আমাদের জীবন গল্পের চেয়েও অনেক বড়

2794 ১. আমাদের জীবন গল্পের চেয়েও অনেক বড়। আমাদের জন্ম লগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলবে লড়াই, বেঁচে থাকার এই লড়াইয়ে টিকে যাওয়া মানুষগুলো পৃথিবীকে সংরক্ষণ করে ক্ষমতা যোগায় লিড দেয়। তাই গল্প যেমন কাল্পনিক নানারকম বৈচিত্র্যময় রহস্যময় রসদ জড়িয়ে থাকে তার বিপরীত কবিতা কিছুটা কল্পনা এবং অনেকটা বাস্তবতার সংমিশ্রণে একজন মানুষের জীবনচরিত উপস্থাপন করে। এটি হোক লেখোকের আর হোক তার ওস্তাদের বিষয়ের উপরে অন্য মানুষের ভ্যাগ ধারণা থেকে নেয়া। তবে কবিতা এক স্বতন্ত্র সত্তা যার দ্বারা স্থাপিত হয় হৃদয়ের উর্বরতা।

দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূরক ও বাস্তবতা সম্মত দর্শন সর্বদা জ্ঞান বিবেক সত্য ন্যায় পরায়নতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে বিকশিত হয়। এখানে প্রজ্ঞাবান মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির দাঁড়ায় যা রচিত হয় তা পৃথিবীকে অবশ্যম্ভাবীভাবে সজাগ করে তোলে। হৃদয়ের ভিতর এমনভাবে সেই বিষয়বস্তুগুলো গেথে দেয় যা তাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। সেটা হোক রাজনৈতিক দর্শন সেটা হোক মানব দর্শন আর তা হোক সৃষ্টি দর্শন কিংবা হোক জীবন চরিত।

মানব সমাজকে উন্নততর করতে গেলে জ্ঞান-বুদ্ধি প্রজ্ঞার প্রয়োজন হয়। সকল একাডেমিক শিক্ষাই মানুষকে প্রজ্ঞাবান করেনা বিবেকবান করেনা সত্য বলতে সাহস যোগায় না। কিন্তু দর্শনের জায়গা থেকে একজন মানুষ যখন তার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে তাকায় তখন সেই ক্ষমতাটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে আরেকটি মানবের হৃদয়ে গঠিত হয়। যার দরুন একজন মানুষ অনুন্নত ধ্যান ধারণা থেকে উন্নত স্বতন্ত্র ও নীতিনির্ধারকের পর্যায়ে পৌঁছে। এভাবে একজন গুণী মানুষের বাক্যগুলো দর্শনের আলোতে পৃথিবীব্যাপী প্রচারিত হয়। আর মানুষ সেখান থেকে হয়ে যায় সজাগ ও সচেতন বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞানকোষের আহরণকারী।

২.
মানুষ কিছুটা নির্ভরশীল পরায়ণ। মানুষ যদি তার দৈনন্দিন জীবনকে নতুন করে দেখতে চায় তবে দশটি যেনতেন বই না পড়ে একটি ভালো বই পড়া উচিত যার দ্বারা সে পৃথিবীকে নতুন করে উপভোগ করতে পারবে এবং মানব সমাজকে নতুন করে তার আপন বসন দ্বারা চিনতে পারবে এটাই একজন মানুষের প্রকৃত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যেভাবে তিনি তার জবাব জীবনকে পরিচালনা করছেন তার বিপরীতে যদি সেই মানুষটি তার আপন জ্ঞান দ্বারা এই জগৎটাকে চিনতে পারেন তবে একজন মানুষের জগৎ জীবনে সাফল্য এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নতুন একটি সুযোগ তৈরী হতে পারে।

৩.
জীবন একটি স্বতন্ত্র সত্তা। তবে এই জীবন ও অস্তিত্ব টিকে থাকে অন্যের সহযোগিতায় যেখানে একজন মানুষের জীবনে তাঁর প্রিয়জনদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে বেঁচে আছি এবং জন্মগ্রহণ করেছি জীবন তার চেয়েও বড় কিছু। এখানে টিকে থাকতে হলে লড়াই এর কোন বিকল্প নেই। এখানেই একজন মানুষের থেকে প্রাণিজগতের আলাদা গুরুত্ব বহন করে।

