পথিকের সাথে পথে হাঁটতে থাকলে
ধূলা উড়া পথগুলোকে নিজস্ব মনে হয়
পথের পীড়ন ভালো লাগতে শুরু করে, গন্তব্য হীন
পথে নানান রঙের খন্দে নিজকে
মিশিয়ে নিলে নিজস্ব ব্যথাগুলো উপশমের
পথ খুঁজে পায়, পথ্যের জন্য ব্যতিব্যস্ত
সময় থেকে কিছুটা বেড়িয়ে এসে
চারপাশ পথিকের চোখে দেখতে থাকলে
পরিপাশকে বড় মায়াবী, কোমল মনে হয়…
গঞ্জের হাটবারে কি খরিদ করতে হবে
ভুলে গেলে, মনের কোন থেকে বেড়িয়ে আসে
স্বস্তির নিঃশ্বাস, দায়িত্ব ভুলার মাঝে লুকিয়ে আছে
মুক্তির আনন্দ, নিজেকে যুদ্ধ জয়ের
সৈনিকের প্রশস্ত বাহুর মতো মনে হয়, নিজস্ব কাঁধ
অন্যের জন্য অনেকবার ধার দিয়েছি
কঠিন পাথরে শাবল চালিয়ে ছুটিয়েছি জলের নহর
বন্ধ্যা জমিন খুঁড়ে ফলিয়েছি গাঢ় সবুজ
দীর্ঘাকার মই বেয়ে আকাশ বুকে গেঁথেছি শাশ্বত সুন্দর…
তবু বারবার আকাশের বিভ্রান্তিতে পথ হারিয়েছি
নিজস্ব আয়ুর বদলে রঙধনু রঙ সাঁটতে গিয়ে
প্রতারিত হয়েছি, প্রাপ্তির পথ পাড়ি দিতে গিয়ে
অসংখ্য ক্ষতে দগ্ধ করেছি নিজস্ব হৃদয়…
বিদীর্ণ চিৎকার তবু পৌঁছাতে পারে নি
অন্ধ বধির সময় বারবার আমাকে ছুড়ে ফেলেছে…
পথিকের পথে নিজেকে খুঁজে পেলে প্রকাশিত হয়
নিজস্ব পরিচিতি, নিজস্ব পথে হাঁটার বাসনায় পুনরায়
পথিকের সাথী হয়ে পাড়ি দিতে থাকি দিগন্ত প্রান্তর…
“পথিকের পথে নিজেকে খুঁজে পেলে প্রকাশিত হয়
নিজস্ব পরিচিতি, নিজস্ব পথে হাঁটার বাসনায় পুনরায়
পথিকের সাথী হয়ে পাড়ি দিতে থাকি দিগন্ত প্রান্তর…”
___ এভাবেই আমাদের পথচলার গ্রন্থি একই সুতোয় বাঁধা আছে কবি।
তবু বারবার আকাশের বিভ্রান্তিতে পথ হারিয়েছি
নিজস্ব আয়ুর বদলে রঙধনু রঙ সাঁটতে গিয়ে
প্রতারিত হয়েছি, প্রাপ্তির পথ পাড়ি দিতে গিয়ে
অসংখ্য ক্ষতে দগ্ধ করেছি নিজস্ব হৃদয়…
বিদীর্ণ চিৎকার তবু পৌঁছাতে পারে নি
অন্ধ বধির সময় বারবার আমাকে ছুড়ে ফেলেছে…