এই যে শিশু
ভাবছ কিছু
বসে নদীর ধারে
জলাঙ্গীর ঊর্মিতে কেন, ও পথিক ভাই
ওই তরীটি নড়ে
-জানিনে বাপু।
ও পথিক ভাই,
ঐ দেখ মাঝি ভাই
নিয়ে যায় তরী,
সে কি আর ফিরবে না
ঐ তার বাড়ি,
-জানিনে বাপু।
শোন, শোন ও পথিক ভাই, বলি তোমারে
নদীর ধারে বসে আমার
কাটে সারাবেলা,
যাকে আমি প্রশ্ন করি
সে কেন করে আমায় হেলা,
-জানিনে বাপু।
ও পথিক ভাই
ঐ দেখছ শাপলা শালুক
তুলছে কত ছেলে,
মাছ ধরে নিয়ে যায়
ঐ পাড়ার জেলে,
চেনো নাকি
– না,না বাপু।
ও পথিক ভাই
ঐ দেখছ দিনের বেলায় গগনতে
চন্দ্র নেই আলো,
রাত হলো কোথা থেকে
চন্দ্র আনে আলো,
জানো নাকি
-না,না বাপু।
ও পথিক ভাই,
ঐ দেখছ কচুরী পানা
নদীর জলে ভাসে,
কোথা থেকে এই পানা গুলো
এই নদীতে আসে,
জানো নাকি
-না,না বাপু।
ও পথিক ভাই,
অজানাকে জানার জন্য
আমার অদম্য কৌতুহল,
শাজাহান কেন তৈরি করল
আগ্রার তাজমহল,
বলবে নাকি
-জানিনে বাপু।
ও পথিক ভাই,
এত তোমায় প্রশ্ন করলাম
পেলাম না কেনো উত্তর,
আমায় কি তুমি ভাবছ
আমি কি তেমার সত্তুর,
না,না বাপু
তা কেন ভাববো।
আসলে আমি জানিনে কিছু
বিদায় শিশু
আধার ঘনিয়ে এলো
বিদায় পথিক ভাই
বিদায়।
———+++
রচনাকালঃ
২৬-০৯-২০২০
শব্দ-কথায় অনন্য সুন্দর এবং মাধুর্যময় কথোপকথন। অভিনন্দন কবি অপূর্ব।
শুভকামনা রইল
অপার মুগ্ধতা
শুভকামনা রইল