দুটি অণুগল্প

#স্বপ্নের_ফানুস_অণুগল্প_৩৮৭
__________________________

গৃহকর্তার লালসার শিকার হতে না চাওয়ায় এবং ব্যাপারটা গৃহকর্ত্রীর বুঝে আসায়, ঈদের ক’দিন আগেই জোবেদাকে বিদায় করে দেন মহিলা। জোবেদা মনে মনে অসহনীয় চাঁপা ব্যথা নিয়ে নিরন্তর কষ্ট পায় আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে চেয়ে থেকে সামান্য কিছু স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে।

যে যত গরিব, তার স্বপ্নও ততোধিক গরীব এবং জোবেদাদের আশাগুলো কেন জানি দীর্ঘায়িত না হয়ে ফানুসের মত হঠাৎ করেই উবে যায়।

#প্রশ্ন_অণুগল্প_৩৮৮
___________________________

সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর শায়লা ওর একমাত্র আনন্দের উৎস বারান্দাটায় এসে দাঁড়ায়। সারা শরীর ঘৃনায় রি রি করছে, শিপনের পাশবিক স্পর্শটা শরীর ও মনে এখনো কষ্ট দিচ্ছে ওকে।

জঘন্য একটা অনুভূতিতে ছেয়ে থাকা নিজের মনটাকে হাতে তুলে নিয়ে মনকে জিজ্ঞেস করে সে, ‘আমি যাদের যাদেরকে এই জীবনে ভালোবেসেছি, বিনিময়ে তারা আমাকে কেবল কষ্ট-ই দিয়েছে, কেন বলতো?’

মামুন সম্পর্কে

একজন মানুষ, আজীবন একাকি। লেখালেখির শুরু সেই ছেলেবেলায়। ক্যাডেট কলেজের বন্দী জীবনের একচিলতে 'রিফ্রেশমেন্ট' হিসেবে এই সাহিত্যচর্চাকে কাছে টেনেছিলাম। এরপর দীর্ঘ বিরতি... নিজের চল্লিশ বছরে এসে আবারো লেখালখি ফেসবুকে। পরে ব্লগে প্রবেশ। তারপর সময়ের কাছে নিজেকে ছেড়ে দেয়া। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ তে 'অপেক্ষা' নামের প্রথম গল্পগ্রন্থ দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বইমেলা ২০১৭ তে তিনটি গ্রন্থ- 'ছায়াসঙ্গী'- দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, 'ঘুঙ্গরু আর মেঙ্গরু'- উপন্যাস এবং 'শেষ তৈলচিত্র'- কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাহিত্যের প্রধান তিনটি প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম রেখেছি। কাজ চলছে ১০০০ অণুগল্প নিয়ে 'অণুগল্প সংকলন' নামের গ্রন্থটির। পেশাগত জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। একজন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পোষাক শিল্পের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছি। লেখার ক্ষমতা আমি আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখেই যেতে হবে আমাকে।

6 thoughts on “দুটি অণুগল্প

  1. দু'টি অণুগল্পই যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবি। শুভ সকাল মি. মামুন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।