মুরুব্বী এর সকল পোস্ট

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

প্রসঙ্গ: শব্দনীড় ব্লগ বন্ধ হবে … আপনার লেখার অনুলিপি নিন

14shobdonir

সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে মুখরিত থাক শব্দনীড়। থাকুক সর্বজনীনতা; থাক মুক্ত বাক্ স্বাধীনতার অনন্য একটি মঞ্চ যেখানে অনালোকিত নক্ষত্ররা হাতে হাতে রেখে তৈরী করবে ছায়াপথ … এই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে শব্দনীড়ের পথচলা শুরু।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় শব্দনীড় আপনাদের পাশে থাকতে চেয়েছে এবং থেকেছে। অতঃপর দিনদিন পাঠক সংখ্য, ব্লগার সংখ্যা, মতামতের অনুপাত; ক্রমহারে হ্রাস পেতে থাকায় শব্দনীড় আর অন্তর্জালে থাকবে কিনা অথবা রাখা সম্ভব কিনা সেই প্রশ্নের দরোজায় বিনা বাক্যে দাঁড়িয়ে যায়।

চলতি প্লাটফর্মটি কয়েকজন সু হৃদের শাব্দিক আশ্বাসের ভিত্তিতে চালু হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক বা আর্থিক বিষয়টি নিয়মিত না থাকলে এই সাইট কতদিন চালু রাখা সম্ভব সেই প্রশ্নটিও নিরব ছিলো। সকল আশ্বাস এবং নিয়মিত বা অনিয়মিত সহযোগিতা যখন ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় পৌঁছায় তখন একজন সুহৃদ ব্লগের হাল ধরলে শব্দনীড় তার পথচলা দিনে/দুর্দিনে সুগম রাখতে পেরেছে।

Divider-7aa

প্রিয় ব্লগার এবং লেখকবন্ধু।
শব্দনীড় আজ বাস্তব এক দিনক্ষণের মুখোমুখি। বন্ধ করে দিতে হচ্ছে শব্দনীড়কে।

আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩।
এর মধ্যে আপনার মূল্যবান লেখার অনুলিপি সংরক্ষণ করুন।
www

আপনারাই আমাদের বিকল্প এবং সর্বদা আমরা পরস্পর একে অন্যের পরিপূরক। আপনাদের ঐকান্তিক অংশগ্রহণে শব্দনীড় আজীবন কৃতজ্ঞ।

পরিশেষে সকলের প্রতি আমার হার্দিক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন। ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভকামনা।

aaa_3

এক নজরে ব্লগ পরিসংখ্যান :
search_btn * নিবন্ধিত ব্যবহারকারী সংখ্যা : ৪০৮ জন।
search_btn * পোস্ট সংখ্যা : ১৫,৮৫০ টি।
search_btn * মন্তব্য সংখ্যা : ৯১,৮২৬ টি।

r:ঈদ মোবারক

ঈদ আনন্দের দিন, খুশির দিন, উৎসবের দিন। ঈদ আমাদের জন্য বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ, খুশির বারতা। ঈদের গুরুত্ব আমাদের কাছে যেমন ধর্মীয় তেমনি সামাজিক। প্রতি বছরই ঈদ আসে নতুনের মত। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশীর সওগাত পবিত্র ঈদুল ফিতর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল তার কবিতায় লিখেছেন, ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। আপনাকে তুই বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’ আনন্দের সওগাত নিয়ে আসা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা ঈদ উৎসবে মিলিত হই সকল ভেদাভেদ ভুলে। চাওয়া পাওয়ার হিসাব না মিলিয়ে এক কাতারে সামিল হই। বুঝি মানুষ মানুষের জন্য।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শব্দনীড় এ আমার সকল সহব্লগার, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী, সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। যে যেখানে আছেন সবাই ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ঈদ মোবারক।

পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পাঠক থাক ক্রিয়াহীন

আজকাল নিজেকে মাঝে মাঝে সপ্তাহখানিক এর জন্য ছুটি দিয়ে ফেলি। ভালো লাগে দূরে থাকতে। শব্দনীড় ব্লগের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত এবং বিরাজমান সকল গুণী শব্দ স্রষ্টাদের শব্দ পাঠক হিসেবে ইতিমধ্যেই আমি বেশ সুনাম কুড়িয়ে ফেলেছি। ভালোই লাগে। একটি ব্লগ অথবা একটি পোস্ট; পোস্ট দাতা নেই; কখনও কখনও উঁকিঝুকি মারছেন এখান ওখান থেকে …. ভিন্নজন না বুঝলেও বোঝার বিশেষ ক্ষমতা নামক তৃতীয় অক্ষি নিয়ে ঝিম মেরে থাকা ব্যক্তিটি মুরুব্বী। মানে আমি মুরুব্বী।

