খুশির ঈদ

রমজানের রোজা শেষে এলো খুশির ঈদ
আকাশে-বাতাসে সরোবর মহানন্দের ঈদ
ভোর প্রভাতে শুরু হয় মহা খুশির ঈদ
ছেলে-মেয়ে সাধ সাজে নতুন কিছুর ঈদ
ঈদে কারো আনন্দ ফূর্তি দুস্থের মন মলিন
ব্যস্ত কেহ কেনা কাটায় ঘরে ফেরার দিন
গাড়িতে বড্ড জ্যাম্ টিকিটহীন কারবার
লঞ্চ-ইস্টিমারে দুর্দশা নদীতে অথই জল
পথে বসে ভ্রাম্যমান আদালত ট্রেনে ছিনতাই
যাকাত নিতে ডাকাত হাতে প্রাণ হলো সার।
হত্যা গুমের রাজনীতিতে কতই শোকাকার
কারো থাকে মাংস পোলাও কারো ডাল ভাত
হায়রে খুশির ঈদে পথে ক’জন চাইছে ভাত
বছর ঘুরে এলো ঈদ আনন্দ হোক সবার।
-০-

_________________
অমর ২১ শে বই মেলা-২০১৭
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘‘স্মৃতির কাছে’’ বই থেকে।

এম এ বাসেত সম্পর্কে

সাংবাদিক এম.এ. বাসেত গত ১৯৮৫ খ্রি. তেঁতুলিয়া সদরের বারঘরিয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. নিজাম উদ্দিন, মাতার নাম মোছা. আয়েশা খাতুন। পরিবারে ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। শৈশবে তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পাসের পর কালান্দিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা থেকে দাখিল/এসএসসি সমান বোর্ড পরীক্ষায় ১৯৯৯ খ্রি. দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৩ খ্রি. তেঁতুলিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচ.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে সাফল্যের সংগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৭ খ্রি. সালে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ পঞ্চগড় (পঞ্চগড় এম আর কলেজ) থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় ২য় শ্রেণিতে এবং ২০০৮ খ্রি. রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি শৈশবে কবিতা ও ছোট গল্প লিখার মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে অদ্যাবধি কাজ করে আসছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পাতায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। ইতোমধ্যে তাঁর অর্ধশতাধিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায়, শিক্ষা তথ্য পাবলিকেসন্স থেকে তাঁর লিখা ‘‘ লাল সবুজের পতাকা হাতে যুদ্ধা ফিরে ঘরে” এবং ”স্মৃতির কাছে’’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ সহায়তা নিয়ে ২০০১ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলায় জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স নামে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন। পরবর্তীতে উক্ত ট্রেনিং সেন্টারটিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার এডুকেশন (বিসিই) তেঁতুলিয়া শাখা হিসেবে রুপান্তর করেন এবং পরিচালক ও ট্রেইনার হিসেবে বেকার-যুবক/যুব মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মনির্ভরশীল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

4 thoughts on “খুশির ঈদ

  1. পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন মি. এম এ বাসেত। শুভ দিন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. আপনাকেও ঈদ শুভেচ্ছা। আশা করি তেঁতুলিয়া বেড়াতে আসবেন। ভাল থাকেন।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

      1. নিশ্চয়ই আসবো। ধন্যবাদ মি. এম এ বাসেত। :)

  2. আনন্দ হোক সবার।

    শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা নিরন্তর…

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।