বিন্তিরিং দিনক্ষণ

বিন্তিরিং দিনক্ষণ

ইউনিভার্সিটির সেই মাকালগাছটাকে বলেছিলাম –
তুই আমার পাখনা হবি?
– সে উপাচার্য হয়ে গেল।

রামু রোজ সকালে টিন আর ঝাড়ু নিয়ে খাটা পায়খানা
ধোপদুরস্ত করত অবলীলায়,
হঠাৎ একদিন সে মন্ত্রী হয়ে জেলে গেল।

কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাটা কাঁদছিল পরিত্রাহী
বাবার স্নেহে ওকে কোলে নিতেই
সে ডেকে উঠলো “দাদু! ”

ঘোড়ার ঘেসুড়ে একমনে ঘাস কাটতে কাটতে বলে ফেলেছিল –
“ঘাসই আমার জীবন। ”
লোকেরা ভোট দিয়ে তাকে কবি করে দিল।

বিয়ের দুদিনের মাথায় মর্টিন খেয়েছিল যে মেয়েটা
বেঁচে ফিরে সে গল্প করলো –
“ইস, বিষ কি মিষ্টি! “

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

1 thought on “বিন্তিরিং দিনক্ষণ

  1. বেশ ইন্টারেস্টিং কবিতা। যদিও আমাদের দেশে প্রচলিত অনেক ভাষা বা শব্দে এমন অনেক রূপকের প্রয়োগ নেই। তবু পড়তে ভালো লাগলো। অভিনন্দন প্রিয় সৌমিত্র। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।