৪.
ভাগ্য যদি কল্পনা জগতে প্রতিষ্ঠা হতো তবে ভাগ্যের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেত না। ভাগ্য নির্ধারিত হয় কর্মপরিকল্পনা দ্বারা। আমরা যদি কর্ম পন্থা অবলম্বন না করে পথ চলি তাহলে অবশ্যই আপনার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে না। ভাগ্য সম্পর্কে যদি বলি তাহলে আমি বলতে পারি যে ভাগ্য একটি রূপক শব্দ। কর্ম হচ্ছে বাস্তবতা।

আপনি ভাগ্যের মাধ্যমে কখনোই আপনার পথ প্রশস্ত করতে পারবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কর্ম আপনাকে দিকনির্দেশনা না দেয়। আপন কর্মের দ্বারাই মানুষ পৃথিবীর এমন উচ্চতায় পৌঁছে যেখানে আর একজন মানুষ তার দাস হিসেবে পরিচালিত হয়। আপনি যদি আপনার জীবনে চাকরি করার নিয়তে শিক্ষা গ্রহণ করেন তাহলে আপনি কখনোই জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনি তো এখন অর্থের জগতেই ঘনায়মান হবেন। মানব সভ্যতাকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই জ্ঞানের প্রয়োজন বুদ্ধিমান মানুষের প্রয়োজন প্রজ্ঞাবান মানুষের প্রয়োজন এই মানুষের দ্বারাই পৃথিবী শক্তিশালী হয় এবং নতুন নতুন সভ্যতা গড়ে ওঠে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রাচীন ধারণা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত বেরিয়ে আসছে না পারব আর এসব কে গ্রহণ করতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনভাবেই সত্যের দর্শন উপলব্ধি করতে পারবো না।

এই দর্শন তাই হল জাগতিক দর্শন যার দ্বারা মানুষের উপকৃত হয় যার দ্বারা মানুষ কেন অর্জন করে জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যায় এবং সভ্যতার বিকাশ ঘটে। যে বই দ্বারা সমাজ উপকৃত নয় যে বই দ্বারা সমাজের বিভাজন ঘটে যে বই দ্বারা রাষ্ট্রের কোন উপকার হয় না রাষ্ট্রের উন্নতি হয় না এ বৈঠকে এক সাইডে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই জীবনটাকে পরিচালনা করা উচিত রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা উচিত এবং সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো বিকল্প নেই।

৫.
পৃথিবীর এই ভ্রাম্যমান আদালতে আমরা যেভাবে অন্যায়ের সাথে জড়িত যেভাবে অপরাধের সাথে জড়িত আছে তবে কোন হত্যাযজ্ঞ ক্লোরালের সাথে জড়িত এর জন্য নির্দিষ্ট একটি বিধান রয়েছে যে বিধানটি একটি রাষ্ট্রের আইন দ্বারা পরিচালিত হয় আমরা যদি সেই আইন অমান্য করে এবং সেখানে নতুন কোন প্রাচীন ধ্যান-ধারনা ধর্মীয় বিধিবিধান এর মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করে তবে সে আইনের ক্ষমতা এবং বর্তমান জগতে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া চিন্তা-চেতনার উপরে নির্মিত আইন অনেক পার্থক্য তৈরী করে।

বর্তমান আইনে তোমার বিচার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেটাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সমাজ রাষ্ট্র এবং দেশের জন্য এজন্যই আমরা বরাবরের মতো প্রাচীন ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে নতুন সভ্যতার যে মুক্তির পথ রয়েছে তার তারাই জীবন দর্শন এর মাধ্যমে সেই আইন কে গ্রহণ করি এমনটা যদি না হয় তাহলে মানুষ তার বিকল্প নেই এবং ন্যায় বিচার হবে অন্ধকারের পথ প্রদর্শক।

৬.
জীবন একটা পাণ্ডুলিপি, আপনি যখন ভালো থাকেন খুব ভালো থাকেন। তখন আপনি নানা ধরনের পথ ভ্রষ্ট কাজের ভিতর জড়িয়ে যান এমনটা হয় অতিরিক্ত স্বাধীনতা আর মুক্ত জীবন যাপনের জন্য। আপনাকে যদি কেউ সরল বিশ্বাসে মুক্ত জীবন যাপন করার ক্ষমতা দেয় তবে আপনি তার বিশ্বাসের গুরুত্ব না দিয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধের পথ বেছে নেন। যার দ্বারা সে মানুষটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে যার দ্বারা সে মানুষটি কষ্ট পাবে যার দ্বারা সে মানুষটি অত্যন্ত বেদনার্ত জীবন উপহার পাবে।

