মিতা এর সকল পোস্ট

মিতা সম্পর্কে

দিন ফেলে রাতে দৌড়াই; রাত ফেলে দিনে। শরীর ফেলে মনে দৌড়াই; মন ফেলে শরীরে।সব পাই,আবার কিছুমাত্রও পাই না। স্বপ্ন ঊড়ে বারে বারে,তবুও স্বপ্ন দেখি লেখাপড়া ক্লাস ফাইভ ।

দেশের মিডিয়াতে না থাকলেও

বাংলাদেশে অনলাইনে অফলাইন এ জুয়া,পর্নো নিষিদ্ধ।
মজার ব্যাপার হলো দেশের অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে নিয়মিত, এমনকি পর্নোও। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিদিন প্রচুর দেশী পর্নো আপলোড হচ্ছে।
হাতের মোবাইলে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটেছে,কে কি বলেছেন বা করেছেন তা সবাই দেখতে পায়। বাংলাদেশের মিডিয়াতে কি দেখাল বা কি দেখাতে হলো তার জন্য কেউ বসে থাকে না।লেবুর বাম্পার ফলনের নিশ্চয়ই মনে আছে।
যদি দেশটি চীন বা উত্তর কোরিয়া হতো তবে অন্য ব্যাপার..। চীন, উত্তর কোরিয়া সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার বা কমিউনিস্ট পার্টির বিপক্ষে যায় কোন কিছুই লেখা যায় না। বিদেশী মিডিয়াতেও যখন চীনের সরকারের মতের বিরুদ্ধে যায় তখন টিভির পর্দায় তুষার পাত শুরু হয়। এমনকি চীন নতুন যে AI সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে সেখানেও তিয়ানমেন স্কোয়ার মতো ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো তথ্য পাবেন না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন ইন্টারনেট বন্ধ করে বা মিডিয়াতে সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও মানুষের কাছে সব তথ্য পৌঁছে গিয়েছে এটাও একটা উদাহরণ।

মৌ

173

মৌ
অনেক দিন পর তোমার ম্যাসেজ, ফোন করতে বললে। ফেসবুকে নয় সরাসরি মোবাইল এ।

অনেক দিন পর কথা হলো। একদিন তোমাকে বলেছি, তোমার কাছের মানুষ গুলোর তোমার কাছে অনেক কিছুই চাওয়া বা পাওয়ার সময় এখন। তাই যতটুকু সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেছি। আমি জানি, কোথায় থামতে হবে। একটা সময় ছিল ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা কথা বলেছি। সময় সবকিছু বদলে দেয়।

তোমার জন্য আমি সত্যিই ব্যথিত। তুমিই তোমার ভবিষ্যৎ বেছে নিয়েছিলে, আমি তখন তোমাকে কি বলেছি মনে করতে পারি। বেশিরভাগ মানুষই একটা ভুলকে ভুলতে গিয়ে আরেকটা ভুল করে। তুমি একটা সুন্দর কথা বলেছো, ওর একটা শিক্ষিত কাজের মানুষের দরকার ছিল, আমি তাই।

এই কথাটাই অনেকেই বুঝতে পারে না। তুমি বুঝতে পেরেছো। এই সত্যটা বুঝতে কারো কারো সমস্ত জীবনটাই পার হয়ে যায়। তোমাকে ম্যাসেজ এই বলতে পারতাম। ইচ্ছে করেই বলছি না। ম্যাসেঞ্জার এ কিছু না লেখাই ভালো। আত্মবিশ্বাস হীন মানুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যকে অবিশ্বাস করেন। এটা এক রকমের মানসিক সমস্যা। কেউ যখন কাউকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে তাও নিজের অক্ষমতা এবং অবিশ্বাস এর কারণেই করে। একবার কারো গায়ে হাত তোলার অভ্যাস হয়ে গেলে তা আর বদলানো যায় না, তা সন্তানই হোক বা স্ত্রী হোক, এমনকি বাবা মাও।

কি জানো, প্রেম ভালোবাসা সংসার দাম্পত্য এই বিষয়গুলো শ্বাশত কোন সংজ্ঞা নেই। তুমি যে সমাজে বাস করবে তাই মুখ্য। এমনকি শরীরও। একা একজন মানুষ বাঁচতে পারে। এই কথাটি তোমার সমাজ বা দেশ মেনে নিতে পারে না। তুমি কোথায় একা বেড়াতে যেতে পারবে না। বাসা ভাড়া নিতে পারবে না, বাসে ছেড়ে যেতে পারবে না। কতো সমস্যা।

কি জানো মানুষ সব সময় নিজের জন্য বেঁচে থাকে। যুদ্ধ করো নিজের জন্য। লিও টলেষ্টয়ের সেই ‘ওয়াট ম্যান লিভ বাই’ গল্পটা মনে নেই! ম্যাসেঞ্জার এ কিছু লেখার দরকার নেই। তিনি তোমার মহৎ হবেন এমন তো কথা নেই। তুমি আমি মরে গেলেও এই মহাবিশ্বের তো নয়ই, কোন মানুষেরই কিছু যায় আসে না।

ভালো থেকো। যতদিন বাঁচো নিজের জন্য বেঁচে থেকো।
একটা ভুলের মাশুল দিতে নতুন কোন ভুল করো না।