আদিনমান এই ব্লগ সেই ব্লগ। মানে বলতে এটা কিন্তু ধরে নেবেন না যে ভিন্ন কোন ব্লগ; বলতে চাইছি শব্দনীড় ব্লগেরই বিভিন্ন ব্লগে চোখ বুলিয়ে বেশ কেটে যেতো আমার কাজের পাশাপাশি বিশ্রাম সময়। ঘুমেও আমি যেন জেগে থাকি। রাত-বিরাতের অনুচর হানা দিলেও টের পাই কে এলো আর কে গেলো। কে লিখা নিয়ে এলো আর কে বাহারি বিজ্ঞাপনের ডালি নিয়ে এলো। ডালি এনে ফেললেও এটা সেটা ঘাঁটাঘাঁটি করাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। কি করা। আমি যে পাঠক। ক্রিয়া থাকা চাই।

দূর্বার গতিতে চলতে থাকে ব্লগ পড়া। সতর্ক থাকি কোন অক্ষর যেন চোখ ফাঁকি না দেয়। দেবে বা দিতে পারে এটা আপন জেনেই চোখকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলি গুণীদের শব্দ দর্পণে। ধন্যবাদ শুভেচ্ছা অভিনন্দন নিয়মিত আছি লিখে যান পড়বো নানা ধরনের আপোষ কামী মন্তব্য। লিখক যখন কিছু লিখেন নিজের সাথে কম্প্রোমাইজ করলেও পাঠক কিন্তু ঠিক ঠিকই বুঝে ফেলেন লিখক তাঁর দায়ভার কোথায় অন্তত সামান্য মনযোগে নিজেকে সরিয়েছেন। পাঠক পাঠকই। পাঠের সঙ্গেই যার সহবাস।

মিনমিন থেকে এবার খানিকটা সোচ্চার হই। আমার এই পোস্ট যারা করুণাভরা দৃষ্টিতে পড়ছেন তাদের কেউ কি বলবেন … যাদের ব্লগ নিয়মিতভাবে শব্দনীড় এ প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁরা কয়টি স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্লগে নিজের উপস্থিতি জিইয়ে রেখেছেন !! শব্দনীড়ে আপনার পাঠক এসে আপনার ব্লগে কথা বলে চলে গেলেও আপনাকে পায় না, ঠিক এমনি করে কি স্বতন্ত্র সেই ব্লগের পাঠকরাও কি আপনাকে এখানকার মতো করে মিস করে !! সত্য পাঠক নিশ্চয়ই মিস করবেন। নইলে পাঠক কিসের !!

একটি পোস্টের সাথে লিখকের তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ততা থাকলে লিখক নিশ্চয়ই অন্যের পোস্টে যাবেন। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন। আমন্ত্রণ জানাবেন। করবেন মূল্যায়ণ। তবেই না আসবে ব্লগ লিখার সুপ্ত প্রাপ্তির প্রাথমিক অর্জন। অর্জন আজকাল আমাদের তেমন করে সিরিয়াস করে তোলে না। শব্দনীড় এর আহবান আমার কাছেও আজকাল দুর্বোধ্য বা নিছক মনে হয়, যখন ব্যানারে স্পষ্ট করে লিখে রাখে ‘সহ-ব্লগারের লিখায় আপনার মন্তব্য দিন। মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্যে ব্লগিং হোক আনন্দের।’

আনন্দ দূরে থাক। আমারও এখন ইচ্ছে করে মহান সব শব্দ স্রষ্টাদের মতো করে চুপচাপ থাকতে। নিজেকে নিয়ে তাঁরা লিখুন। তাঁদের লিখায় শব্দনীড় পাতা অলঙ্কৃত থাক। লগিন বা অতিথি হয়ে বসে থাকুন। যখন ইচ্ছে তখন আসুন। নিজের পোস্ট প্রকাশ করে নিজের মতো করে থাকুন। কারু সাথে কারু সম্পর্কের বালাই না থাক। আমি পাঠক আপনার পোস্টে যাব কি যাবো না তা আমার ‘পরেই থাক। শূন্য থেকে একটি মন্তব্য নিয়ে স্রষ্টা যদি সুখি হোন পাঠকের কী আসে যায়। পাঠক থাক ক্রিয়াহীন।

