ঝর্ণার পা দুটো কোলে নিয়ে সুরুজ তাতে আলতা মেখে ছবি আঁকছে; আর স্বগোক্তি করছে,
“এটা সন্ধ্যার দুখিতারা, এটা একশ রাজপুত্তুরের রক্তে ভেজা জবা”
ঝর্ণা তন্ময় হয়ে শুনছে।
“এটা অন্তর নদি, এটা ঈশ্বরের হৃৎপিন্ড”
মুগ্ধতায় ঝর্ণার চোখ বুজে আসে। এক মহারাজের কোলে তার পা!
নিজেকে সে স্বপ্নের রাণি ভাবে; পুরো আকাশ তার আঁচলে।
চোখ থেকে মেঘ খুলে দিয়ে সে সুরুজকে বললো,
“এখানে আমার একটা বাড়ি আছে; একঘর জল আছে। এসো বাসর করি”।
ঝর্ণার একেকটা পায়ে সুরুজ ততোক্ষণে একটা করে রাতের আকাশ নামিয়ে এনেছে। বিছিয়ে দেবে বলে ঝর্ণা বুকের আঁচল সরালো; কারণ এখনি ঝড় ওঠবে!
হঠাৎ দরজার ওপারে বুড়িকন্ঠে একজন খেঁকিয়ে বললো,
“বাচ্চাডা কাইন্দা নীল হইয়া যায়; নাগর বিদায় কর”!
সিদ্ধ বলি আর অসিদ্ধ বলি; পল্লীআলয়ের ঝর্ণা সুরুজের শব্দকাহন নিঃসন্দেহে অসাধারন।
মন্তব্যে আনন্দিত হয়েছি; আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ !
জীবন-অতিজীবনের গল্পটি পড়লাম দাদা।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ !
* প্রিয় কবি,
জীবন-অতিজীবনের গল্প
সুন্দর ও সার্থক উপস্থাপনা…
মন্তব্যে মুগ্ধ হয়েছি;
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কবি ।