অরুণিমা মণ্ডল এর সকল পোস্ট

২০ জুন-অরুকথা

FB_IMG_1622

আজ রবিবার। আজকের দিনটা মোটামুটি ভালো কাটল। সকাল সকাল পাখির ডাকের মধ্যেই কেমন কেমন “বিবাহিত বিবাহিত শব্দ ভেসে উঠছিল। কাজ সেরে ভগবানের নাম শুনলাম। খুব ফ্রেস লাগছিল। আজকে রবিবার। রোমান্টিক ওয়েদার। বর আলাদা রুমে। বিবাহিত প্রেম সংসারের রসে মাতা বৌ বৌ ব্যাপারটা আমার মধ্যে ঠিক হয়ে উঠে না। তবে আজকে বর খোঁচায় নি। ঝগড়াটা কম। মারামারি হয়নি। আলাদা রান্না করলেও আমার প্রতি দয়া হল।

আজকে একটু ভালো কাটালাম। আমার যৌবনের দশ বছর কল্পনা করে ভেবে ভেবে কাটল। রোমান্টিক কোন সিনেমা দেখে ভেসে বেড়াতে খুব ভালো লাগে। আগের দিনগুলো বিয়ের প্রথমের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। একসঙ্গে খাওয়া। স্বামীর বুকে মাথা রেখে ঘুমানো এগুলো সব ই একটা মেয়ের জীবনে ভোলার নয় । যতই অসুখী জীবন হোক না কেন এটুকু সুখ সবার জীবনেই আসে।

ঘুমঘুম চোখ। আবছা আবছা বৃষ্টি। ছুটে যাওয়া জল। তাঁর রোমান্সে থইথই মন ভিজে যেন একাকার। বিয়ের পরের দিনগুলো দিনগুলো প্রতিটি মেয়ের জীবনে স্মরণীয়। অরুর মন্দিরে বিয়ে। কেউ মানে না। তবু বিয়ে। বাচ্চা সংসার। সংসারের কাজ। মারধর। যন্ত্রণা। সবকিছুই আছে।

চারিদিকে রিমঝিমিয়ে বৃষ্টি। বিবাহিতদের প্রেম বলতে গলায় জোর ফাঁস। আস্তে আস্তে চাঁদের বেরিয়ে আসা। নিঝুম শান্ত রাতের আকাশ। শুধুই দীর্ঘশ্বাস। মাঝে মাঝে ব্যাকুল বাতাস মনকে আনচান করিয়ে দেয়। কেন যে কবি কবি মনটি সুকান্ত হয়ে ওঠে নির্লজ্জভাবে বুঝতে পারি না। কোমল পাথরগুলো শক্ত পাষান এ মাথা ঠুকরে কাঁদতে থাকে। তবু কোকিলের সঙ্গে গান গাইতে গাইতে ডিমপাড়া আর হয়ে ওঠে না।

বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে কাঁপলে আজ আর ভালো লাগে না কেমন উদাস হয়ে গেছে ভাঙা মন। হিংসা আর অত্যাচারের আগুনে সব আশাগুলো ছাই হয়ে গেছে। অর্থ যে সব সেটা শ্বশুড়বাড়ি র লোকেরা আঙুল চোখে দিয়ে দেখিয়ে দেয়। রোজ এক দিন কাটাতে হয় বলে কাটাই বাঁচতে হয় তাই বাঁচি।

মরে গেলে পুড়িয়ে আর একটা বিয়ে করে নেবে। আবার নতুন সংসার করবে। প্যানপ্যান সোহাগরাত আর সংসারের নতুনত্ব গন্ধের প্রথম চারমাসের ন্যাকামি।

আমার আর ছোটবেলা র দিন মনে পড়ে না মাকেও না বাবাকেও না। মনে হয় আমি একা একা ই পৃথিবীতে এসেছি। আমার কেউ নেই। গাছ গুলো আকাশগুলো পাতাগুলো বৃষ্টিগুলো ই আমাকে ভালোভাবে চেনে বৃষ্টির শব্দগুলো ছাড়া কেউ ই আমাকে ভালোভাবে চিনল না।

আমার আমি কে? চিনতে পারছি না ছোটবেলায় চিনেছিলাম এখন হারিয়ে ফেলেছি। সেই স্কুল, বান্ধবীর দল, টিফিন, লাইন মারা, আমি না বান্ধবীদের লাইন মারা দেখতে খুব ভালো লাগত। কেমন একটা ফুরফুরে আবহাওয়া ঘুরে জীবনের আশপাশ।

এখনকার বিবাহিত বেকার বোরিং আর ভালো লাগে না। সংসার জিনিসটাই বিষাক্ত মনে হয়। বিরক্তিকর অসহ্য নরক মনে হয়।

১৪ই জুন নীরাকথা

FB_IMG_160

নীরার সবদিন টাই শ্বশুড়বাড়িতে জেলবন্দী জীবন। এইদিন অত্যাচারের মাত্রা বেশী ছিল। সকাল থেকে খেতে ইচ্ছে করছিল না। বর রীতিমতো লোকদেখানো র জন্য রান্না করে আর নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে, বৌ কে পদে পদে ছোট করানো হল তাঁর কাজ।

সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে”-রমনীকে যদি রমনী হিসেবেই না মানে কি করে সুন্দর হবে।

খেতে ইচ্ছে করে না কেমন যেন বাঁচাটা তাঁর কাছে দায়। খুব কষ্টের। নিজের ইচ্ছায় জল” খাওয়াটাও হয় না। মেয়েদের হয়তো কোন ইচ্ছের দাম দেওয়া হয় না।

মেয়েদের কাজের লোক হিসেবে সংসারে দেখা নিয়ম। গ্রামে শিক্ষিত মেয়েদের কোন মর্যাদা নাই। তাঁরা খুন্তি দিয়ে সময় কাটাবে পরচর্চা করে সবাইকে তাঁদের মতো থাকতে হবে না হলে সমস্যা স্বামীকে দিয়ে মার খাইয়ে এইসব মহিলা মজা পায়।

মানুষের ধর্ম হল দুর্বল লোককে চেপে ধরা। নীরা একজন এম এ পাশ মেয়ে। এদের মত করে না চলতে পারলে এদের সয়তানী বুদ্ধির স্বীকার হতে হয়। গ্রামের লোক সবাই সহজ সরল সিনেমা য় দেখায়। একদম পাক্কা ভুল ধারনা। গ্রামের লোক সবথেকে বেশী হিংস্র টাইপের হয়ে থাকেন। এরা নিজেরা নিজেদের ভালো চাননা। এদের স্বভাব মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো। কেউ পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলে তাঁকে প্রতি প্রতি পদে পদে বিপদে ফেলানো। পিছন টে নে ধরা হল মানুষের ধর্ম। নীরা পড়তে ভালোবাসে ঘরকুনো পরচর্চা পছন্দ করে না এটা হল তাঁর সরলতা।