জনস্বার্থে : সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন

Loc

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত এখন থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে এবং আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১. সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ যে কোনো উপলক্ষে জনসমাগম সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমণ এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে।

২. মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

৩. পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করা হবে।

৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

৫. সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ করতে হবে।

৬. বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা ও উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে।

৮. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
১০. দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
১১. অপ্রয়োজনে রাত ১০টার পর ঘর থেকে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১২. প্রয়োজনে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্ক না পরলে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৩. করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা করোনার লক্ষণ রয়েছে—এমন ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের বাসায় থেকে কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫. সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।

১৬. সশরীরে উপস্থিত হতে হয়—এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. হোটেল, রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে।
১৮. কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

জনস্বার্থে : করোনাভাইরাস : প্রথম আলো। সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

একটা পোষ্ট = একটা দায়িত্ব … আপনার আমার সকলের

index

আমরা যারা নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত লিখি
প্রবীণ হই কিংবা আধা প্রবীণ হই –
আমরা আমাদের নিয়ে থাকি সর্বদা ব্যস্ত।
নবীন ব্লগারদের লিখা চোখে পরলেও সযত্নে এড়িয়ে যাই।
আমরা কি ঠিক কাজটি করছি?

আমরা অবশ্যই যেমন সুস্থ্য আলোচনা চাইবো বা আশা করবো, তেমনি ভুল বা দৃষ্টি নিন্দিত হলেও তা প্রকাশ করবো। এবং সেটাই উচিত করণীয়।
নইলে লেখক তাঁর লিখার মানের অবস্থান নিয়ে শঙ্কায় থাকতে বাধ্য।

মন্তব্য।
লিখক মাত্রই সেটার আশা কিংবা অপেক্ষা করেন।
www

ইদানীং ব্লগে নাম মাত্র কয়েকজন ছাড়া অনেকেই আমরা ঝাড়া গদ বাঁধা ছোট্ট স্তুতি মন্তব্য সাজিয়ে হারাই। যেন নিরবে সরব উপস্থিতি জানিয়ে যাই, আমার একটা লিখা আছে – দয়া করে পড়বেন। বিকিকিনির ঘরে ক্রেতাকে জানাই নিমন্ত্রণ। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমার মতের সাথে অন্যের দ্বিমত থাকলে থাকতেও পারে। ফিরেও আমরা আর সেই ফেলে আসা ব্লগটিতে খুব কম জনেই ফিরি। নতুন ব্লগার বন্ধুদের ঘরে ঢুকতেও আমাদের দ্বিধা কাজ করে প্রচুর। অথচ আমাদের অন্তঃপ্রাণ চেষ্টাই বলুন আর উত্তরসুরীই বলুন তারা এই নতুন প্রজন্ম।

ব্লগের অধিকাংশ লেখক এখনো নতুন। ব্লগিং ব্যাপারটির সঙ্গে তারা সবে পরিচিত হতে শুরু করেছেন। নানা কারিগরী দিকগুলো আয়ত্তে না আনার অলসতা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তবু নিজেকে জানান দেয়ার এবং নিজের লেখা প্রকাশ করার দিকে তাঁদের একটা ঝোঁক থাকবে এটা স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে নিশ্চয়ই তাঁরা অন্যদের লেখার দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। অন্যদের লেখা পড়ে সে বিষয়ে তাঁদের অভিমত জানাবেন। সেজন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

shutterst কমিউনিটি ব্লগিংয়ে সামাজিকতা যোগাযোগ ব্যবস্থা জানা-বোঝার ব্যাপারগুলো আয়ত্তে আসতে কিছু সময় লাগবে। পারস্পারিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ আলোচনা গড়ে উঠবে। সকলের এ আকাঙ্খা যুক্তিসঙ্গত। ব্লগিং-প্লাটফর্ম হিসেবে ব্লগ একটি অবাধ আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠুক এটি আমরা চাই। কিন্তু রাতারাতি তার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পারস্পারিক বোঝা পড়া, চেনাজানার মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে সেটি গড়ে উঠবে।

আমরা চাই একটি সুন্দর এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্লগিং প্লাটফর্ম। নিজের প্রিয় লিখাটি শব্দনীড় এ দিন। সহ-ব্লগারদের লেখা পড়ুন। কিছু বলার থাকলে মন্তব্য করুন। আপনার মন্তব্য তাঁকেও হয়তো টেনে আনবে আপনার ব্লগে। তিনি আপনার লেখা পড়বেন এবং হয়তো মূল্যবান একটি মন্তব্যও করবেন। পরস্পরকে চিনুন। সমমনাদের খুঁজে বের করুন। সবার অংশগ্রহণে ব্লগ হোক মুখরিত।