মিতা

কোন খানে বিয়া কইরা কোন দেশে গিয়ে ঝামেলা করে

jnDor_5f একজন বাংলাদেশী আমেরিকায় গিয়ে নাগরিকত্ব নিলেন। তারপর জাপানে গিয়ে একজন জাপানী নাগরিকের সাথে জাপানী আইন অনুযায়ী বিবাহ করেন। তাদের মধ্যে তিনটি বাচ্চা হবার পর কোন কারনে সমস্যা সৃষ্টি হলে সেই বাংলাদেশী আমেরিকান জাপানের আদালতে ডিভোর্স এর আবেদন করার পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দুই বাচ্চা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। তারপর দুই মেয়ের অভিভাবকত্বের মামলা করেন। মামলা এখনো চলছে।

সেই বাংলাদেশী আমেরিকান এখনো বলছেন, তাদের মধ্যে এখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নাই। বিবাহ বিচ্ছেদ এর আগে সন্তানের অভিভাবকত্ব বা জিম্মা দাবি করা যায় কি?

আবার যে বিবাহ বাংলাদেশের বাইরে নিবন্ধিত সেই বিবাহ বা ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের আদালত দিতে পারে কি?

সেই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক বিবাহের পরও নিজেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে পরিচয় দিয়ে স্ত্রীর ছোট বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। ভদ্রলোক যে জাপানী নাগরিককে বিয়ে করেছেন তার ছোট জাপানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন এর সাবেক উপস্থাপিকা। তাঁর নাম লিখে অনলাইনে সার্চ করলে পারিবারিক তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়।

জাপানের আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ এর পরও সন্তানদের সাথে দেখা করার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন জাপানী মডেল আছেন, যার নাম ROLA। বাবা বাংলাদেশী, মা জাপানীজ। বাবা মা র বিচ্ছেদ এর পরও রোলা এবং তার ভাই এর দায়িত্ব বাবার কাছে ছিল, জাপানী আইন সম্পর্কে বাংলাদেশী আমেরিকান যা বলেছেন তা ঠিক নয়।

মোরাল অব দ্যা পোস্ট-
স্বামী স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ এর আগে সন্তানের অভিভাবকত্ব বা জিম্মা দাবি করা যায় কি? কোনটা আগে?

প্রিয় বন্যা

34710074_n

প্রিয় বন্যা
কেমন আছ, ভাল থাক সব সময় সেই কামনা। অনেক দিন পর লিখতে বসেছি।

লিখতে গিয়ে কিছুটা থমকে গেলাম। ইংরেজীতে যত সহজে Dear লিখা যায়, বাংলাতে “প্রিয়” যেন তত সহজে লিখা যায় না। বাংলাতে কাউকে নামের আগে প্রিয় লিখতে গেলে বুকের ভেতর কেমন একটা মোচড় দিয়ে উঠে। ইংরেজী Dear এর যেন অনেক মানে হয়ে উঠে “প্রিয়”। একেকটা ভাষার একেক রকম সীমাবদ্ধতা যেমন আছে তেমন একেক রকম অর্থও আছে।

মনে আছে সেই অনেকদিন আগে টিভিতে বসুন্ধরা হাউজিং এর বিজ্ঞাপনে একটি সংলাপ শুনেছিলাম “লোকেশানটা খুব চমৎকার” পরে তোমাকে বলেছিলাম লোকাশান শব্দে যে ম্যাসেজ(বার্তা) আছে এর বাংলা প্রতিশব্দে সেভাবে প্রকাশ করা যায় না।

কত বছর আগের কথা ২৮ বছর তো হবেই। কত সময় চলে গেছে আমাদের জীবন থেকে… চিঠির মত এমন সুন্দর জিনিস মনে হয় আর নেই। চিঠি লিখা আর চিঠি পাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ তা আর কিছুতেই নেই। ডিজিটালের যুগে আমি এখনো মেইল এর চেয়ে চিঠিকেই ভালোবাসি, মনে হয় পরিবর্তনের এই জোয়ারে আমি এখনো এনালগ রয়ে গেলাম।

আমার স্ত্রী সব জানেন, বোঝেন। এও জানেন তোমার সাথে আমার যোগাযোগ আছে। ইচ্ছে করেই হয়তো মুখ ফুটে বলতে চান না। “কে হায় হৃদয় খুঁড়ে যন্ত্রনা জাগাতে ভালোবাসে”। এক জন মানুষের জীবনে এবং মনে অনেক মানুষ এর ভুমিকা থাকে। ভাগ্যিস মানুষ অন্যের মন দেখতে পায় না, যদি দেখতে পেত সংসারের সব সুখ উড়ে যেত …

তুমি রবে নিরবে হৃদয়ে মম …

আমি আমৃত্যু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভক্তই রয়ে যাব। সব কিছু ফেলে যদি তোমার আগে চলে যাই তবে একটা অনুরোধ করতে চাই। আমার মৃত্যুর পর যদি আমার লাশ (মানুষ মরে গেলে লাশ হয়ে যায়, এই শব্দটা আমার একদম পছন্দ নয় ) দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যদি তোমার হয় তাহলে আমার সংগ্রহে থাকা “সাগর সেনের” রবীন্দ্র সঙ্গীত গুলো শুনাবে … আমি জানিনা মানুষ মরার পর কোথায় যায়, হয়ত তুমিও …

