আষাঢ়ে ভেসে গেছে সবকিছু—
পুরাতন পাপ-তাপ আর নাই অবশিষ্ট,
মাঠ-ঘাট ছাপিয়ে পানি জমেছে উঠানে,
ভারি সুন্দর কবিতার ফুল ফুটেছে আষাঢ়ে!
বিশ্রী ময়লায় ভরে ছিল চারপাশটা
দাবদাহে মেজাজ হয়েছিলো খুব খিটখিটে
আর তাই মেজাজটা বিগড়ে
তাপমাত্রা উঠেছিলো একঠেলায়
একশ’ ত্রিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস!
সবকিছু এখন ঠাণ্ডা,
আর চারপাশটা কী নীরব!
সবকিছু দেখতে লাগছে খুব ভালো,
জরা-জীর্ণ ধুয়ে-মুছে একেবারে সাফ!
আষাঢ়ের আগমনে শুভ্রসুন্দর
কবিতার ফুল ফুটেছে আজ বাংলার উঠানে!
কদমফুলটার হাসি দেখতে পাচ্ছি—
আজ সকালে কী সুন্দর স্নান-শেষে
অবিরত হাসছে আমাদের বাড়ির একপাশে।
হতাশা-গ্লানি-ক্রোধ ধুয়ে-মুছে
আমাদের মনটাকে শুভ্রসুন্দর করেছে আষাঢ়,
আজ সকাল থেকে অবিরাম গতিতে
আকাশ থেকে ঝরছে জলমুক্তাধারা!
এসো বন্ধু এসো হাসিমুখে—
দেখে যাও একটুখানি ভালোবেসে
সারাবাংলায় শুরু হয়েছে খুশির কাব্যপাঠ!
এই বাংলায় কবিতার ফুল ফুটেছে আষাঢ়ে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
১৮/০৬/২০১৭
আপনার লিখায় প্রচ্ছদ অথবা ইলাস্ট্রেশন যোগ করণ চমৎকার হয়।
প্রচ্ছদ ব্যবহারের পরিমিতিবোধে একজন লিখকের রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
সে হিসেবে আপনার পোস্ট অনন্য এবং লিখায় অনবদ্য মি. সাইয়িদ রফিকুল হক।
অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
সঙ্গে রইলো শুভকামনা।
আর শুভেচ্ছাসহ