Slide1-1
যে কোন লিখা ছাপার অক্ষরে এলে- লিখকেরও একটা দায় বর্তে যায়,
“জবাব দিন” শব্দটার কাছে।
লিখককে তড়িৎ না হলেও ভেবে সুস্থির হয়ে একটা উত্তর সাজাতে হয়।
হোক তা সৌজন্য কিংবা ব্যাখ্যা।
আমি মনে করি ‘একটা পোষ্ট = একটা দায়িত্ব’।

can
আমরা যেন অন্যকে ফাঁকি দিয়ে
আগামীতে নিজের বা নিজেদের শূন্যের মধ্যে ফেলে না দিই –
শ্রদ্ধা দিয়ে সবাইকে উৎসাহ দেয়ার নামই হলো শুভ ব্লগিং।

লাইক আনলাইক এবং রেটিং চর্চা অব্যহত রাখুন। ধন্যবাদ।
storyenda

বাবা দিবস … পৃথিবীর সকল প্রকৃত বাবাকে জানাই সম্মান

বাবা দিবস প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের ৫২টি দেশে পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না, তবুও মা দিবসের অনুকরণে দিনটি পালিত হয় বাবা দিবস। বাবার দূর্লভ স্মৃতি বিনেসুতায় গাঁথা। বাবা’র তুলনা বাবা স্বয়ং।

ইতিহাস :
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি পিতারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব পিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে পিতাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার পিতাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।

বাবা দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বাবা দিবসের প্রয়োজনীয়তা :
আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মা দিবস বা বাবা দিবস পালনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো একেবারেই যে অপ্রয়োজনীয়, তেমনটা কিন্তু মোটেও বলা যাবে না। সন্তানের জন্য পিতার ভালোবাসা অসীম। মুঘল সাম্রাজ্যরের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি পিতার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। তিনি সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা, সেই পিতাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। বাবা দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে পিতাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া বাবা দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে পিতাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টিও পিতাদের বেশ আনন্দ দেয়। তাছাড়া অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তাই বলা যায়, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। মোটকথা আমাদের পরিবার তথা সমাজে পিতার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরাই বাবা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।

বাবা দিবসের বৈচিত্র্যতা :
“ফাদারস ডে সেলিব্রেশনের” ক্ষেত্রে দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এ দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। এটি মূল বিষয় হচ্ছে গিফট। অর্থাৎ এদিনে ছেলেমেয়েরা তাদের পিতাদের কোনো না কোনো গিফট দিতে খুব পছন্দ করে। আর পিতারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে বেশ অভিভূত হয়ে যান। এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা পিতাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। আবার কোথাও কোথাও পিতাকে ছেলেমেয়েরা নেকটাই ও উপহার দেয়। অনেকে আবার বাবা দিবস উপলক্ষে স্পেশাল কেক কাটার আয়োজনও করে। আমাদের দেশেও ফাদারস ডে সেলিব্রেশনের ক্ষেত্রে পিতাকে শুভেচ্ছা জানানো, কার্ড দেয়া বেশ প্রচলিত। কার্ড ছাড়াও গিফট হিসেবে ফাদারস ডে মগ, টি-শার্ট ইত্যাদি।

একটি শিশুর জন্য পিতা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবারে একটি শিশু তার নিষ্পাপ চোখে পিতাকে দেখে পরিবারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর, জ্ঞানী, স্নেহশীল এবং পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে। মেয়ে শিশুরা জীবনের শুরুতেই আদর্শ পুরুষ হিসেবে পিতাকেই কামনা করে। অন্যদিকে ছেলে শিশুরা জীবনের শুরুতে পিতাকে দেখে শক্তির উৎস হিসেবে। তাই ছেলে শিশুরা চায় পিতার মতোই শক্তি অর্জন করতে তথা পরিবারের সর্বময় কর্তা হতে। এছাড়া শিশু যখন বাড়ন্ত অবস্থায় থাকে, তখন পিতা তার মূল্যবান উপদেশ দিয়ে সন্তানদের জীবনের পথ বাতলে দেন।

