বাবা দিবস … পৃথিবীর সকল প্রকৃত বাবাকে জানাই সম্মান

বাবা দিবস প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের ৫২টি দেশে পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না, তবুও মা দিবসের অনুকরণে দিনটি পালিত হয় বাবা দিবস। বাবার দূর্লভ স্মৃতি বিনেসুতায় গাঁথা। বাবা’র তুলনা বাবা স্বয়ং।

ইতিহাস :
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি পিতারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব পিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে পিতাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার পিতাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।

বাবা দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বাবা দিবসের প্রয়োজনীয়তা :
আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মা দিবস বা বাবা দিবস পালনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো একেবারেই যে অপ্রয়োজনীয়, তেমনটা কিন্তু মোটেও বলা যাবে না। সন্তানের জন্য পিতার ভালোবাসা অসীম। মুঘল সাম্রাজ্যরের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি পিতার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। তিনি সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা, সেই পিতাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। বাবা দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে পিতাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া বাবা দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে পিতাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টিও পিতাদের বেশ আনন্দ দেয়। তাছাড়া অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তাই বলা যায়, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। মোটকথা আমাদের পরিবার তথা সমাজে পিতার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরাই বাবা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।

বাবা দিবসের বৈচিত্র্যতা :
“ফাদারস ডে সেলিব্রেশনের” ক্ষেত্রে দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এ দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। এটি মূল বিষয় হচ্ছে গিফট। অর্থাৎ এদিনে ছেলেমেয়েরা তাদের পিতাদের কোনো না কোনো গিফট দিতে খুব পছন্দ করে। আর পিতারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে বেশ অভিভূত হয়ে যান। এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা পিতাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। আবার কোথাও কোথাও পিতাকে ছেলেমেয়েরা নেকটাই ও উপহার দেয়। অনেকে আবার বাবা দিবস উপলক্ষে স্পেশাল কেক কাটার আয়োজনও করে। আমাদের দেশেও ফাদারস ডে সেলিব্রেশনের ক্ষেত্রে পিতাকে শুভেচ্ছা জানানো, কার্ড দেয়া বেশ প্রচলিত। কার্ড ছাড়াও গিফট হিসেবে ফাদারস ডে মগ, টি-শার্ট ইত্যাদি।

একটি শিশুর জন্য পিতা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবারে একটি শিশু তার নিষ্পাপ চোখে পিতাকে দেখে পরিবারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর, জ্ঞানী, স্নেহশীল এবং পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে। মেয়ে শিশুরা জীবনের শুরুতেই আদর্শ পুরুষ হিসেবে পিতাকেই কামনা করে। অন্যদিকে ছেলে শিশুরা জীবনের শুরুতে পিতাকে দেখে শক্তির উৎস হিসেবে। তাই ছেলে শিশুরা চায় পিতার মতোই শক্তি অর্জন করতে তথা পরিবারের সর্বময় কর্তা হতে। এছাড়া শিশু যখন বাড়ন্ত অবস্থায় থাকে, তখন পিতা তার মূল্যবান উপদেশ দিয়ে সন্তানদের জীবনের পথ বাতলে দেন।

বিভিন্ন ভাষায় পিতা :
জার্মান ভাষায় পিতা শব্দটি হচ্ছে “ফ্যাট্যা” আর ড্যানিশ ভাষায় “ফার”। আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ হচ্ছেন পিতা! চীনে ভাষায় চীনারা আবার ‘বাবা’ কেটে ‘বা’ বানিয়ে নিয়েছে! ক্রী (কানাডিয়ান) ভাষায় পিতা হচ্ছেন ‘পাপা’ তেমনি ক্রোয়েশিয়ান এ ‘ওটেক’ ভাগ্যিশ! ক্রোয়েশিয়ায় জন্মাই নি! কারণ ওরা পিতাকে ‘ওটেক’ ওটেক বলে! দাঁড়ান আরো আছে, ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ ভাষায় পিতা ডাক হচ্ছে ‘পাই’। ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে পিতা ডাক। সবচাইতে বেশী প্রতিশব্দ বোধহয় ইংরেজি ভাষাতেই! ইংরেজরা পিতাকে ডাকেন, ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পপ, পপা বা পাপা! ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় পিতা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। আমরা কিন্তু পিতাকে আদর করে হিব্রু ভাষাতেও ডাকি! হিব্রু ভাষায় পিতা হচ্ছে ’আব্বাহ্‌’। হিন্দি ভাষার পিতা ডাকটি পিতাজী! আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় অর্থাৎ সেই ‘বাহাসা ইন্দোনেশিয়া’য় যদি পিতা ডাকি তাহলে সেটা হবে- বাপা কিংবা আইয়্যাহ! জাপানিরা তাদের ভাষায় পিতাকে ডাকেন- ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য পিতাকে ‘বাবা’ ডাকা হয়! হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় পাপা ছাড়াও পিতা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা। বাংলা ভাষায় বাবা বা আব্বা।

