অতঃপর পুরানো কেচ্ছা ঘেটে তারারানীর ঘরে তুমি এলে; তোমার জন্ম উৎসের খোঁজে আমরা নামতে পারি সমুদ্রের খাঁজে, যেখানে এক রাত্রিবেলা তারা দু’জন আদিম হল। খাঁজের বালিময় নীল জল ছুঁয়ে দিলে, গন্দমের ছলনা পুষ্ট বীজে রূপান্তরিত। তুমি এখন যাকে মায়া ভাব আসলে তা ছিল শারীরিক অন্ধিসন্ধি বা স্রেফ লালসা। ভালোবাসা অদলবদলের কোন চিহ্ন আমরা দেখতে পাই নি, নান্দনিকতার কোন রেষ ছিল বলেও প্রমাণিত হয় নি। চলো ফিরা যাক পাহাড়ের চুড়ায়… জেনে নেয়া যাক তারারানীর দিনকাল, পাড়ার মুখরোচক গল্প, কানাঘুষা, সেঁকোবিষ। ইঁদুরের ফাঁদে তড়পায় যে জীবন তাকেই তারারানী বলে জানি। ফিরলেই দেখতে পাবে গলার দড়ির ওমাথায় কলসি বাধা তারারানী শেষবারের মত দেখে নিচ্ছে তোমার মুখ… পুলিশ আর শালিসের নানান হাঙ্গামা অন্তে আঞ্জুমানে মফিদুলের গাড়িতে একটা লাশ, বেওয়ারিশই… দুঃখ করো না, জন্মের দায় তোমার না কিন্তু মানুষ হওয়ার দায়িত্ব তোমাকেই নিতে হবে…
2 thoughts on “দড়ি কলসির আখ্যান”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
এই অণু কথনে আমাদের আশেপাশের প্রায় প্রচলিত জীবনের ছবি ভেসে উঠেছে।
জীবন রূপক নয়; জীবন হচ্ছে বাস্তবতা। লড়াই।