নিজকিয়া ৫৩

দুপুর দুপুর হলে দরজাও ঢুকে পড়ে ছায়ার কবলে
চৌকাঠ ছিলো সেই মান্ধাতা যুগে, আজ তারা কল্পকাহিনী
নিজেকেই চিরি ফাড়ি এই অবসরে নিঃশ্বাস বন্ধ করা নিঃশব্দ দুপুরে
আশ্চর্য! আশ্চর্য সেই রোবটের অখিল পোস্টমর্টেম
স্নায়ু কই! রক্ত কই! হাড় – মাংস – মন! ত্বকের গভীরে জ্যান্ত মরীচিকা!
তারকাঁটা ঘেরা এক রহস্যজাল, কুয়াশায় নির্লিপ্ত নোম্যানসল্যান্ড
হাড় নেই, মাঝেমাঝে কালাশনিকভ খুনির আইবল ঘুরিয়ে তাকায়
খানায় খোঁদলে যত বৃদ্ধা প্রতিশ্রুতি পচা শব ভাসিয়ে গন্ধ ছড়ায়
শুদ্ধ কিছু আছে নাকি, হে রিক্ত সময়!
নীলামে উঠেছে দুপুর, শান্ত ছেলেবেলা, নরম মননের পরিত্যক্ত পাললিক মাটি।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

5 thoughts on “নিজকিয়া ৫৩

  1. দুপুর দুপুর হলে দরজাও ঢুকে পড়ে ছায়ার কবলে
    চৌকাঠ ছিলো সেই মান্ধাতা যুগে, আজ তারা কল্পকাহিনী
    নিজেকেই চিরি ফাড়ি এই অবসরে নিঃশ্বাস বন্ধ করা নিঃশব্দ দুপুরে https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. অনেক সুন্দর এই সিরিজ লিখা। অভিনন্দন প্রিয় কবি সৌমিত্র। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  3. নেই তো হৃদয় – সে এক হাহাকার –
    কালা শনিকভ খুনির আইবল ঘুরিয়ে তাকায় – চমৎকার ।

  4. শেষটা অসাধারণ লেগেছে যদিও আপাদমস্তক ভাল লেগেছে।

    শুদ্ধ কিছু আছে নাকি, হে রিক্ত সময়!
    নীলামে উঠেছে দুপুর, শান্ত ছেলেবেলা, নরম মননের পরিত্যক্ত পাললিক মাটি।

    এমন চরণ সত্যি ভালোলাগা তৈরী করে। শুভেচ্ছা কবিকে।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।