কত কি করতে ইচ্ছে করে। বই মেলা থেকে সুন্দর সুন্দর বই কিনতে ইচ্ছে করে, পরিবার নিয়ে সাগর পাড়ের বালিয়াড়িতে প্রিয়জনের হাত ধরে পায়ে পায়ে হাটতে, ইচ্ছে করে এই ইট পাথরের ঢাকা শহরের বাইরে নতুন কোন পাড়াগাঁয়ের কুয়াশা ভেজা মেঠো পথে খালি পায়ে হেঁটে বাড়াই, গ্রাম ছাড়া রাঙ্গা মাটির পথের পাশে মাটির দুয়ারে মাটির ঘরে কয়েকদিন থাকি, মাটির চুলায় কাঠ খড়ি দিয়ে রান্না করা দেশি মুরগীর মাংস দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে আসি। গ্রামের কাচা মাটির হাটে ঘুরে ঘুরে বাতাসা, বাইলার ডিম, নিমকি কিনে বিলিয়ে দেই। কত মসজিদ আছে যেখানে মুসুল্লিরা খেজুর পাতার মাদুরে হারিকেনের আলোতে নামাজ আদায় করে তাদের মসজিদ পাকা করে বিজলি বাতি জ্বেলে নামাজের বিছানা কিনে দেই। যারা জীবন বাঁচাবার মিথ্যে আশা নিয়ে রাজধানী ঢাকা শহরে এসে ফুটপাথে কিংবা ফ্লাই ওভারে আশ্রয় খুঁজে পায় তাদের জন্য মাথার উপরে ছাদ ওয়ালা একটা নিশ্চিত আশ্রয় বানিয়ে দেই আবার যেসব কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা অর্থাভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন তাদের দিকে হাতটা বাড়িয়ে দেই। যে সব ছোট্ট ছেলেমেয়েরা বড় রাস্তায় ফুল বিক্রি করে কিংবা পত্রিকা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে তাদের টেনে নিয়ে বসিয়ে দেই কোন পাঠশালায়।
কিন্তু আমার সব আশা, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা হাইড্রোজেনের মত সপ্ত আকাশে উড়ে যায়। কোন ভাবনাই বাস্তব হতে পারে না শুধু কল্পনাতেই বেচে থাকে।
যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে ৪/৫ শত কোটি টাকা খরচ করে, যারা পৃথিবীর সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে বসে আছে, বিশাল অট্টালিকায় কত আরাম আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে, কত দামি গারি হাঁকাচ্ছে তারা এত টাকা কোথায় পায়?
আমার পকেটগুলো কেন এসব করার জন্য এতটা অসহযোগিতা করে, কৃপণতা করে? এর কোন জবাব পাই না কেন?
ধন্যবাদ বন্ধু। আবার দেখা হবে কোন গল্পদাদুর গল্পের আসরে।
সত্যিই আমাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই।
আল্লাহ আপনার কল্যান করুন। আমিন।
আরে ভাই এই সাধ্য যদি থাকত তাহলে কি আর আপনাদের সাথে শব্দনীড়ে বসে এমন আড্ডা দিতাম? তাহলেতো এতক্ষণে দেখতেন টাকার পিছনে দৌড়াচ্ছি দামি Audi, BMW কিংবা মার্সডিজ গাড়ি হাকিয়ে!
ধন্যবাদ ভাই।
সমতা থাকবে না এমনভাবেই সমাজে স্তর তৈরী হয়েছে সেই সৃষ্টির প্রথম ভাগ থেকে। আমাদের মনের সুপ্ত অনেক ইচ্ছেই সহজে পূরণ হবেনা সত্য; তবে ছোট অতি ক্ষুদ্র কিছু না কিছুর সমাধান আমরা করতে পারি। প্রয়োজন সদিচ্ছা।
শুভ সকাল প্রিয় বন্ধু। সর্বদা ভালো থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।
সমতা থাকবে না এ কথা মেনে নিলাম কিন্তু তাই বলে এত ব্যবধান হবে কেন ভাই?
সমাজের বড় একটি অসামে্য্যর দিক তুলে ধরেছেন
কিছু করতে পারেন বা না পারেন নিয়তের পুরস্কার পাবেন
নিয়তের পুরষ্কার পাছি যে না তাও ঠিক নয় আপা। আল্লাহ তাআলা অন্তত কারো কাছে হাত পাততে দেননি কিংবা কুকুরের সাথে ডাস্টবিনের খাবার কাড়াকাড়ি করতে দেননি এটাইতো অনেক বড় রহমত।
ধন্যবাদ আপা।
দেশী মুরগীর মাংস কতদিন খাই না ।
ভাইসাব, হোয়াইট চ্যাপেলে কিংবা ব্রিকলেনে বইয়া দেশি কুড়ার গোস্ত কেমনে খাইবেন কন!
শুভেচ্ছা নিন দাদা ।
‘জীবন একটা দুঃস্বপ্ন
যেখানে আমরা সবাই বিভ্রান্ত!`
শুভেচ্ছা দেয়া নেয়া করলাম দাদা।
জানি এই বিভ্রান্তির শেষ কোনদিন হবে না তবুও যে মনটা মাঝে মাঝে বিদ্রোহ করে উঠে!