চুনহলুদ
রাস্তায় আসতে-বাঁদিক দিয়ে
ছমছম করে নদী গেছে
আড়খ্যাপা ভ্যানরিকশাওলা ঠিক
মোড় ঘোরাতে উল্টে ফেলে দেবে
রাস্তায় আসতে-ডানদিক দিয়ে
নাচনেউলি ধান আর ভ্যারাইটিজ হাওয়া
ছোটমাসি, তোমাকে বলছি…
ঘরের বারান্দাখানা কমপক্ষে দু’মানুষ উঁচু
ঘরের বাসিন্দাখানা ছায়া-টেনে সারাটা পাড়া ঘোরে
“এই জায়গায় দুটো খরিশ বসতি করতো
এখানে তুই গতবার লক্ষ্মীপেঁচা দেখেছিলিস”
ছিলিস কী বস্তু বলে হাসো যদি:
“হুঁ হুঁ বাবু, ঠোঁটের ওপরে তিল
তুমি খুব ডেঞ্জারাস ছেলে!”
বিপদজননী মেয়ে তুমিও তো।
বিকেলবেলা ঘুম ভাঙিয়ে সেতুর ওপরে নিয়ে গেছ
“নদীর দুপারও মেলে, দেখেছিস!
মানুষ মেলাতে পারে সাহস করলেই” — ব’লে
ভেসে বেড়াচ্ছে…অন্ধকার…তোমার না কোন পায়ে
মচকা লেগেছিল!
“পায়ে চুনহলুদ লাগালেই ভালো খবর পাই
গায়ে হলুদ হয় তাপসীদির, দাদার ফোন
সিওল থেকে আসে…তুই আসিস…”
ছোটমাসি, তোমাকে আর কিচ্ছু বলি না
জীবন ঘেঁষা এবং স্বতন্ত্র ঘরানার লিখন। অভিনন্দন প্রিয় চন্দন দা। শুভেচ্ছা।