এটার ই সুযোগ নিয়েছে তাঁর শাশুড়ি স্বামী। অত না মেশার কারনে পাড়ার কেউ তাঁর পক্ষে কথা বলতে চাইত না।

এইদিন নীরা কেমন এলোমেলো। মেঘ থেকে লক ডাউন লক ডাউন ঝলকানি। আনন্দহীন জীবনে প্রকৃতি যেন রামধনু নিয়ে ইশারা দেয়। গালিগালাজ খারাপ ব্যবহার পাওয়া সামাজিক ক্রুয়েলিটি মেন্টাল ক্রুয়েলিটি অনেক বেশী সহ্য করতে হয়।

বাংলার বঙ্গবন্ধু

16443

দুচোখে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখা
এক বলিষ্ঠ উজ্জ্বল তরুন!
ব্যাথাগুলো লম্বা বাঁশের মতো তরতর
করে বেড়ে ওঠে-
কৃষকের ধানের ক্ষেত বেয়ে চোখের জল ভেসে যায়-

হাওয়াতে জোর গলার চিৎকার- কাকের চুপথাকা- সম্মতি-
রেসকোর্সে ৭ই মার্চের অগ্নিঝরা ভাষন
বাঙালী কখনো বাঙালীদের বুকে র পাথর সরায় না- বুলেটে খানখান করে দেয়-
সাপগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে-
স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে- মাঠ খাল বিল অফিস স্কুল “বিষে” নীল?

কৃষক, জল, মাছ, প্রকৃতি সংস্কৃতি থাকলেও –
উন্নয়ন থাকে না-
মীরজাফর” দের দেশে “সিরাজদের””
মরে যেতেই হয় ! বাঁচার কোন অধিকার নেই
শুধু ই দেখা যায়
নেউল আর সাপেদের লড়াই?

.
অরুণিমা মন্ডল দাস। কাকদ্বীপ।

আত্মকথা-৪

একটা কথা আছে বাংলায় আছে কি বলুন তো! পাপ তাঁর বাপকেও ছাড়ে না! আমি নিজে অসুস্থ, জ্বর ! বরের ও অপারেশন এইমাত্র দেখে টেখে এলাম ! আমার জীবনের বাস্তব কথা শেয়ার করছি–

আমি যখন বিয়ে করি তখন আর একটি স্থানীয় মেয়ে ও বাংলাদেশী ছ’মাস আগে পরে, মেয়েটি গ্র্যাজুয়েট আর খুব অহংকারী হিংসুক স্বার্থপর লোভী কাজের ভয়ে শাশুড়ির অত্যাচারটা বেশী একটা সহ্য করতে হয়নি যতটা আমাকে করতে হয়েছে— ওই কথায় আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না– আমি আমার ভাসুর, জা কে নিজের দাদা দিদি র মতোই ভালোবাসতাম, কিন্তু ওই মহিলা বরাবর ই আমাকে হিংসা আর অত্যাচার করে গেছেন, আমার মনে আছে আমার একশো জ্বর ওই অবস্থায় ওদের বাড়ী গিয়ে খাওয়ার মাছ দিয়ে এসেছি! ওই মহিলা আমাকে সবসময় ছোট করে গেছেন উনার বাবা মা দাদা ছিল এটা ওটা দিত, তা নিয়ে আমার বর শাশুড়ি অত্যাচার করত, আমাকে বছরের বছর ওই মহিলার সামনে আন্ডার এস্টিমেট করা হত শুধুমাত্র আমার বাবা মা নেই বলে, জীবনে সবথেকে বেশী কষ্ট পেয়েছিলাম ওই দিনটায় — আমার বাচ্চা জন্ম হওয়ার দিন !

ওইদিন আমার বরের ও ডেঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি, আমি দশ মাসের প্রেগনেন্ট, শ্বশুড় শাশুড়ি ননদ সবাই বাংলাদেশে থাকেন। সংসারটা আমি ই দেখি উনারা সুবিধামতো এসে আখের গুছিয়ে ঘুরে টুরে চলে যান। আমার শাশুড়ি কোন কিছু করার ক্রেডিট নিতে ভালোবাসেন। শাশুড়ি ছিলেন সেইসময়। প্রতিটা মূহূর্তে আমাকে গালিগালাজ করে গেছেন। একশো বছরের বুড়োর সংগে থাকতাম ওই প্রেগনেন্ট অবস্থায়, শাশুড়ি র দেওয়া ওই নরকযন্ত্রণা আমি মরা অবধি ভুলতে পারব না।

আমার মনে হচ্ছিল বাচ্চা পেটে ধরে অনেক বড় অন্যয় করে ফেলেছি! আমার মা নেই বাপের বাড়ি থেকে কেউ আসেনি এটা নাকি সবথেকে বড় অপরাধ, এমনকি শাশুড়ির কথায় শাশুড়ি সহ শাশুড়ির যত আত্মীয় সবাই মিলে গালিগালাজ বাজে ব্যবহার করছে, আমার জীবনে ভয়ংকর শাশুড়ি জীবনে দেখিনি, তারপরে শুনুন আমি সিজারের পর ওদের আচরণে প্রায় কেঁদে দিয়েছিলাম। শাশুড়ি কাছে থাকতে আমাকে ধরতেও চায়নি, এত জঘন্য বংশ আর শাশুড়ি আর কারো যেন না হয়।

আরো শুনুন তাঁর ছেলের জন্য বাড়ির ভালো ভালো খাওয়ার আসত আর আমার জন্য হাসপাতালের খাওয়ার ! বাচ্চা জন্মের পর মেয়েদের অনেক ইচ্ছা থাকে!

আমার বেলায় শুনুন যে মহিলার কথা বললাম ও প্রেগন্যান্ট। ওকে স্বাদ দিল আমার বেলা মাছের কাঁটা খাইয়ে রাখল। এতো মাছ আনত কোথায় যেত জানি না আমি পেতাম মাছের কাঁটা আর আলুসিদ্ধ, আমার যেদিন সিজার সেইদিন তাঁর স্বাদ অথচ আমার বরের মামার ছেলের বৌ — কত আপন— আমাকে এতটাই হিংসা করত যে যেদিন আমরা কষ্ট পাচ্ছি সেদিন তাঁরা — আনন্দ করছে— শুনে আমার চোখ ঠসঠস করে জল পড়ে গেছে— তাঁর নাকি ছেলে হবে আমি যদি নজর দিয়ে দি, অথচ ইশ্বরের এমন কৃপা দেখুন ওর মেয়ে হয়েছে আমার ছেলে–

ভগবানের দোয়াতে এরকম সংসার আর আত্মীয় স্বজন কারো না হয় — আরো শুনুন ওর বাবা মা আছে বলে খুব অহংকার করত আমার সংগে সম্পর্ক ছিন্নের ছমাসের মধ্যে ওই মহিলার বাবা মা র বাবা মা মারা যায় — তাঁর যা অহংকার ফুটানি দেখলে আপনিও হয়রান হবেন— ওইজন্য কথায় আছে না পাপ বাপকেও ছাড়ে না—ছোটোখাটো একটা কাজ করে তাঁর জন্য এতো অহংকার ভাবা যায় না?

