ভুলভাল আঁকিবুকি

আজকাল মন খারাপ গুলো বড় বেশি জড়িয়ে রাখে আমায়, যতবারই ভাবি মনই তো নেই, আবার মন খারাপ কেন! যেখান থেকে শুরু করেছিলাম বার বার করে ঘুরে ফিরে সেখানেই চলে আসছি। বৃত্তাকারে ঘোরা এ ঘোরা, নিজেরই আবর্তে। শুরুতেই ফিরে আসা বার বার। তাই বড় বেশি কঠিন দিন চলা। আর রাত! রাত অপমানের যখন আকাশের তারাগুলোও মুখ ফিরিয়ে নেয়। মাঝে মাঝে অসহ্য হয়ে ওঠে সমস্ত কিছু, বড় বেশি অশান্ত মনে হয় নিজেকে। বড় বেশি ক্লান্ত মনে হয় নিজেকে।

আমি যেন নিজের সঙ্গে নিজেই নেমেছি যুদ্ধে, এর কোন শেষ নেই, শুরু নেই। শুধু চলা আর চলা। লড়তে লড়তে একসময় কখন যেন ক্লান্ত হয়ে যাই, থেমে যাই, থমকে যাই। বুঝি না, সত্যিই বুঝিনা অনেক কথার মারপ্যাঁচ। হেঁয়ালিও বুঝিনা। বড় বেশি বেমানান লাগে নিজেকে। মাঝেমাঝে সবকিছু ফাঁকা হয়ে যায়। এক্কেবারে ফাঁকা। ভ্যাকুয়াম স্পেস যাকে বলে। আমি জানি, আমি যে অদ্ভুত, কিম্ভূত। তা হবে হয়তবা, অত সত বুঝিনা। তবে যখন অশান্ত হতে হতে সবকিছু ধোঁয়াশা হয়ে যায় তখন মনে হয় এর চেয়ে বুঝিবা পাগল হয়ে গেলে ভাল হত। কিংবা মরে যেতে পারলে আরও ভালো হতো।

অবশ্য অনেকেই আড়ালে বা প্রকাশ্যে আমায় বলে আমার মাথার মধ্যে একটা পোকা আছে, সেটা মাঝেমধ্যে নড়েচড়ে ওঠে। আবার অনেকেই বলে আমি নাকি…..। থাক সব কথা বলতে নেই তাহলে নিজের কাছে নিজে ছোট হয়ে যেতে হয়। যদিও আমি জানি আমি কি, যদিও আমি জানি আমি কতটুকু, কতখানি। আমি শুধু জানি আমায় আরও কিছুটা পথ চলতে হবে। তাই আমি আজও চলেছি। আর যেদিন মনে হবে আর পথ চলার দরকার নেই, সেইদিন থেমে যাবো নিজে থেকেই। চলে যাবো নিঃশব্দে।

হয়ত অনেক কিছুর পরে মনে হয় আমারই ভুল। যত দিন যাচ্ছে আমার কাছে ভুল করাটা কঠিন আর জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন বেখেয়ালে ভুল করে যাচ্ছি আর তার ফলে আগে বকা খেতাম বড়দের কাছে আর এখন অপমানিত হচ্ছি কাজের-অকাজের জায়গায়। ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসে, চক্রাকারে, চক্রবৃত্তি হারে। মনে হয় এই বুঝি ফাঁকি দিয়ে এগিয়েছে অনেকটা পথ, মূহুর্তে ভুল ভাঙে। আরবার ফিরে আসা একই বিন্দুতে, বৃত্তের কেন্দ্রে। ব্যাসার্ধ ছোট থেকে বড় হয় অথবা বড় থেকে ছোট। মনটাকে ভিতর থেকে টেনে ধরে আর কেউ, আঁকড়ে ধরে সবটুকু। যার সবটুকুই ক্ষরণ,সবটুকুই ক্ষয়। তবু আমি চলি, থেমে থাকি, অস্থির হই, রেগে যাই, কেঁদে ফেলি, অবশ হয়ে যাই, নিথর হয়ে যাই, তারপর আবার উঠি, আবার চলি। কিন্তু ঠিক জানি যতই চলিনা কেন, ঘুরে ঘুরে- ঘুরে ফিরে আবার সেই শুরুতেই ফিরে আসি।

________________________________
[এই লেখার মধ্যে লুকনো কোন মানে নেই, এই লেখা এমনি এমনি লেখা তাই এর কোন মানে খোঁজা অর্থহীন। এক্কেবারে ফালতু লেখা, তবু এ লেখাটাই আমার এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি কাছের, যদিও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে অক্ষরগুলো মনের মেঘে, চোখের বৃষ্টিতে। তবুও এ লেখা ভীষণ প্রিয়।]

12 thoughts on “ভুলভাল আঁকিবুকি

  1. লিখাটি অনেক পাঠক হৃদয়ের নিজ কথা হলেও ভুল হবে না। শুভেচ্ছা কবিবন্ধু রিয়া।

  2. [এই লেখার মধ্যে লুকনো কোন মানে নেই, এই লেখা এমনি এমনি লেখা তাই এর কোন মানে খোঁজা অর্থহীন। এক্কেবারে ফালতু লেখা, তবু এ লেখাটাই আমার এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি কাছের, যদিও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে অক্ষরগুলো মনের মেঘে, চোখের বৃষ্টিতে। তবুও এ লেখা ভীষণ প্রিয়।]
    লেখাটা মনে হচ্ছে আমার মনের কথাগুলি, যা আমি এই মূহুর্তে লিখতে পারছি না কিন্তু আমার ভিতর আকুলি বিকুলি করছে!
    সুন্দর লেখা, ধন্যবাদ!

  3. তবু আমি চলি, থেমে থাকি, অস্থির হই, রেগে যাই, কেঁদে ফেলি, অবশ হয়ে যাই, নিথর হয়ে যাই, তারপর আবার উঠি, আবার চলি। কিন্তু ঠিক জানি যতই চলিনা কেন, ঘুরে ঘুরে- ঘুরে ফিরে আবার সেই শুরুতেই ফিরে আসি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।