রিয়া রিয়া এর সকল পোস্ট

বৃষ্টিভেজা শব্দেরা

ria

মাঝেমধ্যে মনে হয় নিরপেক্ষ ব্যবচ্ছেদ হোক। সময়ের আবর্তনে মনের অলিগলি বড় ক্লান্ত। আকাশও উপচে পড়ছে। এক ফোঁটা-দু ফোঁটা, তারপর মুষলধারে আঙুল বেয়ে, চিবুক ছুঁয়ে, হাতের পাতায়।

একাই বন্ধ ঘরে নিজের সঙ্গে তর্কে কখনো হেরে যাই, কখনো জয়ী। মাঝরাতে দেখি একটা একটা করে তারা জমায় আকাশ, কখনো আধখানা, কখনো বা পুরো চাঁদ অপেক্ষায় থাকে। কতকিছুই যে আবোল তাবোল ভেবে চলি! মাঝেমধ্যে স্বপ্নগুলো কাছে টেনেই পরমুহূর্তে আবার দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া মন্দ লাগে না।

কিন্তু শব্দেরা যখন ছেড়ে যায়, ঠিক তখনই ইচ্ছে করেই নিজেকে আঁকড়ে ধরি। বৃষ্টি ফোঁটায় ফোঁটায় দাগ কাটে কাচ রঙা চোখে, সোঁদা গন্ধে ধুয়ে যায় চুল, সবুজ হাওয়া এসে বলে যায় শরৎ এসেছে। মন টেনে নিয়ে যায় মনখারাপী আবরণ ফেলে আনমনে কোনো কাশবনে।

শুভ জন্মাষ্টমী

sh

শুভ জন্মদিন যোগমায়া ও শ্রীকৃষ্ণ।
সে অনেক অনেক বছর আগের কথা। ভাদ্র মাসের অষ্টমীর এক দুর্যোগময় রাতে গোকুলে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন একটি শিশুকন্যা এবং একই দিনে একই সময়ে মথুরার কারাগারে জন্মেছিলেন একটি শিশুপুত্র।

শিশুকন্যাটির বাবার নাম নন্দ, মায়ের নাম যশোদা। শিশুপুত্রটির বাবার নাম বাসুদেব মায়ের নাম দেবকী। এদিকে বাইরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। সদ্যোজাত মেয়েটির মা প্রসব যন্ত্রণায় অচেতন। অসম্ভব দুর্যোগের রাত। আকাশ যেন ভেঙে পড়েছে! তার মধ্যেই উত্তাল যমুনা পেরিয়ে এলেন বসুদেব। তাঁর বুকের কাছে পরম যত্নে ধরে রাখা সদ্যোজাত শিশুপুত্রটি। অচেতন যশোদার কোলে সেই শিশুকে রেখে সর্ন্তপণে তুলে নিলেন শিশুকন্যাটিকে। জন্মের কয়েক মুহূর্ত পরেই চিরকালের জন্য শিশুকন্যাটি তাঁর মায়ের কোল হারালো। সে জানতেও পারেনি মায়ের ভালোবাসা, আদর, যত্ন। কখনও সে জানেনি বাবার কাছে অবদার কাকে বলে। বলি হওয়া সেই একরত্তির মেয়েটির নাম যোগমায়া।

সেই বসুদেবের বুকে পরম যত্নে রাখা ছেলেটির কী হল? তার জন্য অপেক্ষা করছিল যাবতীয় সাফল্য আর সমৃদ্ধি। সে বড় হল মেয়েটির বাবা মায়ের কাছে পরম আদরে যত্নে। কৈশোরে দুরন্ত প্রেমিক সে। তাঁর বাঁশির সুরে উথলে ওঠে হাজার নারীর প্রাণ। বহু বছর পর অবশেষে সামনে এল প্রকৃত সত্য। জানা গেল সে কাদের সন্তান, কী তাঁর দায়িত্ব। ছেলেটি মথুরায় ফিরে গিয়ে অবসান ঘটালো অত্যাচারী কংস রাজার। দখল নিল সিংহাসনের। বাসুদেব এবং দেবকীকে কারাগার থেকে মুক্ত করলো। তাঁরা ফিরে পেলো তাঁদের সন্তান। দুনিয়া নতজানু হল ছেলেটির সামনে। স্বীকার করল তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব। তাঁকে ঘিরে থাকে অক্ষৌহিনী নারায়ণী সেনা, বিপুল ঐশ্বর্য।
শিশুপুত্রটিই শ্রীকৃষ্ণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

