শ্রেনীহীন সংগ্রামের কথা বলে বলে তারা সব
তারা সব গেছে চলে সূর্যাস্তের ওপারে
দিয়েছে পৃথিবীকে তচনছ করে উদার মনে
মার্কস এঙ্গেলস্ লেনিন ক্রশ্চেভ মাও
কিম চে চারু ফিদেল করে গেছে প্রতারনা
অপরিসীম নিরন্ন বুভুক্ষু মানুষের সাথে
ভ্রান্ত মতবাদ হয়েছে রফতানী সাথে মারনাস্ত্র
শুধুই মানুষ হত্যার তরে শুধুই রক্ত
বহানোর তরে করে দিয়ে বাচার আশা ক্ষীন
ফিউডাল থেকে মুক্তির আশা দিয়ে সংগ্রামে
সশস্ত্র নিধন বর্জন তর্জন শুন্য অর্জনে
নব্য ফিউডাল আরো ভয়ঙ্কর রেহাই নেই এর হাতে
চারিদিকে সেনা প্রহরা পালাবে কোন পথে
ক্ষুধায় মরো তাও ভালো তবুও থাকো শ্রেনীহীন বিশ্বাসে
ফিদেল মাও থেকেছে কি নিরন্ন জিজ্ঞাসা দেখো করে
এরাসব ভূস্বামীর সন্তান স্বার্থ রক্ষায় নেমেছে সংগ্রামে
ক্ষমতাই সব চাবিকাঠি সাথে বন্দুক থাকলে পরে
সকল অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে রাস্ট্র বসে থাকে গদির ওপরে
সময় এসে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তারে ভূতলের ধুলাতে
বলে তোকে পেতে হবে শাস্তি জাগতিক নিয়মের কারণে
নড়েচড়ে বসে সব ত্রস্তে চালায় চাকা তবুও হয়না রক্ষা
ভেঙ্গে গেল ইউনিয়ন পাতলো হাত চিরশত্রুর কাছে
বাহিরে জ্বালিয়ে আলো ভেতরটা অন্ধকারে রেখে
সংস্কারে হলো বটে উপকার তবুও অপকার রইল সেটে
সব থেকে বেশী শ্রেনীর উদ্ভব হয়েছে গনচীনে
নব্যধারায় বসে নেই চেক রুস্কি সার্বিয়া বা কোরিয়া
তৈরী হয় সেথা মারনাস্ত্র শুধুই মানুষ হত্যার তরে
যুগিয়ে চলেছে জাতিগত বিভেদ এশিয়া আফ্রিকাতে
রমরমা অস্ত্র বানিজ্যের অর্থে পোষাক হয়েছে চকচকে
কপিরাইটস ভেঙ্গে অন্যের গবেষনা থেকে
মেরে দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মেশিন বানায় থরেথরে
একসময় এরা শেখাত সততা এখন পতিতাশৈলী
ওয়ারমেশিন নেই থেমে চলে হাজার বছর ধরে
সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির সূচক ওঠে তোমার রক্তধারাতে
মার্কিন শোষকেরা নেশা দিয়ে ডুবিয়ে রেখেছে জাতিকে
সমাজতান্ত্রিক ধব্জাধারীরাও একই পথে চিয়ার্স করে সন্ধ্যাবেলাতে
ঈশ্বর বিশ্বাসে যাবে যদি লাঠিপেটা হবে জুৎসই
আসনে যিনি থাকেন তাকে ছাড়া বিশ্বাস অন্য কিছুতে নেই
মাফিয়া চালায় আন্তঃ অর্থনীতি কম্যুনিস্টিক পদ্ধতিতে
নারীমাংস সর্বশ্রেষ্ঠ সেথা মাদকতো সহচর সদাই
বালক অপহরন হয়ে যায় সাংহাইয়ের ইটভাটাতে
বিনেপয়সায় তিনবেলা খাওয়ায় শ্রম দেয় অর্থনীতিতে
হাহাকার করে ঘোরে মাতাপিতা বিশাল অঞ্চল জুড়ে
যদি পায় সন্ধান এত সহজে নয় নেয়া পুলিশী চোখের আড়ালে
গরীব দেশের গরীব শিশুরা হাতে হাতে যায় ভারতে
আহা! কিডনী খুলে অঙ্গ নিয়ে লাশ যায় ভূগর্ভে
জবরদস্তি দাসপ্রথা ছিলো এবং আছে ঘনঅধ্যুষিত রাষ্ট্রে
কি বনজঙ্গল ,ইটভাটায়,মৎস্যপল্লী এবং পতিতাবৃত্তিতে
আমেরিকা,আরব,পাক-ভারত,চীন,রাশিয়া চলেছে সমান তালেতে
মুসলিম আর তামিল শিশুকে শেখায় কিভাবে ফাটায় বোমা
বোমার আঘাতে গেলে উড়ে যাবে চলে স্বর্গে সোজা
অবুঝ শিশু বিশ্বাস করে তাই ওড়ায় মূহুর্তে নিজেকে
কোন ধারাতেই নেই শুদ্ধতা সাম্যতা শ্রেনীহীনতা অথবা মানবতা
আমি তুমি হয় ঠকি অথবা ঠকিয়ে চলি বিস্তীর্ণ সমাজের অন্তঃরালে ।।
২০০৮
মি. শাহ আজিজ। প্রথমত আপনাকে সাদর স্বাগতম শব্দনীড় এ।
কিছু দায়িত্বশীল মানুষ এবং দায়িত্বশীল লিখা একটি ব্লগকে সমৃদ্ধ করার জন্য যথেষ্ঠ।
আপনার লিখাটি পড়ে আপনার চেতনা বোধকে সাধুবাদ জানাই। শ্রেণী বৈষম্য এবং শ্রেণী সংগ্রাম নতুন শব্দ বা ভাবনার প্রকাশ নয়; কিন্তু এই মানবিক সত্যকে মনন মেধায় যারা লালন করেন আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের বিশেষ সম্মান করি। ভালো লাগে আমার।
‘কোন ধারাতেই নেই শুদ্ধতা সাম্যতা শ্রেণীহীনতা অথবা মানবতা
আমি তুমি হয় ঠকি অথবা ঠকিয়ে চলি বিস্তীর্ণ সমাজের অন্তরালে।।’
____ পরম এই সত্যকে সত্যের মহাসত্য মেনে নিয়ে নির্বিকার চলি ইদানিং।
ধন্যবাদ মুরুব্বী,
দীর্ঘদিন চীনে ছিলাম সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা থেকে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার মুহূর্ত পর্যন্ত। দেখেছি, শুনেছি এবং অনুভব করেছি ঐ ভুল রাস্তা যা দেশে থাকতে সবচে পবিত্র মনে হত তা সত্যি নয় এমনকি কোথাও পালিত হয়নি । সময় সামনের দিকে ধেয়ে চলে তো আমিও সময়ের সাথে চলছি । আমি প্রতারনাসিদ্ধ জীবন যাপনে বিশ্বাসী নই।
দ্রুত প্রতিউত্তর করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যদ্দুর মনে পড়ে উনিশ ‘শ উন নব্বইয়ের কথা। আমি পশ্চিম ইউরোপে। যাবার পথে মস্কো, সোফিয়া, বুদাপেস্ট, বুখারেস্ট, বেলগ্রেডে মার্কস লেনিন তত্ত্ব মূর্তির অমর্যাদা হতে দেখেছি। সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি, দীর্ঘ মিশেছি।
সবাই সামনে চলতে চায়। সম্মুখে তাকাতে চায়। অন্ধত্বে নয়।