কেন আজ মৃত্যুর কথা লিখলাম …
আমি তো নতুন স্বপ্ন দেখছি ২০২১ নিয়ে তা তুমি জানো। মান্না দের একটি গানের কলি দিয়েই আজ শেষ করছি “স্বপন যদি মধুর এমন, হোক সে মিছে কল্পনা, জাগিও না, আমায় জাগিও না।”

ভালো থেকো, সুস্থ থেকো, সুন্দর থেকো শুধু নিজের জন্য। আর আমিও ভাল থাকব। ভাল থাকার জন্য যে জীবন আমি বেছে নিয়েছি, ভাল না থেকে কি পারি বলো।
মিতা।

এই ঘরে এক দুপুরে একবারই তুমি এসেছিলে!

02260043

বই গুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল!

কিছু সাথে নিয়ে এসেছিলাম। ঠিক এক বছর পর ফিরে গিয়ে দেখি কিছু পোকার আক্রমনের মুখে, কিছু বেহাত। বইয়ের চেয়ে বেশি খারাপ লাগছে কিছু চিঠির জন্য। বইগুলো ইচ্ছে করলেই আবার সংগ্রহ করা যাবে অবশ্য সেই রকম ইচ্ছে নেই।

বইয়ের চেয়েও যা হারিয়েছি তা হলো, ‘চিঠি’। আমাকে লেখা অনেকেরই চিঠি ছিল। তোমারও থাকতে পারে। সেই চিঠি গুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল জানি না। অবশ্য অনেকেই বলেন, তুমি তো রবীন্দ্রনাথ না যে তোমার মৃত্যুর পর তা নিয়ে বই বের হবে! আসলেই তাই। আমি তো রবীন্দ্রনাথ নই, কিন্তু আমি যে আমি। চিঠির মতো ভালো কিছু হতে পারে তা আমি মনে করি না।

আমার যৌবনে ম্যাসেঞ্জার, এস এম এস ছিল না। কতো কিছুই বলা যায় চিঠিতে, যা মুখে বলা যায় না।যে কখনো চিঠি লিখে নাই, চিঠি পায় নি সে কতো কিছু থেকে বঞ্চিত তা যদি বুঝতো! এক বিছানায় এক ছাদের নিচে থাকার পরও আমরা দুই জনও চিঠি লিখেছি একে অন্যকে! পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে, থাকে। সেই চিঠিতে ভালোবাসা ছিল, কান্না ছিল। আনন্দ ছিল। বিচ্ছেদ ও ছিল। কারো সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাবার পেছনেও চিঠিরও বড় ভূমিকা ছিল, অবশ্য তিনি কখনোই বুঝতে পারেননি, এখনও নয়।

সে প্রসঙ্গ থাক। বইগুলো চাইলেই তোমাকে দিতাম। এতোদিন পর বললে ..

এখন আর বই সংগ্রহে রাখি না। পড়া শেষ হলে কাউকে দেই। অথবা বইটা শেষ করার পর সেখানে রেখে আসি, কারো ভালো লাগলে নিতে পারে। এখন একটা ভাবনার মধ্যে থাকি যা পছন্দ করে আলমারি ভর্তি করছি, চলে যাবার পর অন্যের আগ্রহ না থাকলে তা শুধু বোঝাই হবে তাদের জন্য। তা বইই হোক আর ফুল ই হোক।

এখনো অনেকের সাথে ম্যাসেঞ্জার বা এসএনএস এ অনেক কথা হয়, কি জানো আমি তা মুছে ফেলি না। একটা মজার কথা বলি, একজনের সাথে আমি বছরের পর বছর চ্যাট, ফোন এ কথা বলেছি। আমাদের দুজনের মধ্যে কম করে হলেও বিশ বছরেরও বেশী বয়সের পার্থক্য ছিল। অবশ্য আমি কখনো তার বয়স জানতে চাইনি, তিনিও। দুই জন দুই জনকে তুমি সম্বোধন করতাম। একদিন সে প্রেমে পড়ে গেল, তারপর তার সাথে বিয়ের আগে ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ হলো..

বাবা যে কথাটা আমাকে বলেছিলেন তা নিজের মতো করে বলেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবটুকু যখন নিজের কাছে থাকে এর দায়ও নিজেই নেবে। সবাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তুমি পারছো। তোমাকে অভিবাদন।

তারও পরে সে আমাকে বলেছিলো, আমি তোমার সাথে চ্যাট গুলো মুছে ফেলতে চাই না। আমি তোমাকে ‘আপনি’ করে লিখবো। তুমি করে বললে বা লিখলে কেউ যদি অন্য কিছু মনে করে! শুধু ‘তুমি’ দিয়েই দুই জন মানুষের সম্পর্কের পরিমাপ করা যায় না। আমার মা র মতো কতো মানুষই স্বামীকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেই এক একটা জীবন চালিয়ে দিয়েছেন বা দিচ্ছেন।

