দ্রোহ?
অবিচল নিষ্ঠায় শানাচ্ছো তরবারি
শূন্যগর্ভ বাতাসে ঘুরাচ্ছো
সাঁই সাঁই শব্দে পরখ করে নিচ্ছো ধার
ঝালিয়ে নিচ্ছো হাতের নিপুনতা ।
জানোনা ,
প্রবল থেকে প্রবলতমে উত্তরণের লোলুপতা
কিভাবে ক্ষুদ্রতায় নিয়ে যায়।
যুযুৎসু প্রতিপক্ষ নই।আমার ক্ষেত্র নয় রণভূমি।
আমি যেন অবিকল
‘কাফকা’র সেই নায়কের মতো
রূপান্তরিত বিচ্ছিন্ন এক তেলাপোকা।
দুই হাতে আগুনের ফুলদানী
আঁকড়ে বসে আছি
অসম্ভব যন্ত্রণার কাতরতা শুষে নিচ্ছে
অন্তর্গত এক অনন্ত ঔদাসীন্য।
দেখিনা কিভাবে খসে পড়া মাংসখন্ডগুলো
ভাগাভাগি করে খায় কাক ও কুকুরেরা।
বর্ণমালা লিখে যাচ্ছে প্রতিদিন
আমার ব্যর্থতা ও আর্তনাদের দলিলগুলো
আর
আমি ক্রমশঃ
নির্বাসিত হয়ে যাচ্ছি অন্তর থেকে অন্তরতমে।
(২০০৮)
‘বর্ণমালা লিখে যাচ্ছে প্রতিদিন
আমার ব্যর্থতা ও আর্তনাদের দলিলগুলো
আর আমি ক্রমশঃ
নির্বাসিত হয়ে যাচ্ছি অন্তর থেকে অন্তরতমে।’
___ কবিতায় মনের যে অন্তর্নিহিত অর্থ এবং শাব্দিক প্রকাশ; এককথায় হৃদয়কাড়া।
চমৎকার কবিতা!
শুভেচ্ছা রইলো কবি।