মেয়েটির কিন্তু কোনও খোঁজ করেনি কেউ। কখনো কোনও নিভৃতক্ষণে যশোদার মনে পড়েছিল তাঁর মেয়ের কথা? আমরা জেনে এসেছি যুগ যুগ ধরে আত্মত্যাগেই নারীজন্মের পরম সার্থকতা।

আজ জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণের সাথে সাথে আজ যোগমায়ারও জন্মদিন। মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে যোগমায়াই হলেন আদ্যা শক্তি মহামায়া। অগ্নিপুরাণ এবং ভাগবত মতে, তিনি কৃষ্ণের জন্মলগ্নে যশোদার কোল আলো করে জন্মেছিলেন আহ্লাদিনী হয়ে। কংসের হাতে নিজের প্রাণ দিয়ে রক্ষা করে যান ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে।

যোগমায়া বলিপ্রদত্ত এক নারীর নাম। আবহমান কাল ধরেই হয়ে চলেছে নারীর প্রতি অবহেলা ও বঞ্চনা। তাদের আত্মত্যাগের করুণ কাহিনী তলিয়ে গেছে কালের গহ্বরে।
——–

. চিত্র : আঁকা – আমি।

যতটুকু পাওয়া যায়, স্নেহ, ভালবাসা, যত্নে রেখে দিতে হয়

ria

একটা সময় আসে যখন ডাকনাম ধরে ডাকার মানুষগুমো কমে যায়। একটা সময় আসে যখন ভীষণ আপন ভেবে ভালোবেসে শাসন করার মানুষ কমে যায়। একটা সময় এমন আসে যখন মুখোশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, স্বার্থের হিসেব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

একটা সময় আসে যখন “কি রে বেলা হল, কখন স্নানে যাবি, কখন খাবি, কম আলোতে গল্পের বই পড়লে চোখ খারাপ হবে” এই রকম আগলে রাখার মানুষ কমে যায়। একটা সময় আসে ভীষণ জ্বরে বিছানায় শুয়ে থাকলে কেউ বলার থাকে না, কেমন আছিস? ওষুধ খেয়েছিস? একটা সময় আসে ছোট ছোট ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার মানুষ কমে যায়।

একটা সময় আসে আবদার করার মানুষ কমে যায়। একটা সময় আসে যখন দোষগুলো তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে আবার হাতে হাত রেখে চলার মানুষ কমে যায়। একটা সময় আসে চারপাশের অসংখ্য মানুষের ভীড়ে একা মনে হয়। একটা সময় আসে যখন মেপে কথা বলতে হয়। মেপে পথ চলতে হয়।

সময়, জীবন, সম্পর্ক ঠিক নদীর মতোই, প্রতি বাঁকে বদলে যায়। তাইতো, প্রতি মুহূর্তে যতটুকু পাওয়া যায়, স্নেহ, ভালবাসা, ভীষণ যত্নে রেখে দিতে হয়। এই মুহূর্তগুলো অসময়ের সঙ্গী। এরা ঠিক একই রকম ভাবে ভালোবেসে আগলে রাখবে।

আয়না

ria

প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ালে
দেখতে পাই আমার
অন্য এক অস্তিত্ব,
যেখানে আমার গোপন ক্ষতগুলো
দগদগে ঘা হয়ে ফুটে ওঠে।

আমার চারপাশে অসংখ্য আয়না
বার বার ক্ষতগুলোকে
চিনিয়ে দিতে চায়,
ক্রমশ সরে যাই নিরাপদ দূরত্বে।
সঠিক আয়নার সামনে
দাঁড়ানো হয়ে ওঠে না আর।

প্রতীক্ষা

ria

ইচ্ছে তোমার, ইচ্ছে আমার
ইচ্ছে ভালোবাসার,
ইচ্ছে স্বপন, ইচ্ছে কাঁপন
ইচ্ছে কাঁদা হাসার।

আমার তুমি ভীষণ প্রিয়
আমার বাঁচার আশা
হৃদয় থেকে হৃদয় জুড়ে
আমার ভালোবাসা

সন্ধ্যে এলে তুমিও এসো
দোলা লাগুক মনে
সেই আশায় গুনছি প্রহর
স্বপ্নে জাগরণে

বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি ঝরুক
আমার ভুবন জুড়ে।
হাতটা ধরে নিয়ে চলো
ভিজতে বহুদূরে।