দাদা একটা আছে আগে দিতো এখন বিয়ে করেছে — তাই ঝাড়ার চান্স পাচ্ছে না এইসকল মেয়ে ঝাড়া পার্টি কষ্ট করে সংসার করার বেলা নেই— যে দিতে পারবে সেই ভালো–?

নীরা পর্ব/ রিয়েল কাহিনী

নীরা পর্ব/ রিয়েল কাহিনী
আমি চাই সবাই কমেন্ট করবেন।

নীরা একজন নির্যাতিতা। নীরা র জন্ম হয়েছিল এক নামী হাসপাতালে/ চারিদিকে বসন্তের আনাগোনা / দোলের রঙিন প্রজাপতিরা উড়ছে / ঠিক তখন ই নীরা মায়ের কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছিল/ নীরা” নামটি তাঁর জ্যাঠু র রাখা। তাঁর বাবা একজন ডাক্তার। জ্যাঠু ও। গরিব মধ্যবিত্ত জেলে পরিবার। বাবার আটভাই।

কলকাতায় নীরা বেড়ে উঠতে লাগল। মামাবাড়িতে থাকাকালীন কত স্বপ্ন কত আশ্বাস দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে তাঁর শিরায় শিরায়। নীরা আপনমনে বড় হতে থাকে একটা মেয়ের বড় হওয়া তাঁর স্বপ্ন তাঁর আত্মাকে বড় করে তোলা অনেক কষ্টের কাজ।

নীরার যখন চার বছর বয়েস তাঁর জীবনে নেমে এল বিপর্যয়। সচ্ছল জীবনযাপন ছিল তাঁর কিন্তু নীরার বাবা ভালো মনের মানুষ ছিলেন বলা যেতে পারে। কিন্তু পুরুষ দের ইগো বেশী আর অন্যের কথা শোনে বেশী। অন্যের কথা শুনে বৌকে সন্দেহ করে মারধর করত/ বৌ বাচ্চা কোণঠাসা” জীবন যাপনে বাধ্য করত।

বাচ্চাদের সামনে পর্যন্ত মা কে ধরে মারধর করত নীরার মা শিক্ষা থাকলেও বুদ্ধি কম তাই কিছুই করতে পারে নি বা করার প্রয়োজন মনে করেনি নিজে বাঁচলে বাপের নাম তাই নিজেকে বাঁচাতে এক নরকে” বংশটাই পুরোটা নরক ছিল শিক্ষিত বংশ হলেও আটটা ভাই একেবারে অলশ আর গন্ডমূর্খের মতো আচরণ করত / নীরার জ্যাঠিমা রা যেমন স্বার্থপর শয়তান জঘণ্য নিচ মনের মানুষ ছিলেন/ এতোদিন মামাবাড়িতে ভালোই কাটছিল এরপর মেদিনীপুরের গ্রামের বাড়িতে চলত তাঁর নরকজীবন যাপন তাঁর এক বোন ছিল।

পরিবারের সবাই কেউ ভালোবাসত না শুধুমাত্র সম্পত্তি ও টাকার লোভে ভালোবাসার মোহে মজিয়ে রাখত। নীরার নরকযন্ত্রণা পাঁচ বছর বয়েস থেকে শুরু হল নীরার বোন ও অসহ্য কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করত নীরার কাকু জ্যাঠিমা পিসি বাড়িতে ঘরজ্যামাই — এরা সবাই মিলে প্রত্যক্ষ ভাবে আবার পরোক্ষ ভাবে মিথ্যেকথা বলে তাঁর বাবাকে দিয়ে মার খাওয়াতো। একরকম জীবন নরক” হয়ে উঠেছিল।

তাঁর পর জীবনে এলো দাদু। বাবা প্রচুর নেশা করত মেয়েদের সংগে ঘুরে বেড়াতো বাবার জীবন একপ্রকার শেষ/ নেশা করে এখানে ওখানে পড়ে থাকত ডাক্তারী চাকরি ছেড়ে একপ্রকার ঘরে বসে থাকল। মেয়েদের উপর আর পালিত বাবা র উপর অকথ্য অত্যাচার করত।

নীরা র কথা ভাবুন মায়ের ছায়া মাথা থেকে নামতে না নামতেই বাবা মারত বাড়ির সবাই প্রায় মানসিক শারিরীক অত্যাচার করত। এসব সহ্য করে নীরা বড় হতে লাগল। খেতে পেত না অর্ধেক দিন না খেয়ে স্কুলে যেতে হত। অনেক কষ্টে পড়াশোনাটা চালাতে হত। বাবা পড়ানোর নাম করে প্রচুর মারধোর করত। খেতে পরতে দিত না। জ্যাঠিমা দিদি রা হিংসে করত পিসিরা দাদুর ঘাড়ে বসে খেত আর নীরা আর নীরার বোনকে দিয়ে রান্নাবান্না করাতো। বাবা এককথায় কসাই ছিলেন। একজন ডাক্তার” কখনো বলা যায় না। নিজের মেয়ে কে মারতে মারতে অজ্ঞান করে দিতো। উনি মানসিক অসুস্থ ছিলেন। একজন জ্যাঠু ডাক্তার উনি বাবাকে সারানোর কোন ব্যবস্থা ই করেননি নিজের ঝুটা ইগো” সন্তুষ্ট করার জন্য/ নীরা নিজেই বুঝতে পারছিল না কি করবে/ নীরা ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত জীবনযাপন করত।

নীরা র বোন টা হাসিখুশি ছিল। তাঁর জীবনটাও নষ্ট করে দেওয়া হল। ষোল বছরে এক বুড়োর সংগে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে এক দিদি ঘরজ্যামাই থাকতেন উনি খুব বাজে চরিত্রের শয়তান মানুষ ছিলেন। বাইরে ভালো মানুষ সেজে থাকত দিদি আর দাদাবাবু খুব মানসিক ভাবে অত্যাচার করত। গালিগালাজ করত। গায়ে যখন তখন হাত দিত। বাড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ব্লু ফিল্ম দেখাতো যাতে সে বাজে কাজে নিজের লাইফটা বরবাদ করে নে। বারবার গায়ে যেখানে সেখানে হাত দিত। নোংরা মজা অনুভব করত। খুব বাজে প্রকৃতির মানুষ।

বিয়ের জন্য এতো চাপ দিত যে নীরা মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে কোনরকম একজন বাংলাদেশী আধাবুড়ো টাক না দেখে শুনে আর এক নরকে নিজেকে ফেলে দিতে বাধ্য হল / নীরা নিজেই বুঝতে পারছিল না কি করবে ? দাদু কে বাবা মারত? বাবা সবসময় ঝগড়া ঝাটি করত? ছোটবোনটার বিয়ে হয়ে যেতে বাবার পাগলামো আরো বেড়ে গিয়েছিল? কি করবে? কোথায় যাবে? ওই আঠারো বছর বয়েসে আত্মহত্যা করবে? কি করবে? বুঝে উঠতে পারছিল না?

