লড়াই
ফকির আবদুল মালেক
নৌকার পাটাতনে সেজদাবনত আত্মসমর্পিত মাঝি।
ছিটকে পড়ার মুহূর্তে আঁকড়ে ধরলাম। বললাম- ওঠ, হাল ধরো।
ফুঁসে উঠা প্রতিকূল স্রোতে ডিঙিখানি ডুবে যাওয়া আর
ভেসে উঠার ঠিক মাঝামাঝি,
আর প্রতিটি মুহূর্ত জীবন আর মৃত্যুর সীমারেখায় দুদোল্যমান।
সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা ছিল। ভ্রুক্ষেপ করিনি, পেয়েছিল শিকারের নেশা।
দীর্ঘকাল আমরা সমুদ্রে ভাসমান।
পরিপূর্ণ রূপার থালার মতো চাঁদ ভেসেছিল আকাশে,
হু হু হাওয়া হৃদয় ছিড়ে চেয়েছিল নিতে সুন্দরের মায়াবী পথে।
আমরা মাতাল থেকেছি সৌন্দর্য অবগাহনে আর জাল ছিল মাছ শুন্য।
যখন সমুদ্র তার মোহনীয় রূপ ছেড়ে ক্রমাগত উত্তাল হতে থাকলো,
যখন বাযু তার গতিকে ঝঞ্জাক্ষুব্ধ প্রলয়ংকরী করে তুলেছিল,
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়তে থাকলো ।
পেছনে পড়ে রইল আপনজনের উৎকন্ঠা আর মহাজনের লোলুপ দৃষ্টি।
সমস্ত স্বার্থবুদ্ধি অমাবস্যার চাঁদের মতো অদৃশ্যমান।
হাল ধরলো মাঝি।
বলল- স্রোতের অনুকূলে যদি ভাসি, তীরে
আছড়ে পড়বো, হারাবো অর্জন।
প্রতিকূলে পাল্টা প্রতিরোধে! একসময় সমুদ্র স্থির হবে,
আমাদের স্বপ্নে আপ্লুত হবে সমস্ত তীরাঞ্চল।
লড়াই করো মাঝি, লড়াই করো
এসো লড়তে লড়তে মস্তিষ্কে দৃঢ় চিত্র আঁকি কাঙ্খিত স্বপ্নের
যদি পরাজিত হই, পরাজিত হয় না লড়াকু দৃশ্যায়ন-
প্রজ্জ্বলিত রক্তাক্ষরে প্রস্ফুটিত জীবন কানন।
সালাম ফকির সাহেব। কেমন আছেন? অনেক দিন পর আসলাম। আপনার দেহতত্ত্ব সম্বলিত কবিতাখানি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনার প্রতিও সালাম রইল।
এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে বুঝতো পেরে আমারও খুব ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ।
ফুঁসে উঠা প্রতিকূল স্রোতে ডিঙিখানি ডুবে যাওয়া আর
ভেসে উঠার ঠিক মাঝামাঝি,
আপ্রতিটি মুহূর্ত জীবন আর মৃত্যুর সীমারেখায় দোদুল্যমান।
___ অপ্রতিরোধ্য এবং দূর্দমনীয় প্রিয় বন্ধু ফকির আব্দুল মালেক।
ধন্যনাদ।
লড়াই করো মাঝি, লড়াই করো

এসো লড়তে লড়তে মস্তিষ্কে দৃঢ় চিত্র আঁকি কাঙ্খিত স্বপ্নের
যদি পরাজিত হই, পরাজিত হয় না লড়াকু দৃশ্যায়ন-
প্রজ্জ্বলিত রক্তাক্ষরে প্রস্ফুটিত জীবন কানন।————
পরিপূর্ণ রূপার থালার মতো চাঁদ ভেসেছিল আকাশে,
কবির জন্য
হু হু হাওয়া হৃদয় ছিড়ে চেয়েছিল নিতে সুন্দরের মায়াবী পথে।
আমরা মাতাল থেকেছি সৌন্দর্য অবগাহনে আর জাল ছিল মাছ শুন্য।
যখন সমুদ্র তার মোহনীয় রূপ ছেড়ে ক্রমাগত উত্তাল হতে থাকলো,
যখন বাযু তার গতিকে ঝঞ্জাক্ষুব্ধ প্রলয়ংকরী করে তুলেছিল,
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়তে থাকলো ।