ঝাড়খাওয়া কবিতাগুচ্ছ

পাঁচ
আমার জন্মের গায়ে এক পাত্র অগ্নি ফেলে দাও
আমার শূকর-আয়ু চলে যাক লোধি, চোল
প্রতিহারের দখলে
আমার সহস্রবাহু আত্মীয়জনেরা ধ্বংস হোক
অক্ষরেখা-সুত্‌লিতে টান করে বাঁধা এই গ্রহবিস্ফোরক
মাথার শূন্য মহাকাশ-স্টেশনে বসে আছে
আমার জনৈক লেখা, আমার সর্বস্ব কাতরতা দিয়ে
তাকে শায়েস্তা করতে গিয়ে গিয়ে দেখেছি, শিবাজি,
স্নায়ুদল তোমার চাকুতে ছিন্ন ছিন্ন করে ওলটানো
তবে রাত্রিযোগে স্বপ্নরোগে লেখা
এইসব অশনিসংকেত ছেনে আমি কী পেয়েছি,
পিনাকেশ?
তোমার আদেশ ছিল জগৎমঙ্গলকাব্য লিখি
তোমার আদেশ — নতসবুজ যে মেয়ে, তার বুক থেকে
ছিদ্রময় দুধের ফোয়ারা খুলে দেব
সে আশা উৎখাত করে, মহাযম,
ধু ধু এই প্রলাপ-দুর্গের দেয়ালে ঠোঁট ঘষি…
ভেবে দেখো এ-শরীর কতদিন যোনিরত্ন ধারণ করেনি

2 thoughts on “ঝাড়খাওয়া কবিতাগুচ্ছ

  1. এই ধারাবাহিকের আগে পড়ে আর পড়া হয়নি।
    তারপরও এই পর্বের জন্য শুভেচ্ছা ধন্যবাদ প্রিয় চন্দন দা। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।