারপাশের প্রতীয়মান দেখাগুলো যদি কখনো দৃষ্টি ফেরায়। ধন্যবাদ ভাইয়া
শিক্ষণীয় । আল্লাহ সহায় হউন
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য
ভালো লিখেছেন। শিক্ষনীয় পোস্ট।
শুভকামনা থাকলো।
থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। কাঁচা হাতের লেখা হলেও ভালো করার চেষ্টায় থাকি। এটা সবসময় অব্যাহত থাকবে। আমার কাছে লেখালেখি করার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় না। যখন চিন্তা করি তখনই টুকে রাখি। এভাবে লিখতে লিখতে লেখার পরিসরটা বাড়িয়ে তুলি। ভালো থাকবেন
যেখানে মানবতা থাকে যেখানে আদর্শ থাকে যেখানে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে চলে অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যেখানে নির্দিষ্ট একটি ঠিকানা পাওয়া যায় সেখানেই ব্যক্তি জীবন সম্ভবত নিজের প্রতিমূর্তির দাঁড়া অন্যকে প্রভাবিত করে
অনেক অনেক ভালো ভালো কথা এক সাথে গেথে দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগা তৈরি হলো। এটাই। ভালো লেখার নমুনা
ধন্যবাদ মালেক ভাই, বহুদিন হচ্ছে একসঙ্গে লেখালেখি করছি। সামহোয়্যার ব্লগ থেকে শুরু আরো অনেক ব্লগ শেষ পর্যন্ত প্রথম আলো ব্লগ। তার পর সবাই বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই। পুরনো সেই কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া আর অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই খুঁজে না পাওয়া পুরনো চেহারাগুলো সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। লেখালেখিতে অনেক প্রতিকূলতা ছিল আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। তারপরেও একসঙ্গে লিখতে পারছি হোক মাঝেমধ্যে তাও তো লিখছি। আপনার ভাললাগা আমাকে অনুপ্রাণিত করল মালিক ভাই। ভাল থাকুন সব সময় ভালোবাসা সহ