জাতকের কবিতা
এক
ওই যে ছায়া তৈরির কারখানা
গতজন্মে আমি তার শিশুশ্রমিক হই
একটু করে হাত ঢোকাই রোদের মেশিনে
আর ছিটকে ছিটকে গিয়ে পড়ে রক্ত, গাছ পড়ে
রুমালের মতো ছায়াগুলো
ওই যে ঐরাবত গাছ
আমি সম্পর্কে তার হই পুষ্পমুকুল
বয়স্ক পাতা পাতকুয়োয় ঝরে ঝরে যে অখাদ্য জল
যাকে ক্রমাগত বিয়ে করবে ব’লে
বেড় দিয়ে চলেছে হরিণ
আমি গতজন্মে ওই হরিণাস্থি হই
দুই
আগামি জন্মে আমি হয়েছি ভোঁকাটা বাতাস
তিন দিন অনশনের মধ্যে, এমনকি অবস্থান ধর্মঘটের পেটেও
দল বেঁধে অবস্থান করেছি
কিন্তু ওপরে উঠতে খুব ভয় আমার, তার মানে
নিচে পড়ে যাওয়ার ভয়
কেউ যদি ফুঁ দিয়ে ওপরে পাঠায় সেই জন্যে
মোটমাট এক টা ফুঁ-ই হয়ে গেছি আমি
তোমার চোখে কিছু পড়লে পাতা টেনে
খুব জোরে ফু: —
আবার অপ্রস্তুত শঙ্খের ভেতরেও নিজেকে চালিয়ে দিয়েছি
কই, কিছু শুনতে পাচ্ছ না?
অসাধারণ লিখন।