যাকেই পেল সে ভালো কিনা পরিবার ভালো কিনা না দেখেই এক দিনে লাফিয়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিল। ভাবল ছেলেটা বলছে ভালোবাসে তাহলে ভালোবেসে বিয়ে করতে চায় কিন্তু ছেলেটা কোনদিন ভালোবাসে নি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য নীরাকে বিয়ে করেছিল — এক নরকের জীবন থেকে পালিয়ে বেঁচে আর নরকের জীবন যে অপেক্ষা করছিল—সেটা ঘুণাক্ষরে ও বুঝতে পারেনি— নীরা পালিয়ে আসতে নীরার দাদুকে বুদ্ধি করে নীরার বাড়িতে থাকা জ্যামাইটা মেরে দিল সম্পত্তির লোভে পিসিদের সংগে মিলে—

নীরার এখন কি করা উচিত??? কার দোষ এখানে বলুন?

কবিতা লিখি কেন?

Feeling kalponik

খুব কষ্ট পেলাম !
প্রত্যেকবার ভাঙা আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভালো লাগছে না !
ভালো লাগছে না “ ভালোবাসার ভিখারী। ”হতে!
তুমি জিগ্যেস করেছিলে মুচকি হেসে কবিতা লিখি কেন?
আমি তোমার এলোমেলো চোখগুলোকে আমার চোখে র স্পর্শে স্থির করে বললাম “শান্তি পাই”

এবার ঝড় উঠবেই
বিতর্ক হবেই
তুমি কেমন ভাবে আড়চোখে তাকাবে
বিড়াল কুকুরে ভরে যাবে রাস্তাঘাট

আমার সারা গা জনকোলাহলে ঘিনঘিন করবে
আমি কবিতা লিখতে পারব না
প্রচন্ড বাস্তবতার রোদ্দুরে আমি সুর খুঁজে পাই না
দিগন্তে তাকিয়ে তোমাকে খুঁজি
সেখানেই চড়া রোদে সব স্মৃতিগুলো
আমার শুকিয়ে যায়
আমার কবিতা লেখা নিয়ে মেঘ গাছেদের মধ্যে বিতর্ক হোক
না থাক
ভিক্টোরিয়া র কাছ দিয়ে তোমাকে ঘুরিয়ে আনতে চাই না
চাই না পার্কের হাওয়া ” গুলোতে তুমি মাতো
আমার কেমন প্রেম প্রেম পায় না
ও তো শরীর ”ছুঁলে কেমন ঘেন্না ঘেন্না লাগে
আমার ওড়না র একটা সুতো” র ভালোবাসাতেই তোমাকে আটকে রাখতে চাই?

কবিতা লিখি কেন?
আমাকে বিরহের চকোলেট” দিয়ে চলে যাও
বিষে দগ্ধ আমি
কবিতা র মিঠা তে একটু মজে
শান্তি পাই
ভালোবাসা র ডানা” গুলো তে কল্পনায়
উড়তে!
এবারে বুঝেছো
জল খাবে
কষ্ট হচ্ছে
হ্যাঁ সেতো হবে
আমার হাতের ফুল গুলিকে তুমি যে গুলি করে মেরে ফেলেছো?
ভেবে দেখো তুমি কতটা খুনি?
আমার আত্মা শরীর মন কে শেষ করেছ তিলে তিলে?
যন্ত্রণা তো যন্ত্রণা র পাওনাদা র তাই না?

প্রেমে পড়া

শোনো আজ তোমার প্রেমে পড়লাম
না আমি প্রেমিকা নই আ্যকচুয়ালি আমি একজন বিবাহিত মহিলা”
তুমি ভালোবাস জানি
তোমার চোখের লাল আভা গুলি আমার হৃদয়ে জমা হচ্ছিল
শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল
হা ত পা গুলো কেমন একটা অদ্ভুত ভাবে নাড়াচাড়া করছিল

গাছপালা প্রকৃতি চেয়ার টেবিল সব যেন কেমন খুব সুন্দর লাগতে শুরু করল
আমি বিবাহিত জানি
জানি
বারবার বলে বদনামের ভয়ে দূরে থাকতে হবে না
বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না
আমাকে দেখার জন্য বসে থাকতেও হবেনা
আমি জানি আমাকে না দেখলে তোমার চারিদিকটা আঁধার হয়ে যায়

তুমি কাঁদতে থাক
বড় রাস্তার বাস ট্রামগুলোকে গালি দিতে থাক
তবু তুমি সামনে এসে বলবে না
বলবে না
কখনই স্বীকার করবে না যে তুমি আমাকে ভালোবাস
আমার জন্য তোমার চোখটা একবার হলেও ভিজবে
দূরের তারা র দিকে তাকিয়ে আমাকে খুঁজবে
জড়িয়ে ধরে শাড়ির গন্ধ টুকু পেতে চাইবে
মুখের হাসিটুকু বেঁধে রাখবে তোমার বুকের কাছে

হ্যাঁ আমি বিবাহিত
ভণিতা করে পুরো ভালোবাসাটাই পাচ্ছ
বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরতে পারছ
হাতে হাতে মেহেন্দী র স্বপ্ন এঁকে পরক্ষণে কেউ নও“”প্রেমিকা নও”“সম্ভব নও”–
কথাগুলো বলতে পারছ!
কষ্ট দিতে পারছ !
বুকে পেরেক গেঁথে আবার প্রলেপ লাগাতে ও পারছ?

তুমি কি ভালোবাস?
এটা কি সত্যি প্রেম?

যন্ত্রণা বিঁধে রক্ত শুষে চলে যাও
সারা রাত ছটফট জোনাকির সাথি হয়ে বসে থাকি!

কলেজের চেয়ার গুলো টেবিলগুলো তোমাতেই ডাকে
টিফিনের সময় তোমার চোখ কে মিস করি
তোমার দেওয়া সেইসব মূহূর্তগুলো!