অহংকারী

ri

তোমাকে দেখিনি অনেকদিন। অনেকদিন কতদিনে যে হয়! সব অংক ভুল হয়! হিসেবের আঙুলে গরমিল! দূর থেকে ভেসে আসা রাতজাগা পাখিদের গান। কান পেতে থাকি। বাইরে শ্রাবণ বৃষ্টি, ঘরে বাজছে গজল।

কতদিন দেখিনা তোমায়। এইসব গান বড্ডো মন কেমন করা। ভালোবাসার গান। রাতজাগা চোখের মণিতে ঘুমের হলুদ রঙবাহার! বারান্দায় বিড়ালের অলস চলাফেরা।সেও ভালোবাসে আদর সময়! আমার মতোই কি তবে আহ্লাদী স্বভাব?

তোমাকে দেখিনা কতদিন হয়? ক্যালেন্ডারের পাতায় ঝিমানো সময়। রাতের আঁধারে একাকী অপেক্ষায় থাকি। কল্পনায় তোমার হাত ঘরে হেঁটে যাই দূর থেকে দূর! ঘুম নামে চোখে তবুও অপেক্ষায় থাকি যদি আসো! যদি বৃষ্টির মতো ঝমঝমিয়ে আসো। প্রার্থনার নীরব চাওয়ায় প্রতিদিন তোমাকে এভাবেই খুঁজে বেড়াই! তোমাকেই ভালোবাসি, শুধুমাত্র তোমায়। তুমি এলে তোমার ভালোবাসায় অহংকারী হই আমি।

কতোদিন তোমাকে দেখি না। ঘড়ির কাঁটায় থমকে আছে সময়। হয়তো আসবে না আর, তবুও তোমারই আসার অপেক্ষায় থাকি রোজ।

মূল কবিতা : পাবলো নেরুদা

pablo

আমার অত্যন্ত প্রিয় কবি পাবলো নেরুদার আজ একশো উনিশতম জন্মদিন। বহু বছর আগে তাঁর কয়েকটি কবিতার অনুবাদ করেছিলাম। তারই একটা দিয়ে আজ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন …
———
মূল কবিতা : পাবলো নেরুদা
অনুবাদ : রিয়া চক্রবর্তী

বেশি দূর যেওনা কখনো, এক দিনের জন্যেও না।
কারণ …
কারণ,আমি জানি না কিভাবে বলবো,
এক একটি দিন কতখানি দীর্ঘ।
তবুও আমি নিবিড়ভাবে অপেক্ষায় থাকবো তোমার,
সব ট্রেন একে একে ঘুমোতে চলে গেলে,
যেমন নির্জনে থাকে একটি স্টেশন।

কখনো ছেড়ে যেওনা, এক ঘন্টার জন্যেও না,
কারণ
বিন্দু বিন্দু তীব্র যন্ত্রণা তখন মুহূর্তেই নদী হয়ে যাবে
ঘরছাড়া ধোঁয়ারা অবিরাম ঘর খুঁজতে খুঁজতে
আমার ভেতরে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ করে দেবে হারানো হৃদয়।

সমুদ্রের ধারে হাঁটার সময় ছায়াচিত্রের মতো মিলিয়ে যেও না কখনো
তোমার চোখের পাতা যেন শূন্যতায় কেঁপে না ওঠে
এক মুহূর্তের জন্যেও ছেড়ে যেও না, প্রিয়তমা আমার।

কারণ ঠিক সেই মুহূর্তেই হয়ত অনেক দূরে হারিয়ে যাবে তুমি
আর আমি উন্মাদের মতো সমস্ত পৃথিবী উল্টেপাল্টে, আর্তনাদ করে বিভ্রান্তের মতো, প্রশ্ন করবো,
তুমি কি আসবে?
মৃত্যুর কাছে এইভাবে রেখে যাবে আমায়?
=====================

আত্মমর্যাদা

riaa Self Dignity বা আত্মমর্যাদা বোধ শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। তবে আমাদের ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে এর গুরুত্ব কতখানি তা হয়ত অনেকেই অনুমান করতে পারিনা। আত্মমর্যাদা এমন একটি ব্যাপার যা প্রথমে নিজের ভেতর উপলব্ধি করতে হবে। যখন আপনি নিজে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবতে পারবেন কেবল তখনই আপনার আত্মমর্যাদা দৃঢ় হবে।