তবে আমরা যখন অপরাধ করি আমরা যখন অন্যায় করি ভুল করি তখন আমরা আমাদের প্রথম সময়ের কথা উপলব্ধি করতে পারে না আমরা কতটা ভালো আছি আর আমি কতটা মন্দ কাজ করতে যাচ্ছি এরকম চিন্তা-চেতনা যদি খারাপ কাজ করার পূর্বে একবার করতো তাহলে সে মানুষটি কখনোই ভুল পথে পরিচালিত হতো না। তবে সঙ্গদোষে ও মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হয় সে মানুষটা যদি তার আচরণে মুগ্ধ না হয়ে তার আচরণে ক্ষুব্ধ হতো তবে তাই আর কখনোই সে ভুল পথ কে অনুসরণ করার চিন্তা করত না।

কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনে আমাদের কাজে কর্মে সবকিছুই উল্টো পথের পথিক হয়ে আমরা যেভাবে ঢেকে রাখা জিনিসকে দেখার চেষ্টা করি সেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এজন্যই আমরা প্রতিনিয়ত অন্যায়ের পথে ভেসে গিয়ে নতুন করে জন্ম দেয় বিপদ নতুন করে সৃষ্টি করি নানাবিধ সমস্যা এবং আমাদের জীবনকে অতিবাহিত হয় নানা ধরনের জটিলতা থেকে উত্তরণ একমাত্র মৃত্যু ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব হয় না। এমন জীবন কখনোই চাইনা আমরা যে জীবন ব্যথায় কাটুক কষ্টে কাটুক যন্ত্রণায় কাটুক। অথচ দিন শেষে আমরা সেই পথেই সবচাইতে বেশি চলাচল করি। আমরা কি অনুভব করতে পারি না এই পথ বিপদজনক এই পথে চলতে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।

এই পথে চলতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পথে নেমে আসবে বিরূপ প্রভাব আমাকে আমরা কি একবারের জন্য হলেও কখনও অনুভব করতে পেরেছি না পারিনি না পারার কারণ একটাই আমাদের মানসিকতা আমরা যেটা ভাবি সেটাই করার চেষ্টা করি আমরা যেটা দেখি নি সেটাই দেখার চেষ্টা করি আমরা যেটা বুঝি না সেটা না বুঝে তার উল্টোটা বলার সবচেয়ে বেশি প্রবণতা দেখায় বলেই আমরা আমাদের অধঃপতন স্বচক্ষে দেখতে পাই।

৭.
মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ যখন তার হৃদয় থেকে উন্নততর চিন্তাগুলো দৈনন্দিন জীবনের পথে ব্যয় করে তখন মানুষ হয়ে ওঠে তার জগতের সবচেয়ে উত্তম ও সেরা। আবার এই মানুষ প্রাণী জগতের সব থেকে নিকৃষ্ট জীব হতে পারে। যখন সে তার সঠিক কর্মপন্থা কে বাদ দিয়ে অসৎ পথে সকল ধরনের কর্মকাণ্ড অবলম্বন করে। আমরা সভ্যজগতের বাসিন্দা তার সাথে সাথে আমাদের মধ্যে যে রিপু গুলো রয়েছে সেগুলো যখন প্রকাশ হয় তখন এই সভ্যতার জগত থেকে অন্ধকারের আচ্ছন্নতা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে যা একজন বিবেকবান মানুষের কাছে অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও বিরক্তিকর। মানুষ যখন সময়ের সাথে সাথে তার আপন জগতকে নিয়ে এগিয়ে চলে তখন তার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়গুলো প্রতিদিনকে রোজনামচায় প্রতিলিপি স্বরূপ উঠে আসে।

বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমরা যখন একটি দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবো তখন সেই বিশ্বাসটা হাজারো বিপদগ্রস্ত পথ পাড়ি দিয়ে হলেও সেটি অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখা একজন সত্যিকারের মানুষ এর জন্য অপরিহার্য বলে দাবী রাখে।

৮.
মন ও মনস্তাত্ত্বিক দর্শন দ্বারা যদি আপনি আবেগের দ্বৈতনীতি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন পৃথিবীতে উপস্থিত করতে চান সেই ক্ষেত্রে মহাজাগতিক যে সকল চিন্তাভাবনা ধ্যান-ধারণা মানবের মনের ভিতর উদ্ভব হয় তা থেকে আপনার দৈনন্দিন জীবনের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব। মনীষীরা যা দিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমরা তাদের চিন্তা ভাবনা এবং তাদের দর্শন যদি অন্তরের অন্তস্থল থেকে গ্রহণ করি তাহলে জানতে পারি আবেগ হচ্ছে একটা স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ।