বাবা দিবস দেশে দেশে :
বাবা দিবসের পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের না হলেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশ দিবসটি পালন করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশ একই দিনে বাবা দিবস পালন করে না। বরং বেশির ভাগ দেশের ভিন্ন ভিন্ন দিন রয়েছে বাবাকে ভালোবাসা জানানোর জন্য। এমনকি দেশভেদে বাবা দিবসের রীতিতেও রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য।

প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে বেশ কিছু দেশ। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া, বাহামা, বুলগেরিয়া, কানাডা, চিলি, কলাম্বিয়া, কোস্টা রিকা, কিউবা, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, গ্রিস, গায়ানা, হংকং, ভারত, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, মাল্টা, মরিশাস, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পুয়ের্টো রিকো, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুইজারল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়ে। এদিকে ইরান বাবা দিবস পালন করে ১৪ মার্চ। আবার মার্চ মাসের ১৯ তারিখে বাবা দিবস পালন করে বলিভিয়া, ইটালি, হন্ডুরাস, পর্তুগাল ও স্পেন। প্রতিবছর মে মাসের ৮ তারিখে বাবা দিবস পালন করে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জুন মাসের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে লিথুনিয়া, ৫ জুনে ডেনমার্ক এবং জুনের দ্বিতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে অস্ট্রিয়া, ইকুয়েডর ও বেলজিয়াম। এল সালভেদর ও গুয়েতেমালা বাবা দিবস পালন করে ১৭ জুন। নিকারাগুয়া, পোল্যান্ড ও উগান্ডা ২৩ জুন পালন করে বাবা দিবস। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উরুগুয়ে জুলাই মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করে বাবা দিবস। ডমিনিকান রিপাবলিক জুলাই মাসের শেষ রবিবার দিবসটি পালন করে। ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় দেশ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিল বাবা দিবস পালন করে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় রবিবার। আগস্টের ৮ তারিখে বাবা দিবস পালন করে তাইওয়ান ও চিন। ফুলবল প্রিয় আরেক দেশ আর্জেটিনা বাবা দিবস পালন করে ২৪ আগস্ট। সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড। আবার একই মাসের পূর্ণিমায় বাবা দিবস পালন করে হিমালয় কন্যা নেপাল। পশ্চিম ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ বাবা দিবস পালন করে ৫ অক্টোবর এবং একই মাসের দ্বিতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন। আর এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ড ৫ ডিসেম্বর বাবা দিবস পালন করে।

বাবা। তিনি বটবৃক্ষ, নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের অমল-শীতল ছায়া—তিনি বাবা। বছরের এই একটি দিনকে প্রিয় সন্তানরা আলাদা করে বেছে নিয়েছেন। আজ বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানরা পালন করবেন এই দিবস। ‘কাটে না সময় যখন আর কিছুতে/বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না/জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা/মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না/ আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়…।’ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া এই গানটি সন্তানদের এক অসীম নস্টালজিয়ায় ডুবিয়ে দেয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেট এবং স্যাট টিভির প্রচার দাক্ষিণ্যে বাবা দিবস ঘটা করেই পালিত হচ্ছে। তারপরও এমন ভাবনা অনেকের মধ্যে থাকে যে, বাবার জন্য একদিন কেন! কেউ কেউ বলে থাকেন, বাবা দিবসটা ঠিক আমাদের জন্য নয়। এটি পাশ্চাত্যের। বাবার জন্য আমাদের অনুভূতি প্রতিদিনকার। প্রতি মুহূর্তের। তার জন্য আলাদা দিনের দরকার নেই। কারও কারও অভিযোগঃ এ ধরনের দিবসগুলো করপোরেট কিছু বিষয়কেই বিজ্ঞাপিত করে।

এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য দেয়া যাক। ২০১০ সালের বাবা দিবসে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ৯৫ মিলিয়ন শুভেচ্ছা কার্ড পেয়েছিলেন বাবারা। বলা যেতেই পারে, এ কেবল কার্ড বিজনেস। সবকিছুর পরেও তো বাবা দিবসে প্রিয় সন্তানের কাছ থেকে বাবারা পেয়েছেন শুভেচ্ছা কার্ড। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবাটি দীর্ঘদিন পর দেখা পান প্রিয় সন্তানের। বাংলাদেশে অনেক সন্তান তাদের পিতাকে ভাবে অভাজন। পিতার বুকফাটা আর্তনাদ না শোনার মত সন্তানও এই সমাজে আছে। ‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার/মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার-ওপার। নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামি দামি/সবচেয়ে কমদামি ছিলাম একমাত্র আমি/ছেলে আমার, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম/আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।’ নচিকেতার এই গানের বাস্তবতা মিলবে গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। অান্তর্জাল থেকে।

