সদ্য ঘুম ভাঙা কাউকে
মৃত্যু সংবাদও দিতে নেই,
প্রশ্ন তো ঢের দূরের জিনিস।
এই বোধটুকু আছে বলেই
নিরঞ্জনকে নিয়ে এতো কথা।
বৈশাখের অলস এক তপ্ত দুপুরে
হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে দেখি,
একা একা নিবিষ্ট মনে প্রায়
আদুল গায়ে মেঝেতে বসা,
আমাদের নিরঞ্জন।
– কিরে কখন এলি, ডাকলি না যে?
– তুইতো ঘুমোচ্ছিলি।
– তো কি হয়ছে, তুই হঠাৎ অসময়ে?
– জানিস অরুণ, ভয়ংকর খুনীও
ঘুমের মাঝে খুব অসহায় থাকে।
– কী জানি!
– হুম, পড়েছিলাম কোথায় যেন।
আচ্ছা বল তো,
ঘুমালে বিপাশাকে কেমন দেখায়?
– কিভাবে বলবো,
সেই সৌভাগ্যতো আমার হয়নি!
ঝড়ের বেগে দাঁড়িয়ে,
আরক্ত চোখে শুধু বললো,
“জীবন নিয়ে রসিকতা
করতে হয় না রে অরুণ,
বন্ধুত্ব মানেই হাসি তামশা না।”
অনেকদিন পর নিরঞ্জনের না বলা কথা পড়লাম মি. রোমেল আজিজ।
সুন্দর এই ধারাবাহিক কবিতাটির আগের কথা গুলো মনে পড়ে গেলো।
দারুণ কাব্য প্রিয় বন্ধু
দারুণ!
অনেক শুভেচ্ছা কবি রোমেল ভাই।
ভয়ংকর খুনিও নিদ্রাবস্থায় খুব অসহায়!
বাস্তব কথা। তাই লোকে বলে, "ঘুমে আর মরণে সমান।"
লেখককে ধন্যবাদ।
চমৎকার লিখেছেন,