বিভিন্ন ভাষায় পিতা :
জার্মান ভাষায় পিতা শব্দটি হচ্ছে “ফ্যাট্যা” আর ড্যানিশ ভাষায় “ফার”। আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ হচ্ছেন পিতা! চীনে ভাষায় চীনারা আবার ‘বাবা’ কেটে ‘বা’ বানিয়ে নিয়েছে! ক্রী (কানাডিয়ান) ভাষায় পিতা হচ্ছেন ‘পাপা’ তেমনি ক্রোয়েশিয়ান এ ‘ওটেক’ ভাগ্যিশ! ক্রোয়েশিয়ায় জন্মাই নি! কারণ ওরা পিতাকে ‘ওটেক’ ওটেক বলে! দাঁড়ান আরো আছে, ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ ভাষায় পিতা ডাক হচ্ছে ‘পাই’। ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে পিতা ডাক। সবচাইতে বেশী প্রতিশব্দ বোধহয় ইংরেজি ভাষাতেই! ইংরেজরা পিতাকে ডাকেন, ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পপ, পপা বা পাপা! ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় পিতা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। আমরা কিন্তু পিতাকে আদর করে হিব্রু ভাষাতেও ডাকি! হিব্রু ভাষায় পিতা হচ্ছে ’আব্বাহ্‌’। হিন্দি ভাষার পিতা ডাকটি পিতাজী! আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় অর্থাৎ সেই ‘বাহাসা ইন্দোনেশিয়া’য় যদি পিতা ডাকি তাহলে সেটা হবে- বাপা কিংবা আইয়্যাহ! জাপানিরা তাদের ভাষায় পিতাকে ডাকেন- ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য পিতাকে ‘বাবা’ ডাকা হয়! হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় পাপা ছাড়াও পিতা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা। বাংলা ভাষায় বাবা বা আব্বা।

বাবা দিবস দেশে দেশে :
বাবা দিবসের পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের না হলেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশ দিবসটি পালন করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশ একই দিনে বাবা দিবস পালন করে না। বরং বেশির ভাগ দেশের ভিন্ন ভিন্ন দিন রয়েছে বাবাকে ভালোবাসা জানানোর জন্য। এমনকি দেশভেদে বাবা দিবসের রীতিতেও রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য।

প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে বেশ কিছু দেশ। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া, বাহামা, বুলগেরিয়া, কানাডা, চিলি, কলাম্বিয়া, কোস্টা রিকা, কিউবা, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, গ্রিস, গায়ানা, হংকং, ভারত, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, মাল্টা, মরিশাস, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পুয়ের্টো রিকো, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুইজারল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়ে। এদিকে ইরান বাবা দিবস পালন করে ১৪ মার্চ। আবার মার্চ মাসের ১৯ তারিখে বাবা দিবস পালন করে বলিভিয়া, ইটালি, হন্ডুরাস, পর্তুগাল ও স্পেন। প্রতিবছর মে মাসের ৮ তারিখে বাবা দিবস পালন করে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জুন মাসের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে লিথুনিয়া, ৫ জুনে ডেনমার্ক এবং জুনের দ্বিতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে অস্ট্রিয়া, ইকুয়েডর ও বেলজিয়াম। এল সালভেদর ও গুয়েতেমালা বাবা দিবস পালন করে ১৭ জুন। নিকারাগুয়া, পোল্যান্ড ও উগান্ডা ২৩ জুন পালন করে বাবা দিবস। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উরুগুয়ে জুলাই মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করে বাবা দিবস। ডমিনিকান রিপাবলিক জুলাই মাসের শেষ রবিবার দিবসটি পালন করে। ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় দেশ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিল বাবা দিবস পালন করে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় রবিবার। আগস্টের ৮ তারিখে বাবা দিবস পালন করে তাইওয়ান ও চিন। ফুলবল প্রিয় আরেক দেশ আর্জেটিনা বাবা দিবস পালন করে ২৪ আগস্ট। সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড। আবার একই মাসের পূর্ণিমায় বাবা দিবস পালন করে হিমালয় কন্যা নেপাল। পশ্চিম ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ বাবা দিবস পালন করে ৫ অক্টোবর এবং একই মাসের দ্বিতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন। আর এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ড ৫ ডিসেম্বর বাবা দিবস পালন করে।