মাঠের আকুতি দেখোনি
দেখোনি আমার রক্তমাখা মনটা!
কাতর গাড়ি র পাগলামোটা?

বুঝি আমি বিবাহিত
তবে কেন ভালোবাস?
কেন শিশিরের ঠান্ডাতে নিয়ে গিয়ে আমাকে শিখিয়ে দাও নিরব প্রেম?
তোমার নিরবতা” আমাকে পাগল করে দেয়?
আমি আকাশ এ বাতাসে তোমাকেই শুঁকতে থাকি!
তুমি কি বোঝ না!

আমি সেই “বিবাহিত”–
যাকে তুমি একমাত্র প্রেমে ফেলেছিলে?
সর্ব অঙ্গে বিরহের রোগ ছড়িয়ে দিয়েছিল?
আমি সেই বিবাহিত?
এবারে বল তো আমি কি সত্যি বিবাহিত?

রাজনীতি ও কবিতা

পায়ে হেঁটে হেঁটে নদী পার হতে যাব
এমন সময় কপলাকুণ্ডলার ” হাত পা চোখ মুখ জলের উপরে
ভাসতে দেখা যাচ্ছে
ডুবছে ভাসছে
সে বেঁচে নেই
শুধু ই পুতুলে” র ওঠানামা—
এটাই রাজনীতি” নামক মাটির মূর্তি!

নদীর ঢেউ
ভেসে যাওয়া পাতা
স্বচ্ছ জল
ঢেউয়ে র দোলাতে দুলতে থাকা নৌকা
সন্ধ্যের শাঁখ
বাঁশির সুরে কেমন একটা আনচান শব্দ
নূপূরের ঝনঝন
শাঁখা র বিবাহিত বিবাহিত গন্ধ
চওড়া সিঁদুর
কেমন কেমন করা মন!
উদাসী কোকিলে র ডাক!
ডুবে যাওয়া ঘটের খেলা!
এটাই কবিতা!

কবিতা” র এই মূর্তিটি সবা র ই মনের কোনে “ভিটামিন” সেজে লুকিয়ে থাকে!
প্রেমের রোগেদের সংগে খেলা করে
দুপুরে ধান শুকোয়
পাশে বাচ্চা রেখে লুডো খেলে
কবিতা” গরিবি র কাদা তে মেখে
আটকে থাকে হৃদয়ের গভীরে?

মাছ ধরে
চেয়ারে রোদ পোয়ায়
রাজনীতি র টেবিল টার মুখ চোখ ভাঙানিতে তাঁর ভয় হয়
সব দড়ি ছিঁড়ে যায়
পাল ছেড়ে দেয় বড় বড়নৌকা
ভেসেলের আওয়াজ টাও কেমন “ স্বার্থপর স্বার্থপর মনে হয়
কুৎসিত গন্ধ র চিৎকার
ফুল গুলোর সৌরভ শুকিয়ে যেতে থাকে যুবতীদের সাজে!

.
_____________
কাকদ্বীপ
দক্ষিন চব্বিশ পরগনা

তোমাকে দেখলে/একটি প্রেমের কবিতা


উৎসর্গ—অজানা শ্রোতা

জান! কতদিন হল কবিতা লিখি না
তোমাকে দেখলে কবিতা লিখতে আর ইচ্ছে করে না
প্রকৃতি তুমি
সাগর তুমি
নদী তুমি
বিদ্যুতের ঝলকানি ও তুমি!
না সেটা বলছি না যে আমার কবিত্ব শেষ হয়ে গেছে
আমার শব্দগুলি তোমাতেই সমাধি পেয়েছে
ঠিক সেটা বলছি না বুঝতে পেরেছ
লক ডাউনের প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকে দেখেছি
তোমার অনলাইনের অবহেলা
তোমার ইগোর দাপাদাপি
তোমার অপ্রেম সহ্য করতে করতে
আমি ক্লান্ত
তোমাকে দেখলে কেমন যেন ভুলে যাই
প্রোফাইল পিক গুলো যদি জীবন্ত হত
সত্যি কি ভালোই হত না
হয়তো বা গিরগিটি সেজে থাকত
অনেকরকমের রং পাল্টাতে পারতে তুমি
তোমার চারপাশ দিয়ে কোন ঝর্ণা বয়ে যেত
আর সেই ঝর্ণায় আমি স্নান করতাম
না
আর প্রেম চাই না
আর চাই না ভুরিভুরি মিথ্যার বালিশে শুয়ে শুয়ে স্বপ্নে ভাসতে
তোমাকে দেখলে এখন কেমন ঘৃণা জন্মায়
কেন বলোতো?
সত্যি কি যাকে ভালোবাসা যায় তাঁকে কি ঘৃণা করা যায়!
চুলগুলো আলুর মতো করে ফুলে ওঠে
এখন আর তোমার চোখ পবিত্র দেখায় না
ছলনাতে ভরা ব্যভিচারী রমণীর শরীর হয়ে ওঠে দিনদিন
তোমাকে দেখলে কাছে যেতে ইচ্ছে করে
জড়িয়ে আদর করতে
না সে সাহস আমার নেই
চাঁদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে রাণী হতে তো পারি
তোমাকে দেখলে কেমন আবেগের ঝোলা নিয়ে মিথ্যে ভিখারী মনে হয়
আকাশটার ভুলগুলো তোমার মাথাতে পুরোটা আশীর্বাদ করল
তাতেই তোমার প্রেমগুলো রিয়েল স্টেজে পৌঁছাল না
তালগাছ গুলো ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলছে
তুমি ই বুঝলে না
বুঝলে না ব্যথাগুলো গোলাপ হয়ে গিয়েছিল
তোমার ঠোঁটের চুমুকে ফুটত
সাজাত বাসর
কান্না গুলো কমলালেবুর মতো টক হত
তোমার পিঠ মুখগুলো রুইমাছ সেজে আমার খাদ্য হতো
কেমন রান্নাঘর রান্নাঘর ব্যাপার হয়ে উঠত
তোমাকে দেখলে কেমন বিবাহিত বিবাহিত লাগছে আজকাল
কথাগুলো কাঁপছে
মন ছটফট করে দুমড়ে মুচড়ে ঝড়ো হাওয়া

তোমাকে দেখলে
ভুলে যাই
ভুলে যাই সব
না পাওয়া, তিরস্কার, অপমান
কাঁটাগুলো র রক্তারক্তি র খেলা
যন্ত্রণা, কষ্ট, —-

আবার চলতে থাকি —
সেই রাস্তায়
কেন্নো, কেঁচোদের সংগে
সাপেদের বিষে জ্বলে
মুখ বুজে কান্না করি মাত্র
আর না
আমি আর পারছি না
আকাশের বুকে তোমায় রেখে মিথ্যে কল্পনায় ভাসতে পারছি না
আগুনের ফুলকিতে আমি পুড়ে যাচ্ছি
সুতো র নৌকাতে চড়ে তোমায় ধরে রাখতে চাই না
তোমার ভাবনা প্রেমগুলো পেঁপে গাছে র হলুদে ডুবে যাচ্ছে!