১. আপনি কোন এক অনুষ্ঠানে গেলেন, আর আপনার কোন এক আত্মীয় বসলো “তুই না একদম বোকা, ক্যাবলা।” আর আপনি এই কথা শুনে নিজে তো কোন প্রতিক্রিয়া দেখালেনই না, উল্টো চুপচাপ বিশ্বাস করে ফেললেন কথাগুলো সত্যি। খুব হীনমন্যতায় ভুগতে লাগলেন, অসহায় বোধ করতে লাগলেন। ভেবে ভেবে হয়রান হয়ে গেলেন, আপনি আনস্মার্ট, বোকা, ইত্যাদি। শুধু এটুকুই ভাবলেন না, আদৌ আপনি সেরকম কি না। খেয়ালই করলেন না, নিজের অজান্তেই কখন যেন আপনাকে বিচার করবার অধিকারটুকুও তাদের দিয়ে দিয়েছেন বুঝতেই পারলেন না। তাহলে এই ‘আমি’ যদি পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে সবার সামনে না দাঁড়াতে পারি, নিজেকে সবসময় নিজের সম্পর্কে নেগেটিভ ভাবতে থাকি, তার জন্য দায়ী কে? – এই আমিই।

মনে রাখবেন প্রতিটি জীবন এক একটা লড়াই। কারো বেশি, কারো কম। হয়তো আপনার লড়াই ভীষণ ছোট থেকেই, প্রতিকূল আবহে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কখনোই আপনি সব্বাইকে ডেকে ডেকে বা স্বল্প পরিচয়ে বলতে যাবেন না আপনার জীবনের লড়াইয়ের গল্প। এতে আপনি করুণার পাত্র হবেন। আপনাকে দেখে, বা আপনার সাথে কথা বলে কখনোই যেন কেউ আঁচ না করতে পারে আপনার জীবনের ব্যক্তিগত কথা। দৃঢ় মানসিকতার হোন। আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া কখনোই কাউকে বুঝতে দেবেন না আপনার ব্যক্তিগত জীবন। আপনাকে যারা সত্যিই জানবে তারা করুণা নয় রেসপেক্ট করবে আপনাকে।

“To hide feelings when you are near crying is the secret of dignity.”

২. ছোটবেলা থেকেই কিন্তু আমরা অন্যের দেয়া সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হয়ে অভ্যস্ত। এই যেমন ছোটবেলায় কাউকে যদি বলা হয় “তুই দেখতে ভাল না” “ইশ তুই কালো, মোটা, তুই অলক্ষ্মী, তুই সংসারের জঞ্জাল।” সে নিজেকে ভাল করে আয়নায় দেখেও না, অন্ধের মত বিশ্বাস করে ফেলে-সে সুন্দর নয়, সে হয়তো সত্যিই অলক্ষ্মী। কেউ যদি বলে ফেললো, “তোকে দিয়ে কিছু হবে না”- ব্যস, ওটাই বানিয়ে ফেলি জীবনের একমাত্র বিশ্বাস, কোনদিন হয়ত কিছু একটা করে দেখানোর চেষ্টাও করিনা। আমার অমূলক ঐ বিশ্বাসটা কখন যেন আমার চিন্তাটাকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে, বুঝতেই পারিনা। নিজের চারপাশ দেখুন। আপনি এই বিশ্বের উৎকৃষ্টতম সৃষ্টি না হলেও নিকৃষ্টতমও নন। আপনি একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এবং কারো না কারো চোখে অবশ্যই আপনি সুন্দর। আর আয়নায় নিজেকে দেখুন এবং মনে মনে বলুন :-

“May be I am not the best but certainly I am not the worst.”

৩. কেউ আপনার মন ভেঙেছে? কেউ আপনার প্রেম নিয়ে খেলছে? কেউ আপনাকে ঠকাচ্ছে? কখনই নিজেকে দোষারোপ করবেন না। মনে করুন যে যাবার সে চলে যাবেই। কিংবা ধরুন যে আপনার প্রেম, ভালবাসা নিয়ে খেলছে, প্রতিদিন আপনাকে মিথ্যে বলে ঠকাচ্ছে। তার জন্য মন খারাপ করবেন না। আবর্জনা আমরা আবর্জনার স্তূপেই ফেলে রাখি, তার অবস্থান ও সেইরকম জায়গায় রাখুন। জানবেন যে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে সে কখনোই আপনাকে ছেড়ে যাবেনা। শত ঝড় ঝঞ্ঝাতেও সে আপনার হাতই ধরে থাকবে। আর যে চলে গেছে, বা প্রতারণা করছে, জানবেন, তার আপনাকে গ্রহণ করার মত ক্ষমতা-ই নেই। যতটুকু ভালবাসা আপনার হৃদয়ে রয়েছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও আপনার জন্যও ততটা ভালোবাসা জমা রয়েছে। সারাদিনের শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে সময় দিন। নিজেকে ভালোবাসুন। শুধু আপনি যেমন, আপনি যা-সে জন্য। তাই নিজের সম্পর্কে উচ্চতর ধারণা, নিজেকে নিঃশর্ত ভাবে ভালবাসা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমাদের জীবনে। মনে রাখবেন :-

“The best kind of people are the ones that come into your life and make you see sun where you once saw clouds. The people that believe in you so much, you start to believe in you too. The people that love your simply for being you. The once in a lifetime kind of people.”

