পুরনো কবি, নতুন আঁকা: চন্দ্রমল্লিকা

সব পাখি আমার দিকেই উড়ে যায়
প্রশ্নের, উত্তরের সব পাখি
আমার ভেতরে অন্য কোনও দিক পেয়ে গেছে

নাহ, ও ভুল শিস দিয়েছিল। পাখি ভুল ভাঙাতে ওস্তাদ!
বুকের পংক্তি ভেঙে ভেতরে ছুটে আসে আর
পিঠ ভেদ করে এভাবে বেরিয়ে যায় ধারালো পালক
যেন আমি নেই, যেন আমি — কী বলবো — খুব সামান্য জন্মেছি

তবুও পথের গায়ে কেউ পাখি বসিয়ে রাখো তো!
দুখানা হাড়ের ওপর চন্দ্রমল্লিকা
সেই পথ আমাকে উৎসর্গ করে দাও
গাছ ঠিকই রাগ করবে, বড়বাবু গাছ
হয়তো ধমক দিতে পারে
ওকে বুঝিয়ে বলবো, আমি একদম ভালো উড়তে পারি না
সব পাখি অন্ধ তাই সব পাখি গান গাইতে পারে তাই
পাখি যেটুকু মাঙন ভিক্ষে পাবে
তাতে দুজনের একজীবন দিব্যি চলে যায়…

গতজন্মে আমি পাখি হবো

1 thought on “পুরনো কবি, নতুন আঁকা: চন্দ্রমল্লিকা

  1. যে কবিতায় পাঠক মনের কথা থাকে সেই কবিতা নিজের কথাকাব্যই মনে হয়।
    অভিনন্দন প্রিয় চন্দন দা।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।