যে কথাটা তাকে বলিনি –
‘তুমি উদার বলেই যে তিনিও হবেনই এমন তো কোন গ্যারান্টি নেই। ভালোবাসা যে সব সময় ঔদার্য দেয় এমনও নয়। অনেক সময় মানুষকে তা সংকীর্ণ, ঈর্ষাকাতর করে তোলে। সেটা প্রেমিক প্রেমিকার দোষ নয়, ভালোবেসেও পজেসিভ না হওয়াটা অত্যন্ত উচ্চ মার্গের স্ত্রী পুরুষের পক্ষেই সম্ভব।’

তোমাকেও একই কথাটি বলতে চাই।
তোমাদের দুই জনের সম্পর্কটা কিভাবে গড়ে উঠেছে, জানি না।

এলেবেলে -৩৮

592

অনেকের ধারণা করোনা ভ্যাকসিন তৈরির মেধাস্বত্ব তুলে দিলে যে কোন দেশে টীকা তৈরি করা সম্ভব। আসলে এই ধারনাটা ভুল। পারমাণবিক বোমা তৈরির সুত্র জানলে যেমন পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যায় না।

টীকা তৈরির জন্য অবকাঠামো, টীকা তৈরির উপকরণ, দক্ষ জনশক্তি সহ আরো অনেক কিছু প্রয়োজন।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে করোনার টীকা তৈরির অবকাঠামো নেই বললেই চলে। করোনার টীকা তৈরি করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। ফাইজার এর টীকা তৈরির জন্য কমপক্ষে ষাট দিন সময় প্রয়োজন। টীকার গুনগত মান সংরক্ষণও জরুরী।

করোনা ভাইরাস এর টীকা তৈরির মেধাস্বত্ব তুলে দিলে রাশিয়া, চীনের মতো দেশগুলো ফাইজার বা আষ্ট্রাজেনিকার মতো কোম্পানির টীকা তৈরিতে আগ্রহী হবে। চীন রাশিয়ার করোনা টীকার প্রতি বেশিরভাগ মানুষেরই নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। করোনার টীকার মেধাস্বত্ব তুলে দিলে ঔষধ কোম্পানি গুলো কোন নতুন ধরনের টীকা বা ঔষধ আবিস্কারের উৎসাহ হারাবে। টীকা বা ঔষধ তৈরির গবেষণায় প্রচুর আর্থিক বিনিয়োগ করতে হয় তাদের।

এলেবেলে -৩৭

১৯৮৪ তে এরশাদের শাসনামলে দেশের সকল সংবাদপত্র অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। তখন মোবাইল ইন্টারনেট ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার ফল স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। আমি যে স্কুল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি তা বাড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে। দুরু দুরু বুকে ফল জানতে (আনতে) গিয়েছিলাম। মনে পড়ে গেল।

তারও অনেক পরে বিবিসির সংবাদদাতা আতাউস সামাদ কে জেল বন্ধী করেছিলেন এরশাদ সাহেব। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আতাউস সামাদ এর কাছে শুনেছি বন্দি অবস্থায় তিনি কি করেছেন এবং সাংবাদিক সমাজ কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

আমরা যে সব সংবাদ পত্র বা মাধ্যম কে মূলধারা বলে মনে করি তারা যদি সত্য প্রকাশে বাঁধাগ্রস্ত হয় তো গুজব এবং মিথ্যা তথ্য সাধারণের কাছে পৌঁছবে। এখন ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার সহ এসএনএস এ গুজব, মিথ্যা, এবং উস্কানি মূলক প্রচুর বক্তব্য আছে।
সত্য প্রকাশে বাধা আসলে মিথ্যার ব্যাপ্তি বাড়বে।

এলেবেলে -৩৫

image-1

দেশের নামের সাথে গণতান্ত্রিক বা রিপাবলিক লেখা থাকলেই সেই রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে এমন কোন কথা নেই। যেমন চীন।

আবার নাম মাত্র গণতান্ত্রিক দেশের বেশিরভাগ দেশের জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। কোথাও আগের রাতে ভোট হয়, আবার কোথাও প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়, এমনকি মেরেও ফেলা হয় যেমন রাশিয়া। চীনের নামের সাথে পিপলস রিপাবলিক লেখা থাকলেও ঐখানে সাধারণ পিপলের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। এমনকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই পিপলস পার্টির সদস্য হতে পারে না। পিপলস পার্টির সদস্য হতে হলে এলিট শ্রেণীর বা পরিবারের সদস্য হতে হবে। সেই দেশের সাধারণ জনগণের ভোট দেওয়ার ইচ্ছা খুব প্রবল, একটা উদাহরণ দেই …

জাপানের কিছু আইডল গ্রুপ আছে এই গ্রুপ গুলো জাপানের বাইরেও খুব জনপ্রিয়। সেরকম একটা গ্রুপ হচ্ছে AKB 48, নামের মতোই এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৮ জন। সবাই মেয়ে। এই গ্রুপের সবচেয়ে মাঝখানে কে থাকবে তা নির্বাচন করা হয় ফ্যানদের ভোটে। ভোটার হতে হলে সিডি কিনে ব্যালট সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু চীন দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেন না। তাই ইয়াংদের মধ্যে AKB48 এর মধ্যমণি নির্বাচন খুবই উৎসব মুখর হয়ে থাকে।

