ঘরের পাঁচিলে সাইকেল শ্রীকৃষ্ণ ক’রে রাখা
পাথরকুচির সাঁচিস্তূপ পার হলে ফারাওয়ের দেশ
উঠোনের গন্ধরাজটা ঠিক এবার মরে যাবে!
কিচ্ছু করার নেই, সিমেন্টের ধক টেনে
আমরা যদি বাঁচতে পারি, দিনমানে ষোলটা বিড়ি টেনে
ব্যাগ থেকে লুঙি আর ফুটো গেঞ্জি পরে নিই জোগাড়ের ড্রেস
জোগাড়ে মিস্ত্রির আগে আসে
দেয়ালগাঁথনি চলে গেছে পৃথিবীর ছ’ইঞ্চি জায়গা হাতে নিয়ে
দুপাশে বাড়ির চারা জল পায় হালকামতো,
সালোকসংশ্লেষ? দেরি হবে
ছক ছক মশলা পড়ছে ইঁটের গলিতে
ওগো খাটিয়ে হাত ধোও, বাবুর গিন্নির করা চা আসে চা আসে
এই বাড়ি শেষ হলে চিনতে পারব না
ঘরে ঢুকব কলিংবেলে চেপে —
জোগাড়ের কথা ধরতে নেই
ঘরের বিধ্বস্ত উড়ছে তাকে ধরো, ঘরের উত্থান উড়ে যায়…
আকাশঅফিসে তালা দিয়ে কানাকুয়ো ছাদে একটু
বসতে যাবে কি, জোগাড়ের মিথ্যে ঢিল খেয়ে ফের পাখি
পিঁপড়ের সারি কাঁচা সিঁড়ি বেয়ে উঠছে বদর বদর
আর মুখ তুললেই বহুতল চাঁদ, চাঁদের কার্নিশে
দুটিখানা চাপান গাঁথনি হয়ে আমাদের জোগাড়ে শুয়েছে
1 thought on “জোগাড়ে মিস্ত্রির আগে আসে”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আপনার এমন অনন্য এবং স্বতন্ত্র চেতনার লিখায় মন মাতাল করে প্রিয় চন্দন দা।
যারা আপনার লিখায় মন্তব্য না করতে পারলেও অন্তত পড়েন
সকলের পক্ষ থেকে আমিই আপনাকে জানাবো শুভেচ্ছা।