বাবা। তিনি বটবৃক্ষ, নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের অমল-শীতল ছায়া—তিনি বাবা। বছরের এই একটি দিনকে প্রিয় সন্তানরা আলাদা করে বেছে নিয়েছেন। আজ বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানরা পালন করবেন এই দিবস। ‘কাটে না সময় যখন আর কিছুতে/বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না/জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা/মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না/ আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়…।’ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া এই গানটি সন্তানদের এক অসীম নস্টালজিয়ায় ডুবিয়ে দেয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেট এবং স্যাট টিভির প্রচার দাক্ষিণ্যে বাবা দিবস ঘটা করেই পালিত হচ্ছে। তারপরও এমন ভাবনা অনেকের মধ্যে থাকে যে, বাবার জন্য একদিন কেন! কেউ কেউ বলে থাকেন, বাবা দিবসটা ঠিক আমাদের জন্য নয়। এটি পাশ্চাত্যের। বাবার জন্য আমাদের অনুভূতি প্রতিদিনকার। প্রতি মুহূর্তের। তার জন্য আলাদা দিনের দরকার নেই। কারও কারও অভিযোগঃ এ ধরনের দিবসগুলো করপোরেট কিছু বিষয়কেই বিজ্ঞাপিত করে।

এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য দেয়া যাক। ২০১০ সালের বাবা দিবসে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ৯৫ মিলিয়ন শুভেচ্ছা কার্ড পেয়েছিলেন বাবারা। বলা যেতেই পারে, এ কেবল কার্ড বিজনেস। সবকিছুর পরেও তো বাবা দিবসে প্রিয় সন্তানের কাছ থেকে বাবারা পেয়েছেন শুভেচ্ছা কার্ড। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবাটি দীর্ঘদিন পর দেখা পান প্রিয় সন্তানের। বাংলাদেশে অনেক সন্তান তাদের পিতাকে ভাবে অভাজন। পিতার বুকফাটা আর্তনাদ না শোনার মত সন্তানও এই সমাজে আছে। ‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার/মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার-ওপার। নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামি দামি/সবচেয়ে কমদামি ছিলাম একমাত্র আমি/ছেলে আমার, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম/আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।’ নচিকেতার এই গানের বাস্তবতা মিলবে গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। অান্তর্জাল থেকে।

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।

প্রদায়কের ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শব্দনীড় ব্লগ স্পন্সর করুন অথবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

শব্দনীড় ব্লগের তাবৎ ব্যয়ভার নির্বাহে অর্থ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে, যেকোন প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিচিতি অথবা বিশেষ কোন ইভেন্ট প্রচার; যা শব্দনীড় এর বিজ্ঞাপন নীতিমালার আওতায় পড়বে, তা প্রচার এবং প্রসারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এককালীন অর্থযোগে শব্দনীড় ব্লগকে স্বেচ্ছায় স্পন্সর করতে পারেন। এতে করে ব্লগের তৃতীয় কলামের স্ক্রল লাইনে আপনার কার্যক্রম লাইভ প্রদর্শিত হতে থাকবে। নিউজ সাইটের জন্য সহায়ক।

Prog প্রদশর্নী মূল্যমান পার্থক্যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি স্থান যেমন :

০১. হোম পেজ হেডারের নিচে। প্রত্যেক পাতায় দেখা যাবে। মাপ 468×60 px
০২. হোম পেজ এর দ্বিতীয় কলাম। বিজ্ঞাপন মাপ 208×450 px
০৩. হোম পেজ এর তৃতীয় কলাম। বিজ্ঞাপন মাপ 180×450 px
০৪. ফুটার। বিজ্ঞাপন মাপ 940×80 px (প্রত্যেক পাতায় দেখা যাবে)

Divider 7a

শব্দনীড় বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগ। দেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে আপনার বিজ্ঞাপন শব্দনীড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

sn_logo_new 2017

01743 918 919 [email protected]

logo_2 শব্দনীড় | বাংলা ব্লগ। Facebook Community

অলাভজনক প্লাটফর্ম শব্দনীড় বাংলা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
story

শব্দনীড় অনলাইনে থাকা কতটা দরকার মতামত জানতে চাই

সতত অপর্যাপ্ততা এবং অর্থপ্রাপ্তির সুনিশ্চিত সম্ভাবনা না থাকার পরও শব্দনীড় ব্লগ গত এপ্রিল’১৮ থেকে অনিয়মিত ভাবে দুই দফা বন্ধের পর নিয়মিত ভাবে চলছে।

শব্দনীড় লেখকরা কেউ হয়তো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আবার কোন কোন লিখা আরোপিত। তাদের কেউ কেউ তাদের লিখায় পাঠক মন্তব্যের উত্তর করছেন, কেউ নিজের পোস্টে তো উত্তর করেছনই না উপরন্তু অন্যের লিখা পড়া দূরে থাক; পাঠ প্রতিক্রিয়ায় একটি শব্দও খরচা করছেন না। নিজে লিখুন এবং অন্যের লিখা পড়ুন, মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্যে ব্লগিং হোক আনন্দের এটাই ছিলো শব্দনীড় এর চাওয়া। এই চাওয়া কতটা পূরণ হয়েছে মূল্যায়নের ভার আপনাদের উপর রইলো।