এই দৃষ্টি কোন ব্যক্তির গভীর অন্তস্থল থেকে উৎসারিত একটি দুর্বল রিপু তার দৈনন্দিন জীবনে প্রথম ছোঁয়ার মতোই স্পর্শ কাতর এক্ষেত্রে সে যদি এই দর্শনটা গ্রহণ করে তবেই। আমরা প্রতিদিনের রোজনামচায় যে সকল কাজকর্ম করি এবং অন্যের আপাদমস্তক যেসকল বিনয়ী মনোভাবকে উপলব্ধি করি তারমধ্যে সুখ-দুঃখ ভালো-মন্দ বিলাসিতার সকল উপকরণ আবদ্ধ। জীবনের ব্যাপকতা অসীম হলেও সংকীর্ণ এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুই সুদুরপ্রসারী।

আমরা দুনিয়ার বাস্তবতাকে যখন আনকোরা ভেবে ছুড়ে ফেলেদিতে থাকি তখন পরবর্তী জীবনের যে সকল প্রার্থী রয়েছে তা এক নিমিষে শেষ হয়ে যায়। মানুষ ভাবে মৃত্যুর পরে কোন এক জীবন রয়েছে সে জীবনে আমাদের হিসাব-নিকাশ রয়েছে সেখানে একটি সিংহাসন রয়েছে সেই সিংহাসনে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আসিন এই সৃষ্টিকর্তা আমাদের জগত জীবনের সকল হিসাব গ্রহণ করবে পাপ কর্ম মন্দ কর্ম ভাল কর্ম সৎকর্ম সকল কিছুর হিসাব নিবে। কিন্তু যারা এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় তাদের জগজ্জীবন কতটা ন্যায় পরায়ন কতটা যুক্তিসঙ্গত কতটা সুন্দর এবং কতটা কঠিন সেটা আমরা পৃথিবীর মানুষ নানা দৃষ্টিকোণ থেকে নানা দেশ থেকে নানা প্রান্ত থেকে উপলব্ধি করি। সৃষ্টির শুরু থেকে আমরা সর্বদা একে অন্যের প্রতি যেভাবে বিষোদগার করে আসছি জ্ঞান বৃদ্ধির পর থেকেই আমরা সেটা আরো কঠিন করে তুলেছি।

প্রতিদিনের মত আমরা যেভাবে একজন আরেকজনের পিছনে ছুটে চলি কারো ভাল করতে অথবা কারো কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে অথবা অথবা আঘাত করতে এটা দিনদিন এতটাই ব্যাপক হয়েছে যে আমরা একে অন্যের পাশে বসে থাকলেও কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা। এটা বিশ্বাস এর চেয়ে অবিশ্বাসের যুগ হিসেবে ঘোষণা করা যায়। মানুষ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নানা ভাগে বিভক্ত ধর্মের মধ্য দিয়ে যতগুলো ধন্য তা প্রকাশ হয় তা অত্যন্ত সরুপ এরা একে অন্যে নিজের ধর্মীয় জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যেই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা এসবকে মান্য করে না তাদের নিয়ম-নীতি শৃঙ্খলা অত্যন্ত দৃঢ়।

এ সকল মানুষেরা সিজোফ্রেনিয়া রোগের মতো ভয়ঙ্কর এবং তারা সর্বদায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যার বাস্তব স্বরূপ দেখা যায় নানা ধরনের কাল্পনিক কল্পকাহিনীর মধ্যে তারা জীবনকে অতিবাহিত করে থাকেন এই দৃষ্টিকোণের মানুষেরা অত্যন্ত বিপদজনক এবং এদের দ্বারা সামাজিক জীবন কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে তাদের কোনো ভূমিকায় থাকেনা। কিছু কিছু রাষ্ট্রে এই শ্রেণীর মানুষদের কে সমাজের বোঝা হিসেবে গ্রহণ করে। তবুও তারা একটি দেশের স্বাধীন নাগরিক তাদের যে অধিকার নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্র সে দায়িত্ব থেকে কখনোই সরে আসে না।

1 thought on “আমাদের জীবন গল্পের চেয়েও অনেক বড়

  1. অনেকটা বাস্তবতার সংমিশ্রণে একজন মানুষের জীবনচরিত উপস্থাপন করে। এটি হোক লেখকের আর হোক তার ওস্তাদের বিষয়ের উপরে অন্য মানুষের ত্যাগ ধারণা থেকে নেয়া। তবে কবিতা এক স্বতন্ত্র সত্তা যার দ্বারা স্থাপিত হয় হৃদয়ের উর্বরতা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।