মৃত কবিদের একটু জল দিন

মৃত কবিদের একটু জল দিন

শোকসভা, কবিতাপাঠ, ছবিতে মালা
দু চার কথা, চোখে জল, বেহায়া জীবন
বাঁচছে দুধভাতে, একঘেঁয়ে সংসারে
জীবনানন্দ দাশ, মনীন্দ্র গুপ্ত, চুপচাপ
জেগে আছে পাতায় পাতায়, কালো অক্ষরে
চুপ–আত্মাগুলো একসংগে বসে শুনছে—

হাসি, কান্না, ভেঙানো, উপহাস, দলবাজি
নারীবাজি, নরবাজি—- গলাবাজি

পড়ছে-
আনন্দবাজার পত্রিকা, গণশক্তি, প্রতিদিন, আজকাল
মিডিয়া, পুরস্কার, হাততালি, সভাঘর,
শুঁকছে—–
সাহিত্যের ঝাঁঝালো গন্ধ, পেঁয়াজের ঝোল, নলেনগুড়ের পায়েস
জন্মদিন, মৃত্যুদিন, সাজগোজ, তিক্ত স্মৃতি, নবাগত অপমান,

পাঁজর, ভাঙছে, আস্তে আস্তে হৃৎপিণ্ড নড়তেই
বিমর্ষ, কাব্যজগতের বক্ষস্থল
বৃক্কদুটি পিত্তরসে স্নান করছে
ব্যথাগুলো অপ্রত্যাশিত প্রেমিক
কামড়ায়, আদর করে যন্ত্রণা দেয়
ছেঁচকিতে পিষে পিষে ভালোবাসে
প্রেমিকটির অনেক নারী সঙ্গ

চোখগুলো পদ্য গদ্যের মোলায়েম পিঠের মতো
যেখানে কোকিলেরা পাখনায় খেলা করে
সূর্যের মতো জ্বলে চাঁদের কলঙ্কে নিস্তেজ থাকে
মৃত কবি, প্রেম নেই, বাজার নেই, ছুটোছুটি নেই
দরদাম নেই, প্রকাশক নেই, মিডিয়া নেই, লাল নীল খুশি নেই
শরীরের বোতাম চাইবে না, রোজ সকালে খালি বালতি ও খুঁজবে না
ফেসবুক স্ট্যাটাস, ইমু, সেলফি
কবিতাপাঠ, গল্পপাঠ, আড্ডা
মৃতদেহের একপাশে পড়ে. সেখানে কোন সুখ নেই
জিম নেই, বিউটি পার্লার নেই , ম্যানিকিওর ,প্যাডিকিওর নেই
তবু স্মৃতির তাজমহল বেঁচে থাকবে জ্বলন্ত ছাইয়ের অনুতে
পরমাত্মাতে ফাগুনে আগুন।
___________________________________

( উৎসর্গ শূণ্য দশক ও প্রথম দশকের কবিবৃন্দ)

2 thoughts on “মৃত কবিদের একটু জল দিন

  1. লেখার বিষয়বস্তু অনুধাবন করার চেষ্টা করলাম দিদি ভাই। আসলে প্রতিদিনই আমরা বদলে যাচ্ছি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।