আমেরিকার নাগরিক না হয়েও আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠা মানুষের মধ্যে নিজ দেশের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার বেদনাও আছে। ইনবক্সে বা টাইম লাইনে ট্রাম্প এর বিকৃত ছবি, মুভি বা কার্টুনও পাঠিয়েছেন। যেখানে নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে দুই কলম লিখতে পারবেন না সেখানেই এই প্রবণতা প্রবল।

ট্রাম্পের বিকৃত ছবি বা ভিডিও ক্লিপ যারা পাঠিয়েছেন তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাইডেন এর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বা পররাষ্ট্র বিষয়ে কিছু জানেন কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা জবাব দেন নাই।

আমি একটা কথা বলি, যে যাই বলুক “আমেরিকা ইজ রিয়েলি গ্রেট”। আমেরিকান ড্রীমের লক্ষ্যে মানুষ আমেরিকায় স্থায়ী হতে চায়, চীনে নয়। এমনকি চীনারাও।
আমেরিকা দূর্বল হলে উন্নয়নশীল দেশ গুলোই সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবে। সেই সাথে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসলে পৃথিবীর অন্য দেশেও গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার এর জন্ম নিবে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দেন একথা ভুলে গেলে চলবে না। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও আমেরিকার ৮০% মানুষ করোনা পরবর্তী অর্থনীতি উদ্ধারে ট্রাম্পকেই যোগ্য মনে করেন। আবার ঠিক একই সংখ্যক মানুষ বাইডেন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন বলে মত দিয়েছেন।

এলেবেলে-৩৪

মনে হয় এই রকম কথা আগেও লিখেছি।
আমি যখন এসএনএস শুরু করেছি তখন জাকারবাগ স্কুলে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাকারবাগ প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার হ্যাক করে যাত্রা শুরু তার…. বিস্তারিত জানতে হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নামে একটা মুভি আছে দেখে নিতে পারেন।

আমাদের প্রথম যুগের এসএনএস এর সাথে যারা পরিচিত তারা এসএনএস এর বেসিক বিষয় মেনে চলেন। এই গুলো আপনার প্রাইভেসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকে আপনার বন্ধুর ষ্ট্যাটাস গুলো গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনো তার ব্যক্তিগত কোন তথ্য শেয়ার করে না। ধরা যাক আপনি আপনার প্রোফাইল এ আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করছেন। কিন্তু আমি করিনি ফেবু আমাকে বারবার বলবে তোমার অমুক অমুক বন্ধু ফেবু প্রোফাইল এ মোবাইল নম্বর যোগ করছে।

জন্মদিনও সেরকম।
আপনি যেমন নিজের কথা পরিবারের কথা রাখডাক না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন অন্যের ব্যাপারে আপনার আপত্তির কারণ দেখি না। আপনি যেমন নিজের স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, মা বাবার কথা ফেসবুক এ শেয়ার করতে পারেন অন্যেরও সেই অধিকার আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তিনি আপনার ডাটা বা সার্ভার ব্যবহার করছে না। সুতরাং অহেতুক বিব্রতবোধ করে নিজেকে হাস্যকর করার মানে নেই।
আমাদের সেই যুগের এসএনএস এ ভয়েস চ্যাট ই বেশি আনন্দের ছিল। ভয়েস চ্যাট করার সময় আমি একটা কথা সব সময় বলতাম “অন্যের মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু নিজের কানে আঙ্গুল দিতে পারি শুনতে না চাইলে!”

ফেসবুক এ যাদের লেখা ভালো লাগে না, সম্ভব হলে আনফলো করি।
ফেসবুক একটা বিনোদন মাধ্যম। এখানে কেউ নীতি শিখতে আসে না। মজা করতে আসে। আমি নিজেও এখানে মজা করতে আসি, হয়তো আপনিও। অন্যের ষ্ট্যাটাস কে উপহাস করার আগে নিজের টাইম লাইনে গিয়ে অন্যের চোখে আপনার ষ্ট্যাটাস গুলো দেখুন। দেখলে বুঝবেন আপনি যাকে নিয়ে উপহাস করছেন আপনার ষ্ট্যাটাস এও সেরকম অনেক কিছু আছে যা অন্যের চোখেও হাস্যকর!

facebook-540

এলেবেলে – ৩৬

মনে হয় এই রকম কথা আগেও লিখেছি।
আমি যখন এসএনএস শুরু করেছি তখন জাকারবাগ স্কুলে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাকারবাগ প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার হ্যাক করে যাত্রা শুরু তার…. বিস্তারিত জানতে হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নামে একটা মুভি আছে দেখে নিতে পারেন।

আমাদের প্রথম যুগের এসএনএস এর সাথে যারা পরিচিত তারা এসএনএস এর বেসিক বিষয় মেনে চলেন। এই গুলো আপনার প্রাইভেসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকে আপনার বন্ধুর ষ্টাটাস গুলো গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনো তার ব্যক্তিগত কোন তথ্য শেয়ার করে না।

ধরা যাক আপনি আপনার প্রোফাইল এ আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করছেন। কিন্তু আমি করিনি ফেবু আমাকে বারবার বলবে তোমার অমুক অমুক বন্ধু ফেবু প্রোফাইল এ মোবাইল নম্বর যোগ করছে।
জন্মদিনও সেরকম।

আপনি যেমন নিজের কথা পরিবারের কথা রাখডাক না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন অন্যের ব্যাপারে আপনার আপত্তির কারন দেখি না। আপনি যেমন নিজের স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, মা বাবার কথা ফেসবুক এ শেয়ার করতে পারেন অন্যেরও সেই অধিকার আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তিনি আপনার ডাটা বা সার্ভার ব্যবহার করছে না। সুতরাং অহেতুক বিব্রতবোধ করে নিজেকে হাস্যকর করার মানে নেই।

আমাদের সেই যুগের এসএনএস এ ভয়েস চ্যাট ই বেশি আনন্দের ছিল। ভয়েস চ্যাট করার সময় আমি একটা কথা সব সময় বলতাম “অন্যের মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু নিজের কানে আঙ্গুল দিতে পারি শুনতে না চাইলে!”