শব্দনীড়কে বাঁচিয়ে রাখতে আপনাদের সঙ্গ এবং আর্থিক অনুদান দুটোই প্রয়োজন। যা সম্ভব দশের সহযোগিতা এবং আন্তরিকতা ভালোবাসায়। দুঃখজনক যে আমরা ২/৩ হতে পেরেছি; দশ হতে পারিনি। প্রয়োজন এককালীন বাৎসরিক খরচা। প্রতি মাসে শব্দনীড় ব্যায় কম বেশী প্রায় ৩,৫০০ টাকা। বাৎসরিক হলে কিছুটা সাশ্রয়।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের প্রদর্শনের আবাহন করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি। দুই একজন ক্ষুদ্র বা আংশিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলেও ধীরে ধীরে তাও হিমঘরে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এভাবে অনলাইন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। যেখানে পারস্পরিক সম্পর্কও দিন দিন দূরত্ব বাড়িয়ে চলে !!

আপনার অনুদান ছোট হলেও ক্ষতি নেই। শব্দনীড় এর হিসাব খাতে স্বনাম প্রকাশ অথবা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবেও আপনি থাকতে পারেন শব্দনীড়ের পাশে। যে কোন অনুদান পাঠাতে শব্দনীড় এর অফিশিয়াল এবং পার্সোনাল হিসাব নাম্বার সংগ্রহে রাখুন। শব্দনীড় সর্বজনীন। মুক্ত বাক্ স্বাধীনতায় শব্দনীড় সকলের পাশে।

প্রবাস থেকে :

13014951_1264109813618225_1805744498_n

Azad Kashmir Zaman
Mobile # 01743 918 919
NID : 464 228 1987
www

শব্দনীড় অনলাইনে থাকা কতটা দরকার আপনার মতামত জানতে দিন।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭৬

স্বপ্ন লালন করি আবার আসবো ভেবে ধরে রাখি মস্তিস্কের একতারা …
আকাশ আঁধারের স্বপ্ন খেলায় আধোছায়া আলোর দুয়ারী; তুচ্ছ সব বেলা।


আপনার পোস্টের ডান কলামে ফেসবুক লোগোতে ক্লিক করুন। ছড়িয়ে যাক বন্ধু আত্মীয়ের মাঝে আপনার সকল সৃষ্টি বা ভালোলাগা লিখা সমূহ। শব্দনীড় আপনার।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭৫

জীবনে সব বদলায়। এভাবেই বদলে যেতে যেতে সময়ও বদলে যায় …
আমাদের বদলে যাওয়া সময়ে আমরাই থাকি আমাদেরই সময়ের সাক্ষী।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।


আপনার পোস্টের ডান কলামে ফেসবুক লোগোতে ক্লিক করুন। ছড়িয়ে যাক বন্ধু আত্মীয়ের মাঝে আপনার সকল সৃষ্টি বা ভালোলাগা লিখা সমূহ। শব্দনীড় আপনার।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭৪

সমস্বরের সংলাপ থেমে গেলে; পরাজিতের থাকে স্মৃতিচারণ
অথবা উপদ্রবহীন সুখশয্যা।

অপেক্ষমান এ পারওপার। প্রগাঢ় কণ্ঠস্বরের শ্রুতিমধুর সরল প্রহসন;
সত্যের অতি সত্য।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭৩

জ্যোৎস্নার কাছে রাত্রি সমর্পিতা; মহার্ণব যেন সব অলৌকিক কারু আল্পনা …
এ যেন তবু কল্পনা নয়; নয় শিল্পের আশ্রিতা; অজর সঘনে শুনি শর্তহীন মূর্চ্ছনা।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম … জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি …

কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কালপুরুষ এই মহান প্রাণ একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ দার্শনিক সাহিত্যিক নির্ভীক দেশপ্রেমী সাংবাদিক রাজনীতিবিদ কবি এবং সৈনিক। যিনি আজীবন গণমানুষের অত্যাচার এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন প্রতিবাদ করেছেন।

