দেহের আলিঙ্গন মানে আত্মার আলিঙ্গন নহে
কবি গুরু শুধাইলেন শত বর্ষ আগে –
বাঙালি বিয়ে করে বটে; পায় না স্ত্রীকে
এক আনার প্রাপ্তি ঘটে যাহাতে সংসার চলে
পনেরো আনাই পড়িয়া থাকিল মিছে।
স্ত্রী কভু বুঝিতে পারে নাই; স্বামী পায় নাই তাহাকে
স্বামীর বোধগম্যতাও পড়িয়া থাকিল অনেক পশ্চাতে।
স্বামী পুরুষ অবলীলায় বলিতে পারে নাই সবই স্ত্রীকে
স্ত্রীর কভু ভাবিতে পারে নাই স্বামীকে দর্পণ রূপে।
অহরহ বাড়িয়ে চলি সংসারের পরিধি
দুইজনেই মিলে মিশে চলি মৃত্যু অবধি।
ভাবি কাটিয়ে দিচ্ছি সংসার সুখে
পরপারেও যেন তাহার সন্ধান মিলে।
স্বামী পুরুষ ভাবিছ কভু, বন্ধুকে যাহা বলিতে পার অবলীলায়
স্ত্রীর সামনে কখনো উপস্থিত হয়েছিলে দর্পণ আলোয় –
স্ত্রীও তাই লুকোচুরি খেলিছে অহর্নিশ
সখির সনে ঝাড়িছে সংসারের আশীবিষ।
বন্ধুর সনে হয় যে আত্মার মিলন
সংসারেও দেহের চেয়ে আত্মার মিলন আজ বেশ প্রয়োজন।
স্ত্রীও তাই লুকোচুরি খেলিছে অহর্নিশ
সখির সনে ঝাড়িছে সংসারের আশীবিষ ।————অনেক বোধময় কথা
শুভেচ্ছা নিবেন কবি দা
* অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা…
সংসারেও দেহের চেয়ে আত্মার মিলন বেশী প্রয়োজন। লিখাটি ভালো লেগেছে স্যার। কেননা যে সমাজ প্রকৃতিতে আমাদের বাস তাতে ঘরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুই বেশী আদর্শ।
* ধন্যবাদ সুপ্রিয়…
"বন্ধুর সনে হয় যে আত্মার মিলন
সংসারেও দেহের চেয়ে আত্মার মিলন আজ বেশ প্রয়োজন" ।—যথার্থ বলেছেন।
দামি কথা দিয়ে কবিতাটা সাজিয়েছেন!
* অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি…
কবিতা ভাল হয়েছে কবি দাদা।
* কবি দি, অনেক অনেক ধন্যবাদ…