ফেসবুক এ যাদের লেখা ভালো লাগে না, সম্ভব হলে আনফলো করি। ফেসবুক একটা বিনোদন মাধ্যম। এখানে কেউ নীতি শিখতে আসে না। মজা করতে আসে। আমি নিজেও এখানে মজা করতে আসি, হয়তো আপনিও। অন্যের স্ট্যাটাস কে উপহাস করার আগে নিজের টাইম লাইনে গিয়ে অন্যের চোখে আপনার স্ট্যাটাস গুলো দেখুন। দেখলে বুঝবেন আপনি যাকে নিয়ে উপহাস করছেন আপনার স্ট্যাটাস এও সেরকম অনেক কিছু আছে যা অন্যের চোখেও হাস্যকর!

ফেসবুক এ থাকুন।
থাকলে আপনারও লাভ, এমনকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষেরও!

কথোপকথন -২

– কে আপ‌নি ?
– সেই প্রশ্নটা তো আমার করার কথা, কারণ ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট আপনার কাছ থেকেই এসেছিল। আমি শুধু একসেপ্ট করলাম।
– আ‌মি ঠিক চিনতে পারছি না।
– অচেনা মানুষকে কি বন্ধুত্বের বাঁধনে রাখা যায়?
– আপনার লেখা পোস্ট ভাল লে‌গে‌ছে, অবশ্যই বন্ধুত্ব হ‌বে, কিভা‌বে রিকু‌য়েস্ট পা‌ঠি‌য়ে‌ছি ম‌নে নেই, স্মৃতিভ্রষ্ট হচ্ছি!
– তাহলে বন্ধু হিসাবে থাকা যায়, আমি এমনিতেই কম বন্ধু নিয়ে থাকি।
-জ্বী

আরো কয়েক দিন পর ….

– ভাল আ‌ছেন আপ‌নি ?
– ভালো আছি …।
– আপনি … কেমন আছেন ?
– আ‌ছি‌ মোটামু‌টি। থা‌কেন কোথায় আপ‌নি ?
– বাড়ীতে
– আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনি কোথায় থাকেন ?
– আমার প্রোফাইল এ আছে।
– ও। আ‌মি জানতাম না, আপনার জেলা কোথায় দে‌শে ?
– আমার জেলা ঢাকা
– ভাল, বাংলার প্রতি অ‌নেক ভালবাসা আপনার !
– তাই কি মনে হচ্ছে ?
– জ্বী তাই
– অতো ভালোবাসা থাকলে রাজনীতি করতাম !