ইংরেজী ১৯২১ সাল। তখন দেশজুড়ে চলা অসহযোগ আন্দোলন বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। নজরুল কুমিল্লা থেকে কিছুদিনের জন্য দৌলতপুরে আলী আকবর খানের বাড়িতে থেকে আবার কুমিল্লা ফিরে যান ১৯ জুনে। এখানে যতদিন ছিলেন ততদিনে তিনি পরিণত হন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীতে। তাঁর মূল কাজ ছিল শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে গান গাওয়া। তখনকার সময়ে তার রচিত ও সুরারোপিত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “এ কোন পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়, আজি রক্ত-নিশি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে” প্রভৃতি। এখানে ১৭ দিন থেকে তিনি স্থান পরিবর্তন করেছিলেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান। ২১ নভেম্বর ছিল সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল। এ উপলক্ষে নজরুল আবার পথে নেমে আসেন; অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করেন আর গান করেন, “ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী”। নজরুলের এ সময়কার কবিতা, গান ও প্রবন্ধের মধ্যে বিদ্রোহের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বিদ্রোহী নামক কবিতাটি। বিদ্রোহী কবিতাটি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং সারা ভারতের সাহিত্য সমাজে খ্যাতি লাভ করে। নজরুল নিজেকে বর্ণনা করেন –

আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর !

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন।

মহা- বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

আমি চির বিদ্রোহী বীর –
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির !

১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করে। এটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হতো। ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে কবিগুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন –

কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।

পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে এই বাণী লিখা থাকতো। পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দী প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দী দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দী বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে। এই জবানবন্দীতে নজরুল বলেছেন:

আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজ বিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত। … আমি কবি, আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সে বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায় বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে …।

১৬ জানুয়ারি বিচারের পর নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে যখন বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন তখন (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি ২২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত গীতিনাট্য গ্রন্থটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এতে নজরুল বিশেষ উল্লসিত হন। এই আনন্দে জেলে বসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রচনা করেন।

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে –
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার – ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে –
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম : ২৫শে মে ১৮৯৯ ইং। ১১ই জৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ।
মৃত্যু : ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ ইং। ১২ই ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ। তথ্যসূত্র : আন্তর্জাল।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭২

‘বিনা সাজে সাজি দেখা দিয়েছিলে কবে. আভরণে আজি আবরণ কেন তবে …
ভালোবাসা যদি মেশে আধা-আধি মোহে.
আলোতে আঁধারে দোঁহারে হারাব দোঁহে।’

বিনা সাজে সাজি দেখা দিয়েছিলে কবে,
আভরণে আজি আবরণ কেন তবে।।
ভালোবাসা যদি মেশে আধা-আধি মোহে
আলোতে আঁধারে দোঁহারে হারাব দোঁহে।
ধেয়ে আসে হিয়া তোমার সহজ রবে,
আভরণ দিয়া আবরণ কেন তবে।।
ভাবের রসেতে যাহার নয়ন ডোবা
ভূষণে তাহারে দেখাও কিসের শোভা।
কাছে এসে তবু কেন রয়ে গেলে দূরে—
বাহির-বাঁধনে বাঁধিবে কি বন্ধুরে,
নিজের ধনে কি নিজে চুরি করে লবে।
আভরণে আজি আবরণ কেন তবে।।

প্রেম। গীতি কাব্যের স্রষ্টা শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
________________________________________

দোঁহা অর্থ, দোঁহা সংজ্ঞা : অপভ্রংশে ও মধ্যযুগের হিন্দিতে প্রচলিত ছন্দোবিশেষ অথবা উক্ত ছন্দের দুই চরণবিশিষ্ট পদ (কবিরের দোঁহা)। [হি. দোহা < সং. দ্বি]। দোঁহা2 [ dōm̐hā2 ] সর্ব. (ব্রজ.) দুইজন, উভয়। [সং. দ্বি]। দোঁহার, দোঁহাকার, সর্ব. বিণ. (ব্রজ ও কাব্যে) দুজনের, উভয়ের (দোঁহাকার মন)। দোঁহে সর্ব. (ব্রজ. ও কাব্যে) উভয়ে ('দোঁহারে দেখিছে দোঁহে')। ___ বিষয়গুলোন যথেষ্ঠ কঠিন;
তাই অভিধান থেকে নেয়া।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।

ব্লগবুক অণুলিখন ৭১

সম্পর্কীয় বিশেষণে তেমন যুতসই বন্ধন থাকে না আজ।
অভিজাত শব্দে রসনা বিলাস।

___ রেটিং বাটনে ক্লিক দিতে পরিশ্রম কম
রেটিং চর্চা অব্যাহত রাখি আসুন। ধন্যবাদ।