মেঘলা মাঘের মুখ
শুধু পদছাপ রেখে যাবার জন্য এসেছিলাম,
সেকথা আমি বলিনা। উত্তীর্ণ আকাশ ছুঁয়ে
অবনত হয় যে বর্ষার স্রোত, আমি তার সতীর্থ
হয়ে ভাসিয়েছি চাঁদের ডিঙা। কিছুটা জল
আর প্রেমের প্রবল প্রতাপে হতে চেয়েছি
পরাক্রমশালী। রক্তিম রোদে বার বার দেখতে
চেয়েছি মেঘলা মাঘের মুখ।
যারা আমার কবিতাগুলো পড়বে বলে সারিবদ্ধ
অঙ্গীকার করেছিল, তারা কেউই এই নদীতীরে
আর ফিরে আসেনি। না এসে ভালোই করেছে।
শব্দের শবদেহ পাহারা দিতে দিতে আমি যখন
ক্লান্তপ্রায়, তখন দেখেছি গুনটানা মাঝিরা ঠিক
ধরাধরি করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে সেই শব
দেহগুলো। পাঁজরের চিহ্ন মুছে দিতে চরে কেউ
কেউ লাগিয়েছে সবুজ ঘাসচারা। আর আমার স্বপ্নেরা
বেঁচেছে ঘাস হয়ে, পুষ্প হয়ে।
শুধু পদছাপ রেখে যাবার জন্য এসেছিলাম,
সেকথা আমি বলিনা। যে পাখি ডানা ঝাপটায়
সুখের দরদে ,আমি তার সহযাত্রী হয়ে ভেসেছি
দৃশ্য-দৃশ্যান্তরে। কাঁটার কর্তৃত্ব মেনে গোলাপ
প্রশাখায় রেখেছি হাত। যারা ফিরে গেছে কিংবা
এই দিবালোক থেকে সরিয়ে নিয়েছে তাদের
ছবি, আমি তাদের নিয়েও লিখেছি আখ্যান।
মাঝে মাঝে লিখে যেতে হয় নামাবলী-দীপাবলী।
ঠিক পদছাপ রেখে যাবার জন্য এসেছিলাম
সেকথা আমি বলি না। দরোজার কড়ায় ভর
দুপুর জুড়ে বসেছিলো যে প্রজাপতি-
আমি তার ছবি আঁকতে চেয়েছি।
রঙের রাংতা দিয়ে মোড়ে রেখেছি
কয়েকটি ভোর,
প্রাণের বান্ধব সময়
যাবার আগে তোমার দু’হাতে তুলে দেবো বলে,
যে তুমি আমার ভেতরে
মাঘে-মেঘে ঘটাও প্রলয়।
শুভেচ্ছা রাখি প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভদিন।
যারা আমার কবিতাগুলো পড়বে বলে সারিবদ্ধ
অঙ্গীকার করেছিল, তারা কেউই এই নদীতীরে
আর ফিরে আসেনি।
আপনার রাজনৈতিক লেখাগুলো পড়েছি কিছু কিছু সামুতে। এত ভাল কবিতা লিখেন তা তো জানতাম না !