______________
কথোপকথন#২

কথোপকথন-১

তুমি কি খুব বেশি অভিমানী নাকি নিজের চারপাশে একটা দেয়াল তুলে রাখ, কেউ যেন তা ভেদ করতে না পারে।
-হয়তো তাই
নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই কি পছন্দ নয় তোমার?
-স্বার্থপর মানুষ গুলো সেরকমই
তাই বলে মানুষের ভাল লাগাগুলোকে মূল্যায়ন করতে নেই।
-আমি কি কারো ভালো লাগার অবমূল্যায়ন করেছি
তুমি কারো অনুভূতি বোঝ?
-কি মনে হয়
বোঝ না তো
-বুঝি না তা হয়তো ঠিক নয়। তবে নিজের মতো বুঝি।
তুমি যতই দূরে সরিয়ে রাখতে চাওনা কেন আমি সবসময় সব অনুভবগুলো, স্মৃতিগুলো নিজের করেই রাখবো।
-আমি তাতেই খুশি
অভিমান করে করে নিজেকে নিঃস্ব করতে পারবো না। তোমার যা ইচ্ছা তুমি তাই কোরো।
-নিঃস্ব করেছি তা তুমি ভাবলে কেমনে? নিজের কাছে নিজের মতো করে যত্নে রেখেছি তোমার মতো ।
এই সম্পর্কটা আমার আজীবন আনন্দের উৎস, এই কথাটা কতবার তোমায় বোঝাবো। এই সম্পর্কটা বেশিকিছু দাবী করে না।
-জটিল কথা! কিছুই বুঝতে পারছি না
জটিল না, খুব সহজ, কারো কিছুতে ভাল লাগলে তা তোমার ভাল লাগে না।
-কিছু বুঝতে পারছি না! আমি সব সময় উল্টো বুঝি !
না বোঝো সেই ভাল। তোমার কোন লেখায় কি আমার উপস্থিতি নেই? বলবে না, কোন লেখাটায় আমি আছি?
-নেই তা কি বলেছি। ভাবছি এখন থেকে ফেসবুকে আর কিছু লিখবো না।
কেন, ভয় হয়?
-ভয় নেই। নিজের না হলেও অন্যের ভয় ধরতে পারে।
আমি তো ভয় ভাবনার উর্ধ্বে আছি। নিজেকে ভাল রাখতে যা করতে হয় করে যাব।
– দুই একটা সাইট কিছু লেখা আছে।
আমি জানতে পারবো তো?
-কোথায় কি আছে,নিজেই তো মনে রাখিনি।
আবারো হেঁয়ালি
সেই ভালো সেই ভালো। সেই ভালো। নিজেকে দুর্বোধ্য করতে জানলে ভালো
-দুর্বোধ্য মানুষ এর কাছে এর চেয়ে বেশি আশা করা ভুল।
বেশি আশা করবো কেন। এই এত বছর যা পেয়েছি তাই বা কম কি তুমি তো তবু কোথাওনা কোথাও লিখতে পার, আমি কত কি বলতে চাই, লিখতে চাই, সুযোগ নেই।
-খুঁজে নাও লিখে ফেল। লেখার কতো জায়গা এখন… শুধু মনের মধ্যে রাখলে একদিন সব ভুলে যাবে।ভু লে যাবার আগে কোথাও লিখে রাখ।
না বাদ দাও, দেখা হলে বলে ফেলবো সব, তাতেই হবে…
-যদি দেখা হয়
হ্যা, যদি দেখা হয়।
-তা হলে তো কথাই নেই
জোর করলে যদি যেটুকু আছে তাই হারাতে হয়?
-ভয়
হ্যা, নিজের অক্ষমতার ভয়।
-আমার কাছে কিবা আছে যার জন্য তোমার ক্ষমতার দরকার হবে…
তুমি কারো কাছে যে অনেকখানি সেটা আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে। আচ্ছা চানঘরে গান এর চিঠিগুলো ঢাকার কাকে লেখা জান?
-চান ঘরে গান ই বলো হাজারদুয়ারীই বলো তাঁর জবাব লেখকই ভালো দিতে পারবেন। এই যে আমিও এতকিছু লিখি কিন্তু কাকে লেখা কেউ কি জানেন! যার জন্য লেখা সে জানে, যে লেখে সে বুঝতে দিতে চায়না, এই যা। তসলিমা নাসরিনকে লেখা
-তুমি কেমন করে বুঝলে
যারা বেশি জানেন তাদের কাছ থেকে জেনেছি
-তাহলে তো কথাই নেই।আমার মতো কম জানা মানুষ কি ই বা বলতে পারে!
এই ক্ষ্যাপেছে!
-সেরকম মনে হচ্ছে
তোমাকে ক্ষ্যাপাতে ভাল লাগছে
-তাই নাকি
যদি পায়ের ওপর পা দিয়ে ঝগড়া করতে পারতাম! এই আশাটাই হয়তো অপূর্ণ থেকে যাবে। আর সব পেয়েছি।
-ঝগড়া টগড়া বুঝি না আমি এখন উষ্ণতা খুঁজছি। পায়ের উপর শুধু পা-ই নয়,গা-এর উপর গা-ও … সে কোন চুলোরই হোক বা কোন অস্পরী বালিকার কোমল হৃদয় হোক !
চলে আস, সব আছে।

এলেবেলে – ৩৫

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর লাগেজ চেক বড়ো অদ্ভুত। প্রথমে বিমান বন্দর এ ঢোকার পর লাগেজ স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট বিমান কোম্পানি লাগেজ টি গ্রহণ করে অন্য একটি কাউন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে স্ক্যান করে উনারা গণহারে লাগেজ খুলে ম্যানুয়ালী চেক করেন। আপনার সাজানো গোছানো লাগেজ টা তছনছ করে ছাড়েন।

পৃথিবীর বিমান বন্দর এ এরকম অত্যাধুনিক লাগেজ চেকিং কোথাও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।

লাগেজ ম্যানুয়ালী চেক করা হয় তখনই যখন স্ক্যান এ সন্দেহ জনক কিছু দেখা যায়। লাগেজ খুলে সন্দেহ জনক বস্তুটি ম্যানুয়ালী চেক করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশের 📺 টিভি তে বর্ডার সিকিউরিটি নামক অনুষ্ঠান আছে।অনুষ্ঠান গুলো খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল গুলো বিমান বন্দর এর নিরাপত্তা এবং কাষ্টমস চেকিং এর উপর অনুষ্ঠান তৈরি করতে পারে।

চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে আমি ঢাকা যাব। আমার লাগেজ স্ক্যান করার পর যিনি স্ক্যান করেন তিনি আমার সর্বশেষ গন্তব্য জানার পর আমার কাছে বকশিস চেয়েছিলেন। এই হল অবস্থা।

আমাদের দেশের বিমান বন্দর গুলোতেই সবচেয়ে বেশি ইউনিফর্ম বিহীন কর্মরত মানুষ চোখে পড়ে। বিদেশের বিমান বন্দর এ ডিউটি ফ্রি শপ এ কর্মরত প্রত্যেক কর্মীদের নির্দিষ্ট পোষাক আছে।