৪. নিজের কাজের ইতিবাচক সমালোচনা করুন, ভিতরের নেতিবাচক স্বত্বাকে গুরুত্ব কম দিন। দেখবেন নিজের সম্পর্কে অনেক ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়ে গেছে। সারাদিনে অন্তত একবার এমন কিছু করুন, যা আপনি করতে সত্যিই ভালবাসেন। যে কাজটি আপনি করবেন, সম্পূর্ণ আপনারই জন্য, আপনার আত্ম উপলব্ধির জন্য। সব কাজে সবটুকু সাফল্য আসবেই-এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং নিজের ভুল গুলোকে শুধরে নিয়ে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করুন। নিজেকে প্রশংসা করতে ভুলবেন না কিন্তু।
জানবেন :-

“Nothing is more important than how YOU feel and think about yourself.”

৫. অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করার প্রবণতা থেকে থাকলে তা আজই বাদ দিন। আমরা এক একজন মানুষ এক একরকম, সবার ই আলাদা আলাদা ইতিবাচক দিক আছে বলেই মানুষ বৈচিত্র্যময়। তাই না? আরেকজন জীবনে কি পেল, আমি কি পেলাম না, আরেকজন কি হল আমি কি হলাম না, বা তার জীবনে কি আছে আমার কি নেই, এসব চিন্তা মাথায় আনার আগে একবার ভেবে দেখুন, আপনি কি পেয়েছেন, আপনি কি হয়েছেন আর আপনার কি আছে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, এবং আপনি যা , তার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। নিজের প্রতি সম্মান দেখানোর এটা শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। মনে রাখবেন, আপনার জীবন নামক এই গাড়িটার steering কিন্তু সম্পূর্ণ আপনারই হাতে।

“Politeness is a sign of dignity, not subservience.”
_______________________________

দৈনন্দিন ব্যস্ততায় বন্ধুকে হারিয়ে ফেলবেন না যেন!

out.

যদি জানতে চাওয়া হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মল সম্পর্কের নাম কি? চোখ বন্ধ করে অনেকেই বলবেন বন্ধুত্ব। বন্ধু মানে আত্মার আত্মীয়, যে আত্মীয়তা কখনো কখনো রক্তের বন্ধনকেও ছাড়িয়ে যায়। “বন্ধুত্ব” হচ্ছে দুই অথবা তার অধিক কিছু মানুষের মধ্যে একটি সম্পর্ক যাদের একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে।”

বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? সেটা নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন রকমের মতভেদ আছে। আছে বন্ধুত্বের রকমফেরও! নিশ্চয়ই ভাবছেন, বন্ধুর আবার রকমফের কি? বন্ধু তো বন্ধুই! একটু দাঁড়ান। আর খানিক সময় থমকে থেকে ভাবুন তো, আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটির বন্ধু তালিকায় প্রথম নামটিই কি আপনার? সেও কি আপনাকে আপনার মতোই বন্ধু ভাবছে?

আসলে বন্ধুত্ব কোনো সূত্রের মাপকাঠিতে মাপা যায় বলে মনে হয় না l তবে বন্ধুত্ব হলো ভালবাসার একটি নির্যাস, সু-সময় কিংবা অসময়ের সঙ্গী। বন্ধু জীবনে অক্সিজেনের মতো। যে কথা কাউকে বলা যায় না, সেই গোপন কথার ঝাঁপি নিশ্চিন্তে খুলে দেয়া যায় বন্ধুর সামনে। বন্ধু কখনো শিক্ষক, কখনো দুষ্টুমির সঙ্গী। বন্ধু মানে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস আর ছেলেমানুষি হুল্লোড়। সব ধরণের মানবিকতা বোধ ছাপিয়ে বন্ধুত্বের আন্তরিকতা জীবনের চলার পথে অন্যতম সম্পদ। বন্ধু হলো যাকে বিশ্বাস করা যায় চোখ বন্ধ করে, ভরসা করা যায় নিজের থেকেও বেশি, নির্ভর করা যায় সবচেয়ে বেশি।

সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে সহসাই বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরতে দেখা যায়! যে ব্যাপারটা সামান্য আলোচনার মাধ্যমেই মিটে যেতো, তাকে বছরের পর বছর মনের মধ্যে পুষে রেখে বন্ধুত্ব নষ্ট হবার দৃষ্টান্তও নিতান্ত স্বল্প নয়।

বন্ধুতে ভালো শ্রোতা হোন। বন্ধুর সাথে আড্ডায় কেবল নিজের কথাগুলোকেই প্রাধান্য দেবেন না। আলোচনায় উৎসাহিত করুন। বন্ধুর সমস্যাগুলো কে গুরুত্ব দিন। বন্ধু মানেই কেবল আমার সবটুকু কথা তাকে বলে ফেলা নয়! বরং তার কথা গুলোকেও আপন করে নেয়া!

বন্ধুত্বে বিশ্বাস রাখুন। তৃতীয় কোন ব্যক্তির বক্তব্যের জের ধরে সম্পর্কে ফাটল ধরাবেন না। মুখোমুখি আলোচনায় বসুন, সরাসরি জানতে চান। প্রয়োজনে তৃতীয় ব্যক্তিকে সামনে রেখে তথ্যের সত্যতা যাচাই করুন। অকারণে দায়ী করবেন না। বন্ধুর কোন কিছু অপছন্দ হলে অন্যের কাছে সমালোচনা না করে সরাসরি বলুন। শুনতে তিক্ত হলেও ফলাফল মধুর হবে। বন্ধুর বিশ্বাস করে বলা গোপন কথাগুলো খুব সহজেই অন্যকে বলে ফেলবেন না।

বন্ধুত্বকে শ্রেণীভেদ, সম্পদ, ক্ষমতা, পদমর্যাদার নিক্তিতে পরিমাপ করবেন না। বন্ধুর সীমাবদ্ধতাকে তার দুর্বলতা ভাববেন না। সামান্য একটু করুণা সুদীর্ঘ বন্ধুত্বকে নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। বন্ধুকে করুণা নয়, সম্মান দিন। সমালোচনা করুন, তবে কটূক্তি নয়। বন্ধুর সমালোচনা বন্ধুরা করবে নাতো করবে কে? তবে সমালোচনার ভাষা নির্ধারণে সচেতন হোন। একবার ভুল করলে তাকে ছুঁড়ে দেবেন না। শুধরে নিতে উৎসাহ দিন। প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ান। বিনয়ী হোন।

ভুল করলে সরি বলুন। এতে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। বন্ধুত্বের মাঝে ইগো আনবেন না। ছোট্ট একটা সরি দূরত্বকে এক নিমেষেই দূর করতে পারে। মনে রাখবেন, এই ইগোতে কেবল বন্ধুকেই হারাবেন না, নিজেও হেরে যাবেন।

বন্ধুত্বকে সময় দিন। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় বন্ধুকে হারিয়ে ফেলবেন না যেন! আপনার বন্ধু আর আপনার মাঝখানে কেবল এক মুঠোফোন দূরত্ব। বন্ধুকে মনে করুন, পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করুন।

হাতখানা বাড়িয়ে দেখুন, বন্ধুরা সব পাশেই আছে। চুপিচুপি, লুকিয়ে। হয়তোবা সেই বন্ধু প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করছে কখন আপনি তার বন্ধুত্বের গুরুত্ব ও মূল্য দেবেন।

শেষে বলি বন্ধু হল : -“A clove of love – A pinch of concern – A speck of care – A sack of support – A ray of hope – A spoonful of trust – A drop of loyalty – A spread of friends – A circle of activities Mix them well, and with a bit of effort, Friendship is Formed.”

