গল্পের মত সাগর মোহনায় বেলাভূমি
ভারী বাতাসে ভেসে বেড়ায় নিঃসঙ্গ গাঙচিল,
এখানে আমি একলাই থাকি, দুটো ভাত নিজেই ফুটাই।
একাই বেশ দিব্যি আছি, সন্ধ্যা হলে হলদে চাঁদের আলোয় নীড়ে ফিরি,
এখানে এত একলা আমি, তবু এত হৈচৈ কিসের !
বেঁচে থাকা মানেই কি ব্যস্ত থাকা ? একটা অভ্যাস গড়ে তোলা!
এখানে বড্ড ব্যস্ত , বড্ড একলা আমি!
এই মরার কটেজ একলা একলা আর ভাল লাগছে না; ভাল লাগার মত কিচ্ছুটি নেই এখানে
কি করব আমি ? তোমাকে কি একটা ট্রাঙ্ক কল করে দিব ?
বিকেলের ট্রেন ধরে ঠিক পৌঁছে যাবে তো এই এখানে; গাঙচিল কটেজ।
অফুরন্ত এত অবসর কিভাবে কাটবে আমার একটা গাঙচিল ছাড়া,
একা একা পুরো সমুদ্রটাকে দেখা ফেলা একদম বৈধ নয়,
সমুদ্রের চিলদের নাম কিভাবে গাঙচিল হয় ভেবে দেখেছ ?
কিংবা ঢেউগুলো এত বেগে তীরে এসে কোথায় হারিয়ে যায়!
দিশেহারা নাবিকের মত আমিও তাকিয়ে থাকি ঊর্ধ্বপানে,
গাঙচিলের পাখনায় হাওয়া কাটে মৃদু বেগে, নিশানা নির্ভুল
ভুল পথে যাবার নয়; তবু কেন সব ভুল হয়ে যাচ্ছে!
এমন তো হবার কথা ছিল না, এভাবে তো হারাবার নয়
মরার আগেই এমন অদ্ভুতভাবে মরে যাচ্ছি; এমন তো কথা ছিল না।
নৈঃশব্দের এ সন্ধ্যায় শব্দগুলো ফুরিয়ে গেলেও প্রয়োজন এখনো কিছুটা বাকী ,
দিনগুলো এখানে আমার কাটে ঘরে বাইরে ঘরে, গাঙচিল গুণে গুণে ।
কাছে-দূরে নেই তো কেউ বাইরের লোক, যাকে খুব মন খুলে দুটো কথা বল যায়,
ঘরের লোক হলে লুকোচুরি করতে হয়, নিতে হয় কিছুটা বুঝে নেয়ার দায়িত্ব
ভালবাসাটা কিভাবে যেন পেয়ে বসে,
এখানে আমাকে যেমন পেয়ে বসেছে গাঙচিল কটেজ।
আপনার প্রতিটি লিখায় স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ভ্যারিয়েশন লক্ষ্য করি।
লিখক আমি-তুমি-সে’র জালে আটকে গেলে বেড়িয়ে আসা কঠিন।
উপমার ব্যবহার সুন্দর উঠে এসেছে। শুভ সকাল মি. অনিক। ভালো থাকুন।
উপমার ব্যবহার দারুণ হয়েছে। শুভকামনা কবি
কিছুটা পথ পেরুলেই …পাবেন অনবদ্য কিছু…