নির্দিষ্ট পোষাক এবং নামের ব্যাজ যাত্রী এবং কর্মীদের কে আলাদা করতে সাহায্য করবে। নামের ব্যাজ থাকলে অবৈধ কাজ করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ইউরোপ আমেরিকা সিঙ্গাপুর হতে হলে নিয়ম মানতে হবে। শৃঙ্খলা আনতে হবে। হযবরল উন্নয়ন এ কেউবা এগিয়ে যেতে পারে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের এর কবিতার মতো লাইনে দাঁড়াতে হবে।

আমিই আমার কষ্ট

আমি সব সময় চেয়েছিলাম তুমি সুখী হও। তার মানে এই নয় যে তুমি সুখী নও। আমি কখনোই তা ভাবতে চাই না। আমি সব সময় সুখী। পাওয়া এবং না পাওয়া দুটোতেই এক রকমের সুখ থাকে। সবাই তা বোঝে না।

এই যে ফেসবুক এখানে আমি অনেক মানুষের কাছাকাছি যাই, হয়তোবা তারাও আমার কাছে আসে; সত্যি বলতে কি আমি কাউকে সুখের স্বপ্ন দেখাই না, নিজে তো দেখিই না।

আমি নিজেও জানি আমি খুব জটিল এক মানুষ। সব কিছু আমি আমার মতো করে ভাবতে ভালোবাসি। তারপরও কেউ কেউ ভুল পথে ভুল করে কাছে চলে আসে, অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখান থেকে নতুন করে কিছু শুরু করা যায় না, যাওয়া উচিতও না।

জীবন এমনই। শুরুটা সহজ, শেষটা কঠিন। তোমার স্বামী সন্তান সবাই আমাকে দোষী করবে জানি, একবার চুপ করে চোখ বুজে ভাবো আমি তোমাকে কোনদিনই আমার পথের সাথী হতে বলিনি। যেদিন থেকে তুমি নিজের বা তোমার পরিবারের নির্দেশীত পথে চলতে শুরু করেছ।

আমি আমার পথে চলেছি স্বার্থপরের মতো। আমি সব সময় আমার মতো ছিলাম, এখনো আছি। তোমার স্বামীর কাছে আমি বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। ঊল্টো হলে আমি কখনোই আমার স্ত্রীর প্রাক্তন কে কোনদিন দোষারোপ করতাম না।

আমার অক্ষমতা নিয়ে আমি অন্যকে দোষারোপ করতে চাই না। ভাবতে পারো এ আমার পরাজয়। কি জানো, জীবনের কোন খেলায় আমি প্রতিযোগিতায় নামতে চাইনি অন্তত তোমার সাথে। তোমার সাথে কোন ক্ষেত্রেই আমার প্রতিযোগিতা নেই, তুমি কেন, কারো সাথেই নাই। আমি কষ্ট পাই যদি কেউ আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে।

তারপরও সবাই ভুল বোঝে। তাতে কিই বা আসে যায়। ভালো থেকো সুস্থ থেকো নিজের জন্য, আমিও ভালো থাকবো নিজের জন্য। আমিই আমার কষ্ট।

এলেবেলে-৩৪

আমাদের চট্টগ্রামে দুইটা ভাষা। একটা চাটগাইয়া আর একটা বাংলা।

আমরা যারা পুরনো দিনের মানুষ আমরা ছোটবেলায় শুধু চাটগাইয়াতেই কথা বলতাম। বাবা মা ভাইবোন আত্নীয় স্বজনদের সাথে সেই ভাষাতেই কথা বলতাম।
আর একটূ বয়স হলে স্কুলে গেলাম সেখানে আমরা বাংলা শিখলাম। আমাদের শিক্ষকরাও দোভাষী চাটগাইয়াও বলেন আবার বাংলাও বলেন। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কেউ আবার বাংলা ছাড়া চাটগাইয়া জানে না। আবার স্কুলে গিয়ে কেউ আমার মতো দোভাষী হয়ে গেছে।

তারপর আমাদের বয়সের বন্ধু আত্মীয় স্বজনরা বিয়ে শাদী করলেন। বাচ্চা কাচ্চা হলো। সেই বাচ্চাদের সাথে আমার সেই চাটগাইয়া ভাষী বন্ধুরা বাংলাতেই কথা বলেন। চাটগাইয়াতে কথা বলেন না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই উনাদের সেই বাংলাতে(!) গুরুচণ্ডালী দোষ আছে। যাক সে কথা।

এবার আসল কথায় আসি…
আমার সেই বন্ধু আত্মীয় স্বজন মামা চাচারা যখন আমাদের মতো পুরনো বন্ধু আত্মীয় ভাগিনা ভাতিজীর সাথে চাটগাইয়া তে কথা বলেন কি নিদ্বির্ধায় আমাদেরকে “তুই” সম্বোধন করেন। মজার ব্যাপার হলো সেই তিনিই উনার সন্তানকে “তুমি”বলেই বাংলাতে কথা বলছেন। তুই শব্দটা দুই অর্থে ব্যবহৃত হয় “তুচ্ছার্থে” এবং “আপনার্থে”।

প্রশ্ন হলো কোন অর্থে নিজের বাচ্চাকে “তুমি” বলেন ? আর আমাদেরকেই বা “তুই” বলেন !!