অভিমান

ria

নীল আকাশের চাঁদটার থেকে অভিমান তুলে নিয়ে, যদি ইচ্ছে করে উড়ে যাই হাওয়া পথ ধরে! সেই যে পথে কবে ভেসে গেছি ছোট্ট আমি। বৃষ্টির ফোঁটা জলে মিশে নিয়ে গেছে সবটুকু আলো, এই আমাকে অন্ধকারে রেখে।
এখন ছায়ারা শুধু ভিড় করে অবরে সবরে। ভাবছি মেঘেদের কাছ থেকে বৃষ্টি নেবো আর আনমনে মেখে নেবো। দুদিন ধরেই দু’চোখের প্লাবনে ভেসে গেছে মেঘমন। জানি, এ চোখের মেঘ সরাবার বৃথাই প্রয়াস।

ইচ্ছে করে গাছেদের শিরা থেকেও সবুজের ঢেউ নিতে। হৃদয় মাঝে ফুল সাজে রেখো দেবো। আর যদি হৃদি-নদে তালে তালে নাও খানি ভাসে আর ভাসানের উৎসবে যদি চিতার ছাই ওড়ে, তবে উড়ে যাক, পুড়ে যাক সব দীর্ঘশ্বাসে। বিসর্জনের ঢাক বাজুক আবার।

মন, তুই শুধু রাত হলে খুঁজে নিস জোনাকির আলো।

ছোট্ট মন

riaa

আমার ছোট্ট মন কেমন আছিস তুই ? আমি খুব ভালো আছি জানিস! এইসব কবিতা আর গল্প-উপন্যাসে আর গানে ডুবে থাকি। বেশিরভাগ সময়টা এই ভাবেই কেটে যায়। খালি যেদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙে, ছাদে যাই কিছু পাখির খাবার দানা নিয়ে। ছড়িয়ে দিই, জানিস পাশের স্কুল বাড়িটায় অনেক পায়রা থাকে। আমার দানা ছড়ানো দেখে সেই পায়রাগুলো আসে আপন মনে দানা খায় আর আমি তাদের পালকের থেকে মন তোর গন্ধ নিই।

এইসব ভোরবেলাগুলো এখন অনেক আলাদা। তবে একটা ভালো ব্যাপার কি আজকাল ভোরবেলা খুব কম আসে। রাতের পর রাত কেটে যায় ওই আকাশের তারা গুনে। ওই যে এক আকাশ তারা দিয়ে গেছিস সেই কোন ছোট বেলায়, বলেছিলি তোর আর কি চাই, এক আকাশ ভরা তারা দিলাম তোকে। জানিস আজও আমি আমার পছন্দের একটা একটা করে তারা রোজ গুনে তুলে রাখি। তারপর কোথা দিয়ে বেলা বয়ে যায় বুঝতেই পারি না।

সারাদিন কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখি। শুধু যেদিন খুব বৃষ্টি হয়, সেদিন নিজে সেই ছোট্ট বেলার মতো বৃষ্টিতে ভিজি। তুই তো জানিস বৃষ্টি আমার কত পছন্দের। বৃষ্টির সাথে কত স্মৃতি, কত মজার দিন। তোর মনে আছে বৃষ্টি শেষে কাগজের নৌকা বানাতাম আর বৃষ্টির জমা জলে সেই নৌকা ভাসাতাম, আর যদি আমার ভাসানো নৌকা ডুবে যেত কি ভীষণ কাঁদতাম আমি। প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায় আমি অনুভব করি রে তোকে। মেলে দি নিজেকে, একটু জল- আলো-বাতাস পাক “ভুলে থাকা” স্বপ্ন গুলো।

আমার সেই ছোট্ট মন কোথায় হারিয়ে গেলি তুই?

মনপিয়াসী

riaa

হাসির ঝিলিক চাঁদের আলো
উঠছে ফুটে গানের কলি
মনপিয়াসী খুশির খোঁজে
তোমার সাথেই কথা বলি

রাতের আগুন পুড়িয়ে দিয়ে
শিরায় শিরায় নাচছে ঢেউ
অঝোর ধারা লুকিয়ে নিয়ে
সমর্পণেই বাঁচছে কেউ

একফোঁটা সুখ,মনের মাঝে
রূপকথাকে লুকিয়ে রেখে
তোমার হাতেই এ হাত রাখি
জীবন নদী যাচ্ছে বেঁকে

বাজছে মনে সুরের সেতার
আবোলতাবোল স্বপ্নে থাকা
জীবন জুড়ে মনের খামে
তোমায় শুধু লুকিয়ে রাখা।

টুকরো আমি

riaaa অনেকগুলো ছবি, অনেক গুলো দিন, অনেকগুলো সময় শুধু তোমাকে ঘিরে। যা শুধু আমার। যা কেউ নিতে পারবে না। জানি না এইসব মুহূর্ত তোমারও ছিলো কিনা। আমি কিন্তু মুহূর্তেই বাঁচি।

