আচ্ছা বলুনতো নাগরিক বসবাসে ফ্ল্যাট বন্দী জীবন আর গ্রামে বা শহরের নিজ বাড়িতে মুক্ত জীবনে কি কোন ব্যবধান আছে?
আপনি কি মনে করেন?
24 thoughts on “শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৪ (ফ্ল্যাট বাড়ি)”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আচ্ছা বলুনতো নাগরিক বসবাসে ফ্ল্যাট বন্দী জীবন আর গ্রামে বা শহরের নিজ বাড়িতে মুক্ত জীবনে কি কোন ব্যবধান আছে?
আপনি কি মনে করেন?
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
বিস্তর ব্যবধান
(যেমন ফামের মুরগি আর দেশি মুরগির ব্যবধান)
একেবারে মনের কথা বলিছেন আপা। ধইন্নবাদ!
বহুত ব্যবধান আছে। শহরের ফ্ল্যাটগুলো যেন ঠিক ফ্ল্যাট নয়, জেলখানা। আর গ্রাম হলো জেলখানা থেকে কয়েদী বের হয়ে আসার যেমন দুচোখ মেলে আকাশ দেখে তেমন।
তাইতো, আমিও এমনটাই চাই কিন্তু আমার ভাইয়েরা যে কেন তা বুঝে না?
শ্বাশত এই গ্রাম বাংলা আমাকে সবচেয়ে বেশী টানে। অন্তত পিঞ্জিরা থেকে বেশী।
ধন্যবাদ বন্ধু। আমিও চাই শেষ জীবনটা একেবারে মাটির কাছে কাটিয়ে দেই কিন্তু সব যে অস্ট্রে পৃস্ট্রে বাধা। কিছুতেই হয়ে উঠছে না।
জীবন মানেই মাটি। ইট পাথরে কি আর জীবন খুজে পাওয়া যায়?
আপনে যে ছবি মারছেন সেগুলা দেইখা বুঝা যায়, শহরের ফ্লাট বাড়ি কত সোন্দর, ফকফকা। কি সোন্দর করি সাজাই থুইছে। গ্রামের অবস্থা দেখেন, গরু ছাগলে ভরা।
এইবার বুঝেন তফাৎ কি!
এইখানে মাশাল্লাহ আরও কয়জন আছেন। যেনারা বইসা খায় বইসা ঘুমায়।
ওয়া কি? এ দেহি গোয়াইল ঘর! আরে না না এই জায়গায় থাইকেন না, এই জায়গায় গরু ছাগলে বসত করে।
উপর বাড়ি ফিটফাট ভিতর বাড়ি সদরঘাট। বুঝছি বুঝছি আর কওন লাগবো না!
আঙুর ফল টক হইছে?
ব্যবধানতো সব কিছুতেই। কয়টা বলব?
বেশী না মাত্র দুইটা বললেই হবে!
উপরের গুলো হচ্ছে মনের বাড়ী
খুব একটা ট্যাকা পয়াসা লাগেনা, সুখ স্বাচ্ছন্দ সব ফ্রী তে পাওয়া যায়
আর এ হচ্ছে ধনের বাড়ী… সারা জীবনের সমস্ত ধন দিয়ে এই বাড়ী বানায়, কিছুই ফ্রী নাই ; সব কিছুই বিনময়ে পেতে হয়।
জীবন মানেই মাটি, মাটি মানেই জীবন!
এটা হচ্ছে আজাইররা বাড়ী
খাইয়া দাইয়া কাম নাই , সারা দিন সমুদ্রে ঝুইল্লা থাকে
পাগলে কি না করে, মনে হয় মাথা আওলাইয়া গেছে!
শিরোনামহীন ব্যান্ডের গানের লিরিক্স
শহরের কথা
কথা: জিয়া
সুর:জিয়া
শহরের কথা ঊঠলে একটা জনসমুদ্র চলে আসে,
রাস্তা মানেই অবারিত নদী,
গনমানুষের জোয়ার ভাটার টানে ব্যস্ততা আর
ঘরে ফেরা নিয়ে যদি……
গান লেখা হয়,
গানের শরীরে শহরের ছবি ভাসে।
শহর মানেই আমরা একটা গণআদালত বুঝি,
শহুরে ক্লাউন গাছগুলো জুরি,
সংস্কৃতির বেদম বিচার জানে
জোছনা রাতে চাঁদের চরকা বুড়ী,
বিচারে রায়ে আমরা সবাই হাত পা হৃদয় খুঁজি।
জনসাধারন শহরের যত খাদ্য গুদাম চেনে
ব্যাংকগুলো সব যৌথখামার;
সাদা কালো নোট চাষাবাদের মানে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে তোমার আমার।
শহুরে আড্ডা, শহুরে ভাষা
শহরের কথা জানতে আসা
শহুরে লোকের সবই জানা
শহর মানেই চিড়িয়াখানা।
শহুরে শিল্পী ভারী চৌকষ
শিল্পের ঝোপঝাড়ে আপোষ
নাটক কবিতা ছোট ছোট সুখ
শহর মানেই ভেঙ্গে যাওয়া বুক।
রাস্তায় একফালি নিঃশ্বাস
অন্ধ শহরে ছুটে চলা বাস
হাউজিং জ্যামে আকাশ অল্প
শহর মানেই গ্রামের গল্প।
রাস্তায় একফালি নিঃশ্বাস
অন্ধ শহরে ছুটে চলা বাস
হাউজিং জ্যামে আকাশ অল্প
শহর মানেই গ্রামের গল্প।
তবুও সবাই কেন ছুটে আসে শহরে? কী আছে এখানে?
জনসাধারন শহরের যত খাদ্য গুদাম চেনে
ব্যাংকগুলো সব যৌথখামার;
সাদা কালো নোট চাষাবাদের মানে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে তোমার আমার।
যান্ত্রিক ছন্দে ডিজেল মবিলের গন্ধে

মনটায় ভরে থাকে এ কোন আবেশ।।
রাজপথ হয়েছে এভিনিউ ফার্মগেটে
ফুটপাথে চলে সহস্র জনতা পায়ে হেটে।
এইতো নাগরিক জীবন!
গ্রাম জীবন চমৎকার, উত্তম, চরম সুন্দর ও পরম মধুময় দাদু।

তবুও আমরা কেন এই ইট পাথর, লোহার খাচা, গাড়ির বিষাক্ত ধোয়ার মাঝে পরে রয়েছি?
জবাব চাই!
সবাই শহরকে দুষি। আবার সেই শহরেই সবাই থাকতে চায়। শহরে থেকে সবাই মিলে শহরটাকে দুষিত করি।
হ্যা, এই্টাই কথা। এর থেকে উত্তরনের উপায় কি?