এটাই বাস্তব সত্য ভীষণ রকমের সত্য
তাঁর হেলানো তর্জনীই একটা তিক্ত নাভিশ্বাস থেকে
আমাদের পৌঁছে দিয়েছিল বলশালী স্বপ্নে
আমরা সবাই যখন আত্মঘুমে মগ্ন, তখন সেই
রাখাল বুকের বোতাম খুলে দাঁড়িয়েছিল
দাঁড়িয়েছিল সূর্যের অহংকারে
তপ্ত সীসার গুলি তাঁর পাঁজর ভেদ করে
তবেই না পৌঁছাবে সবুজ জমিনে, তাঁকে মাড়িয়ে
ছুঁয়ে দেবে মাঠের দূর্বা
এমন বুকের পাঁটা নিয়ে
জন্মায়নি কেউ আজ অবধি
বাঘ সিংহের বুক নিয়ে একজনই জন্মেছিল আমাদের বাঙলায়
আহ্লাদিত প্রাচীনকালে আমাদের পিতারা যখন
গর্তের গভীরে আঁকছে নিজেদের অনাগতকাল
রাতের ভোরে কিংবা দিনের গভীরে তারা যখন ছেপে দিচ্ছে
বীর্যবতী সময়, সুবর্ণ কালের ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে
পাহাড়ের প্রান্তে যখন জন্ম নিচ্ছে সোনাঝরা
গল্প, সোনালী অক্ষরে বুননের কাঙ্ক্ষায় তড়পানো
সেইসব কবিতারা আত্মতৃপ্তি পেয়েছিল তাঁর মুখাবয়ব স্মরণে
তারা জেনেছিল একদিন ঘরে ঘরে নন্দিত হবে তাদেরই
উত্তরসূরি, নিজেদের মূল্যবান জীবন গচ্ছিত রেখেছিল
তাঁর জন্য যে রাখাল তাদের পৌঁছাবে সুউচ্চ পাহাড়ে…
পৌঁছেছিল, দুর্যোগের ঢেউ পিছনে ফেলে পৌঁছে
দিয়েছিল পূর্বসূরিদের স্বপ্নের নৌকা, জানিয়েছিল
ক্রীতদাস জীবন নয় পৃথিবীর সভ্যতায়
আমাদেরও যোগ আছে, সুউচ্চ মিনারে
পৌঁছানোর আছে সকল যোগ্যতা
সবুজ কোমল বাঙলায় যে আশালতার বীজ
বপন করেছিল আমাদের প্রপিতামহরা
তাঁর পরিচর্যায় তা আজ পুষ্পে, পত্রে সুশোভিত
তাঁর উচ্চারিত স্বাধীনতা আমরা প্রাণে ধারণ করি
তাঁর শেখানো মুক্তির মন্ত্রে খুলে দেই বুকের পাঁজর
যে পথে সে হেঁটেছিল সে পথ করায়ত্ত করে
আমরাও হেঁটেছি, জেনে গেছি স্পৃহা থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়
একটা সিংহ খচিত সিংহাসনে আজ সে আসীন
তাঁর রাজকীয় হৃদয় এবং দৃঢ় সাহসের পাঠে
প্রজন্মরা উদ্বেলিত, আকাশের উজ্জ্বল তারায়
তাঁর প্রতিবিম্ব লক্ষ্য করে প্রজন্মরা তারকা জয়ের স্বপ্ন দেখে
আমাদের প্রপিতামহের স্বপ্ন তাঁর হাতে পূর্ণতা পেয়েছিল
তাঁর স্বপ্ন পূর্ণতা পাবে প্রজন্মের হাতে, পাবেই
তাঁর দেখানো পথে হাঁটা ছাড়া প্রজন্মের কোন গত্যন্তর নেই…
পূর্ণ কবিতার আস্বাদ প্রিয় মকসুদ ভাই। ভালো লিখেছেন।
কালের রাখাল এর দেখানো পথে হাঁটা ছাড়া প্রজন্মের কোন গত্যন্তর নেই।
শুভ সকাল,, আজ সকালে আপনার লেখাটাই প্রথম এবং পড়েও খুব ভালো লাগলো,,,
কবিতায় ভাল লাগা +