আগুন-জলে মাখামাখি

সারাদিন যা কিছু দেখি সবকিছু বিনয়ের চোখে
দেখার চেষ্টা করি, এই যে সেদিন তুমি আমাকে
তেলাপোকা, টিকটিকি, গণ্ডার কতোকিছু বললে—
কতোকিছু–! আমি এতোটুকুও রাগ করিনি!
অতঃপর তুমি আরও কয়েক কদম আগবাড়িয়ে
পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে, বজ্রের মতো কিছুক্ষণ
পর পর হুঙ্কার দিলে, ক্ষ্যাপা মোষের মতো এদিক
-সেদিক পায়চারি করলে, আমার নাকের ডগায়
বাকের ভাইয়ের মতো সদ্যকেনা চাবির রিং
ঘুরালে——এই যে তোমার এতোকিছু ঝড়,
জলোচ্ছ্বাস তারপরও
আমি তোমাকে কিছু বলেছি বলো— বলো?

অতঃপর আমার বিনয়ের চোখ তোমার সব রাগ-
দেমাগ গোগ্রাসে গিলে ফেললো, তুমি আগুন-জলে
মাখামাখি হলে, ভাঙা আয়নাটা, তোমার-আমার
জোড়া ছবি আগলে রাখা কাঁচের ফ্রেমটা—জোড়া
দেওয়ার বৃথা চেষ্টা দেখে আমার দু’চোখের জল
অনেকদিন পর ছলছল হলো, ভারাক্রান্ত হলো;
তুমিও তখন বেনারসি শাড়ির মতোন চিকচিক
করছিলে, আমার চোখ, তোমার চোখ তখন মুখ
টিপেটিপে হাসছিলো ——————–!!

জানো, সেদিন অফিস থেকে ফেরার সময় আমি
কতোকিছু ভেবেছিলাম— কতোকিছু; এখন শীতের
শেষাশেষি, বসন্তের পদধ্বনি; শুনেছি এই সময়টা
প্রজননের খুব উর্বর, আমাদের টেরাকুটিরে মিউ মিউ
শব্দ হবে, সারারাত জেগে আমরা দুজন সেই শব্দে
তা দেবো, জানলা খুলে রাত ডাকবো, চাঁদ ডাকবো,
আগুন-জলে মাখামাখি হবো————–!!
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭

10 thoughts on “আগুন-জলে মাখামাখি

  1. সুন্দর সব লিখায় আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি প্রিয় কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. সেদিন অফিস থেকে ফেরার সময় আমি
    কতোকিছু ভেবেছিলাম— কতোকিছু; এখন শীতের
    শেষাশেষি, বসন্তের পদধ্বনি; শুনেছি এই সময়টা
    প্রজননের খুব উর্বর, আমাদের টেরাকুটিরে মিউ মিউ
    শব্দ হবে, সারারাত জেগে আমরা দুজন সেই শব্দে
    তা দেবো, জানলা খুলে রাত ডাকবো, চাঁদ ডাকবো,
    আগুন-জলে মাখামাখি হবো—মুগ্ধতা প্রিয় ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।