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

35 thoughts on “বাবা দিবস … পৃথিবীর সকল প্রকৃত বাবাকে জানাই সম্মান

    1. ধন্যবাদ প্রিয় কবি মি. দীপঙ্কর বেরা। উপস্থিতির কৃতজ্ঞতা জানবেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

  1. ভীষন ভাবে ভালো লাগলো তথ্য বহুল ও বিভিন্ন আংগিকে বিশ্লেষনে বাবার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য বাবা দিবসের গুরুত্ববহ উপস্থাপনা । তবে “পৃথিবীর সকল প্রকৃত বাবা” শব্দগুচ্ছ ব্যাবহারের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি । শুভকামনা জানবেন স্যার !

    1. পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক দৃষ্টিতে অনুধাবন করুন … জন্মদাতা হওয়া যতটা সহজ; তারচেয়ে অনেক বেশী কঠিন হচ্ছে সার্থক এবং প্রকৃত বাবা’র স্বীকৃতি।

      আশা করি বুঝবেন। অনেক ধন্যবাদ মি. আনিসুর রহমান। :)

      1. কিন্তু আমার মনে হয় ডি. এন. এ পরীক্ষায় প্রমান যোগ্য সকল বাবাই প্রকৃত বাবা । কিন্তু আদর্শ বা সার্থক বাবার সংজ্ঞা ভিন্নতর । সেই অর্থে প্রকৃত বাবা না হয়েও একজন আদর্শ বাবা হতে পারেন । আমার মনে হয় আপনিও এটাই বুঝিয়েছেন । আর তাই আপনার বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই এ প্রশ্নের অবতারণা । শুভ কামনা নিরন্তর ।

    2. খুবই খুশি হলাম স্যার। আপনি যথার্থ দিক বিবেচনায় এনেছেন। :)

  2. সকল বাবা ভাল থাকুক। পুরো লিখাটি পড়ে ভাল লাগল, শুভেচ্ছা নিবেন।

    1. সকল বাবা ভালো থাকুক। ধন্যবাদ মি. আরিয়ান নিহাল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  3. বাবাদিবসে সকলের বাবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। আরhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  4. স্বর্গ পেলে সব স্বাদ মিটে যাবে।
    ———
    জামা কাপুড় কিনতে গিয়ে খুব ভাল একটা পোশাক
    আমার পছন্দ হল,কিনার সামর্থ্য ছিল না
    মনে মনে বললাম- সৎ ভাবে থাকি পরকালে
    অনেক পরা যাবে
    বাজারে খাসির ইলিশ মাছের ১০০০ টাকা কেজি
    সামর্থ্যের অভাবে কিনতে নো পেরে বললাম-
    ও থাক! স্বর্গ যদি পায় অনেক পাওয়া যবে
    রাস্তাতে সেদিন এক রুপবতী নারী দেখে
    মাথা গরম! কি আর করার!
    মনে মনে বললাম- স্বর্গ যদি পায় অনেক হুর পরি পাবো
    সমস্যা নেই
    প্রতিদিন কিছু না কিছু খারাপ কাজের সুযোগ আসে
    আমি জানি আমার মত সরল সোজা বোকা লোক
    খারাপ করলেই ধরা খাবে
    তাই নিজেকে শান্ত্বনা দিই, ও থাক!
    সামান্যর জন্য খারাপ কাজ করে কি হবে?
    স্বর্গ যদি পায় সব স্বাদ মিটে যাবে
    জীবনে অনেক কিছুই মেলাতে পারিনি
    জীবে জল আসে-লোভে লোভে
    তারপরেও বলি স্বর্গ যদি পায় সব স্বাদ মিটে যাবে
    ধর্মের একটি কথা দিয়ে নিজেকে খুব শান্ত্বনা দিই-
    স্বর্গ যদি পায় সব স্বাদ মিটে যাবে
    কিন্তু স্বর্গ যে পাব তার-ই বা গ্যারান্টি কিসের?
    কিন্তু তারপরেও ধর্মের শেখানো বুলিটি
    আমাকে সব সময় সৎ থাকতে উৎসাহিত করে-
    স্বর্গ যদি পায় সব স্বাদ মিটে যাবে।

