এলেবেলে-২৮

সুইস ব্যাংকই নিরাপদ

প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে, এনিয়ে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী। প্রবাসীরা এখন সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছে (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক )। প্রবাসীরা এতদিনে বুঝে গেছে ঐ টাকা বাংলাদেশের চেয়ে সুইস ব্যাংকে রাখাই নিরাপদ।

বাংলাদেশের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি দরকার হয় না। বৈধপথে সে টাকা প্রবাসে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জটিল দেয়াল পার হতে না পেরে হুন্ডি ব্যবসায়ীর শরণাপন্ন হতে হয়।

আবার যারা রেমিটেন্স বিদেশে পাঠান তাঁদের তো এসব ঝামেলা নেই। আন্ডার ওয়ারের ভিতর দিয়েই উনারা এসব সেষ করেন। একবার বিদেশ যাবার সময় বিমানবন্দর থেকে ডলার কেনার পর উনারা আমার পাসপোর্টে লিখে দিলেন কত ডলার আমি কিনেছি। এটা বাংলাদেশ আর ভারতে দেখেছি … অন্য কোন দেশের ব্যাংক বা মানি একচেঞ্জের পাসপোর্টে লিখার ক্ষমতা নেই (অন্তত আমি যে কটা দেশে গিয়েছি সেখানে দেখি না)।

সুইস ব্যাংকই ভালো। এক লক্ষ টাকায় এক হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয় না।

আমাদের দেশের কয়েকজন উচ্চপদস্ত ব্যাংকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত ফিরে পাওয়া যাবে। উনারা বলতে পারেন নি। বিশ্বাস না হয় তো আপনার সঞ্চিত অর্থ যে ব্যাংকে আছে সে ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইতে পারেন।

সুতরাং সুইস ব্যাংকেই ভালো। সুইস ব্যাংকে হিসাব খোলা বাংলাদেশের ব্যাংকে হিসাব খোলা থেকে অনেক সহজ (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক)। শুধুমাত্র পাসপোর্ট থাকলেই আপনি বিদেশের ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন।

মিতা সম্পর্কে

দিন ফেলে রাতে দৌড়াই; রাত ফেলে দিনে। শরীর ফেলে মনে দৌড়াই; মন ফেলে শরীরে।সব পাই,আবার কিছুমাত্রও পাই না। স্বপ্ন ঊড়ে বারে বারে,তবুও স্বপ্ন দেখি লেখাপড়া ক্লাস ফাইভ ।

1 thought on “এলেবেলে-২৮

  1. দেশীয় ব্যাংকগুলোর অহেতুক গোয়ার্তুমি আর নীতিহীন নীতিবাক্য গ্রাহক অসন্তুষ্টি দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। বিদেশী ব্যাংকগুলোর ওয়ান স্টপ সার্ভিস আকর্ষনীয়।

    বিশেষ করে সুইস ব্যাংক হলে তো কথাই নেই। সমকালীন আলোচনায় ধন্যবাদ স্যার।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।