যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই

যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই

মেয়ে তুমি আর জন্ম নিও না দরিদ্রদের ঘরে,
জন্মিলে তোমার জীবন পড়বে ঝরে ঝরে।
তোমায় পারবে না দিতে বিয়ে গরিব পিতামাতা,
তাদের করেছে দরিদ্র; অর্থকড়ি দেয়নি বিধাতা।

মেয়ে তোমায় বিয়ে দিতে যৌতুক লাগবে হায়!
কোথায় পাবে অর্থকড়ি তোমার পিতা-মাতায়?
যদি না করে শোধ যৌতুকের পাওনা সব টাকা,
তাহলেই বিপাকে ফেলবে তোমায় চোখ করবে বাঁকা।

বিধাতা পাঠালো তোমায় গরিবের সংসারের,
এখন মরছ তুমি যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচারে।
তুমি বিধাতাকে প্রশ্ন করো, কেন পাঠালো গরিবের ঘরে!
এখন কেন যৌতুক লোভী স্বামী শাশুড়ি, মারে চুলে ধরে?

দুনিয়ায় যত আছে ধনীর দুলারী আর ঘরিবের মেয়ে,
সবাই এসেছে একই পথে, সবাই একইরকম হয়ে।
তবু কেন এতো নিষ্ঠুর দুনিয়ায় পুরুষ নামের কাপুরুষ!
গরিবের প্রতি দেখায় না সহানুভূতি, দেখায় যত দোষ।

দোষ নেই মেয়ে তোমার, দোষ নেই বিধাতার সৃষ্টির,
দোষ হলো আমাদের সমাজের নরপশুদের কুদৃষ্টির।
ওরা লোভী, যৌতুক লোভী, ওরা বড় হিংসাত্মক,
ওরা অত্যাচারী, ওরা কাফের, ওরা খুবই মারাত্মক!

শোনো যৌতুক লোভী মানুষ তোমরা, শোনো সমাচার,
আজ তোমায় যারা যৌতুকের জন্য করছে অত্যাচার!
আগামীকাল হবে তোমরা সকলে এই যৌতুকের শিকার,
তোমরাও পাবে না রেহাই, তোমাদেরও করবে অত্যাচার।

বিয়ে করতে যৌতুক নয়, যৌতুক ছাড়া করো বিয়ে,
জীবনসঙ্গিনী আনো ঘরে মেয়ের বাবাকে কিছু দিয়ে।
যাকে নিয়ে করবে সংসার তাকে করোনা অত্যাচার,
আর নয় যৌতুক, জীবনসঙ্গিনী নিয়ে গড়ো সুখের সংসার।

নিতাই বাবু
১১/০৯/২০১৮ইং

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

10 thoughts on “যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই

  1. যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। ভারতে যৌতুক প্রথা সামান্য উঠে গেলেও এখনো আছে। আমরাও এর অবসান চাই।

    1. রিয়া রিয়া  এই লেখা আমার নিজের মেয়ের জীবন থেকে নেওয়া। আমার অভাগী মেয়েটাও এই যন্ত্রনায় ভুগছে। তিন তিনটে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মেয়ে আমার বিপাকে। তবু সংসারের মায়াজালে বন্দি। আমাদের আশাই পথ চেয়ে থাকে। না হয় মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকে। আশায় থাকে ,কখন যেন মা-বাবা ফোন করবে, আর আমিও বাবা-মায়ের কাছে কিছু চেয়ে নিবো।

      আর পারছি না আমি কিছু লিখতে। আমাকে ক্ষমা করবেন, শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি।

  2. যাকে নিয়ে করবে সংসার তাকে করোনা অত্যাচার,
    আর নয় যৌতুক, জীবনসঙ্গিনী নিয়ে গড়ো সুখের সংসার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

     

    1. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যৌতুকের অভিশাপ থেকে মায়ের জাতিরা রেহাই পেলেও আমাদের দেশের মা জাতি মেয়েরা রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। আর বেশি কিছু লিখলামও না। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

  3. মেয়ে তোমায় বিয়ে দিতে যৌতুক লাগবে হায়!
    কোথায় পাবে অর্থকড়ি তোমার পিতা-মাতায়?
    যদি না করে শোধ যৌতুকের পাওনা সব টাকা,
    তাহলেই বিপাকে ফেলবে তোমায় চোখ করবে বাঁকা।

    সন্তানের চোখের জল পিতামাতার জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক একটি অধ্যায়। :(

    1. আমি অধমও এই আগুনে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আমার মেয়ের জন্য আশির্বাদ করবেন ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।