    1. শব্দনীড় হোম পেজে একজন লিখকের সাধারণত একটি লিখা থাকার নিয়ম। এখন যেহেতু ব্লগে অনেকেই কম লিখছেন সেই কারণে একই লিখকের একাধিক লিখা দেখা যায়। আপনার এই লিখাটি পূর্ব লিখার সাথে পরপর প্রকাশিত হয়েছিলো বিধায় সর্বশেষ লিখাটিকে খসড়ায় রেখে দেয়া হয়েছে। পরে প্রকাশিত হবে। ধন্যবাদ। :)

  5. প্রিয় মুরুব্বী আমি খুব ব্যস্ত মানুষ। ঘর সংসার ,চাকরি ও অন্যান্য কাজে আমাকে থাকতে হয়। আমার মতামত দেওয়ার সময় কম। মতামত দেওয়া, উত্তর দেওয়ার গুরত্ব রয়েছে। কিন্তু ভাই আমার কিছু করার থাকে না।
    ধন্যবাদ

    1. চেষ্টা থাক। সহমত জ্ঞাপন করায় অসংখ্য ধন্যবাদ মি. খালিদ মোশারফ। :)

  6. অসাধারণ বন্ধু। এমন সবিস্তার পোস্ট ভীষণ বিরল। কেন যে লেখা ছেড়ে দিলেন !! :(

    1. লিখবো না বলেই লিখা ছেড়েছি কবিবন্ধু রিয়া রিয়া। ধন্যবাদ। :)

  7. কতদিন আপনার পোস্ট মিস করেছি। আজ জানিনা কেনো মন ভরে গেলো। :)

    1. খুশি হলাম মি. সুমন আহমেদ। ধন্যবাদ। :)

  8. মুরুব্বী, আপনি আসলেই মুরব্বী।  কিন্তু আমি খুদে পাঠক হয়ে একটা কথা বলে যাই। বাবা ভাগ্য অনেকেরই শুভ হয়না। আর যার শুভ হয় না, সে এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্ভাগা শ্রেনীর একজন। 

    1. সঠিক বলেছেন মি. যাযাবর সাজ্জাদ। আমার পোস্টে স্বাগতম জানাই। :)

  9. বাবা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা নিবেন মুরুব্বী দা

    1. শুভেচ্ছা প্রিয় বাউল কবি মি. আলমগীর সরকার। ধন্যবাদ। :)

  10. বাবা দিবস নিয়ে চমৎকার তথ্যবহুল পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা। পৃথিবীর সকল বাবার জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা।        

    1. পৃথিবীর সকল প্রকৃত বাবা'র জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা। শুভেচ্ছা সম্মান আপা। :)

  11. স্মার্ট পোস্ট প্রিয় ভাই। ভালোবাসা জেনো। লিখা ছেড়ে দিয়ে ভালো কাজ করনি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Frown.gif.gif

    1. সবাই লিখলে পড়বে কে সৌমিত্র। আমি কমেন্ট ব্লগার হয়েই থাকতে চাই। :)

  12. বিশ্ব বাবা দিবস নিয়ে আপনার এই লেখনী শব্দনীড় ব্লগে ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মনে করি। তাই বাবা দিবস নিয়ে এই তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরলোকগত বাবাদের আত্মার শান্তি কামনাও করছি।

    1. আপ্লুত হলাম নিতাই বাবু। আমাদের সকল লিখার যোগ্য প্লাটফর্ম হোক শব্দনীড়। ধন্যবাদ।

  13. যা ই লিখেন না কেনো আপনার মধ্যে আমি পাঠকের প্রতি দায় থেকেই লিখেন মনে করি।

    1. যথার্থ মন্তব্য প্রিয় আবু সাঈদ আহমেদ। ধন্যবাদ। :)

  14. অসাধারণ ইলাস্ট্রেশন এবং তথ্য আপনার লেখাতে থাকে আজাদ ভাই। 

    1. বিনীত হলাম কবিবন্ধু শাকিলা তুবা। :)

  15. মুরুব্বী,

    আপনারা সব কাণ্ডারি, রথিমহারথিরা সবাই একসাথে ষড়যন্ত্র করে, কোথায় হারিয়ে গেলেন? ঘটনা কি? বিশেষত আপনি ছাড়া সাইটটা এতিম। 

  16. বাবা বেঁচে থাকুক হাজার বছর, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়    

  17. বাবা দিবস নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট সবার সামনে তুলে এনেছেন প্রিয় কবি আজাদ ভাইয়া। আমার বাবাও চলে গেছেন। পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।শুভ কামনা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।