তোমাকে দেখলে মেয়েদের এখনো প্রেম পায়
আচ্ছা বৌ প্রেম করে
পান গুঁজে দেয়
হাত ধরে
সিগারেট খেতে দেয়
লক ডাউনে কাছে আসতে দেয়
বৌ ভালোবাসে

আগের মতো জৌলুস নেই
তোমাকে দেখলে আর ঠিক প্রেম পায় না —-
আর তোমাকে দেখব না
তোমার দিকে তাকাব না—-
ভুলতে পারব না
শাঁখের আওয়াজগুলো
পরিচিত শব্দগুলো
মোলায়েম শুকতারা র স্পর্শগুলো!
কষ্টের বিরহগুলো
ফিরে আসতে পারো!
অন্য কোন রাস্তা দিয়ে
যদি পুরোনো প্রেমটা আবার জমিয়ে আড্ডা দেয়
গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে!?

_________
কাকদ্বীপ
অরুণিমা মন্ডল দাস।

কোনটা প্রেম আর কোনটা ক্রাশ?/অরুণিমা মন্ডল দাস

আধুনিক জীবন যাপনে “প্রেম” শব্দটা প্রায়শই শোনা যায় – গ্রামেগঞ্জে শহরে সব জায়গায় প্রেম ভালোবাসা উপচে ঝোপে ঝাড়ে মেট্রো ,ট্রেনে কাপলদের দেখলেই বোঝা যায় \–ঠিক কতটা পরিমান প্রেম উথলে উথলে পড়ছে? বিয়ের আগে কতকিছু সোনা মোনা ডার্লিং আরো কিছু থাকলে বলতে শোনা যায় বিয়ের পরে বাচ্চার টয়লেট পরিষ্কার করতে করতে ই মেয়েদের যৌবন কেটে যায় !

সে যা হোক আসলে প্রেম কি? ক্রাশ কি? সেটাই বুঝে উঠতে পারলাম না/ আজকাল সুন্দর ছেলে সুন্দরী মেয়ে বিশেষ করে সিঙ্গেলদের ক্রাশ” বল আর প্রেম বল কোনকিছু র অভাব নেই /অভাব শুধু প্রকৃত ভালোবাসার /ভালো লাগল পেতে হবে না হলে বাঁচব না”—ঠিক এটাকে প্রেম বলা যায় কি? আবার ভালো লাগল জ্যাকেট পরেছে হিরো স্টাইলে ফিদা তাই”! –এটা শুধুই ক্রাশ! আপনি ছেলেটির বা মেয়েটির পোশাক চুল শরীর কে পছন্দ করেন মনকে নয়? তাই নয়কি? যে ভালোবাসবে সে আপনার শরীর কে নয় চামড়ার রংকেও নয় আপনার আত্মা” কে ভালোবাসবে!/ সবকিছু কেই ভালোবাসবে ভালোদিককে ভালোবাসবে আবার খারাপ দিককেও ভালোবাসবে/

প্রেম” বিবাহিত এনগেজ ইন আ্য রিলেনশিপ এইসব আগাছা কে মানে না /আসলেই সবাই সবার মনের মতো হয় না/আর সবকিছু প্রকৃতির নিয়মে ঘটবে সেটা আশা করা ও যায় না/ সুশৃঙ্খল ব্যক্তিকেও অনেক সময় অনেক কিছু মেনে নিতে হয় / ব্যাপারটা ঠিক এরকম সবাইকে সবার ভালো লাগে না ? সাইকোলজি লি মন থেকে যাকে যার পছন্দ যার সংগে মেন্টালিটি ম্যাচ করবে তাঁর সংগে ই সম্পর্ক সম্ভব সে যে হতে পারে /সে বিধবা বিবাহিত যেকেউ এটা কোন ফ্যাক্ট /আমি জোর গলা য় বলতে পারি কোন রিলেশান ই” প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে পারফেক্ট” থাকে না বা থাকতে পারে না /

এক মা ছেলের সম্পর্ক ছাড়া কোন সম্পর্ক ই পারফেক্ট হতে পারে না/অন্য ব্লাড রিলেশান /অন্য পরিবারের মেয়ে ছেলে !/ কি করে পুরোপুরি ম্যাচিউরড পারফেক্ট পাবেন বলুন? সব সম্পর্কেই “গিভ আ্যন্ড টেক” পলিশি কাজ করে মাত্র !

ঠিক সেই কারনেই খুব প্রেম অমর প্রেম এইসব ফালতু ছাড়া কিছুই না /মোহ জিনিসটা তীব্র মাত্রায় কাজ করলে কিছু একটা হয় /তীব্র আ্যট্রাকশান বলা যেতেও পারে /ক্রাশ জিনিসটা তিনমাসের বেশী থাকে না /সুন্দর সিনারী র মতো /ভালো লেগেছিল আবার দেখলে কিছু কিছু হতে পারে / মনের নাগাল পেতে অনেক দেরী? মনের পেট খারাপের হদিশ ক্রাশেদের” নজরেই আসবে না! উরা সুবিধাবাদী প্রেমিক /কষ্ট হলে চোখ জল এলে প্রেমটাকে দুমড়ে মুচড়ে কুঁড়ি থেকে ফোটা ফুলটাকে গঙ্গায় ছুড়ে মেরে পালাবে/ এদের মন থাকে না রূপ দেখেই পাগল হয় মাত্র !

