ফিরে দেখা সেইদিন
এখানকার মানুষগুলো
আমার পরিচিত নয়।
এইখানের, এইসব বাড়ি
এই রাস্তা, ঐ মাঠ, বৃক্ষ আর
হলুদ কোয়ার্টারগুলো
আমার খুব পরিচিত!
যেসব মানুষকে এখানে
দেখেছি, সেদিনের সেইসব
মানুষেরা আজ আর নাই।
যেসব বৃক্ষকে দেখেছি
তারা বেশী দৃঢ় চেতা
দীর্ঘ মাস্তুল তুলে তার
জমাট বদ্ধ ছায়া শরীর
ভোরের ফড়িঙের দল
এখন অদেখা প্রাণ হয়ে গেছে
পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস।
শৈশবের সেই দিঘীটি ছিলো
ঢিল ছুঁড়ে ছুটাছুটি করার।
বশ্যির ছিপে মাছ ধরে
উন্মাদনায় আনন্দ করার।
যেখানে একটি ছয়তলা
দালান উঠেছে এখানে
আর জল নেই, দিঘী নাই
ঢিল ছোড়ার কেউ নেই,
মাছ ধরার কেউ নেই।
এই জলের উপর এখন
মুক্তবাক দালান উঠেছে
এই দালানে এখন মানুষ থাকে
উন্মুক্ত পাখির ভিটায়
এখন আর সেই দিন নাই।
এখানে আর কোনো শিশুর
ছটফট করা মন আসেনা ছুটে
এখানে শিশুদের বেড়ে উঠা
থমকে গেছে দালানের আঘাতে
বুড়োদের হাটাচলা নেই
হাতধরে ছুটছুটি নাই
স্বপ্ন চোখের যুবক যুবতীদের।
নস্টালজিক একটি পরিবেশে চেনা জগতের অনুসন্ধান করেছেন কবি।
যেখানে একদা সবই ছিলো; ছিলো মুখরিত পরিবেশ ভালোবাসা
সেখানে সব আজ অচেনা আঁধারের আনাগোনা। দিন বদল।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাই শামিম। সুন্দর লিখার জন্য অভিনন্দন।
এই পৃথীবি, মহাবিশ্বের সবখানে গতি আর পরিবর্তন। এখানটি আর এখানে থাকে না। জীবনটাও গতিশীল শুধু এই গতিশীলতায় স্মৃতিরা পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ পায় না, তারা।বারে বারে ঘুরে ফিরে আসে, কখনও আনন্দ দেয়, কখনও বেদনা, কখও হাসি, কখনও কান্না।
শুভ।কামনা।