একরাশ ভিজে হাওয়া পাতা উলটে দিয়ে গেলো মনের অতীত অ্যালবামের। কতকিছু ছিঁড়ে গেছে। ছিঁড়ে গেছে ছোটবেলার খাতা, ছিঁড়ে গেছে পুতুলের জামা, ছিঁড়ে গেছে সেইসব ডায়েরি, যেখানে লুকিয়ে ছিলো আমার ভালোবাসার কথারা। ছিঁড়ে গেছে আমাদের একান্ত সময়। তাদের সমাধিস্থ করার পরে ছিঁড়ে গেছি সেই অভিমানী আমি।

জানি না কেন তোমার দিকেই চোখ? জানি না কেনো তোমার মনেই মন? কেনো যে তোমায় ভেবে ভেজে চোখের কোন! কয়েক কোটি জন্ম হতেও রাজি, কোনো জন্মে একবার যদি ডাকো!

এক বুক ভালোবাসা রেখেছি, যা শুধু তোমাকেই দিয়েছি। তোমাকেই দিতে চাই। রাতের আকাশে তারা গোনার সঙ্গে সঙ্গে কোটি কোটি টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে রূপকথা মন। খুঁজে বেড়ায় কিছু অর্থহীন বেঁচে থাকার রসদ।

—————-
আঁকা: Ritika Dasgupta

গৌর সারং

tru

ঘাসের উপর শিশির হবো
যদি দাও নির্মল শৈশব।
অথবা ভোরের স্নিগ্ধতা হব
অস্তিত্বে আহির ভৈরব।

হব ভীষণ অভিমানে
দহনের আগুন রং।
অথবা নির্জন দুপুরে
মৌন মুখর গৌর সারং।

দিন অবসানে সান্ধ্য আজানে
হব পবিত্র শান্ত মন।
বেদনায় ভালবাসা মিশিয়ে
হয়ে উঠবো বেহাগ বা ইমন।

আজ ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’

আজ ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই দিনটি পালন করা হয় নীল রঙের পোশাক পরে।

‘অটিজম’ বা ‘অটিস্টিক’ শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। অনেক পরিবার বা ব্যক্তি আছেন যাঁরা অটিজম বা অটিস্টিক শব্দটির সঙ্গে তখন পরিচিত হয়েছেন যখন তাঁরা জানতে পারেন যে তাঁদের পরিবারে বা তাঁদের কাছাকাছি কেউ এই অটিজম সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে এটাকে রোগ বলে অভিহিত করেন। প্রকৃতপক্ষে অটিজম কোনো রোগ নয়, এটা স্নায়ুগত বা মনোবিকাশ জনিত সমস্যা। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বলে। শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

কিছু মানুষকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয় অটিজম। মূলত আচরণেই তা বোঝা যায়। ভিড়ে মেলামেশার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় কারও। কারও আবার ভাবনার প্রকাশ হয় আর পাঁচ জনের তুলনায় অন্য রকম। অটিস্টিক শিশু মানে বোকা বা অমেধাবী নয়। অটিস্টিক শিশুরা স্কুল-কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে সফলতা অর্জন করার যোগ্যতা রাখে।

অটিস্টিক হওয়া মানে সব কাজেই ব্যাঘাত ঘটবে, এমন নয়। ইতিহাসে এমন বহু বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন, যাঁদের বিভিন্ন আচরণ বলে যে তাঁরাও ‘অটিজম স্পেকট্রাম’-এর মধ্যে পড়েন। জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু মানুষের কথা। আগে অটিজম নিয়ে সচেতনতা তেমন ছিল না। ফলে সে সময়ে হয়তো জানা যায়নি যে তিনি অটিস্টিক। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পরে বুঝেছেন, এই ব্যক্তিরা অটিস্টিক ছিলেন।

বিখ্যাত সংগীত শিল্পী লেডি হাক এবং ডারিল হান্না, ড্যান হারমন,ড্যান আইক্রয়েড, কোর্টনি লাভ, টিম বার্টন,আব্রাহাম লিঙ্কন, মোৎসার্ট, আলবার্ট আইনস্টাইন, এমিলি ডিকিনসন, চার্লস ডারউইন, কার্টুন ছবির আবিষ্কারক সাতসি তাহেরিসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তি অটিস্টিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের সফলতায় অটিজম কোনো বাঁধা হতে পারেনি। অটিস্টিক শিশুদের সুস্থ বিকাশে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা।

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব শিশুরা …
সহানুভূতির নয় বদলে সমানুভূতি আসুক।
বিশ্বজয় করুক পৃথিবীর সব শিশুরা ….

339