প্রেম সত্যিকারের হলে পর মনে তাঁর ছাপ সারা জীবন থেকে যায় /একজন প্রেমিক প্রেমিকার আই কনটাক্ট ই তাঁদের হার্টবিট বাড়িয়ে দেয় মন নিঙড়ে নেয় সম্পূর্ণভাবেই দুজনের আত্মার খবর দুজনের মধ্যেই প্রতিস্থাপিত হয় / এখনকার প্রেম প্রেমিকদের মধ্যে তো দূর ,বিবাহিত লিভ ইন দের মধ্যেই দেখা যায় নি/ জীবনটা একটা নিয়মে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে/ সকালের চা দুপুরের খাওয়া রাতের খাওয়া ”—এটাই কি জীবন? এর জন্যই কি আমরা বাঁচি/ মাঝেমধ্যে উড়ো গার্লফ্রেন্ড বৌয়ের ঝামটা বরের মারধর চিমটিকাটা ঝগড়াঝাঁটি?/ এটাই জীবন? ভালোবাসাহীন জীবন/সবাই আমরা এরকম ই বেঁচে আছি/সংসারের দাস/
প্রকৃতির দাস / প্রেম করছি শরীর দেবে না তা হয় তখন ভাববেন ডালমে কুছ কালা হ্যায় যে প্রেম বাঁচাতে আপনি ঝোপেঝাড়ে শুয়ে পড়লেন দেখবেন কিছুদিন পর সেই প্রেমিক বোর হয়ে যাচ্ছেন/ দূর শুতে ভালো লাগছে না? ছেলেরা অবশ্যই কিছু ছেলেরা এতো লোভী সুন্দরী বৌ তাতে তাঁদের মন ভরছে প্রেমের নাটক করে শুচ্ছে/ আবার বলছে দূর ভালো লাগছে না? এদের নিচের অংশে আলাদীনের গুহা” অর্ডার দিলেও মনে হয় না এদের শান্তি মিলবে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু মেয়েদের ?এটা কি প্রেম? ভালোবাসা?

এদের কোথায় শান্তি আর কোথায় ভালো লাগবে বলে দিতে পারবেন?

তাই জোর গলায় আবার ও বলতে পারি কোন বিবাহিত কাপল ই সুখী নয় জাস্ট লোকদেখানো সেলফি তে জীবনযাপনে নাটক করে মাত্র! কজন বিবাহিত পুরুষ বা মহিলা প্রকৃত ভালোবাসা পেয়েছেন বলতে পারেন!কেউ ই নয়? সব নাটক মাত্র আর কমপ্রো র পাহাড় ?

….ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে। আমার কিছু তীক্ষ্ণ সত্য বাক্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। অনেক দিন পর এলাম কিছু শব্দ ভালো না লাগলে বাদ দিতে পারেন।

শনিবার

আজ দিনটা আগষ্ট ১৭ শনিবার
দেখতে পাচ্ছো দিনটি সূর্যকে ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে আমাদের দিকে
জানিনা তোমাকে দেখলে আমার কিরকম কিরকম লাগে
এক বলতে গিয়ে আর এক বলে ফেলি
নার্ভাস লাগে
জানি এটা প্রেম নয়
আকাশবানী র সংবাদ প্রচার নয়
কোন বাঁধানো রক্ষনশীল সম্পর্ক ও নয়
একটু ভালোভাবে আমার কাছে বসে থাকতে পারো
আর ও বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে

কিন্তু তোমার দিকে ভালো করে তাকাতেই আমি
চারিদিকে কালো কালো বৃষ্টিপাত দেখতে পাই
তোমার যে চোখ আমার খুব ভালো লাগে
সেগুলো র আকর্ষন ফ্যাকাসে হতে শুরু করে
মাঠের সৌন্দর্য ও আসতে আসতে হারিয়ে যায়
নাকের ওপর তিলটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে তোমার চোখের
লাজুক লাল আভাটিকে জাগিয়ে তোলে
হলুদ সার্টের বোতাম বহুদূরে ছিটকে পড়ে
কল্পনায় শিহরিত হয়ে যাই
তোমার গোলাপি শরীরের রঙগুলো আকাশের দিকে মিশে যেতে দেখে
আমার ইচ্ছে করে
একদৌড়ে রামধনু হয়ে যায়
মেঘটার টোপর থেকে তোমার
হৃদয় ছিনিয়ে নিয়ে আসি
লুকানো গুহায় তোমার মন কুঁকড়ে বসে আছে
কতশত বার আমি কোলে নি
কাছে ডাকি
সে আসবেই না
আমাকে বিশ্বাসঘাতক শৃগাল ভেবে
দূরে থাকে
কষ্ট পায়
ছাউনির খড়গুলো চিবিয়ে
কেবল অসহায় ভাবে তাকিয়েই
বেঁচে থাকে

শনিবার
বেশীমাত্রায় পারদ ঢেলে দেয় আমার উপর!

.
অরুণিমা মন্ডল দাস
কাকদ্বীপ।

কবিতা ও কোবিতা

জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সাইকেল কিনেছে
অনেক যত্ন করে কবিতার চাকা”
ঘোরাবে
বছর বছর বৌ আত্মীয়দের অবহেলা সহ্য করে ও জেদ নিয়ে বসে আছেন
বাজারে কবিতার আধুনিক বড় চাকা চাই
তিনি রাত দিন এক করে ঘোরালে ন ই
তাও মনে শান্তি নেই
শনিবারের চিঠি” পিছনে তাড়া করছে

সাইকেল এখন বাইকে পরিণত
অনেকে আবার ন্যানো গাড়ি চাইছে

কিন্তু
কথা হল
আধুনিক চাকা হোক পুরাতন চাকা হোক সব চাকা সোজা দিকেই ঘুরবে ?

স্বাধীনতা

স্বাধীনতা ঠিক কি?
ষোল বছরে মেয়ের বিয়ে উনিশে বাচ্চার মা
বই খাতা র পরিবর্তে বাসি কাজ
ভিজে কাপড়
নিয়মের রংবেরঙের মেট্রো
রুট ধরে চলা ফেরা করে
জীবনের চারপাশ
মেনে নেওয়া শুধু মেনে নেওয়া
সংসারে অশান্তি!

বাচ্চা নাও ঠিক হয়ে যাবে
তারপর ও অশান্তি
ওরকম হয় মেনে নাও
মেরে ফেললে যা মরে গেল !

আত্মহত্যা করলে
ঢং করছে! কত সহ্য করে মানুষ বাঁচে আর একে মরতে হল”
মেয়েদের বাঁচা পরের জন্য
বাবা মা না থাকলে তো কুকুরের জীবন!

রাস্তায় বৃষ্টি
ছাতা নেই
একমনে ভিজছি
মনে হাজাররকমের গীটার বাজছে
কারো ভালোবাসা র স্পর্শ গুলো কুয়াশা র শান্তি!

এটাই কি স্বাধীনতা?
খোলা ছাদে এলোমেলো মেঘগুলো কোলে
আদর খাচ্ছে হাওয়া প্রকৃতি আমার মাথায় হাত বুলোচ্ছে

আবছা আবছাভাবে মায়ের মুখ টা মনে পড়ছে
বোনের রাগগুলো গরম হচ্ছে আমার অভিমানে
পেন ধরে লিখতে বসলাম
ওখানেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কোন রোমান্টিক গানের হলুদ সাদা নীল গোলাপী কেড়ে নিতে
ইচ্ছে করছে
এটাই কি স্বাধীনতা?

