কেউই আসেনি তারা

কেউই আসেনি তারা

যাদের আসার কথা ছিল,
কিভাবে সব বিস্মৃতির তলায়
একে একে রেখে দিল
শেষ স্মরণ চিহ্ন সকল।

সমস্ত দরজা খুলে রেখেও
সিদ্ধ ও নিষিদ্ধ ঘণ্টাধ্বনি
একটানা অক্লান্ত বাজিয়েও
কেউই এলোনা আষাঢ় সন্ধ্যায়।

দুহাতের তালুর কেন্দ্রে
দুটুকরো বিষকণা ঝকমক,
পারিজাত আর হেমলক
একই সারিতে জ্বলজ্বল করে।

সিক্ততার সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়ী
ভালোলাগায় চুপটি বাস,
অরন্যকন্দর থরথর কেঁপে
ক্ষিপ্রতায় আসে ভয় ও অবিশ্বাস।

মারা যাওয়ার আগে শেষ
খাবি খায় অনন্ত রোদ্দুর,
বন্ধুর সম্পর্ক গ্রাফে তিলতিল
মৃত্যু পরোয়ানা কালো ছোপ ফেলে।

এরপরেও রাত নামবে গম্ভীরা
গানের সুতীক্ষ্ণ আশ্লেষে,
শুধু ঘর ফাঁকা থেকে যাবে
বাসজন আসবে না কেউই।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

3 thoughts on “কেউই আসেনি তারা

  1. অপেক্ষার কথামালা ভালো লাগল দাদা

  2. এরপরেও রাত নামবে গম্ভীরা
    গানের সুতীক্ষ্ণ আশ্লেষে,
    শুধু ঘর ফাঁকা থেকে যাবে
    বাসজন আসবে না কেউই।
    *ভীষণ মুগ্ধ হলাম ! শুভকামনা কবি !

  3. কবিতার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি সৌমিত্র। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।