পাপিষ্ঠা কুসুম
তোমার জন্য কুসুম ফোটা দিনে
শরীর থেকে স্বপ্ন কুসুম জরায়ুর সেই পাকে
কুসুম বলে ডাকতো আমায় স্বজন
এখন তারা ভিন্ন নামে ডাকে।
তোমার জন্য ভাবনা কুসুম রোজ
ভাবে বসে ভালোবাসার কুসুম
ধীরে ধীরে অঙ্গ বারে, ভার
হবে কি আর কুসুম দেখা তার ?
পাড়ার মোরে শালিস ডাকা খুরো
এখন বলে “ওরে কুসুম তোর মত ফুল নাই”
তার বিচারে আমি ছিলাম দোষী
“ভালোবাসার কি অন্য উপায় নাই ?”
এখন আমার কুসুম ফোটা দিনে
অট্টহাসির কুসুম ডাকে মনে
রোজই চলে কুসুম দেয়া নেয়া
তবু কুসুম হয়না এখন পেটে।
যেই সে ঘরে তোমায় নিয়ে
আমি কুসুম “কুসুম”
সেই ঘরে অনেক কুটুম আসে
তারাও কিন্তু খুব আদোরে
কুসুম বলে ডাকে।
সত্যি শুধু আমার কুসুম যারা
ডাকতো কুসুম খুব গভীর মমতায়
সব ভেসে যায় কুসুম দিনের বাকে
গালি দিয়ে তারা আমায়
ভিন্ন নামে ডাকে।
লিখাটির মধ্যে অনন্য ধারার রিদম আছে মনে হলো। বক্তব্যও বেশ সার্প। বেশ কিছুদিন পর শব্দনীড় এর পাতায় আপনার লিখা ভেসে উঠলো। অভিনন্দন কবি।
শুভেচ্ছা নিন মন দা। আপনাকে দেখছি আর পাওয়াই যায় না।
ছন্দের মাধ্যমে ছড়ার নান্দনিকতা ফুটে ওঠে এখানে তাঁর ব্যতিক্রম নয়। ছড়ায় যে মেসেজ তা ভালোবাসার দর্শনেন্দ্রিয়কে জেগে তোলে।।
এখন আমার কুসুম ফোটা দিনে
অট্টহাসির কুসুম ডাকে মনে
রোজই চলে কুসুম দেয়া নেয়া
তবু কুসুম হয়না এখন পেটে।——চমৎকার প্রকাশ দাদা
অনেক শুভ কামনা রইল——-