চুলগুলো নরম কিনা হাত দিয়ে দেখতে খুব
ইচ্ছে করে পাখিটির
অনাথা পাখিটির ভয় হয়
যদি কোন হতাশা য় তাঁর রক্ত শুষে
কল্পনায় আঁকা প্রেমগুলো মেরে ফ্রস্ট্রেটেড থ্যালাসেমিয়া তে না যেন
আক্রান্ত হয় !

খুব কষ্ট হয়
স্বাধীন দেশে
নির্মল দেশে
পথে ঘাটে নোংরা দেখে
ভিখারী দেখে
শিশু শ্রমিক
শিশু ভিখারী দেখে
পোষ্টার দেওয়া নাবালিকা প্রস্টিটিউট দেখে
মোড়ে মোড়ে হিংসাত্মক কাজকর্ম দেখে
পাবলিসিটির লোভে নীচে নামতে দেখে
এটাই কি স্বাধীনতা?

সরকারী ফর্ম বছর বছর পড়ে থাকতে দেখে?
পেনশনের টাকা দেরীতে আসায় বুড়ো বুড়িদের না খেয়ে থাকতে দেখে?
অসহায় মধ্যবিত্তদের পায়ের তলায় পিষে মারার সিস্টেম দেখে?

না
আমি সেটা বলছি না
ভারত স্বাধীন হয়নি
ভারত স্বাধীন ইংরেজদের অত্যাচার থেকে
কিন্তু আমরা নিজেরাই ইংরেজ হয়ে গেছি?
ইংরেজের উন্নাসিক মুক্ত জীবনধারা আমাদের
অনেক কিছু শিখিয়ে গেছে?
গুড মর্নিং গুড নাইট
পোশাক আশাকে
আমরা ইংরেজদের ই অনুকরণে বাঁচছি?

কিটস শেলী শেক্সপীয়ার আজ ও প্রিয় !
এটাই কি স্বাধীনতা?
সত্যি করে বলুন তো
এটাই কি আমরা চেয়েছিলাম?
নেতাজী রা কি এটাই চেয়েছিল?

.
অরুণিমা মন্ডল
কাকদ্বীপ।

সকাল

শুভ সকাল”
না এটা বলা সবার অভ্যাস
কেউ কিন্তু দেখছে সকালটা চা কফি খেতে খেতে চল্লিশ পেরিয়ে যাচ্ছে
হাতে বাজারের ব্যাগ আর কয়েকটা গার্ল ফ্রেন্ড দের কমপ্লিম্যান্ট মাজেসাঝে একটু শিহরিত ছোঁয়া আর তা ভেবেভেবেই
রাতের হস্ত মৈথুন

না একেবারেই না
এডুকেটেড শিক্ষিত দের আবার যৌনতা পায় নাকি
হ্যাঁ কি না
বোঝা গেল না
যৌন ইচ্ছা পাক না পাক
যৌনঈর্ষা অবশ্যই পায়

যৌনঈর্ষা গুলো বালতিতে গুলিয়ে
নিজেকে কাচে প্রত্যেকদিন
শুকিয়ে শুকিয়ে মনটাকে
লুকিয়ে ফেলে

আই লাভ ইউ” টার আবেগ তাঁদের সিগারেটের রহস্য মাত্র
ধোঁয়ার ওপারে থাকা রিয়েলিটি হারিয়ে
ফেলে
যৌন উত্তেজনার ট্রেন ধরতে

সকাল
গায়ে জামা নেই
পেটের দায়ে মাঠে
অনেকসময় বৌ র লাঞ্ছনায়
খাওয়া দাওয়া নেই

কাছে জড়াতে গেলেই কাটারি খুন্তি
হাড় জিরজিরে নারী শরীরের যন্ত্রণা

উপভোগের থেকে কষ্টের একরাশ ধিক্কার

ঐ সকাল টায় প্রেম বলে কিছু নেই
বাচেলর সকাল

মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছি
আকাশ দিতে পারব
ফুল দিতে পারব
শরীর দিতে পারব
কিন্তু অর্থ দিয়ে নেড়িকুকুরের মতে পেছন পেছন লজেন্স চাই লজেন্স চাই”—
বলে ঘুরতে পারব না—

গুড মর্নিং বলার আগে গিফট
রাতের কণাগুলো আ্যমোনিয়াতে পরিণত হচ্ছে
থাক
তাঁর থেকে বাবাইদের ভাড়াবাড়িতে থাকা বৌদি দেখে কাটাবো
বৌদি রাস্তাঘাটে হাত ধরে ফেলে
খাতাগুলো জিন্সগুলো ভিজে যায়
সকাল টা আর ভেজে না
প্রেমগুলো তে এতো স্বার্থ
কেউ টাকা ছাড়া ছাদ থেকে নামবে না
—!!!

বৃষ্টি

বৃষ্টি বুট, সৌখিন পাঞ্জাবী, শাড়ি, লাল সার্ট পরে আসছে—
জাস্ট তোমার সংগেই আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতে
না—
তুমি হয়তো মুচকি হেসে কথা বলতে পারো আবার নাও বলতে পারো
কিন্তু তোমার হম” না”— কেমন চোখের ভরসা পেতেই আসছে—

পান্তা ভাতে বিরিয়ানি র গন্ধ পেতে হয়তো মরিয়া–
তবু সে তোমাকে ভালোবাসতে আসছে—
পটল আলু র ছালগুলো পায়ে মাড়িয়ে
ধানের শিসগুলি নিয়ে খেলতে খেলতে আসছে—
না তুমি জাস্ট আর লাল সার্ট পরে দাঁড়িয়ে থেকো না —-
মনে হয় জড়িয়ে থাকতে বলছ —?

কোন চুম্বনে জল চাইছ?
কে জানি বৃষ্টি”র লাল আভা গুলো শুষে
ভার্জিনিটি উড়িয়ে গিলতে চাইছো বড় বড় আদর —!

জাস্ট আর এভাবে হেঁটে এলোমেলো চুলে হাত ঘষতে ঘষতে কাছে এসো না—
বৃষ্টি র শিরশিরে স্পর্শে আমি মরে যেতে পারি—
হাতদুটো ধরে কোনদিন ঠোঁট চুষে বলে ফেলতে পারি আই লাভ ইউ”—-
কানে কথাগুলো সাতদিন ঝঙ্কার দেবে—
স্বপ্নের মতো চোখে ভাসবে তোমার চোখ মুখ—-

চারিদিকে তুমিময় প্রকৃতি —-
সকাল থেকে সন্ধ্যা শুধু ই তোমার ছবি দেখি—
নেশা আর কাটে না—

জোরে বৃষ্টি এলেও আমি ভিজছি না
আবেগগুলো তোমার স্পর্শেই বরফ হয়
আবার তোমার হাতেই জল!

_____________
অরুণিমা মন্ডল দাস
প্রকাশকাল সন্ধ্যাবেলা।