মিউজিয়ামের একটি রাত
সকল দর্শনার্থী বিদায় হলে একে একে ছবিগুলো ঢেকে যায় কাগজের আবরনে। সারাদিনের জনসমাগম ক্লান্তি কাটিয়ে রাতের বিশ্রাম পরশটুকু টাকার মতো স্বস্তিদায়ক। ঘুমের প্রয়োজনে অথবা আঙ্গুলগুলোর সুর ঝালাতে, পিয়ানো দিয়ে গিটারে সুর তোলা সে তো সোজা কথা নয়! রাতের অবসরে মিউজিয়ামের পুরনো আসবাব সব খটমট নড়েচড়ে ওঠে।
মাটির একটি মুর্তি ব্রোঞ্জের জনকে শুধায়, কত দিন?
উত্তর আসে, লক্ষ বছর!
লক্ষ বছর ধরেই পেছন দিকে ছুটছে মানুষ। তবু ঢাকঢোল পিটিয়ে, মুখে রঙ-চঙ মেখে নিত্য উঠে দাঁড়াতে হয় স্টেজে। প্রতিদিন মঞ্চস্থ হয় একটিই নাটক, শেষ দেখবার খুব তাড়া তো দেখিনি কারো।
‘এইদিকে……এইদিকে’, বলে চীৎকার করে দোকানদার, ‘এইদিকে আজ খুলে দেয়া হবে এক্সিবিশন গেট।‘ একটা প্রেম বা চাকরী বা ভাল বিয়ে, এসব হলেই জীবনের নাটক শেষের দিকে যারা ভাবে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মঞ্চের পর্দা সরে একলা একটি কাঁঠাল গাছকে দেখা যায়, যে কিনা সন্তান রক্ষায় নিজের শিশুর গায়ে কাঁটার জামা পরাতে ব্যাস্ত।
এরপরেই আবার ঝিমিয়ে পড়ে শহর। বায়োস্কোপের গল্প করতে করতে লোকজন বাড়ি ফিরে যেতে থাকে।
শুধু জানেনা মিউজিয়ামের ফটক তখনো বন্ধ ছিল।
মুগ্ধ হওয়ার মতো গদ্য লিখন। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু তুবা।
ভাল লেখা দিদি ভাই। নমষ্কার রইলো।
*

"মাটির একটি মুর্তি ব্রোঞ্জের জনকে শুধায়, কত দিন?
উত্তর আসে, লক্ষ বছর"
অনুপম! বেশ ভালো লাগলো কবি